পথের দাবী || শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় - সংক্ষিপ্ত ও রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর

Language : Bengali

1. “পথের দাবী”- রচনাংশটির উৎস লেখ। 

“পথের দাবী” উপন্যাসে কিছু অংশ হল আমাদের পাঠ্য শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের “পথের দাবী” 

2. নিমাই বাবুর সঙ্গে অপূর্ব পুলিশ স্টেশনে প্রবেশ করে কী দেখতে পায় ?

অপূর্ব পুলিশ স্টেশনে প্রবেশ করে দেখতে পায় সামনের হলঘরে জনা -দুয়েক বাঙালি মোট -ঘাট নিয়ে বসে আছে এবং জগদীশবাবু তাদের বাক্স-প্যাটারা তদারকি শুরু করেছেন। 

3. পুলিশ যাদের আটক করেছে তারা কোথায়, কোন কর্মে নিযুক্ত ছিলেন ?

উত্তর ব্রহ্ম দেশে বর্মা অয়েল কোম্পানির তেলের খনির কারখানার মিস্ত্রির কাজে নিযুক্ত ছিলেন। 

4. পুলিশ স্টেশনে নিমাইবাবুর সামনে কাকে হাজির করা হয় ?

পলিটিক্যাল সাসপেক্ট বা রাজবিদ্রোহী সব্যসাচী মল্লিককে হাজির করা হয়। মূলত গিরিশ মহাপাত্রের পরিচয় দিয়েই এই ব্যক্তি উপস্থিত হয়েছে। 

5. গিরিশ মহাপাত্রের দুচোখের দৃষ্টি দেখে অপূর্বর কী মনে হয়েছিল ?

তার মনে হয়েছিল সেখানে রয়েছে গভীর জলাশয় -এর রহস্য ওই দৃষ্টির অতলে তার প্রাণশক্তিটি লুকোনো রয়েছে এবং মৃত্যুও সেখানে প্রবেশ করতে ভয় পায়। 

6. অপূর্ব মুগ্ধ হয়ে কোন দিকে তাকিয়ে ছিল ?

গিরিশ মহাপাত্রের রোগা মুখে অদ্ভুত দুটি অতল স্পর্শী চোখের দিকে তাকিয়েছিল। 

 

7. ‘তার আমি জামিন হতে পারি’-কে, কেন জামিন হতে পারে ?

পলিটিক্যাল সাসপেক্ট সব্যসাচী মল্লিকের সঙ্গে গিরিশ মহাপাত্রের পোশাক, চেহারার বৈশিষ্ট্য একদমই বেমানান। তাই অপূর্ব পুলিশকর্তা নিমাইবাবুকে বলে গিরিশকে ছেড়ে দিতে, প্রয়োজনে সে তার জামিন হতেও রাজি। 

8. নিমাইবাবু গিরিশ মহাপাত্রকে সদাশয় ব্যক্তি বলেছেন কেন ?

গিরিশ মহাপাত্র যখন নিমাইবাবুকে জানায় তার কুড়িয়ে পাওয়া গাঁজার কলকেটি সঙ্গী -সাথীদের বিনোদনের জন্য রেখে দিয়েছেন, নিজের জন্য নয়, তখনই নিমাইবাবু একথা বলেন। 

9. ‘মিথ্যেবাদী কোথাকার’-কে, কখন একথা বলেছেন ?

গিরিশ মহাপাত্র জগদীশবাবুর কাছে গাঁজা সেবয়নের বিষয়টি অস্বীকার করলে এবং বন্ধু -বান্ধবদের জন্য তা রেখে দিয়েছে জানালে জগদীশবাবু একথা বলেন। 

10. পুলিশ স্টেশন থেকে ফেরার পর অপূর্ব কেন অন্য মনস্ক হয়েছিল ?

পুলিশ স্টেশন থেকে বাসায় ফেরার পর অপূর্ব দৈনন্দিন কাজকর্ম সম্পাদনকালে কোনো এক অপরিচিত রাজদ্রোহীর চিন্তায় মগ্ন হওয়ায় অন্যমনস্ক হয়েছিল। 

11. রামদাসের স্ত্রী অপূর্বকে কোন বিষয়ে সনির্বন্ধ অনুরোধ করেছিলেন ?

রামদাসের স্ত্রী বলেছিলেন যতদিন না তার মা কিংবা বাড়ির অন্যকোনো আত্মীয় বর্মায় গিয়ে বাসার উপযুক্ত ব্যবস্থা না করে ততদিন তার হাতে তৈরী সামান্য মিষ্টান্ন অপূর্বকে গ্রহণ করতে হবে। 

12. তেওয়ারি কোথায়, কী উদ্দেশ্যে গিয়েছিল ?

তেওয়ারি কয়ায় নাচ দেখতে গিয়েছিল। 

13. এখানে বুনোহাঁস কাদের বলা হয়েছে ?

পুলিশের চোখে যারা রাজবিদ্রোহী রূপে সন্দেহভাজন অপূর্ব তাদের বুনো হাঁস বল;আছেন। 

14. ভামো নগরের উদ্দেশ্যে অপূর্ব ট্রেনে যাত্রায় সঙ্গে কে ছিল ?

একজন পিয়ন এবং অফিসের একজন হিন্দুস্থানী ব্রাহ্মন পিয়াদা। 

15. ‘মনে হল লজ্জায় ঘৃণায় যেন মাটির সঙ্গে মিশে যায়’ - কোন ঘটনায় এই মন্তব্য করা হয়েছে ?

অপূর্বকে রেঙ্গুনের স্টেশনে বিদেশীদের হাতে অত্যাচারিত হতে দেখে দেশীয় মানুষেরা প্রতিবাদ করেনি, এই ঘটনায় অপূর্বর মনে বেদনা জাগায়। 

16. তেওয়ারি কী উদ্দেশ্যে অপূর্বর বাসায় থেকে গিয়েছিল ?

তেওয়ারি অপূর্বর বাসার দেখাশোনার উদ্দেশ্যে সেখানে থেকে গিয়েছিল। 

17. ‘তেওয়ারির বাসাতে থাকার পক্ষে তেমন কোনো ভয় ছিল না’-কেন ?

কারণ অপূর্বর বাসার দুতলার বাসিন্দা উগ্র স্বভাবের সাহেব ছিলেন। তিনি পা ভেঙে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। 

18. অপূর্বর কাছে গিরিশ মহাপাত্র কোন পরিচয় দিয়েছে ?

গিরিশ মহাপাত্র পরিচয় দিয়েছে যে, সে ব্রাহ্মণদের ছেলে এবং বাংলা লেখা -পড়া ও শাস্ত্র -টাস্ত্র সবকিছুই একসময় শিখেছিলেন। 

19. ভামো যাত্রাকালে গিরিশ অপূর্বকে পুলিশের সন্দেহ সম্পর্কে কী বলেছিল ?

সে বলেছিল - পুলিশ তাকে মিথ্যা সন্দেহ করেছে। সে খুব ধর্ম ভীরু মানুষ তাই গাঁজা, আফিম পাঁচারের মতো অধর্মের কাজ করে না। 

20. ‘তাহলে নমস্কার’- কে, কেন, কাকে নমস্কার জানিয়েছে ?

গিরিশ মহাপাত্র অপূর্বকে নিজের মতো ব্রাহ্মণ জানার পর নমস্কার জানিয়েছেন। 

21. ‘এই জানোয়ারটাকে ওয়াচ করার দরকার নেয়,’- কে, কাকে, কেন একথা বলেছেন ?

জগদীশবাবু নিমাইবাবুকে একথা বলেছেন। 

থানা -তল্লাশির পর একথা প্রমাণিত হয় উৎকৃস্টি সংস্কৃতির সম্পন্ন সব্যসাচীর সঙ্গে  ..

গিরিশ মহাপাত্রের আচার, রুচি, সংস্কৃতির অনেক ফারাক। তার অদ্ভুত দর্শন ও সাজ -পোশাকে স্থুল রুচির প্রকাশ পুলিশের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছে যে ধরা পড়া ব্যক্তিটি কোনো মতেই সব্যসাচী মল্লিক হতে পারে না তাই তাকে (গিরিশ মহাপাত্র) ওয়াচ করার দরকার নেই। 

22. তাছাড়া এত বড়ো বন্ধু - বন্ধুটি কে ? তার প্রতি কোন কর্তব্যের কথা বলা হয়েছে ?

এখানে বন্ধু বলতে অপূর্বর ফ্ল্যাটে থাকা খ্রিস্টান মেয়েটির কথা বলা হয়েছে। 

অপূর্বর অনুপস্থিতিতে তার ঘরে চুরি হলেও ওই মেয়েটির জন্যই টাকা কড়ি ছাড়া অন্যান্য সবকিছুই রয়েছে। সে চোর তাড়িয়ে দরজায় নিজের তালা দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে। কী চুরি হয়েছে আর কী রয়েছে এমন সবকিছুই সে নিখুঁত হিসাব করে দিয়েছে। যা রামদাসের মতো আকাউন্টেণ্ট -এর পক্ষেও বিস্ময়কর। এইরূপ কর্মকুশলতার জন্যই মেয়েটিকে ‘বড়ো বন্ধু’ বলা হয়েছে। 

23. ‘বাবুজি এসব কথা বলার দুঃখ আছে’ - বক্তা কে ? তিনি কী বলতে চেয়েছেন ?

বক্তা অপূর্বর সহকারী বন্ধু রামদাস তলয়ারকর। 

অপূর্ব একজন দেশপ্রেমী, দেশের মুক্তি সংগ্রামে তার আন্তরিক শ্রদ্ধা ছিল। নিমাইবাবু বিপ্লবীদের তারা করে বেড়ালে তিনি তা অপছন্দ করেন তাই অপূর্বর কাছে বেশি আপন রাজদ্রোহিরা। 

অপূর্বর এই ধরণের কথা বলা সরকার সুনজরে দেখবে না - এটা রামদাসের অভিমত। কারণ পরাধীন ভারতে রাজদ্রোহীদের সমর্থন করা ব্রিটিশ শাসকের কাছে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হতে পারে। 

24. ‘তা লাঞ্ছনা এই কালো চামড়ার নীচে কম জ্বলে না’- কখন, কেন একথা বলা হয়েছে ?

আমাদের পাঠ্য ‘পথের দাবী’ রচনাংশে ফিরিঙ্গি যুবক অপূর্বকে লাথি মেরে প্ল্যাটফর্ম থেকে বের করে দিয়েছিল। 

তলয়ারকরের কাছে এই কথা প্রসঙ্গে অপূর্ব উক্ত মন্তব্যটি করেছে। 

পরাধীন দেশের নাগরিক হিসাবে অপূর্বর মনে যে যন্ত্রনা তা রামদাসকে ব্যক্ত করে। কিন্তু ইংরেজ যুবক অপূর্বকে বিনা দোষে প্ল্যাটফর্ম থেকে লাথি মেরে বের করে দেয়। অপূর্ব এর প্রতিকার চাইতে স্টেশন মাস্টারের কাছে গেলে তিনিও কোনোরকম বিচার না করে অপূর্বকে কুকুরের মতো তাড়িয়ে দেয়। অপূর্ব এসব লাঞ্ছনার শিকার হয়েছিল শুধুমাত্র ভারতীয় হওয়ার অপরাধে। এই ঘটনায় সবচেয়ে বেদনাদায়ক পরিণতিটি হল উপস্থিত ভারতীয়রা অপূর্বর হয়ে এই ঘটনার কোনো প্রতিবাদ করেন নি। 

25. অপূর্ব চরিত্রের বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা কর। 

‘পথের দাবী’ উপন্যাসের অন্তর্গত আমাদের পাঠ্য সমনামের রচনাংশে অন্যতম চরিত্র হিসাবে অপূর্ব চরিত্রটিকে আমরা লক্ষ্য করি। তার চরিত্রের যে সকল বৈশিষ্ট্য আমরা লক্ষ্য করি সেগুলি হল -

i) দেশপ্রেমিক : অপূর্বর দেশপ্রেম ছিল প্রকৃত দেশপ্রেম। নিমাইবাবু রাজদ্রোহী সব্যসাচী মল্লিককে ধরার জন্য যাবতীয় প্রচেষ্টা তার একেবারে পছন্দ নয়। তার কাছে নিমাইবাবু  নয়, যাকে তিনি ধরার জন্য এদেশ -সেদেশ করে বেড়াচ্ছেন সেই রাজদ্রোহী ব্যক্তি তার কাছে বেশি আপন। 

ii) আবেগপ্রবণ : সব্যসাচী মল্লিক নামে কোনো বিখ্যাত বিপ্লবীকে অপূর্ব আগে জানত না। অথচ নিমাইবাবুর মুখে সব্যসাচী সম্পর্কে জানার পর ও সব্যসাচী ধরা না পড়ায় বাসায় ফিরে তাঁর মন সাংসারিক চিন্তা মুক্ত হয়ে যায় -কোনো এক অদৃষ্ট অপরিজ্ঞাত রাজদ্রোহীর চিন্তাতেই ধ্যানস্থ হইয়াছিল। 

iii) অপমানবোধ : পরাধীন দেশের নাগরিক হিসাবে ইংরেজদের হাতে বিনা কারণে লাঞ্চিত হয়ে এবং ইংরেজ স্টেশন মাস্টারের কাছে সুবিচার না পেয়ে তার মন আত্মগ্লানিতে ভরে ওঠে। ভামো যাত্রাকালে কেবলমাত্র ভারতীয় হওয়ার অপরাধে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটিয়ে তিনবার নাম ঠিকানা জানতে চাওয়ার প্রতিবাদ করে কোনো সদ উত্তর না পেলে তার মন অপমান বোধের নিমজ্জিত হয়। 

iv) সশস্ত্র বিপ্লবের প্রতি আস্থা : অপূর্ব একসময় সশস্ত্র বিপ্লবের সাথে যুক্ত ছিল। তাই নিমাইবাবুর মুখে রাজদ্রোহী সব্যসাচী মল্লিক সম্বন্ধে জেনে শ্রদ্ধাশীল হয়ে পড়ে। সব্যসাচী সম্পর্কে গড়ে ওঠা উচ্চ ধারণার সঙ্গে গিরিশ মহাপাত্রের চূড়ান্ত অমিল খুঁজে পেলে নিমাইবাবুকে বলেছেন যাকে খুঁজছেন সে যে এ নয়, তার আমি জামিন হতে পারি। 

v) দয়ালু / অমায়িক ব্যবহার : বন্ধু রামদাস ও তাঁর স্ত্রীর সাহচর্য তাকে অনেকটা স্বস্তি দিয়েছিল। তাই অপূর্ব তাদের অনুরোধ ও পরামর্শ সর্বদা মেনে চলত। এজন্যই অফিসের বড়ো সাহেব ও অপূর্বর প্রতি আস্থাশীল ছিলেন। 

26. গিরিশ মহাপাত্রকে সব্যসাচী মল্লিক ভাবার কারণ কী ? অপূর্বর চোখে তাকে সব্যসাচী ভাবার যৌক্তিকতা কতখানি ?

অপরাজেয় কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের দাবী’ উপন্যাসের ষষ্ঠ পরিচ্ছেদের অন্তর্গত এই অংশে গিরিশ মহাপাত্রের কথা আলোচিত হয়েছে। 

রেঙ্গুন থানায় গিরিশ মহাপাত্র নামে এক তৈলখনির কর্মচারীকে দেশনেতা ও রাজবিদ্রোহী সব্যসাচী মল্লিক সন্দেহে আটক করা হয়েছে। এই আটক ও সন্দেহের কতগুলি কারণ আছে - এগুলি হল :

i) গিরিশ মহাপাত্র ও সব্যসাচী মল্লিক উভয়েই বাঙালি। সব্যসাচী বহুভাষী এবং ছদ্মবেশে ওস্তাদ। পুলিশকে বোকা বানাতে সে ছদ্মবেশে চট্টগ্রাম থেকে রেঙ্গুনে আসবে - এটি ছিল নিশ্চিত খবর। তাই বিচিত্রবেশী অদ্ভুত গিরিশকে জাহাজঘাটে ধরা হয়। 

ii) দ্বিতীয় কারণটি হল, গিরিশ ও সব্যসাচী উভয় -এরই বয়স ৩০-৩২ এর কাছাকাছি। 

iii) তৃতীয় কারণটি হল, সব্যসাচী মল্লিকের যে আলোক চিত্র সরকার পাঠিয়েছে তার সঙ্গে গিরিশের অদ্ভুত মিল পাওয়া গেছে। 

অপূর্বর চোখে এই কাজটি হল নির্বোধ এর। তার পোশাক পরিচ্ছদ, সাজ গোজ দেখে অপূর্বর হাসি আর থামে না। অপূর্ব জানত সব্যসাচী উচ্চশিক্ষিত, বিজ্ঞান ও চিকিৎসাশাস্ত্রে পন্ডিত। বিলাতের ডাক্তারি ডিগ্রির অধিকারী, তাই তার সঙ্গে গিরিশ মহাপাত্রের স্বাস্থ্য, শিক্ষা -রুচি, জামা -মোজা -চুল -জুতো ও কলকের সমন্বয়ের আকাশ -পাতাল পার্থক্য। তাই অপূর্ব মনে করেছে গিরিশ মহাপাত্রকে সব্যসাচী ভাবা পুলিশের মূর্খামি মাত্র। 

27. গিরিশ মহাপাত্রের চরিত্রের বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা কর। 

আমাদের পাঠ্য ‘পথের দাবী’ উপন্যাসের অন্যতম আকর্ষণীয় চরিত্র গিরিশ মহাপাত্র। তার চরিত্রে নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলি আমরা লক্ষ্য করি -

i) সময় সচেতন : গিরিশ মহাপাত্র একজন সময় সচেতক মানুষ হিসাবে এখানে উপস্থাপিত হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে সব্যসাচী মল্লিক হওয়ায় পুলিশের চোখে ধুলো দিতে বিবিধ উপায় অবলম্বন করেছে। 

ii) ছদ্মবেশে দক্ষতা : গিরিশ মহাপাত্র সময় সচেতক ব্যক্তি হওয়ায় ছদ্মবেশ ধারণে দক্ষ। তার ঘাড় -কান ছাঁটা মাথার ওপর বড়ো চুলের মাঝে সিঁথি করা। পরনে জাপানি -সিল্কের রামধনু রঙের চুড়িদার -পাঞ্জাবি, বিলাতি মিলের কালো মখমল পাড়ের সূক্ষ্ম শাড়ি, পায়ে সবুজ রঙের ফুলমোজা, হাঁটুর ওপর লাল ফিতে দেওয়া বাঁধা, লোহার নাল বাঁধানো বার্নিশ করা পামসু। এছাড়াও হাতে হরিণের শিঙ এর হাতল দেওয়া বেতের ছড়ি ইত্যাদি। এগুলি তাকে গিরিশ মহাপাত্র ভাবতে বাধ্য করেছে। 

iii) নিখুঁত অভিনয় : গিরিশ মহাপাত্র বিচিত্র পোশাক পরিধান করায় তার অভিনয়ও নিখুঁত ভাবে ধরা দিয়েছে। তার অভিনয়ের প্রভাবেই নিমাইবাবুরা তাকে থানা থেকে ছেড়ে দিয়েছে। এমনকী তার অভিনয়ের জন্যই অপূর্ব তার জামিনদার হতে চেয়েছে। 

iv) পরোপকারী : তার পকেটে গাঁজার কলকে থাকার কারণ জানতে চাইলে সে উত্তর দেয় - পথে কুড়িয়ে পেলাম, কারোর কাজে লাগে তাই তুলে রেখেছি। তার একথা বিশ্বাস করলে তাকে পরোপকারী বলতেই হয়। 

v) মাটির মানুষ : গিরিশ মহাপাত্র নিরীহ প্রকৃতির হওয়ায় পুলিশের অপ্রীতিকর প্রশ্নে কখনও বিরক্ত হয়নি। 

vi) সৌজন্যবোধ : ভামো যাত্রার সময় অপূর্বর সঙ্গে দেখা হলে সে সৌজন্যবসত তাকে নমস্কার জানায়। 






























vii) ধর্মভীরু : ভামো যাত্রাকালে অপূর্বর সঙ্গে দেখা হলে সে জানায় মাদক পাচারকারী সন্দেহে তাকে মিথ্যা হয়রান করা হয়েছে। এই ধরনের কাজের সঙ্গে সে যুক্ত হতে চায় না, কারণ সে ধর্মভীরু মানুষ।

Ratings
No reviews yet, be the first one to review the product.
Click to send whatsapp message
Copywrite 2024 by  Misiki Technologies LLP