Bangla Shityer Itihas । বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস Class 11 Bengali

Language : Bengali

The Note contains Textual Question Answers from WBBSE Class 11 Bengali Bangla Shityer Itihas.Read the Question Answers carefully. This Question Answer set from the WBBSE board provides quality Multiple Choice Questions (MCQ), Short Answer Type Questions (SAQ), and Long Answer Type Questions from the above chapter. By reading these, students will get a clear idea about that chapter. It will enhance their knowledge and enable them to get good marks in the board exams. 

Class 11 Bengali Bangla Shityer Itihas

Short Answer Type Question (SAQ) from Bangla Shityer Itihas

Long Answer Type Question from  Bangla Shityer Itihas

একাদশ শ্রেণি বাংলা  বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস,বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস ব্যাখ্যা,বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস- বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ, সম্পূর্ণ আলোচনা ও অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তর,বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস থেকে সংক্ষিপ্ত, রচনাধর্মী ও ব্যাখ্যা ধর্মী প্রশ্নোত্তর 


বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস 


1. বাংলা ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন কোনটি?

- ‘চর্যাপদ’


2. ‘চর্যাপদ’ কবে কে কোথা থেকে আবিষ্কার করেন?

- ‘চর্যাপদ’ আবিষ্কার করেন পন্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয় ১৯০৭ সালে নেপাল থেকে। 


3. ‘চর্যাপদ’ কত খ্রিস্টাব্দে কী নামে প্রকাশিত হয়?

- ‘চর্যাপদ’ ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে ‘হাজার বছরের পুরান বাংলা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোঁহা’ নামে প্রকাশিত হয়। 


4. চর্যা শব্দের অর্থ কী? এটি কোন সময়ে রচিত?

- চর্যা শব্দের অর্থ আচরণ। এটি আনুমানিক দশম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীতে রচিত। 


5. চর্যায় কত জন পদ কর্তার নাম পাওয়া যায় ও কটি পদ পাওয়া যায়?

- ২৪ জন পদ কর্তার নাম এবং ৫০ টি পদের পরিচয় পাওয়া যায়। 


6. চর্যার দুটি প্রবাদ নাম লেখ?

i) আপনা মাংসে হরিণা গৈরী 

ii) জবুধী, সো নিবুধী। 


7. চর্যার ভাষাকে কী বলা হয়, কেন বলা হয়?

- চর্যার ভাষাকে সন্ধ্যা ভাষা বা আলো আঁধারির ভাষা বলা হয়। কারণ এই ভাষার কিছুটা বোঝা যায় আবার কিছু বোঝা যায় না। 


8.চর্যার কত গুলি পদ সম্পূর্ণ পাওয়া যায় ও কত গুলি পদ খণ্ডিত অবস্থায় পাওয়া যায়?

- সাড়ে ছেচল্লিশটি সম্পূর্ণ ও সাড়ে তিন পদ খণ্ডিত অবস্থায় পাওয়া যায়। 


9. চর্যাপদে ভাষা যে বাংলা তা কে কোন রচনার মাধ্যমে প্রমাণ করেন?

- ডঃ সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায় মহাশয় “Origin and development of the Bengali Language’ গ্রন্থের মাধ্যমে প্রমাণ করেন। 

চর্যাপদের ভাষা বাংলা ভাষা। 


10. করা চর্যাপদ রচনা করেন? এটি কোন অঞ্চলে রচিত হয়?

- বৌদ্ধ সহজিয়ার মতে সিদ্ধ আচার্যরা চর্যাপদ রচনা করেন। এটি তৎকালীন বাংলাদেশের ভৌগোলিক পরিবেশে রচিত হয়। 


11. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী আবিষ্কৃত পুঁথির প্রকৃত নাম কী? এটি কী জাতীয় পুঁথি?

- হরপ্রসাদ শাস্ত্রী আবিষ্কৃত পুঁথির প্রকৃত নাম ছিল “চর্যাগীতিকে বৃত্তি”

এটি টিকা জাতীয় পুঁথি। 


12. চর্যাপুঁথি নেপালে আবিষ্কৃত হওয়ার কারণ কী?

- চর্যাপদ আনুমানিক দশম-দ্বাদশ শতাব্দীতে রচিত হয়। কিন্তু ত্রয়োদশ শতাব্দীর গোড়া থেকে মুসলমান শাসন প্রবল প্রতিকূলতা সৃষ্টি করায় হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মীয়রা নিজেদের রক্ষা করতে নিরাপদ প্রতিবেশী দেশ নেপাল আশ্রয় গ্রহণ করে তাই নেপালে গ্রন্থটি পাওয়া যায়। 


13. চর্যায় কোন পদকারের পদের সংখ্যা সর্বাধিক? তার কটি পদ পাওয়া যায়?

- চর্যায় কাহ্নপাদ সংখ্যা সর্বাধিক। তাঁর রচিত পদের সংখ্যা ১৩ টি। 


14. চর্যার প্রথম পদটি কার লেখা? তিনি কোন শতাব্দীর লোক?

- প্রথম পদটি লুই পাদের (পদকর্তা) রচনা। তিনি অষ্টম শতাব্দীর মধ্যভাগ থেকে নবম শতাব্দী প্রথম ভাগ পর্যন্ত বর্তমান ছিলেন। 

 

15. চর্যার পদ কর্তারা সন্ধ্যা ভাষায় পদ রচনা করেছিলেন কেন?

- চর্যার পদকারগণ ধর্মের সব বিষয় পদের মধ্য দিয়ে বলতে চেয়েছেন। এবং বিধর্মীদের কাছে গোপন রাখতেন। তাই এই ভাষা বেছে নিয়েছেন। 


16. মুনিদত্ত কে? বাংলা সাহিত্য তার গুরুত্ব কোথায়?

- মুনিদত্ত হলেন চর্যাপদের সংস্কৃত টীকাকার। 

তাঁর টিকা গ্রন্থে মূল বাংলা পদ গুলি সংস্কৃতে টিকা  এই টিকা থেকেই চর্যাপদের বিষয়ে বহু তথ্য পাওয়া যায়। 


17. চর্যায় কোন ছন্দ ব্যবহৃত হয়েছে? পর্বের মাত্রা সংখ্যা কত?

- পদ্ধতি ছন্দ বা পজ্ঝটিকা বা পাদাকুলক ছন্দ ব্যবহার করা হয়েছে। 

পর্বের মাত্রা সংখ্যা ১৫ টি। 


18. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কতবার নেপালে যান, কেন?

-  হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ৪ বার গিয়েছিলেন। 

রাজেন্দ্রলাল মিত্রের “Sanskrit Buddhist Literature in Nepal” গ্রন্থ পাঠ করে তিনি বুঝে ছিলেন নেপালে প্রাচীন পুঁথি পাওয়া যেতে পারে। তাই তিনি নেপালে গিয়েছিলেন। 


19. চর্যাপদে কটি গ্রন্থ স্থান পাই কেন? পুঁথিগুলি কী কী নামে পরিচিত?

- চর্যায় চারটি পুঁথির স্থান পাই কারণ প্রতিটি পুঁথি একই বাংলা ভাষায় লেখা। 

পুঁথিগুলি হল - i) চর্যাচর্য বিনিশ্চয় ii) সরহপাদের দোহা iii) কৃষ্ণাচার্যের দোহা  iv) ডাকার্ণব (চর্যাপদ)


20. চর্যার কয়েকজন বাঙালি গবেষকের নাম লেখ। 

- ডঃ সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়, দীনেশচন্দ্র সেন, প্রবোধ চন্দ্র বাগচী। 


21. চর্যার সংস্কৃত টিকা গ্রন্থের নাম কী?

- নির্মল গিরিটিকা 


22. নির্মল গিরিটিকা গ্রন্থের লেখক কে?

- মুনি দত্ত 


23. চর্যার তিব্বতি টিকা কে সম্পাদন করেন? ও কে অনুবাদ করেন?

- সম্পাদন করেন শান্তি ভিক্ষু ও প্রবোধ চন্দ্র বাগচী। 

অনুবাদ করেন - পন্ডিত শীলাচারী 


24. চর্যার তিব্বতি টিকা কে আবিষ্কার করেন?

- প্রবোধ চন্দ্র বাগচি। 


25. নবচর্যাপদ কে আবিষ্কার করেন, সেখানে কটি পদ রয়েছে? এটি কবে আবিষ্কার হয়?

- আড়াইশোটি পদ রয়েছে। এটি আবিষ্কার ডঃ শশীভূষণ দাসগুপ্ত ১৯৬৩ সালে। 


26. কত গুলো পদ নবচর্যাপদ নামে প্রকাশিত হয়?

- আটানব্বই টি। 


27. চর্যার দুইজন বিদেশী গবেষকের নাম লেখ। 

- ডঃ আর্নল বেক এবং ডঃ জি তুসি। 


শ্রীকৃষ্ণকীর্তন 

1) বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের সময়সীমা নির্দেশ করে এইযুগে উপবিভাগ গুলো সময়কাল নির্ধারণ করে 

- সময়কাল চতুর্দশ শতাব্দীর শেষ ভাগ থেকে অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ ভাগ পর্যন্ত (১৩৫০-১৮০০) খ্রিস্টাব্দ। 

- মধ্যযুগকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়-

i) আদিমধ্যযুগ (১৩৫০-১৪৫০) খ্রিস্টাব্দে 

ii) অন্তমধ্যযুগ (১৪৫০-১৮০০)


2. আদিমধ্যযুগের সাহিত্য নিদর্শন কোনটি? কে কোথা থেকে এটি আবিষ্কার করেন?

- আদিমধ্যযুগের একমাত্র সাহিত্য নিদর্শন হল -শ্রীকৃষ্ণকীর্তন 

- এটি বসন্তরঞ্জন রায়, বিদ্বদ্বল্লভ মহাশয় বাঁকুড়া জেলায় কাঁকিল্লা গ্রামের দেবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় গোয়াল ঘরের মাচা থেকে আবিষ্কার করেন। 


3. এই গ্রন্থটি কত সালে আবিষ্কৃত এবং কবে প্রকাশিত হয়?

- এটি আবিষ্কৃত হয় ১৯০৯ সালে এবং প্রকাশিত হয় ১৯১৬ সালে। 


4. এই কাব্য কে কোন সময়ে রচনা করেন?

- বড়ু চন্ডীদাস চতুর্দশ শতাব্দীর শেষ ভাগে রচনা করেন। 


5. “শ্রীকৃষ্ণকীর্তন” নামটি কার দেওয়া? এর প্রকৃত নাম কী?

- এই নামটি  বসন্তরঞ্জন রায়ের দেওয়া। 

- এর প্রকৃত নাম জানা যায় না তবে গ্রন্থটির মধ্যে পাওয়া একটি চিরকূট থেকে মনে করা হয় গ্রন্থটির নাম ছিল ‘শ্রীকৃষ্ণ সন্দর্ভ” 


6. এই কাব্যে কত রকমের ভণিতা আছে? ভণিতায় কোন কোন নাম ব্যবহৃত হয়েছে?

- তিন রকমের ভণিতা রয়েছে। ভণিতা গুলি হল -

বড়ু চন্ডীদাস, চন্ডীদাস, অনন্ত বড়ু চন্ডীদাস 


7. বড়ু কথার অর্থ কী? এর থেকে কী বোঝা যায়?

- বড়ু কথার অর্থ ব্রাহ্মণ। এর থেকে বোঝা যায় শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কবি ছিলেন ব্রাহ্মণ। 


8. এই কাব্যটি কোন কোন দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ? এই কাব্যটি কটি খন্ড এবং কটি কবিতা রয়েছে?

i) এটি একমাত্র কাব্য যার দ্বারা চর্যাগীতির পরে বাংলাভাষা সম্পর্কে জানা যায়। 

ii) এই কাব্যে নাট্যগুণ ও কাব্যগুণ উভয় প্রকাশ পেয়েছে। 

- এই কাব্যে ১৩ খন্ড এবং ৪১৮ টি কবিতা রয়েছে। 


9. এই কাব্যে ১৩ খন্ডের নাম লেখ। 

i. জন্ম খন্ড 

ii. তাম্বুল (পান) খন্ড 

iii. দান খন্ড 

iv. নৌকা খন্ড 

v. ভার খন্ড 

vi. ছত্র খন্ড 

vii. বৃন্দাবন খন্ড 

viii. কালীয় দমন খন্ড 

ix. যমুনা খন্ড 

x. হার খন্ড 

xi. বান খন্ড 

xii. বংশী খন্ড 

xiii. রাধা বিরহ 


10. এই কাব্যের প্রধান চরিত্র কটি ও কী কী?

- তিন। যথা - রাধা, কৃষ্ণ, বড়াই। 


11. এই কাব্যের কোন চরিত্র গুরুত্বপূর্ণ এবং কেন?

- এই কাব্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রটি হল রাধা। কারণ এই চরিত্র সবথেকে প্রাণবন্ত, সক্রিয় এবং হৃদয়গ্রাহ্য় বা আন্তরিক। 


12. এই কাব্য অশ্লীল বলা হয় কেন?

- এই কাব্য আদিরসের বারাবারি, সম্ভোগ চিত্রের বর্ণনা এবং নারী সৌন্দর্য্য বর্ণনা শ্লীলতাকে অতিক্রম করায় একে অশ্লীল বলা হয়। 


13. এই কাব্যে রাধা কে? কত বছর বয়সে কার সঙ্গে তার বিবাহ হয়?

- এই কাব্যে রাধা হলেন বৈকুন্ঠের লক্ষ্মী, কৃষ্ণের সম্ভোগ কারণে তিনি রাধা রূপে সাগর গোয়ালার ঘরে জন্ম নেন। 

১১ বছর বয়সে নপুংসক আইহন ঘোষের সঙ্গে তার বিবাহ হয়। 


14. “শ্রীকৃষ্ণকীর্তন” কী জাতীয় কাব্য এবং কেন?

- “শ্রীকৃষ্ণকীর্তন” নাটগীতি কাব্য। নাটকীয়তা এবং গীতিধর্মীকা এই উভয় বৈশিষ্ট্য এই কাব্যে রয়েছে। তিনটি চরিত্র সংলাপের মধ্য দিয়েই কাহিনীকে গতিশীলভাবে পরিণতির দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। 


15. “শ্রীকৃষ্ণকীর্তন” শেষ কাব্য শেষ খন্ডের নাম কী? অন্য কাব্যের সঙ্গে এই কাব্যের পার্থক্য কী?

- “শ্রীকৃষ্ণকীর্তন” কাব্যে শেষ খন্ডের নাম রাধা বিরহ 

অন্য খন্ডের নামের সঙ্গে খন্ড কথাটি যুক্ত 

শেষ খন্ডের নামের তা নেই অন্যান্য খন্ডে নাট ধর্মের প্রাধান্য শেষ খন্ডে গীতিধর্মীতা প্রাধানা ভাষা মার্জিত ও উন্নত। 


16. “শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের নায়ক কৃষ্ণের চরিত্রে ফুটে উঠেছে এমন গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো। 

- কৃষ্ণ গ্রাম্য, গোয়ার, লম্পট যুবক। তার মধ্যে দেবত্ব ফুটে ওঠেনি। তার চরিত্র নায়ক সুলভ মহিমা নেই। বিশ্বস্ততাও নেই যে রাধাকে পাওয়ার জন্য তার তৎপরতার শেষ নেই। যে রাধা কৃষ্ণকে সব দিতে চাইলে তখন কৃষ্ণ তাকে ছেড়ে মথুরায় চলে যান। তার আচরণে সৎগতি নেই। 


17. অনুসারি সাহিত্য 

1. অনুসারি সাহিত্য কাকে বলে? কোন সময় এই সাহিত্যের প্রচলন হয়? এই শাখার কয়েকটি কাব্যের নাম লেখ। 

-  মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যে একটি বিশেষ শাখার নাম অনুসারি সাহিত্য। যা সংস্কৃত, রামায়ণ, মহাভারত-ভগবৎ ইত্যাদি আখ্যান অবলম্বনে বাঙালির রুচি অনুসারে বাংলায় রচিত। 

কীর্তিবাসের ‘শ্রীরাম পাঁচালি’, মালাধর বসুর ‘শ্রীকৃষ্ণবিজয়’, কাশীরাম দাসের ‘মহাভারত, এই শাখার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। 


2. মধ্যযুগের অনুবাদ সাহিত্যকে অনুবাদ না বলে অনুসারি সাহিত্য বলবার কারণ কী?

- অনুসারি সাহিত্য গুলি সংস্কৃত কাব্যে যথাযথ অনুবাদ নয়। মূল কাব্যের কাহিনীকে অনুসরণ করে সমকালের বাঙালির রুচি ও কবির নিজস্ব চিন্তা ভাবনার আলোকে নতুন ভাবে রচিত বলে এই কালের পন্ডিতেরা ওই কাব্য গুলিকে অনুসারি কাব্য বলেছে। 


3. কে কোন সংস্কৃত অনুসরণে শ্রীকৃষ্ণ বিজয় কাব্য রচনা করেন?

- মালাধর বসু সংস্কৃত ভগবৎ গ্রন্থ বা পুরাণের দশম, একাদশ ও দ্বাদশ স্কন্ধ অনুসরণে বিজয় কাব্য রচনা করে। 


3. শ্রীকৃষ্ণবিজয় কাব্যের রচনাকাল জ্ঞাপক শ্লোকটি লেখ?

- তেরশ পঁচানব্বই শকে গ্রন্থ আরম্ভন চতুর্দশ দুই শকে হইল সমাপন। অর্থাৎ তেরশ পঁচানব্বই শকাব্দে = ১৩৯৫ + ৭৮ = ১৪৭৩ খ্রিস্টাব্দ 

১৪৭৩      ২০২৪

-৫৯৩        ৫৯৩

  ৮৮০ ১৪৩১


4. মালাধর বসুকে কে কোন উপাধি দান করেন?

- তৎকালীন গৌড়েশ্বর রুকনুদ্দিন বরবক শাহ তাঁকে গুনরাজ খাঁ উপাধি দেন। 


5. শ্রীকৃষ্ণ বিজয়ে কৃষ্ণের কোন রূপ ফুটে উঠেছে?
- শ্রীকৃষ্ণ বিজয়ে কৃষ্ণের ঐশ্বর্য্য রূপ ফুটে উঠেছে এবং বীর যোদ্ধার রূপ 


6. এই গ্রন্থে কোন কোন ও কটি লীলার বর্ণনা রয়েছে?

তিনটি লীলা যথা- i) বৃন্দাবন লীলা ii) মথুরা লীলা iii) দ্বারকা লীলা 


7. বড়ু চন্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণকীর্তন এবং মালাধর বসুর শ্রীকৃষ্ণ বিজয় মধ্যে পার্থক্য কী?

i) শ্রীকৃষ্ণকীর্তন এবং বৃন্দাবন লীলা অবলম্বনে লেখা কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ বিজয় বৃন্দাবন লীলা, মথুরা লীলা, দ্বারকা লীলা অবলম্বনে লেখা 

ii) শ্রীকৃষ্ণকীর্তনে প্রধান চরিত্র রাধা শ্রীকৃষ্ণ বিজয়ে প্রধান চরিত্র কৃষ্ণ। 


8. ভণিতা অনুসারে শ্রীকৃষ্ণবিজয় কাব্যে অন্য নাম গুলি কী কী?

i) শ্রীকৃষ্ণ মঙ্গল 

ii) গোবিন্দ মঙ্গল 

iii) গোবিন্দ বিজয় 


5. শ্রীকৃষ্ণ চরিত্রের মধ্য দিয়ে কবি কোন বার্তা দিতে চেয়েছেন?

- তুর্কি শাসনে অবক্ষয়িত বাঙালি জাতিকে সাংস্কৃতিক চেতনায় ও মানসিক চেতনায় অনুপ্রাণিত করতে চেয়েছেন। 


রামায়ণ 

1. রামায়ণের বাংলা অনুবাদ প্রথম কে করেন? তিনি কোন শতাব্দীর লোক?

- বাংলা অনুবাদ প্রথম করেন কৃত্তিবাস ওঝা। 

তিনি পঞ্চদশ শতাব্দীর কবি। 


2. তাঁর জন্ম কোথায়? তাঁর কাব্যের নাম কি?

- তাঁর জন্ম নদীয়ার ফুলিয়া গ্রামে। তাঁর কাব্যের নাম শ্রীরাম পাঁচালী। 


3. শ্রীরাম পাঁচালীকে অনুবাদ কাব্য না বলে অনুসারী কাব্য বলা হয় কেন?

- “শ্রীরাম পাঁচালী” রামায়ণের হুবহু অনুবাদ নয়। শুধুমাত্র কাহিনীকে অনুসরণ করে বাঙালি রুচি ও সংস্কৃতিকে গুরুত্ব দেওয়ায় একে অনুসারী কাব্য বলে। 


4. মূল রামায়ণের কটি কান্ড ও শ্লোক রয়েছে?

- 7 টি কান্ড ও 24 হাজার শ্লোক রয়েছে। এটি কবি বাল্মীকির লেখা। 


5. কৃত্তিবাস কোন রাজার সভায় স্থান পেয়েছেন?

- অনুমান করা হয় তিনি রাজা গনেশের সভায় স্থান অথবা গৌড়েশ্বর রুকনুদ্দিন বরবক শাহের সভায় স্থান পেয়েছেন। 


6. কৃত্তিবাসের রামায়ণ কে জনপ্রিয় হয়েছিল কীভাবে তা বোঝা যায়?

- কৃত্তিবাস রামায়ণের চরিত্রগুলিকে বাঙালির চরিত্র হিসেবে বাঙালিয়ানাকে তুলে ধরায় এটি বাঙালি সমাজে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। 


7. তার রামায়ণের জনপ্রিয়তার কারণগুলি হল -

i) এই গ্রন্থে প্রচুর অনুলিপি আবিষ্কৃত হয়েছে। 

ii) রামায়ণের রামকে নারায়ণ ভেবে এখন বাঙালির ঘরে ঘরে পূজো করা হয়। 


8. বাল্মীকি রামায়ণ ও কৃত্তিবাসের রামায়ণের মধ্যে উৎকৃষ্টমানের 

- বাল্মীকি রামায়ণ উৎকৃষ্ট কারণ তার পবিত্র ভাষা চরিত্র সৃষ্টি মহাকাব্যিক গাম্ভীর সবকিছুর উৎকৃষ্ট বাল্মীকি রামায়ণে। 


9. কৃত্তিবাসী রামায়ণ কবে কোথা থেকে প্রকাশিত?

- ১৮০২ খ্রিস্টাব্দে শ্রীরামপুর মিশন থেকে প্রকাশিত হয়। 


মহাভারত 

1. মহাভারতের প্রথম অনুবাদক কে? তিনি কোন সময়ে তা অনুবাদ করেন। 

- প্রথম অনুবাদক হলেন কবীন্দ্র পরমেশ্বর। 

তিনি পঞ্চদশ শতাব্দী ষোড়শ শতাব্দীর মধ্যে কাব্য রচনা সমাপ্ত করেন। 

 

2. কবীন্দ্র পরমেশ্বর কার সভাকবি ছিলেন? তিনি মহাভারতের কোন অংশ অনুবাদ করেন।

- কবীন্দ্র পরমেশ্বর চট্টগ্রামের শাসক পরাগল খাঁ -র সভাকবি ছিলেন। তিনি মহাভারতের সমস্ত অংশের সংক্ষিপ্ত অনুবাদ করেন। 


3. পরাগলি মহাভারত কাকে বলা হয়? কেন বলা হয়। 

- কবীন্দ্র পরমেশ্বর রচিত মহাভারতকে পরাগলি মহাভারত বলে। কারণ চট্টগ্রামের শাসনকর্তা পরাগল খাঁর নির্দেশে রচনা করেন। 


4. মহাভারতের শ্রেষ্ঠ অনুবাদক কে? তিনি কোন শতাব্দীতে আবির্ভুত হন। 

- শ্রেষ্ঠ অনুবাদক হলেন কাশীরাম দাস। 

তিনি ষোড়শ শতাব্দীতে আবির্ভুত হন এবং সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে কাব্য রচনা শুরু করেন। 


5. তিনি মহাভারতের কতটা অংশে অনুবাদ করেছেন। বাকি কারা অনুবাদ করেছেন?

- তিনি মহাভারতের ১৮ পর্বের মধ্যে আদি, সভা, বন, বিডাল এই চারটি অংশের অনুবাদ করেন বাকি ১৪ টা অংশের অনুবাদ করেছেন তাঁর ভাইপো নন্দরাম ও পরিবারের সদস্যরা। 


6. কাশীরাম দাসের প্রকৃত পদবী কি? তিনি দাস পদবী কেন ব্যবহার করতেন?

- দেব। কারণ তাঁর পরিবারের সদস্যরা বৈষ্ণব হওয়ায় তিনি বৈষ্ণবদের মতোই দাস পদবী লিখতেন। 


7. চৈতন্য জীবনী, রামাসাহিত্যের চৈতণ্যের প্রভাব। 

1. কবে কোথায় শ্রীচৈতন্যের জন্ম হয়?

- ১৪৮৬ খ্রি: ফাল্গুনী পূর্ণিমা তিথিতে নদীয়ার নবদ্বীপে জন্ম হয়। 


2. শ্রীচৈতন্যের তিরোধান কবে কোথায় কীভাবে হয়?

- ১৫৩৩ খ্রি: শ্রীচৈতন্যের তিরোধান ঘটে। 

তার তিরোধানের বিষয়ে মতামত গুলি হল 

i) কারো মতে তিনি জগন্নাথের বিগ্রহে বিলীন হয়ে যান 

ii) কেউ বলেন তিনি কৃষ্ণধ্রুমে নীলসমুদ্রে ঝাপ দেন। 

iii) কেউ কেউ বলেন পায়ের ক্ষত থেকে ধনুষ্টঙ্কার হয়ে মারা যান। 


3. শ্রীচৈতন্যের কোন বংশে জন্ম হয়, তাঁর পিতামাতার নাম কী?

- অভিজাত ব্রাহ্মণ পরিবারে শ্রীচৈতন্যের জন্ম হয়। 

তাঁর পিতার জগন্নাথ মিশ্র ও মাতা শচী দেবী। 


4. চৈতন্যের জন্মলগ্নে নবদ্বীপের সমাজ ব্যবস্থা কেমন ছিল?

- তৎকালীন সামাজিক অবস্থা ভালো ছিল না। মুসলমান শাসক কাজী সাহেব ছিলেন হিন্দু বিরোধী। হিন্দুদের মধ্যেও ছিল সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদ। বৈষ্ণব ধর্ম সাধনার অনুকূল পরিবেশ ছিল না। 


5. শ্রীচৈতন্যের সময়ে নবদ্বীপের শাসক কে ছিলেন?

- সুলতান হোসেন শাহের দৌহিত্র চাঁদকাজী।

 

6. নিমাই কবে ঈশ্বরপুরীর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন?

- ১৫০৮ খ্রি: ডিসেম্বরে গয়ায় ঈশ্বরপুরীর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। 


7. নিমাই কবে কার কাছে সন্ন্যাস ধর্মে দীক্ষা নেন। 

- ১৫১০ খ্রিস্টাব্দে ২৬ জানুয়ারি কেশব ভারতীর কাছে সন্ন্যাস ধর্মে দীক্ষা নেন। 


8. সন্ন্যাস গ্রহণের পর নিমাইয়ের নতুন নাম কী? তিনি সন্ন্যাসী হওয়ার পর কোথায় গমন করেন?

- সন্ন্যাস গ্রহণের পর নিমাই -এর নতুন নাম হয় শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য। 

সন্ন্যাসী হওয়ার পর ১৫১০ খ্রি: তিনি নীলাচলে যাত্রা করেন। 


9. বাংলা সাহিত্যে চৈতন্যের প্রভাব কীভাবে পরে। 

- শ্রীচৈতন্যকে ভগবানের অবতার মনে করে মানুষ মানুষের চিন্তা চেতনায় ও ভাবের জগতে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে। এবং তাঁকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সাহিত্য রচিত হয়। 


10. চৈতন্য পরিকর কাদের বলা হয়। তাঁদের কয়েকজনের নাম লেখ। 

- চৈতন্যের আনুগত্য মেনে নিয়ে যে সকল বৈষ্ণব প্রেম ধর্ম হরিনাম সংকীর্তনে মহাপ্রভুর সহ যোগী হয়েছেন তাঁদের চৈতন্য পরিকর বলে। 

এদের কয়েকজন হলেন নিত্যনন্দ, অদ্বৈত, গদাধর, হরিদাস প্রমুখ। 


11. ষড়গোস্বামী কাদের বলা হয়?

- যাঁরা চৈতন্যের নির্দেশ মতো গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মের দার্শনিক ভিত শক্তিশালী করেন, তাঁদের  ষড়গোস্বামী বলে। 

এঁরা হলেন - সনাতন গোস্বামী, রূপ গোস্বামী, শ্রীজীব গোস্বামী, রঘুনাথ ভট্ট, গোপাল ভট্ট এবং রঘুনাথ দাস। 


12. চৈতন্য জীবনী কাব্য বলতে কি বোঝায়? কেন এই কাব্য রচিত হয়? সাধারণ জীবনী কাব্যের সাথে এর পার্থক্য কোথায়?

- শ্রীচৈতন্যের পবিত্র জীবন কথা অবলম্বনে রচিত কাব্যকে চৈতন্য জীবনী কাব্য বলে। 

শ্রীচৈতন্যের অলৌকিক জীবনের মাহাত্যকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ায় হল এই কাব্য রচনার কারন। 

এই জীবনী কাব্যে অলৌকিক ঘটনা স্থান পেয়েছে। যা সাধারণ জীবনী কাব্যে থাকে না। তাই চৈতন্য জীবনী কাব্যকে Biogiography বলে না, একে  Hegiography বলে। 


13. বাংলা ভাষায় কে প্রথম চৈতন্য জীবনী কাব্য রচনা করেন? কাব্যটির নাম কী?

-  বাংলা ভাষায় প্রথম চৈতন্য জীবনী কাব্য হল - চৈতন্য ভাগবত। এটি রচনা করেন বৃন্দাবন দাস। 


14. বৃন্দাবন দাস চৈতন্য মঙ্গল নাম পরিবর্তন করে কেন চৈতন্য ভাগবত রাখেন?

- কারণ এই সময় লোচন দাসের চৈতন্য মঙ্গল নামে একটি গ্রন্থ রচিত হওয়ায় তিনি গ্রন্থটির নাম পরিবর্তন করে চৈতন্য ভাগবত রাখেন। 


15. “চৈতন্য চরিতামৃত” গ্রন্থটির রচয়িতা কে? এই গ্রন্থের কটি খন্ড এবং কটি পরিচ্ছেদ রয়েছে?

-চৈতন্য চরিতামৃত” গ্রন্থটির রচয়িতা হলেন কৃষ্ণদাস কবিরাজ। 

- গ্রন্থটির তিনটি খন্ড। যথা-

i) আদি লীলা, মধ্য লীলা, অন্ত লীলা, তিনটি লীলায় মোট ১৭+২৫+২০ = ৬২ টি পরিচ্ছেদ রয়েছে। 


বৈষ্ণব পদাবলী 

1. বাংলা ভাষায় রচিত চৈতন্য জীবনী কাব্যগুলির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং দার্শনিক দিক থেকে মূল্যবান গ্রন্থ কোনটি?

- কৃষ্ণদাস কবিরাজের চৈতন্য চরিতামৃতম। 


2. কৃষ্ণদাস কবিরাজের চৈতন্য চরিতামৃত গ্রন্থের বিশেষত্ব কোথায়?

i) এটি তুলনায় বৃহৎ 

ii) আধ্যাত্মিক জীবন বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। 


1. দ্বিতীয় বিদ্যাপতি কাকে বলা হয়? কেন বলা হয়?

- গোবিন্দদাসকে  দ্বিতীয় বিদ্যাপতি বলা হয়। 

- কারণ তিনি বিদ্যাপতির কাব্যের ভাষা ও আদর্শকে অনুসরণ করে কাব্য রচনা করেছেন। 


2. বিদ্যাপতি কোন কোন উপাধিতে/অভিধায় ভূষিত? এই উপাধি গুলি কারা প্রদান করেন?

গোবিন্দদাসের উপাধিগুলি হল 

i) কবিরাজ- এটি প্রদান করেন জীবগোস্বামী 

ii) দ্বিতীয় বিদ্যাপতি - এটি প্রদান করেন বল্লভদাস 


3. গোবিন্দদাস কোন কোন পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন? তাঁর শ্রেষ্ঠপদ গুলি কোন ভাষায় রচিত?

- গোবিন্দদাস অভিসার ও গৌরাঙ্গ বিষয়ক পদে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন। 

- তাঁর শ্রেষ্ঠ পদগুলি ব্রজবুলি ভাষায় লেখা। 


4. চন্ডীদাসের ভাবশিষ্য কাকে বলা হয় এবং কেন?

- চন্ডীদাসের ভাবশিষ্য বলা হয় জ্ঞানদাসকে কারন চন্ডীদাসের ভাব অনুসরণে তিনি পদ রচনা করেছেন। 


5. জ্ঞানদাস কোন কোন পর্যায়ের পদে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন?

- অনুরাগ, পূর্বরাগ ও আক্ষেপ অনুরাগ পর্যায়ের পদে শ্রেষ্ঠ। 


6. চন্ডীদাস ও জ্ঞানদাসের মধ্যে পার্থক্য কোথায়?

i) চন্ডীদাস প্রাক চৈতন্য যুগের কবি কিন্তু জ্ঞানদাস চৈতন্য পরবর্তীযুগের কবি। 

ii) চন্ডীদাস আগে কবি পরে ভক্ত কিন্তু জ্ঞানদাস আগে ভক্ত পরে কবি। 


7. জ্ঞানদাস কোন কোন ভাষায় পদ রচনা করেছেন? এর মধ্যে কোন ভাষার পদটি শ্রেষ্ঠ?

- বাংলা ও ব্রজবুলী ভাষায় পদ রচনা করেছেন। 

- বাংলা ভাষার পদটি শ্রেষ্ঠ। 


8. কোন কোন পর্যায়ের পদ রচনা করে বলরামদাস স্মরণীয় হয়ে আছেন? তাঁর পদে কোন কোন চরিত্র বেশি গুরুত্ব পেয়েছে?

- বাল্য লীলা ও গোষ্ঠ লীলা পর্যায়ের পদে তিনি শ্রেষ্ঠ। 

- তাঁর পদগুলিতে যশোদা, শ্রীদাম, সুদামা, চরিত্রগুলি গুরুত্ব পেয়েছে। 


9. বলরামদাসের পদের বৈশিষ্ট্যগুলি কী?

i) বাৎসল্য রস প্রধান 

ii) রাধা চরিত্রের তুলনায় যশোদা, শ্রীদাম, সুদামা চরিত্র বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। 


10. চৈতন্য পরবর্তীযুগের শ্রেষ্ঠপদকার কে? কেন?

- গোবিন্দদাস 

- কারন তাঁর ভাবের বিশুদ্ধতা, আধ্যাত্মিকতা এবং ছন্দ তাঁকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে। 


বৈষ্ণব পদাবলী 

1. বৈষ্ণবপদাবলি কাকে বলে? কোন সময়ে এর চর্চা শুরু হয়?

- বিষ্ণুর ভক্তদের বৈষ্ণব বলে। 

- পঞ্চদশ শতাব্দী থেকে অষ্টাদশ শতাব্দী পর্যন্ত এর চর্চা শুরু হয়। 


2. প্রথম সার্থক পদাবলি রচয়িতা কে? তিনি কোন সময়ের কবি?

- তিনি পঞ্চদশ শতাব্দীর কবি। 


3. বিদ্যাপতি কোথাকার মানুষ? তিনি কোন কোন ভাষায় পদ রচনা করেন?

- মিথিলা নগরের মানুষ। তিনি মৈথিল এবং ব্রজবুলি ভাষায় পদ রচনা করেন। 


4. পদাবলি শব্দটি প্রথম কে কোথায় রচনা করেন?

- কবি জয়দেব তাঁর গীতগোবিন্দম কাব্যে প্রথম ব্যবহার করেন। 


5. বাংলা পদাবলী সাহিত্যে কোন সংস্কৃত সাহিত্যের প্রভাব হয়েছে?

- জয়দেবের গীতগোবিন্দম 


6. বিদ্যাপতিকে কোন কোন অভিধায় ভূষিত করা হয়?

i) অভিনব জয়দেব 

ii) মৈথিল কোকিল 


7. বিদ্যাপতি বাঙালি না হয়েও বাংলা সাহিত্যের তার জনপ্রিয়তা হওয়ার কারণ কী?

- কারণ সেই সময় বিদ্যাপতির কবিত্বপূর্ণ কবিতা শেখার জন্য বাংলা থেকে বাঙালি ছাত্ররা যেতেন এবং বিদ্যাপতি গান তুলে নিয়ে আসতেন এই জন্য তিনি জনপ্রিয়। 


8. বিদ্যাপতি কার সভার সভাসদ ছিলেন? তাঁর সময়কাল লেখ?

- মিথিলার রাজা শিব সিংহের। 

- বিদ্যাপতির সময়কাল হলো ১৩৮০-১৪৬০


9. বিদ্যাপতির কোন ভাষায় পদগুলি শ্রেষ্ঠ? ব্রজবুলি ভাষা কী?

- ব্রজবুলি ভাষার পদ গুলি শ্রেষ্ঠ। 

- ব্রজবুলি হল বাংলা, বিহার, ও ওড়িশার মিশ্রিত কৃত্তিম ভাষা। 


1. চৈতন্য পূর্ব যুগের শ্রেষ্ঠ বাঙালি পদকার কে? তিনি কোথাকার মানুষ?

-চন্ডিদাস 

- তিনি বীরভূমের নানুর অঞ্চলের বাসিন্দা। 


2. চন্ডিদাস কোন মতের সাধক? তাঁর ইষ্টদেবীর নাম কী?

- শাক্ত মতের 

- কসলী 


3. চন্ডিদাস কোন কোন পর্যায়ের পদে কৃতিত্ব অর্জন করেছেন?

- পূর্বরাগ, অনুরাগ এবং রসউদগার 


4. চন্ডিদাসের পদাবলীর বৈশিষ্ট্য কী?

i) তাঁর পদের ভাষা অত্যন্ত সহজ সরল এবং 

ii) অলংকারহীন ত্রিপদী ছন্দে রচিত। 


মঙ্গলকাব্য 

1. মঙ্গলকাব্য কাকে বলে? কোন সামাজিক প্রেক্ষাপটে এটি রচিত?

- মানুষের কল্যাণের উদ্দেশ্যে কোনো দেবতা বা দেবীর পূজা ও মাহাত্ম্য প্রচারের জন্য মধ্যযুগে রচিত কাব্যকে মঙ্গলকাব্য বলে। 

- মুসলমান শাসনাধীন অবক্ষয়িত সমাজে এগুলি রচিত হয় অবক্ষয় প্রতিরোধ করতে। 


2. এগুলিকে মঙ্গলকাব্য বলা হয় কেন?

i) মানুষের মঙ্গলের উদ্দেশ্যে এই কাব্য লিখিত। 

ii) এক মঙ্গলবারে শুরু করে পরের মঙ্গলবারে এইগুলি সমাপ্ত হত। 


3. কখন কোন দেবতাকে অবলম্বন করে প্র্রথম মঙ্গলকাব্য রচিত হয়?

- পঞ্চদশ শতাব্দীতে দেবী মনসাকে অবলম্বন করে প্রথম মঙ্গলকাব্য রচিত হয়। 


4. কয়েকটি মঙ্গলকাব্যের নাম উল্লেখ করো?

i) মনসা মঙ্গল 

ii) চন্ডী মঙ্গল 

iii) ধর্ম মঙ্গল

iv) দূর্গা মঙ্গল

v) শিব মঙ্গল

vi) কালীকা মঙ্গল এবং 

vii) অন্নদা মঙ্গল 


5. পঞ্চদশ শতাব্দীর জনপ্রিয় মঙ্গলকাব্য কোনটি? এই কাব্যের দুইজন কবি ও তাঁদের কাব্য নাম লেখ?

- জনপ্রিয় মঙ্গল কাব্যটি হল মনসা মঙ্গল। 

এই কাব্য ধারার দুইজন কবি হলেন -

i) বিজয়গুপ্ত - কাব্যের নাম পদ্ম পুরাণ 

ii) নারায়ণ দেব - পদ্ম পুরাণ 


6. মনসা মঙ্গলের আদি কবি কে? এই কাব্যের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লেখ?

- আদি কবি হলেন কানাহরি দত্ত 

- এই কাব্যের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য হল -

i) একজন দেবতা বা দেবীকে শাপ গ্রস্থ হয়ে মর্ত্যে জন্ম নিতে হয়। 

ii) মর্ত্যে বিশেষ পূজা প্রচার করে সর্গে চলে যেতে হয়। 


7. বিজয়গুপ্তের কালযাবত শ্লোকটি লেখ? এর থেকে কী জানা যায়?

- ঋতু  শুন্য বেদ শশী পরিমিত শক 

    6      0      4     1

সুলতান হোসেন শাহ নৃপতি তিলক 

অর্থাৎ 1406  শকাব্দ 

           + 78

1484   খ্রিস্টাব্দ 

         -593

  891   বঙ্গাব্দ 


8. বিপ্রদাস পিপীলাই এর কাব্যে নাম কী? তাঁর কাব্যের রচনাকাল কীভাবে জানা যায়?

- তার কাব্যের নাম মনসাবিজয়। 

- তার কাব্যের ভণিতাটি হল সিন্ধু ইন্দু বেদ পৃথিবী মহী শক পরিমান 

7 1   4     1

1417 শকাব্দ 1495

    78                    -593

1495 খ্রিস্টাব্দ   902  বঙ্গাব্দ 


9. কেতকাদাস ক্ষেমানন্দের কাব্যটির নাম কী? তিনি কোন ধারা কবি? এটি কোন সময়ে রচিত?

- তাঁর কাব্যের নাম মনসাবিজয়। 

- তিনি মনসা মঙ্গল কাব্য ধারার কবি। 

কাব্যের রচনা কালযাবত শ্লোকটি হল -

শুন্য রস বান শশী শিয়রে মনসা আসি 

  0     6    5     1    (মাথা )

1560 শকাব্দ 

    78

1638 খ্রিস্টাব্দ 

-593

1045 বঙ্গাব্দ 


10. মনসা মঙ্গলের কয়েকটি চরিত্রের নাম লেখ?

- বেহুলা, লক্ষ্মীন্দর, চাঁদসৌদাগর, সনকা 


11. চন্ডীমঙ্গলের আদি কবি কে? চন্ডীমঙ্গলের দুই জন সার্থক কবি ও তাঁর কাব্যে নাম লেখ?

- চন্ডীমঙ্গলের আদি কবি মানিক দত্ত 

- চন্ডীমঙ্গলের দুই জন সার্থক কবি হলেন 

i) দ্বিজ মাধব 

ii) মুকুন্দ চক্রবর্তী 

তাঁদের কাব্যের নাম গুলি হল যথাক্রমে সারদাচরিত, অম্বিকা মঙ্গল 


12. চন্ডীমঙ্গলের শ্রেষ্ঠ কবি কে? তিনি কোন সময়ের কবি?

- চন্ডীমঙ্গলের শ্রেষ্ঠ কবি হলেন মুকুন্দ চক্রবর্তী। 

- ষোড়শ শতাব্দীর শেষভাগের তিনি কাব্য রচনা করেন। 


13. মুকুন্দ চক্রবর্তী কাব্যের ভণিতায় কোন কোন নাম পাওয়া যায়?

- অভয়ামঙ্গল, অম্বিকামঙ্গল, চন্ডিকামঙ্গল 


14. চন্ডীমঙ্গলের কাহিনী কটি ভাগে বিভক্ত ও কী কী?

- দুটি ভাগে বিভক্ত , যথা - i) আখেটিক খন্ড বা ব্যাধ 

ii) বণিক খন্ড 


15. চন্ডীমঙ্গলে কাহিনীগুলি প্রধান চরিত্রের নাম উল্লেখ করো। 

- কালকেতু, ফুল্লরা, এবং ধনপতি, শ্রীমন্ত, লহন, খুল্লনা, দুর্বলা (বণিক খন্ড)


16. কোনো রাজনৈতিক সংকটের সময় মুকুন্দ চক্রবর্তীর কাব্য রচিত হয়?

- ১৫৭৫ খ্রি: পাঠান শাসকের পরাজয় ও মুঘল শাসনের শুরু সময় রাজনৈতিক অস্থিরতায় এই কাব্য রচিত হয়। 

-আকবরের শাসন সুপ্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে রাজ কর্মচারীদের প্রজা শাসনের কথা এখানে রয়েছে। 


17. মুকুন্দ চক্রবর্তীর কাব্যে ব্যবহৃত কয়েকটি আরবি ফারসি শব্দের উদাহরণ দাও। 

- ফজর (ভোর) , নামাজ, পির, পয়গম্বর, 

- মোকাম (বাসস্থান), শরীফ (সরল মানুষ)


18. মুকুন্দ চক্রবর্তী কাব্যের কয়েকটি ঠক চরিত্রের উল্লেখ কর। 

- মুরারি, শীল, ভাড়ু দত্ত প্রভৃতি। 


19. ধর্মমঙ্গল কাব্যের আদি কবি কে? তিনি কোন সময়ের কবি? তাঁর কাব্যের নাম কী?

- আদি কবি হলেন ময়ূরভট্ট। 

- তিনি একাদশ শতাব্দীর কবি ছিলেন। 

- তাঁর কাব্যের নাম আকন্দ পুরাণ। 


20. ধর্মমঙ্গলের প্রথম স্বার্থক এবং জনপ্রিয় কবি কে?

- স্বার্থক এবং জনপ্রিয় কবি হলেন রূপরাম চক্রবর্তী। 

- তাঁর কাব্যের নাম শ্রীধর্ম মঙ্গল। 


21. ধর্মমঙ্গলের সবথেকে শক্তিশালী বা সর্বশ্রেষ্ঠ কবি কে? তাঁর কাব্যের নাম কী?

- ধর্মমঙ্গলের সবথেকে শক্তিশালী কবি ঘনরাম চক্রবর্তী। 

- শ্রীধর্ম মঙ্গল 


22. ঘনরামের উপাধি কী? তিনি কোন রাজার পৃষ্ঠপোষকতায় ছিলেন/ লাভ করেন?

- তাঁর উপাধি কবি রত্ন। 

- তিনি বর্ধমানের রাজা কৃতি চন্দ্রের পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেন। 


23. শুন্যপুরাণ কার লেখা? এর বিষয় কী?

- রামাই পন্ডিতের লেখা। 

- এতে ধর্ম ঠাকুরের পূজার প্রচার বিধান রয়েছে। 


24. ধর্মমঙ্গলের কয়েকটি ঐতিহাসিক চরিত্র উল্লেখ কর। 

i) গৌড়েশ্বর 

ii) ইছাই ঘোষ,

iii) কর্ন সেন 

iv) লাউ সেন প্রমুখ। 


25. ধর্মমঙ্গল যে রাঢ় -এর বিষয় তা কিভাবে বোঝা যায়। তার প্রমান কী?

- এর ভৌগোলিক পরিবেশ যেমন দামোদর, অজয়, কাঁসাই, প্রভৃতি নদী উল্লেখ এবং বর্ধমান, মঙ্গলকোট, ভেকুরগড় প্রভৃতি স্থানের নাম ও ডোম, হাড়ি, চণ্ডাল, মুচি প্রভৃতি মানুষের বসবাস প্রমান করে এটি রাঢ় এর কাব্য। 


ভারতচন্দ্র 

1.  মধ্যযুগের শেষ জনপ্রিয় মঙ্গলকাব্য কোনটি? এটি কোন সময়ে রচিত? এর রচয়িতা কে?

- অন্নদামঙ্গল 

- এটি অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্য ভাগে রচিত। 

- এর রচয়িতা হলেন ভারতচন্দ্র মুখোপাধ্যায়।


2. অন্নদামঙ্গল কাব্যে কটি খন্ড ও কী কী?

- অন্নদামঙ্গল কাব্যে তিনটি খন্ড 

i) অন্নদামঙ্গল 

ii) কালীমঙ্গল বা বৃদ্ধসুন্দর 

iii) অন্নপূর্ণামঙ্গল 


3. ভারতচন্দ্রের উপাধি কী? তাঁকে এ উপাধি কে দেন?

- ভারতচন্দ্রের উপাধি হল রায়গুণাকর। 

- তাকে এই উপাধি দেন নদীয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্র 


4. ভারতচন্দ্রের জীবনে কয়েকটি স্মরণীয় ঘটনা লেখ। 

i) গুরুজনদের অমতে পছন্দের পাত্রীকে বিবাহ করা। 

ii) বর্ধমানে রাজার কোপে কারারুদ্ধ হওয়া। 


5. ভারতচন্দ্রের অন্নদামঙ্গল কাব্যে কাব্যসৌন্দর্য সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কী বলেছেন?

- রাজসভার কবি রায়গুণাকরের অন্নদামঙ্গল গান রাজকন্ঠের মণিমালার মতো, যেমন তাহার উজ্জ্বলতা তেমনি তাহার কারুকার্য। 


6. ‘যাবনী মিশাল” ভাষা কী? কবি কেন এই ভাষা ব্যবহার করতেন?

- ‘যবন’ শব্দের অর্থ হল অহিন্দু অর্থাৎ আরবি, ফারসী মিশ্রিত ভাষাকে বলা হয় যাবনী ভাষা। 

- কাব্যের রস সৃষ্টির প্রয়োজনে তিনি এই ভাষা ব্যবহার করেছেন। 


7. ভারতচন্দ্র কৃষ্ণচন্দ্রের কাছ থেকে কী কী লাভ করেন। 

- মাসিক চল্লিশ (৪০) টাকা বেতন এবং মূলাজোড় নামক একটি গ্রাম। 


8. ভারতচন্দ্রকে যুগসন্ধির কবি বলা হয় কেন?

- ভারতচন্দ্রের কাব্যে মধ্যযুগ ও আধুনিক যুগের উভয় বৈশিষ্ট্য থাকায়, তাঁকে যুগসন্ধির কবি বলা হয়। 


9. কী কী কারনে অন্নদামঙ্গলকে নতুন মঙ্গলকাব্য বলা হয়?

এই কাব্যে দেবতারা মানব রূপ লাভ করেছে। 


3. দৌলতকাজীর সতী ময়না কাব্যের উৎস 

- হিন্দি কবি মিঞা সাধন এর মৈনাকো সৎ কাব্য অবলম্বনে বাংলা ভাষায় দৌলতকাজী সতী ময়না রচনা করেন। 


4. লোর চন্দ্রানী কাব্যের রচনাকাল ও সমাপ্তী কাল উল্লেখ কর। 

- ১৬৩০ খ্রি: কাছাকাছি তিনি এই কাব্য রচনা শুরু করেন এবং ১৬৩৮ খ্রি: কাব্য শেষ হওয়ার আগে তিনি মারা যান। 


5. দৌলতকাজীর সতীময়না কী কারনে বাংলা সাহিত্যে স্মরণীয়?

- এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম ধর্মীয় সংস্কার মুক্ত মানব মানবীর প্রেম কাব্য। 


6. দৌলতকাজীর লোর চন্দ্রানী কাব্যে কটি খন্ড ও কী কী?

- দুটি খন্ড i) লোর চন্দ্রানী 

ii) সতী ময়না 


7. লোর চন্দ্রানী কাব্যের বিষয় বস্তু কী?

- এই কাব্যের প্রথম খন্ডের বিষয় প্রথম পত্নী ময়না ত্যাগ করে নায়ক লোর গোহারি দেশে গিয়ে চন্দ্রানী সঙ্গে সাক্ষাৎ, উভয়ের প্রেম এবং যুদ্ধে চন্দ্রানীর স্বামীকে হত্যা করে লোর-চন্দ্রানীর বিবাহ। দ্বিতীয় খন্ডের বিষয় পরিত্যক্ত ময়না সতীত্ব রক্ষা ও সতীত্বের টানে লোরে ফিরে এসে ময়না সুখী করা 

লোর চন্দ্রানীর কাব্যে সম্পূর্ণ প্রথম খন্ড রচনা করেন এবং দ্বিতীয় খন্ডে ময়নার বিরহ যন্ত্রণার বারোমাস্যার মধ্যে এগারো মাসের কথা লিখে মারা যায়। 


আরাকান রাজসভার দ্বিতীয় জনপ্রিয় কবি কে? তিনি কার পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেন?

-  দ্বিতীয় জনপ্রিয় কবি হলেন সৈয়দ আলাওল। 

- তিনি আরাকানের প্রধান মন্ত্রী মাগন ঠাকুরের পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেন এবং তাঁর নির্দেশে ‘পদ্মাবতী’ এবং ‘সয়ফুল -মুলুক-বদিউজ্জমাল’ রচনা করেন। 

আরাকানের অর্থ মন্ত্রী সুলেমান, সৈয়দ মুসা এবং থিরি-থু-ধর্ম্মা। 


11. আলাওলের কোন কাব্যটি সর্বাধিক জনপ্রিয় হয়? এটি কোন গ্রন্থের অনুবাদ?

- সর্বাধিক জনপ্রিয় কাব্যটি হল ‘পদ্মাবতী’ এটি হিন্দি কবি মুহম্মদ জায়সীর ‘পদুমাবৎ’ কাব্যের অনুবাদ। 


12. আলাওলের পদ্মাবতী কাব্যের বিষয়বস্তু কী? কাব্যটি কোন শ্রেণীর কাব্য বলা হয়?

- চিতোরের রাজা রত্নসেনের সুন্দরী স্ত্রীকে ‘পদ্মিনী’ কে পাওয়ার জন্য দিল্লির সুলতান আলাউদ্দিনের চিতোর আক্রমণ, রত্নসেনের মৃত্যু, মর্যাদা ও সতীত্ব রক্ষার তাগিদে রাণী আগুনে আত্মহুতি দেওয়া। 

- কাব্যটি ঐতিহাসিক আখ্যান কাব্য। 


13. আলাওল কার নির্দেশে দৌলত কাজীর অসমাপ্ত কাব্য ‘লোর চন্দ্রানী’ সমাপ্ত করেন?

- আরাকানের রাজা ত্রিচন্দ্রাগুধর্ম্মার প্রধান সেনাপতি সুলেমানের নির্দেশে। 


14. আলাওলের অন্যান্য কয়েকটি কাব্যের নাম লেখ। 

i) সয়ফুল -মুলুক-বদিউজ্জমাল

ii) তোহষন 

iii) সেকেন্দার-নামা। 


নাথ সাহিত্য 

1. নাথ সাহিত্য কী? কখন এর সূচনা হয়?

- নাথ ধর্ম হল শৈব ধর্মে একটি সম্প্রদায়। 

- দশম শতাব্দীর মধ্যে এই সাহিত্য রচিত হয়। 


2. নাথ সম্প্রদায়কে যোগি বা যুগি সম্প্রদায় বলা হয় কেন?

- পতঞ্জলির যোগ দর্শনের ওপর এদের সাধনার দার্শনিক ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় এদেরকে যোগি বা যুগি সম্প্রদায় বলা হয়। 


3. নাথ সাহিত্য কাকে বলে? এর কটি ভাগ ও কী কী?

- নাথ সম্প্রদায়ের গুরু আদিনাথ, মিনোনাথ, গোরক্ষনাথ, ময়না মোতি, ও গোপি চন্দ্রের মাহাত্য নিয়ে রচিত ছড়া ও আখ্যানকে  নাথ সাহিত্য বলে। 

- এর দুটি ভাগ - গোরক্ষনাথ বৃত্ত, ময়নামতি বৃত্ত 


4. নাথ ধর্মের গুরুদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ কে?

- আদি গুরু শিব বা আদি নাথ হলেন শ্রেষ্ঠ। 


5. ময়নামতি গোপিচন্দ্রের গান কবে কোথা থেকে প্রকাশিত হয়?

- কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯২২ খ্রি: প্রথম খন্ড, ১৯২৪ খ্রি: দ্বিতীয় খন্ড প্রকাশিত হয়। 

 

শাক্ত পদাবলী /সাহিত্য 

1. শাক্ত পদাবলী কী? এটি কোন সময়ে এর রচনা?

- শক্তির দেবদেবীদের কেন্দ্র করে রচিত সাহিত্যকে শাক্ত সাহিত্য বলে। 

- অষ্টাদশ শতাব্দীতে এই সাহিত্যের সূচনা হয়। 


2. শাক্ত পদাবলীর উদ্দিষ্ট দেবী কে? কার হাতে এই সাহিত্যের সূচনা ঘটে?

- উদ্দিষ্ট দেবী হলেন কালী বা দূর্গা। 

-রামপ্রসাদ সেনের হাতে এই সাহিত্যের সূচনা হয়। 


3. শক্তির দেবীর প্রতি এই সময় আকৃষ্ট হওয়ার কারণ কী?

- অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রশাসনিক ব্যার্থতা, ক্ষমতাবান মানুষের সাধারণ মানুষকে শোষণ আর্থিক সংকট মানুষের অসহায়তা দূর করার জন্যই কবিরা শাক্ত সাধনা করেছেন। 


4. শাক্ত পদাবলীর উল্লেখযোগ্য পর্যায়গুলি কী কী?

- আগমনী, বিজয়া ও ভক্তের অকুতি 


5. বৈষ্ণব পদাবলী ও শাক্ত পদাবলীর মধ্যে পার্থক্য কী?

i) বৈষ্ণব পদাবলী মূল বিষয় রাধাকৃষ্ণের প্রণয় প্রেম। 

শাক্ত পদাবলী মূল বিষয় উমার জন্য মেনোকার দুঃশ্চিন্তা এবং দেবীর প্রতি ভক্তের আবদার ও অভিমান। 

ii) বৈষ্ণব পদাবলী বৈষ্ণব রসশাস্ত্র অনুসারে রচিত 

শাক্ত পদাবলী কবির রুচি অনুসারে রচিত। 


6. রামপ্রসাদ তাঁর কবিত্বের জন্য কার কাছ থেকে কী সম্মান লাভ করেন?

i) মালিক দুর্গাচরণ মিত্রের কাছ থেকে আজীবন ৩০ টাকা ভাতা পান। 

ii) নদীয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের কাছ থেকে ‘কবিরঞ্জন’ উপাধি ও ১০০ বিঘা নিষ্কর জমি পান। 


7. রামপ্রসাদ কোন পর্যায়ের পদে খ্যাতি লাভ করেছেন?

- ভক্তের আকুতি 


8. রামপ্রসাদের গানের সুরকে কী বলে?

- প্রসাদী সুর 


9. রামপ্রসাদের পর শাক্ত সাহিত্যে কোন কবি স্মরণীয় হয়ে আছেন? তাঁর উপাধি কি?

- কমলাকান্ত ভট্টাচার্য 

- তাঁর উপাধি ‘সাধক রঞ্জন’


10. কমলাকান্ত কার পৃষ্টপোষকতা করেন?

- বর্ধমানের রাজা তেজচন্দ্রের পৃষ্ঠপোষকতা মাসিক ২০০ টাকার বেতন এবং কোটাল হাটে একটি বাড়ি পান। 


11. কমলাকান্তের পদগুলি কোথা থেকে প্রকাশিত হয়?

- বর্ধমানের রাজবাড়ি থেকে 


12. কোন পর্যায়ের পদে কমলাকান্তের কৃতিত্ব বেশি?

- আগমনীয় বিজয়া 


13. শাক্ত পদ রচনা ছাড়া রামপ্রসাদ আর কী রচনা করেছেন?

-  কালীকা মঙ্গল বা বিদ্যা সুন্দর কাব্য। 

 

Ratings
No reviews yet, be the first one to review the product.
Click to send whatsapp message
Copywrite 2024 by  Misiki Technologies LLP