- SCHOOL BOARDS
- WBBSE/WBCHSE
- CLASS 10
- GEOGRAPHY
- WBBSE Board Class 10th Geography Chapter 1 বায়ুর ক্ষয়কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপগুলির চিত্রসহ বর্ণনা দাও ||

WBBSE Board Class 10th Geography Chapter 1 বায়ুর ক্ষয়কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপগুলির চিত্রসহ বর্ণনা দাও ||

Language : Bengali
LRNR provides this material totally free
বায়ুর ক্ষয়কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপগুলির চিত্রসহ বর্ণনা দাও।
বায়ুর ক্ষয়কার্যের প্রভাব সবচেয়ে বেশি লক্ষ করা যায় শুষ্ক বা মরু অঞ্চলে।বায়ু প্রধানত তিনটি পদ্ধতিতে ক্ষয়কার্য করে। এগুলি হল অবঘর্ষ, অপসারণ ও ঘর্ষণ। বায়ুর এই ক্ষয়কার্যের ফলে কতকগুলি বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ভূমিরূপ গড়ে ওঠে। যেমন -গৌর, জিউগেন, ইয়ারদাং, ইনসেলবার্জ, অপসারণ গর্ত প্রভৃতি। নিম্নে বায়ুর ক্ষয়কার্যের ফলে গঠিত প্রধান ভূমিরূপগুলির বর্ণনা দেওয়া হল।
(i) গৌর -মরু অঞ্চলে কোনো বৃহৎ শিলাখণ্ডের নীচের অংশ কোমল শিলাস্তর ও উপরের অংশ কঠিন শিলাস্তর দ্বারা গঠিত হলে অবঘর্ষ প্রক্রিয়ার দ্বারা নিচের কোমল শিলা দ্রুত ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে সরু হয়ে যায়। ফলে ওপরের অংশ ব্যাঙের ছাতার মতো চওড়া ও চ্যাপ্টা হয়ে অবস্থান করে, তাকে গৌর বলে।
বৈশিষ্ট্য - (i) এগুলি দেখতে ব্যাঙের ছাতার মতো হয় বলে একে মাশরুম রক বলে। (ii) মরুভূমির মাঝে অবশিষ্ট টিলার মতো দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়(iii) এগুলিকে সাহারায় গারা, জার্মানিতে পিলজ্ফেলসেন এবং আমেরিকা ও কানাডায় হুডু্স্ বলে।
উদাহরণ - সাহারা মরুভূমিতে গৌর আকৃতির অনেক শিলাস্তুুপ দেখা যায়।
(ii) জিউগেন -মরু অঞ্চলে আড়াআড়িভাবে কোমল ও কঠিন শিলা ওপর নীচে অবস্থান করলে প্রবল বায়ুপ্রবাহের আঘাতে কোমল শিলা বেশি ও কঠিন শিলা অল্প ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। এর ফলে শিলার ওপরের অংশ চওড়া ও চ্যাপ্টা এবং নীচের অংশ সরু হয়ে এক ধরনের মূর্তি গঠন করে, এদের জিউগেন বলে।
উদাহরণ - আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের সোনেরান মরুভূমিতে এরূপ জিউগেন দেখা যায়।
বৈশিষ্ট্য - (i) জিউগেন 3-30 মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়।
(ii) জিউগেন -এর উপরিভাগ চ্যাপ্টা ও সমতল হয়।
(iii) ইয়ারদাং - মরু অঞ্চলে কঠিন ও কোমল শিলাস্তর লম্বালম্বিভাবে অবস্থান করলে অবঘর্ষের প্রভাবে কোমল শিলাস্তর দ্রুত ক্ষয়ে যায় ফলে কঠিন শিলাস্তর পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে টিলার আকারে দাঁড়িয়ে থাকে, এদের ইয়ারদাং বলে।
উদাহরণ -আরবের মরুভূমিতে এরূপ ইয়ারদাং দেখা যায়।
বৈশিষ্ট্য-
(i) ইয়ারদাং-এর গড় উচ্চতা 6 মিটার।
(ii) ইয়ারদাং- এর প্রস্থ 4-40 মিটার পর্যন্ত হয়।
(iii) ইয়ারদাংকে দেখতে মোরগের ঝুঁটির মতো হয় বলে একে কবস্-কম্ব-রিজ বলে।
(iv) এদের শীর্ষদেশ সূচালো হয়।
(iv) ইনসেলবার্জ -মরু অঞ্চলের কঠিন শিলা দ্বারা গঠিত অঞ্চল দীর্ঘদিন ধরে ক্ষয়ের ফলে প্রায় সমতলভূমিতে পরিণত হয়, এরূপ সমতল অঞ্চলে অপেক্ষাকৃত কঠিন শিলাস্তর অনেকসময় অনুচ্চ টিলার আকারে বিচ্ছিন্নভাবে দাঁড়িয়ে থাকে, একে ইনসেলবার্জ বলে।
উদাহরণ - দক্ষিণ আফ্রিকার কালাহারি ও অস্ট্রেলিয়ার মরুভূমি এবং ভারতের দাক্ষিণাত্য মালভূমির বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চলে এরূপ ইনসেলবার্জ দেখা যায়।
বৈশিষ্ট্য -
(i)ইনসেলবার্জ সাধারণত আগ্নেয় ও রূপান্তরিত শিলায় গঠিত হয়(ii)ইনসেলবার্জের উচ্চতা সাধারণত 30-300 মিটার পর্যন্ত হয়। (iii)গম্বুজ আকার ইনসেলবার্জকে বোর্ন-হার্ড বলা হয় এবং একসঙ্গে অনেক বড়ো বড়ো ইনসেলবার্জ থাকলে তাকে কপিজ্ বলে।
(v) মেসা ও বাটে :- স্পেনীয় শব্দ মেসা কথার অর্থ টেবিল। মরু অঞ্চলে কোনো মালভূমি দীর্ঘদিন ক্ষয়ের ফলে বিচ্ছিন্ন হয়ে টেবিলের মতো সমতল আকৃতিযুক্ত হয়, এদের মেসা বলফরাসি শব্দ বাটে কথার অর্থ ঢিবি। মেসাগুলি ক্রমশ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে যখন ক্ষুদ্রাকার ঢিবির আকারে অবস্থান করে, তখন তাদের বাটে বলে।
উদাহরণ -আফ্রিকার কালাহারি মরুভূমিতে এবং অস্ট্রেলিয়ার মরুভূমিতে মেসা ও বাটে দেখা যায়।
(vi) অপসারণ গর্ত : মরু অঞ্চলে বালুকারাশি বৃষ্টি ও উদ্ভিদের অভাবে শুষ্ক ও শিথীল অবস্থায় থাকে বলে তীব্র বাতাসের আঘাতে কখনো কখনো বিশাল এলাকাজুড়ে বালি,পলি অপসারিত হয়ে ছোট বড়ো গর্তের সৃষ্টি হয় একে অপসারণ গর্ত বা ব্লোআউট বলে।
উদাহরণ - মিশরের কাতার পৃথিবীর বৃহত্তম অপসারন গর্ত। এই অপসারণ গর্তকে মঙ্গোলিয়াতে প্যাংকিয়াং হোলো, থর মরুভূমিতে ধান্দ এবং আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে বাফেলো গর্ত বলে।
(vii) ভেন্টিফ্যাক্ট ও ড্রাইকান্টার : মরু অঞ্চলে একটি নির্দিষ্ট দিক থেকে সারা বছর প্রবল বেগে বায়ু প্রবাহিত হলে, বায়ুপ্রবাহের দিকে শিলা ক্রমাগত ক্ষয় পেয়ে শিলা মসৃণ ও সুচালো হয়। শিলার অন্যদিক গুলো অমসৃণ থেকে যায় এরূপ ব্রাজিল নাটের মতো দেখতে একদিক সূঁচালো মসৃণ শিলাকে,ভেন্টিফ বলে।
যেসব মরু অঞ্চলে বিভিন্ন দিক থেকে বায়ু প্রবাহিত হয় সেখানে শিলার বিভিন্ন দিক ক্ষয় পেয়ে মসৃণ হয়, এরূপ বিভিন্ন দিকে মসৃন শিলাকে ড্রাইকান্টার বলে।
উদাহরণ -সাহারা এবং কালাহারি মরুভূমিতে ভেনিফ্যাক্ট ও ড্রাইকান্টার দেখা যায়।
Truly Indian Brand