পঞ্চম অধ্যায় আলো প্রশ্ন উত্তর । Chapter 5 Aalo

Language : Bengali

The Note contains Textual Question Answers from WBBSE Class 10 Physical Science Chapter 5 Aalo (পঞ্চম অধ্যায় আলো). Read the Question Answers carefully. This Question Answer set from the WBBSE board provides quality Multiple Choice Questions (MCQ), Short Answer Type Questions (SAQ), and Long Answer Type Questions from the above chapter. By reading these, students will get a clear idea about that chapter. It will enhance their knowledge and enable them to get good marks in the board exams. 

দশম  শ্রেণি ভৌতবিজ্ঞান পঞ্চম অধ্যায় আলো,

আলো অধ্যায় এর  সম্পূর্ণ আলোচনা ও অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তর,

আলো থেকে সংক্ষিপ্ত, রচনাধর্মী ও ব্যাখ্যা ধর্মী প্রশ্নোত্তর, 

Class 10 Physical Science Chapter 5 Aalo,

Aalo Class 10 Physical Science,

Short Answer Type Question (SAQ) from Aalo,

Long Answer Type Question from Aalo,


LRNR provides this material totally free

CH-5_আলো 

গোলীয় দর্পণ - কোনো প্রতিফলকতল যদি কোনো গোলকের অংশ হয় তবে তাকে গোলীয় দর্পণ বলে। 

গোলীয় দর্পণ - দুই প্রকার -i.উত্তল দর্পণ  ii. অবতল দর্পণ 

উত্তল  দর্পণ - কোনো গোলীয় দর্পণের বাইরের দিকটা মসৃণ ও চকচকে হয়ে প্রতিফলকের মতো কাজ করলে এবং ভিতরের দিকটা অস্বচ্ছ হলে ওই দর্পনকে উত্তল দর্পণ বলে। 

অবতল দর্পণ - কোনো গোলীয় দর্পণের ভিতরের দিকটা মসৃণ ও চকচকে হয়ে প্রতিফলকের মতো কাজ করলে এবং বাইরের দিকটা অস্বচ্ছ হলে ওই দর্পণকে অবতল দর্পণ বলে। 

গোলীয় দর্পণের জ্যামিতি - 

মেরু - গোলীয় দর্পণের প্রতিফলক তলের মধ্যবিন্দুকে ওই দর্পণের মেরু বলে। P বিন্দু দর্পণের মেরু। 

বক্রতাকেন্দ্র - গোলীয় দর্পনটি যে গোলকের অংশবিশেষ সেই গোলকের কেন্দ্রকে বক্রতাকেন্দ্র বলে। C বিন্দুটি হল বক্রতাকেন্দ্র। 

প্রধান অক্ষ - দর্পণের মধ্যবিন্দু অর্থাৎ মেরু এবং বক্রতাকেন্দ্রের সংযোগকারী সরলরেখাকে প্রধানঅক্ষ বলে।  চিত্রে XX1 সরলরেখা প্রধান অক্ষ। 

বক্রতা -ব্যাসার্ধ - দর্পণটি যে গোলকের অংশ সেই গোলকের ব্যাসার্ধকে দর্পণটির বক্রতা -ব্যাসার্ধ বলে। PC বক্রতা ব্যাসার্ধ 

উন্মেষ - গোলীয় দর্পণের প্রধান ছেদের প্রান্তবিন্দু দুটির দূরত্বকে ওই দর্পণের উন্মেষ বলে। M1M2হল উন্মেষ। 

গোলীয় দর্পণের মুখ্য ফোকাস - 

i. অবতল দর্পণের মুখ্য ফোকাস - প্রধান অক্ষের সাথে সমান্তরাল আলোকরশ্মিগুচ্ছ অবতল দর্পনে প্রতিফলিত হবার পর প্রধান অক্ষের যে বিন্দুতে এসে মিলিত হয়, সেই বিন্দুকে গোলীয় দর্পনের মুখ্য ফোকাস বলে। 

ii. উত্তল দর্পনের মুখ্য ফোকাস - প্রধান অক্ষের সমান্তরাল রশ্মিগুচ্ছ উত্তল দর্পণে প্রতিফলিত হবার পর প্রধান অক্ষের উপর একটি নির্দিষ্ট বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয়, সেই বিন্দুকে উত্তল দর্পনের মুখ্য ফোকাস বলে। 

note - 1. উপাক্ষীয় রশ্মি - যে সকল রশ্মি গোলীয় দর্পনের প্রধান অক্ষের সঙ্গে ক্ষুদ্রকোণে এবং দর্পণের মেরুর খুব নিকটবর্তী অঞ্চলে আপতিত হয় তাদের উপাক্ষীয় রশ্মি বলে। 

2. প্রান্তিক রশ্মি - যে সকল রশ্মি গোলীয় দর্পনের প্রধান অক্ষের সঙ্গে বড় কোণে এবং দর্পণের মেরু থেকে দূরে অর্থাৎ দর্পণের প্রান্তে আপতিত হয়, তাদের প্রান্তিক রশ্মি বলে। 

উপাক্ষীয় রশ্মির জন্য গোলীয় দর্পণের ক্ষেত্রে r = 2f এর প্রমাণ 

1. অবতল দর্পনের ক্ষেত্রে -  M1PM2 একটি কম উন্মেষের অবতল দর্পন C, F, P যথাক্রমে অবতল দর্পণটির বক্রতা কেন্দ্র, ফোকাস ও মেরু, PC = বক্রতা  ব্যাসার্ধ = r এবং PF = ফোকাস দূরত্ব = f ,

প্রধান অক্ষের সমান্তরাল AB রশ্মিটি দর্পণের  B বিন্দুতে আপতিত হয়ে প্রতিফলনের পর ফোকাস (F) বিন্দু দিয়ে যায়। B ও C যোগ করা হল, CB রেখা B বিন্দুতে দর্পণের ওপর লম্ব হবে কারণ CB দর্পনের বক্রতা ব্যাসার্ধ। 

প্রতিফলনের নিয়মানুসারে, ∠ABC = ∠CBF [ ∵ i = r]

AB || CP, CB ছেদক হওয়ায়  ∠ABC = ∠BCF (একান্তর কোণ)

∴ ∠BCF = ∠CBF, সুতরাং  CF= BF

কম উন্মেষের অবতল দর্পনে উপাক্ষীয় রশ্মির ক্ষেত্রে B ও P বিন্দু দুটি কাছাকাছি, সেক্ষেত্রে BF = PF হবে। 

CF= PF সুতরাং PC = PF +FC = PF +PF = 2PF

∴ r = 2f (প্রমাণিত)

2. উত্তল দর্পনের ক্ষেত্রে - M1PM2 একটি উত্তল দর্পণ। C, F, P যথাক্রমে বক্রতা কেন্দ্র, ফোকাস ও মেরু, PC =বক্রতা ব্যাসার্ধ = r এবং PF =ফোকাস দূরত্ব = f,

প্রধান অক্ষের সমান্তরাল AB রশ্মিটি দর্পনের B বিন্দুতে আপতিত হয়ে প্রতিফলনের পর ফোকাস বিন্দু  F থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হবে। CB যোগ করা হল। CN রেখা দর্পনের উপরে লম্ব, কারণ CB দর্পনের বক্রতা ব্যাসার্ধ। 

∴ ∠ABN = ∴ ∠DBN [ ∵ i = r]

      = ∠CBF [ বিপ্রতীপ কোণ ]

আবার AB|| PC এবং CBN ছেদক, তাই ∠ABN = ∠FCB [অনুরূপ কোণ ]

∴ ∠CBF =∠FCB সুতরাং FC= FB,

∴ উপাক্ষীয় রশ্মি নেওয়া হয়েছে, তাই P,B বিন্দু দুটি কাছাকাছি,

∴ FB = PF

∴ PC = PF+FC = PF +FB = PF +PF

PC = 2PF

∴ r = 2f (প্রমাণিত )

অবতল দর্পনের প্রধান অক্ষের উপর বস্তুর বিভিন্ন অবস্থানের জন্য গঠিত প্রতিবিম্বের অবস্থান, আকার এবং প্রকৃতি -

বস্তুর অবস্থান 

প্রতিবিম্বের অবস্থান 

প্রতিবিম্বের আকার 

প্রতিবিম্বের প্রকৃতি 

1. অসীমে 

ফোকাসে 

সদ অবশীর্ষ 

অত্যন্ত ক্ষুদ্র 

2. বক্রতাকেন্দ্রের পিছনে 

ফোকাস ও বক্রতাকেন্দ্রের মধ্যে 

সদ অবশীর্ষ

ক্ষুদ্রতর 

3. বক্রতাকেন্দ্রে 

বক্রতাকেন্দ্রে 

সদ অবশীর্ষ

সমান 

4. বক্রতাকেন্দ্র ও ফোকাসের মধ্যে 

বক্রতাকেন্দ্র ও অসীমের মধ্যে 

সদ অবশীর্ষ

বিবর্ধিত 

5. ফোকাসে 

অসীমে 

সদ অবশীর্ষ

অত্যাধিক বিবর্ধিত 

6. ফোকাস ও মেরুর মধ্যে 

অবতল দর্পণের পিছনে 

অসদ সমশীর্ষ 

বিবর্ধিত 

7.  মেরুতে 

মেরুতে 

অসদ সমশীর্ষ 

সমান 

গোলীয় দর্পণের ব্যবহার - অবতল দর্পণ - i. দাড়ি কামানোর দর্পণ হিসাবে,  ii. মোটরগাড়ির হেডলাইট -এ  iii. E.N.T ডাক্তারদের মাথায় লাগানো দর্পণরূপে। 

উত্তল দর্পন - মোটরগাড়ির রেয়ারভিউ দর্পনরূপে।

প্রতিসরণের সূত্র : 

প্রথমসূত্র - আপতিত রশ্মি, প্রতিসৃত রশ্মি এবং আপতন বিন্দুতে প্রতিসারক তলের উপর অঙ্কিত অভিলম্ব একই সমতলে থাকে। 

দ্বিতীয় সূত্র - দুটি নির্দিষ্ট মাধ্যমের বিভেদতলে এবং একটি নির্দিষ্ট বর্ণের আলোর প্রতিসরণের ক্ষেত্রে আপাতন কোণের সাইন এবং প্রতিসরন কোণের সাইন -এর অনুপাত সর্বদা ধ্রুবক হয়। 

অর্থাৎ, sin isin r = ধ্রুবক ()

হল প্রথম মাধ্যম সাপেক্ষে দ্বিতীয় মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক। 

দ্বিতীয় সূত্রটি স্নেলের সূত্র নামে পরিচিত। 

আপেক্ষিক প্রতিসরাঙ্ক - নির্দিষ্ট বর্ণের আলোকরশ্মি এক মাধ্যম (a) থেকে অন্য কোনো মাধ্যম (b) এ প্রতিসৃত হলে আপতন কোণের সাইন এবং প্রতিসরণ কোণের সাইনের অনুপাতকে প্রথম মাধ্যমের সাপেক্ষে দ্বিতীয় মাধ্যমের আপেক্ষিক প্রতিসরাঙ্ক বলে। এই আপেক্ষিক প্রতিসরাঙ্ককে abআকারে লেখা হয়। 

অর্থাৎ, ab=sin isin r

পরম প্রতিসরাঙ্ক - শুন্য বা বায়ু মাধ্যম থেকে আগত নির্দিষ্ট বর্ণের আলোক রশ্মি অপর নির্দিষ্ট মাধ্যমে প্রতিসৃত হলে আপতন কোণের সাইন ও প্রতিসরণ কোণের সাইনের অনুপাতকে ওই মাধ্যমের পরম প্রতিসরাঙ্ক বলে। 

আপেক্ষিক প্রতিসরাঙ্ক ও পরম প্রতিসরাঙ্কের মধ্যে সম্পর্ক -

a মাধ্যমের সাপেক্ষে b মাধ্যমের আপেক্ষিক প্রতিসরাঙ্ক 

ab=b মাধ্যমের পরম প্রতিসরাঙ্ক (b)a মাধ্যমের পরম প্রতিসরাঙ্ক (a) অর্থাৎ, ab=ba

কাঁচের স্ল্যাবের মধ্য দিয়ে আলোর প্রতিসরণ :

ABCD কাঁচের স্ল্যাবের মুখ্য়ছেদ, AB প্রতিসারক তলে  PQ আলোকরশ্মি i1 কোনে আপতিত হল এবং  r1 প্রতিসরন কোনে QR পথে প্রতিসৃত হয় এর পর এটি DC প্রতিসারকতলে r2 আপাতন কোণে আপতিত হয়ে i2 প্রতিসরণ কোণে RS পথে নির্গত হল। 

স্নেলের সূত্রানুযায়ী, Q বিন্দুতে প্রতিসরণের জন্য বায়ুর সাপেক্ষে কাচের প্রতিসরাঙ্ক ag হলে, 

ag = sin i1sin r2  আবার R বিন্দুতে প্রতিসরণের জন্য কাচের সাপেক্ষে বায়ুর প্রতিসরাঙ্ক ga   হলে ga = sin i1sin r2

এখন  ag = 1ga  হওয়ায় 

sin i1sin r1 = 1sin r2/sin i2  ⇒ sin i1sin r1 = sin i2sin r2 …(1)

∵ AB||BC   ∴ AB ও DC এর অভিলম্বও সমান্তরাল হবে। 

∴ NN1 || MM1  ∴ ∠r1 = ∠r2   [একান্তর কোণ ] 

∴ Sin r1 = sinr2

∴ (1) নং সমীকরণ থেকে পাওয়া যায়, 

sin i1sin r1 = sin i2sin r1

বা, sin i1 = sin i2 

বা, i1 = i2 

AB|| DC এবং NQN1, AB এর উপর লম্ব এবং MRM1, DC এর ওপর লম্ব হওয়ায় এবং i1 = i2 হওয়ায় PQ এবং RS পরস্পরের সমান্তরাল হয়। 

সুতরাং, কোনো আলোকরশ্মি সমান্তরাল কাচের স্ল্যাবের মধ্যে প্রতিসৃত হলে আপতিত ও নির্গতরশ্মি পরস্পর সমান্তরাল হয়। আলোকরশ্মির কোনো কৌণিক চ্যুতি হয় না। 

প্রিজমের আপতিত ও নির্গত রশ্মির মধ্যে চ্যুতি কোণ -

A প্রতিসারক কোণ বিশিষ্ট একটি প্রিজমের প্রধান ছেদ ABC একটি আলোকরশ্মি PQ বায়ু থেকে প্রিজমের প্রতিসারক তল AB এর ওপর Q বিন্দুতে আপতিত হয়েছে। এরপর প্রতিসৃত হয়ে প্রিজমের মধ্যে QR পথে গিয়ে দ্বিতীয় প্রতিসারক তল AC এর ওপর R বিন্দুতে প্রতিসৃত হয়ে RS পথে প্রিজম থেকে বায়ুতে নির্গত হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রিজমের উপাদান ঘন মাধ্যম এবং বায়ু লঘু মাধ্যম হওয়ায় নির্গত RS রশ্মি প্রিজমের ভূমির দিকে বেঁকে যায়। আপতিত রশ্মি PQ কে RS সামনের দিকে ও নির্গত রশ্মি RS কে পিছনের দিকে বর্ধিত করলে তারা O বিন্দুতে মিলিত হয়। এখানে আপতিত রশ্মি (PQ) এর অভিমুখ ও নির্গত রশ্মি (RS) এর অভিমুখের অন্তর্বর্তী কোণ আপতিত রশ্মির চ্যুতি কোণকে সূচিত করে। 

Q এবং R বিন্দুতে অঙ্কিত অভিলম্বদ্বয় N1 বিন্দুতে মিলিত হয়। AB তলে আপতন কোণ = ∠PQM = i1 এবং প্রতিসরণ কোণ = ∠NQR = r1 এবং একইভাবে AC তলে আপতন কোণ = ∠QRN1 = r2এবং প্রতিসরণ কোণ ∠N1RS = i2

∴ △QOR থেকে, চ্যুতিকোন = ∠OQR +∠ORQ = (i1 - r1) + (i2-r2)

অর্থাৎ =  (i1 + i2) - (r1+r2)..(i)   [ ∵ ত্রিভূজের বহিঃস্থ কোন অন্তঃস্থ বিপরীত কোণদ্বয়ের সমষ্টির সমান ]

আবার চতুর্ভুজ AQN1R থেকে ∠A+ ∠AQN1+ARN1+∠QN1R = 360

∠A + 90 +90 +∠QN1R = 360

∴ ∠A + ∠QN1R = 180 …(ii)

এখন △ N1QR এর ক্ষেত্রে r1+r2+ ∠QN1R = 180 …(iii)

∴ (ii) এবং নং (iii)  সমীকরণ থেকে পাই, ∠A = r1+r2…(iv)

∴  (i) এবং (ii)  নং সমীকরণ থেকে পাই, =  (i1 + i2) - ∠A

- এটিই হল প্রিজমের প্রতিসরণের ক্ষেত্রে চ্যুতি কোণের রাশিমালা 

লেন্স : 

দুটি গোলীয় বা একটি গোলীয় একটি সমতল দ্বারা সীমাবদ্ধ কোনো স্বচ্ছ প্রতিসারক মাধ্যমকে লেন্স বলে। 

উত্তল লেন্স - যে লেন্সের মধ্যভাগ মোটা ও দুই প্রান্ত ক্রমশ সরু তাকে উত্তল লেন্স বলে। 

অবতল লেন্স - কোনো লেন্সের মধ্যভাগ সরু ও দুই প্রান্ত ক্রমশ মোটা হলে তাকে অবতল লেন্স বলে। 

লেন্স সম্পর্কিত কয়েকটি সংজ্ঞা - 

বক্রতাকেন্দ্র - লেন্সের গোলীয় তল দুটি যে গোলোকদুটির অংশ তাদের কেন্দ্রদুটিকে লেন্সের বক্রতাকেন্দ্র বলে।  C1C2 হল বক্রতাকেন্দ্র 

বক্রতা ব্যাসার্ধ - লেন্সের দুটি বক্রতল যে গোলক দুটির অংশ তাদের ব্যাসার্ধ দুটিকে লেন্সের বক্রতা ব্যাসার্ধ বলে। C1N1C2N2  হল বক্রতা ব্যাসার্ধ। 

প্রধান অক্ষ - লেন্সের দুই গোলীয় তলের বক্রতাকেন্দ্র দুটির মধ্যে দিয়ে অতিক্রান্ত সরলরেখাকে প্রধান অক্ষ বলা হয়। চিত্রে C1C2 প্রধান অক্ষ

আলোককেন্দ্র - লেন্সের একটি তলে কোনো আলোকরশ্মি আপতিত হয়ে প্রতিসরণের পর বিপরীত তল থেকে আপতিত রশ্মির সমান্তরালভাবে নির্গত হলে রশ্মিটি লেন্সের প্রধান অক্ষকে যে বিন্দুতে ছেদ করে তাকে ওই লেন্সের আলোককেন্দ্র বলে। 

পাতলা লেন্সের আলোককেন্দ্র - পাতলা লেন্সের প্রধান অক্ষের উপর অবস্থিত যে নির্দিষ্ট বিন্দুর মধ্য দিয়ে কোনো আলোকরশ্মি পাঠালে রশ্মিটির কোনো চ্যুতি হয় না, সেই বিন্দুকে পাতলা লেন্সের আলোককেন্দ্র বলে। 

লেন্সের মুখ্য ফোকাস - লেন্সের মুখ্য ফোকাস দুই প্রকার -

i. প্রথম মুখ্য ফোকাস 

ii. দ্বিতীয় মুখ্য ফোকাস 

1. প্রথম মুখ্য ফোকাস 

উত্তল লেন্সের ক্ষেত্রে - প্রধান অক্ষের উপস্থিত যে বিন্দু থেকে অপসৃত একগুচ্ছ আলোকরশ্মি প্রতিসরণের পর প্রধান অক্ষের সমান্তরালভাবে নির্গত হয় সেই বিন্দুকে উত্তল লেন্সের প্রথম মুখ্য ফোকাস বলা হয়। 

ii. অবতল লেন্সের ক্ষেত্রে - প্রধান অক্ষের উপরিস্থিত যে বিন্দু অভিমুখী আলোকরশ্মি প্রতিসরণের পর প্রধান অক্ষের সমান্তরালভাবে নির্গত হয়, সেই বিন্দুকে প্রথম মুখ্য ফোকাস বলা হয়। 

2. দ্বিতীয় মুখ্য ফোকাস - উত্তল লেন্সের ক্ষেত্রে লেন্সের প্রধান অক্ষের সমান্তরালে আগত একগুচ্ছ আলোকরশ্মি লেন্সের মধ্য দিয়ে প্রতিসৃত হওয়ার পর প্রধান অক্ষের উপরে যে বিন্দুতে মিলিত হয় অথবা অবতল লেন্সের ক্ষেত্রে যে বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয়, সেই বিন্দুকে ওই লেন্সের দ্বিতীয় ফোকাস বলে। 

ফোকাস তল - কোনও লেন্সের মুখ্য ফোকাসের মধ্যে দিয়ে লেন্সের প্রধান অক্ষের সঙ্গে লম্বভাবে অবস্থিত কল্পিত তলকে লেন্সের ফোকাস তল বলে। 

ফোকাস দূরত্ব (f)-লেন্সের আলোক কেন্দ্র থেকে প্রধান অক্ষ বরাবর যে কোনো মুখ্য ফোকাসে এর দূরত্বকে ফোকাস দূরত্ব বলে। 

লেন্সের দ্বারা প্রতিবিম্ব গঠনের রেখচিত্র 

1. বস্তু লেন্স থেকে f এবং  2f এর মধ্যে অবস্থিত 

প্রতিবিম্বের অবস্থান -

লেন্স থেকে বস্তুর বিপরীতদিকে 2f থেকে বেশি দূরত্বে 

প্রতিবিম্বের প্রকৃতি - সদবিম্ব, অবশীর্ষ এবং বিবর্ধিত। 

2. বস্তুর অবস্থান - বস্তু 2f এর বেশি দূরত্বে অবস্থিত 

প্রতিবিম্বের অবস্থান -f  এবং 2f এর মধ্যে 

প্রতিবিম্বের প্রকৃতি - সদবিম্ব, অবশীর্ষ এবং বস্তুর চেয়ে ছোটো 

3. বস্তুর অবস্থান - লেন্সের আলোককেন্দ্র এবং ফোকাস বিন্দুর মধ্যে 

প্রতিবিম্বের অবস্থান - লেন্সের যেইদিকে বস্তু আছে সেইদিকে বস্তুর পিছনে। 

প্রতিবিম্বের প্রকৃতি - অসদবিম্ব, সমশীর্ষ এবং বিবর্ধিত 

বিভিন্ন অবস্থানে উত্তল লেন্স দ্বারা গঠিত প্রতিবিম্বের অবস্থান, প্রকৃতি ও আকারের সারণী :

বস্তুর অবস্থান 

প্রতিবিম্বের অবস্থান 

প্রতিবিম্বের প্রকৃতি 

1. অসীম দূরত্বে 

প্রধান ফোকাসে 

সদ, অবশীর্ষ, অতিক্ষুদ্র 

2. 2f অধিক দূরত্বে 

f ও 2f এর দূরত্বে 

সদ, অবশীর্ষ,ক্ষুদ্র 

3. 2f দূরত্বে 

2f দূরত্বে 

সদ, অবশীর্ষ,বস্তুর সমান আকারের 

4. 2f ও f এর মধ্যে 

2f এর অধিক দূরত্বে 

সদ, অবশীর্ষ,ও বিবর্ধিত 

5. f দূরত্বে 

অসীম দূরত্বে 

সদ, অবশীর্ষ,ও অসীম বিবর্ধিত 

6. f এর কম দূরত্বে 

বস্তুর দিকে 

অসদ, সমশীর্ষ ও বিবর্ধিত 

রৈখিক বিবর্ধন - কোনো লেন্স দ্বারা সৃষ্ট প্রতিবিম্বের দৈর্ঘ্য বা উচ্চতা এবং বস্তুর দৈর্ঘ্য বা উচ্চতার অনুপাতকে ওই প্রতিবিম্বের রৈখিক বিবর্ধন বলে। 

m = প্রতিবিম্বের উচ্চতা বস্তুর উচ্চতা = প্রতিবিম্বের দূরত্ব বস্তু দূরত্ব

m> 1হলে বিবর্ধিত প্রতিবিম্ব হবে 

m <1হলে খর্বাকার প্রতিবিম্ব হবে 

m = 1 হলে বস্তুর সমান উচ্চতার প্রতিবিম্ব উৎপন্ন হবে। 

মানুষের চোখের উপযোজন : 

নিকটবিন্দু - চোখ সর্বাপেক্ষা কাছের যে বিন্দুতে অবস্থিত কোনো বস্তুকে উপযোজন দ্বারা বিনা কষ্টে স্পষ্ট দেখতে পায় তাকে চোখের নিকটবিন্দু  বলে। সুস্থ চোখের ক্ষেত্রে চোখ থেকে নিকট বিন্দুর দূরত্ব 25 cm.

দূরবিন্দু - চোখ সর্বাপেক্ষা দূরের যে বিন্দুতে অবস্থিত বস্তুকে বিনা উপযোজনে ও বিনা কষ্টে দেখতে পায় তাকে দূরবিন্দু বলে। সুস্থ চোখের ক্ষেত্রে দূরবিন্দু  অসীমে অবস্থিত। 

Note : উপযোজন - চক্ষু লেন্সের আকার ও ফোকাস দৈর্ঘ্যে পরিবর্তন করে যে কোনো দূরত্বে থাকা বস্তুর প্রতিবিম্বকে সর্বদা রেটিনার উপর গঠন করার ক্ষমতাকে চোখের উপযোজন বলে। 

মানুষের চোখের দৃষ্টি সমস্যা এবং তার প্রতিকার : 

চোখের ত্রুটি চার প্রকার -

i. দীর্ঘদৃষ্টি বা হাইপারমেট্রোপিয়া 

ii. হ্রস্ব বা স্বল্প দৃষ্টি বা মায়োপিয়া 

iii. ক্ষীণদৃষ্টি বা চালশে বা প্রেসবায়োপিয়া 

iv. বিষমদৃষ্টি বা আসটিগম্যাটিজম 

1. দীর্ঘদৃষ্টি - কোনো ত্রুটিপূর্ণ চোখ যদি দূরের বস্তুকে স্পষ্ট দেখতে পায় কিন্তু কাছের বস্তুকে স্পষ্ট দেখতে পায় না, তাহলে চোখের এই ত্রুটিকে দীর্ঘদৃষ্টি বা হাইপারমেট্রোপিয়া বলে। 

প্রতিকার - চোখের সামনে উপযুক্ত ফোকাস দৈর্ঘ্যের উত্তল লেন্স রেখে এই ত্রুটি দূর করা হয়। 

2. হ্রস্বদৃষ্টি - কোনো ত্রুটিপূর্ণ চোখ যদি কাছের বস্তুকে স্পষ্ট দেখতে পায় কিন্তু দূরের বস্তুকে স্পষ্ট দেখতে পায় না, তাহলে চোখের এই ত্রুটিকে হ্রস্বদৃষ্টি বা মায়োপিয়া বলে। 

প্রতিকার - উপযুক্ত ফোকাস দৈর্ঘ্যের অবতল লেন্স ব্যবহার করলে এই ত্রুটি দূর করা হয়। 

আলোর বিচ্ছুরণ - প্রিজম বা প্রিজমের মতো কোনো স্বচ্ছ প্রতিসারক মাধ্যমের মধ্যে দিয়ে প্রতিসরণের ফলে সাদা বা যৌগিক আলোকরশ্মি বিশ্লিষ্ট হয়ে বিভিন্ন মৌলিক বর্ণের আলোতে বিভক্ত হওয়ার ঘটনাকে আলোর বিচ্ছুরণ বলে। 

সাদা আলোর বিচ্ছুরণের ফলে আলোটি সাতটি একবর্ণী আলোতে বিভক্ত হয়। এগুলি হল - বেগুনী, নীল, আকাশী, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল। সংক্ষেপে এদের ‘বেনীআসহকলা’ বা ‘VIBGYOR’ বলে। 

বিষয় 

কম 

বেশি 

1. তরঙ্গদৈর্ঘ্য 

বেগুনি বর্ণ 

লাল বর্ণ 

2. বেগ 

বেগুনি বর্ণ 

লাল বর্ণ 

3. প্রতিসরাঙ্ক 

লাল বর্ণ 

বেগুনি বর্ণ 

4. বিচ্যুতি 

লাল বর্ণ 

বেগুনি বর্ণ 

 

1. একবর্ণী আলো - যে আলোতে একটিমাত্র বর্ণ থাকে, তাকে একবর্ণী আলো বলে। 

2. বহুবর্ণী আলো - যে আলোকরশ্মি বিচ্ছুরণের পর বিভিন্ন বর্ণে বিশ্লিষ্ট হয়, তাকে বহুবর্ণী আলোকরশ্মি বলে। 

আলোক তরঙ্গ - বিজ্ঞানী জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল প্রমাণ করেন আলো একপ্রকার তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ। 

তরঙ্গের কম্পাঙ্ক - তরঙ্গের গতিপথে অবস্থিত মাধ্যমের কম্পমান কোনো কণা প্রতি সেকেন্ডে যতগুলি পূর্ণ কম্পন সম্পন্ন করে, তাকে তড়ঙ্গটির কম্পাঙ্ক বলে। 

তরঙ্গদৈর্ঘ্য - তরঙ্গের উপরিস্থিত দুটি সমদশাসম্পন্ন কণার রৈখিক দূরত্বকে ওই তরঙ্গের তরঙ্গদৈর্ঘ্য বলে। 

তরঙ্গের বেগ - কোনো মাধ্যমে একক সময়ে কোনো তরঙ্গ যে দূরত্ব অতিক্রম করে, তাকে ওই মাধ্যমে তরঙ্গের বেগ বলে। 

আলোক তরঙ্গের গতিবেগ ও মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক -

(a ) আলোর তরঙ্গ তত্ত্ব থেকে প্রমাণ করা যায় যে আলোকরশ্মি এক মাধ্যম থেকে অন্য কোনো মাধ্যমে প্রবেশ করলে প্রথম মাধ্যমের (a) সাপেক্ষে দ্বিতীয় মাধ্যমের (b) প্রতিসরাঙ্ক (ab)

ab=প্রথম মাধ্যমে আলোর বেগ (Va)দ্বিতীয় মাধ্যমে আলোর বেগ (Vb)

(b) মাধ্যমের পরম প্রতিসরাঙ্ক - কোনো মাধ্যমের পরম প্রতিসরাঙ্ক শুন্য মাধ্যমে আলোর গতিবেগ এবং ওই মাধ্যমে আলোর গতিবেগের অনুপাতের সমান হয়। 

কোনো মাধ্যমের পরম প্রতিসরাঙ্ক, = শুন্য মাধ্যমে আলোর বেগ (c)ওই  মাধ্যমে আলোর বেগ (v)

আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সাপেক্ষে মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক -

a) শুন্য মাধ্যমে কোনো নির্দিষ্ট বর্ণের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যে 0এবং নির্দিষ্ট মাধ্যমে তরঙ্গদৈর্ঘ্য হলে 

মাধ্যমের পরম প্রতিসরাঙ্ক, = শুন্য মাধ্যমে আলোর বেগ (c) ওই  মাধ্যমে আলোর বেগ (v) = c v = 0   = 0  

b) বিজ্ঞানী কশি প্রতিসরাঙ্কের সঙ্গে তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সম্পর্ককে প্রকাশ করেন -

= A + B2 সমীকরণ দ্বারা, এখানে Aও B ধ্রুবক। 

তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গের বর্ণালি -

বিভিন্ন ধরণের তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গকে তাদের তরঙ্গদৈর্ঘ্য বা কম্পাঙ্ক অনুযায়ী পরপর বিভিন্ন শ্রেণীতে সাজালে যে বর্ণালি তৈরি হয়, তাকে তড়িৎচুম্বকীয় বর্ণালি বলে। 

তরঙ্গদৈর্ঘ্যর ক্রমবর্ধমান মান অনুসারে তড়িৎচুম্বকীয় বর্ণালির প্রধান অংশগুলি হল -

গামা রশ্মি <এক্স রশ্মি <অতিবেগুনি রশ্মি <দৃশ্যমান আলোকরশ্মি <অবলোহিত রশ্মি <মাইক্রোতরঙ্গ <বেতার তরঙ্গ 

আলোর বিক্ষেপণ - সূর্যের আলো যখন বায়ুমন্ডলের মধ্যে দিয়ে যায় তখন বায়ুমন্ডলে উপস্থিত বিভিন্ন গ্যাসীয় অণু ও সূক্ষ্ম ধূলিকণা অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ তরঙ্গদৈর্ঘ্যবিশিষ্ট ওই সূর্যালোক শোষণ করে এবং এর পর ওই শোষিত আলোকরশ্মিকে একই তরঙ্গদৈর্ঘ্যের তরঙ্গের আকারে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে দেয়। আলোর এরূপ ছড়িয়ে পড়ার ঘটনাকে আলোর বিক্ষেপণ বলে। 

বিজ্ঞানী রালের আলোর বিক্ষেপণ সংক্রান্ত সূত্র - বিক্ষেপণের ফলে ছড়িয়ে পড়া আলোর তীব্রতা (I) আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের ( ) চতুর্থ ঘাতের ব্যাস্তানুপাতিক হয়।   I 14

MCQ

Set-1

1. DNT চিকিৎসকেরা ব্যবহার করেন -

a. উত্তল দর্পণ 

b. উত্তল লেন্স 

c. অবতল দর্পণ 

d. অবতল লেন্স 

2. কোনটির উপর আলোর বর্ণ নির্ভর করে - 

a. কম্পাঙ্ক 

b. বেগ 

c. তরঙ্গদৈর্ঘ্য 

d. বিস্তার 

3. রেটিনায় গঠিত প্রতিবিম্বটি হল -

a. অসদ, অবশীর্ষ 

b. সদ, সমশীর্ষ 

c. অসদ, সমশীর্ষ 

d. সদ, অবশীর্ষ 

4. সাদা আলো প্রিজমে প্রতিসৃত হবার পর যে বর্ণের বিচ্যুতি সবথেকে কম - 

a. বেগুনী 

b. লাল 

c. হলুদ 

d. সবুজ 

5. মধ্যম বর্ণ বলা হয় - 

a. লাল 

b. নীল 

c. হলুদ 

d. সবুজ 

6. আকাশ নীল হবার কারণ - 

a. আলোর বিচ্ছুরণ 

b. আলোর সমাবর্তন 

c. আলোর বিক্ষেপণ 

d. আলোর প্রতিসরন 

7. শুন্য মাধ্যমে আলোর প্রতিসরাঙ্ক -

a. শুন্য 

b. এক 

c. দুই 

d. অসীম 

8. অপসারী দর্পণ বলে -

a. উত্তল দর্পণ 

b. অবতল দর্পণ 

c. সমতল দর্পণ 

d. কোনোটিই নয় 

9. অভিসারী লেন্স বলে -

a.উত্তল লেন্স 

b. অবতল লেন্স 

c. সমোত্তল লেন্স 

d. সমোঅবতল লেন্স 

10. গোলীয় দর্পণের ক্ষেত্রে ‘r’ এবং  ‘f’ এর সম্পর্কটি হল -

a. f = 2r

b. r = 2f

c. f = 1.5 r

d. r = 1.33f

Set-2

1. লেন্সের আলোককেন্দ্র হল -

a. বিভিন্ন বর্ণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন 

b. নির্দিষ্ট বিন্দু 

c. একাধিক বিন্দু 

d. দুটি বিন্দু 

2. 15 cm ফোকাস দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট অবতল দর্পণের সামনে কত দূরে বস্তু রাখলে তার রৈখিক বিবর্ধন 1 হবে ?

a. 10 cm

b. 15 cm

c. 30 cm

d. 7.5 cm

3. আপাতন কোণ কত হলে প্রতিসরণের ক্ষেত্রে চ্যুতি সর্বনিম্ন হয় -

a. 180

b. 90

c. 0

d. 45

4. বিশুদ্ধ বর্ণালীর প্রান্তীয় বর্ণজোর কোনটি -

a. লাল ও সবুজ 

b. সবুজ ও নীল 

c. লাল ও বেগুনী 

d. হলুদ ও কমলা 

5. কত কোণে আলো কাঁচের স্ল্যাবে আপতিত হলে পার্শ্বসরণ ঘটবে না -

a. 90

b. 45

c. 22.5

d. 0

6. সবথেকে কম প্রতিসরাঙ্ক যে বর্ণের সেটি হল -

a. লাল 

b. নীল 

c. সবুজ 

d. হলুদ 

7. বর্ণালি সৃষ্টি হয় -

a. প্রতিসরণ 

b. প্রতিফলন 

c. বিচ্ছুরণ 

d. সমাবর্তন 

8. প্রতিসরণের ক্ষেত্রে আপাতন কোণ 30 এবং প্রতিসরণ কোণ 50 হলে কৌণিক চ্যুতি কত ?

a. 100

b. 0

c. 20

d.80

9. কোনো দর্পণে বক্রতাকেন্দ্রগামী কোনো আলোকরশ্মি প্রতিফলিত হয়ে কোন পথে যাবে -

a. প্রধান অক্ষের সমান্তরালভাবে 

b. ফোকাস বিন্দু দিয়ে 

c. বক্রতাকেন্দ্রগামীই হবে 

d. মেরু দিয়ে 

10. প্রিজমের ক্ষেত্রে আলোকরশ্মির চ্যুতি কোণ -

a. = i1-i2+A

b. = i1+i2-A

c. = (i1i2)/A

d. = i1A2i2

Set-3

1. মায়োপিয়ায় চোখ স্পষ্ট দেখতে পায় না -

a. কাছের বস্তুকে 

b. 10 অপেক্ষা কাছের বস্তুকে 

c. অসীম থেকে দূর বিন্দুর মধ্যের বস্তুকে 

d. অপেক্ষা কাছের বস্তুকে

2. বিক্ষেপিত আলোর তীব্রতা (I) ও তরঙ্গদৈর্ঘ্য ( ) এর মধ্যে সম্পর্ক হল -

a. I 2

b. I23

c. I 14

d. I 15

3. আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য এবং কম্পাঙ্ক  n হলে, শূন্যস্থানে আলোর বেগ C হল -

a. C = n

b. C = n

c. C = n

d. C = n

4. বায়ু সাপেক্ষে কাচের প্রতিসরাঙ্ক 54 হলে, কাচ সাপেক্ষে বায়ুর প্রতিসরাঙ্ক -

a. 54

b. 45

c. 34

d. 74

5. উত্তল লেন্স কোনো বস্তুর বিবর্ধিত অসদবিম্ব গঠন করে যখন বস্তু দূরত্ব - 

a. f এর সমান 

b. 2f এর সমান 

c. f এর কম 

d. 2f এর বেশি 

6. সরল ক্যামেরায় আলোকনিরুদ্ধ বক্সের ভিতরের রং - 

a. হলুদ 

b. লাল 

c. কালো 

d. সবুজ 

7. কোনো আলোকরশ্মি বায়ু থেকে কোনো তরলের উপরিতলে 45 কোণে আপতিত হল এবং প্রতিসরণ কোণ হল 30 ,ওই তরলের প্রতিসরাঙ্ক -

a. 2

b. 1+ 2

c. 2

d. 2 -1

8. 60 প্রতিসারক কোনবিশিষ্ট একটি প্রিজমে প্রথম প্রতিসারক তলে আলোর প্রতিসরনে প্রতিসরণ কোণ 25হলে দ্বিতীয় প্রতিসারকতলে আপাতন কোণের মান হল -

a. 40

b. 15

c. 25

d. 35

9. প্রিজমে আপতন কোণ বাড়াতে থাকলে চ্যুতি কোণ -

a. বাড়ে 

b. কমে 

c. প্রথমে কমে, পড়ে বাড়ে 

d. প্রথমে বাড়ে, পরে কমে 

10. গোলীয় দর্পণের মুখ্য ফোকাস - 

a. একটি 

b. দুটি 

c. তিনটি 

d. চারটি 

Ratings
No reviews yet, be the first one to review the product.