• SCHOOL BOARDS
  • WBBSE/WBCHSE
  • CLASS 6
  • BENGALI
  • Chapter 15 Asirbad-Dakhinaranjan Mitra Majumdar | পঞ্চদশ অধ্যায় আশীর্বাদ-দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার

Chapter 15 Asirbad-Dakhinaranjan Mitra Majumdar | পঞ্চদশ অধ্যায় আশীর্বাদ-দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার

Language : Bengali

The Note contains Textual Question Answers from WBBSE Class 6 Bengali Chapter 15 Asirbad-Dakhinaranjan Mitra Majumdar (পঞ্চদশ অধ্যায় আশীর্বাদ-দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার). Read the Question Answers carefully. This Question Answer set from the WBBSE board provides quality Multiple Choice Questions (MCQ), Short Answer Type Questions (SAQ), and Long Answer Type Questions from the above chapter. By reading these, students will get a clear idea about that chapter. It will enhance their knowledge and enable them to get good marks in the board exams. 

Class 6 Bengali Chapter 15 Asirbad-Dakhinaranjan Mitra Majumdar 

Short Answer Type Question (SAQ) from Chapter 15 Asirbad-Dakhinaranjan Mitra Majumdar  

Long Answer Type Question from Chapter 15 Asirbad-Dakhinaranjan Mitra Majumdar

ষষ্ঠ শ্রেণি বাংলা  পঞ্চদশ অধ্যায় আশীর্বাদ-দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার  


আশীর্বাদ ব্যাখ্যা, আশীর্বাদ গদ্যের বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ, সম্পূর্ণ আলোচনা ও অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তর,পঞ্চদশ অধ্যায় আশীর্বাদ-দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার থেকে সংক্ষিপ্ত, রচনাধর্মী ও ব্যাখ্যা ধর্মী প্রশ্নোত্তর

LRNR provides this material totally free

CH-15_আশীর্বাদ 


১.১. দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারকে সবচেয়ে বেশী কী আকর্ষণ করত ?

→ দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারকে সবচেয়ে বেশী আকর্ষণ করত রূপকথা, উপকথা ও লোককথার গল্প। 


১.২. তিনি শিশুসাহিত্যের কোন পুরস্কারে পুরস্কৃত হয়েছিলেন ?

→ ১৩৫৭ বঙ্গাব্দে তিনি ভুবনেশ্বরী পদকে সম্মানিত হয়েছিলেন। 


২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও: 

২.১. বন্যায় প্রকৃতির রূপ কেমন হয় ?

→বন্যায় প্রকৃতির রূপ ভীষণ রকম ভয়ঙ্কর হয়। 


২.২. পিঁপড়ে কোথায় আশ্রয় নিয়েছিল ?

→ পিঁপড়ে একটি ঘাসের পাতার নীচে আশ্রয় নিয়েছিল। 


২.৩. বৃষ্টির সময়ে গাছের পাতা কাঁপছিল কেন ?

→ বৃষ্টির সময়ে জলের ফোঁটা গাছের পাতায় পড়ছিলো, তাই গাছের পাতা কাঁপছিল। 


২.৪. পিঁপড়ে নিজেকে বাঁচাবার জন্য কী করল ?

→পিঁপড়ে নিজেকে বাঁচাবার জন্য একটি পাতাকে কামড়ে ধরে আশ্রয় নিয়েছিল। 


২.৫. পিঁপড়ে কখন “বাপ ! বাচঁলেম” বলে উঠল ?

→ বৃষ্টি একটু কমলে ঘাসের পাতা সোজা হয়ে দাঁড়াল, তখন পিঁপড়ে কথাটা বলল। 


২.৬. জল কেমন শব্দে হেসে উঠেছিল ?

→ জল খল খল শব্দে হেসে উঠেছিল। 


২.৭. “বুক ভেঙে নিশ্বাস পড়ল পিঁপড়ের” -কেন এমন হলো ?

→ পিঁপড়ে যখন বন্যার জলে ভেসে যাচ্ছিল তখন একটি ঘাসের পাতাকে কামড়ে ধরে প্রাণরক্ষা করেছিল। তখন পিঁপড়ে নিজের ক্ষুদ্রত্ব আর অনিশ্চিত ভবিষ্যত এর কথা ভেবে বুক ভেঙে নিশ্বাস ফেলেছিল। 


২.৮. ‘শরতের আশীর্বাদ তোমাদেরও উপরে ঝরুক’ - কে এমনটি কামনা করেছিল ?

→  মেঘের ফাঁক থেকে সূর্য সবার জন্য এমনটি কামনা করেছিল। 


৩. নীচের বাক্যগুলি থেকে সমাপিকা ও অসমাপিকা ক্রিয়া চিহ্নিত করে লেখো:

৩.১. বর্ষা খুব নেমেছে। 

(সমাপিকা ক্রিয়া )


৩.২. ভাই, জোরে আঁকড়ে ধরো। 

(অসমাপিকা ক্রিয়া )


৩.৩. এক ঢোঁক জল খেয়ে পিঁপড়ে আর কিছু বলতে (পারলে না ) 

- সমাপিকা ক্রিয়া, খেয়ে ও বলতে (অসমাপিকা )


৩.৪. বৃষ্টির ফোঁটার ঘায়ে পাতাটা বোধহয় এলিয়ে পড়বে জলে।  - 

→ এলিয়ে (অসমাপিকা ) পড়বে (সমাপিকা) ক্রিয়া


৩.৫. শিউরে পাতা বললে -’ভাই, তেমন কথা বোলো না।’

→ শিউরে  (অসমাপিকা )  বোলো না (সমাপিকা ক্রিয়া)


৪. সকর্মক ও অকর্মক ক্রিয়া চিহ্নিত করো : 

৪.১. সারা দিন রাত খাটি, 

অকর্মক ক্রিয়া 


৪.২. আমরা যাই, আসি, দেখি, 

অকর্মক ক্রিয়া 


৪.৩. ঘাসের পাতাটা সোজা হয়ে দাঁড়িয়েছে, 

সকর্মক ক্রিয়া 


৪.৪. এ জল কী করে পার হব ? 

সকর্মক ক্রিয়া 


৪.৫. পৃথিবী তোমার হবে, 

সকর্মক ক্রিয়া 


৫. সন্ধি বিচ্ছেদ করো : 

নিশ্বাস → নিঃ +শ্বাস 

বৃষ্টি →বৃষ্ + তি

নিশ্চয় →নিঃ +চয় 

আশীর্বাদ → আশী: + বাদ 


৬. নীচের শব্দগুলি থেকে উপসর্গ  পৃথক করো এবং তা দিয়ে দুটি নতুন শব্দ তৈরি করো: 

 

      উপসর্গ নতুন শব্দ 

বিদেশ       1) বি বিগ্রহ, বিভেদ 

দুর্ভাগ্য       2) দুর্ দুর্বল, দুর্লভ 

অনাবৃষ্টি    3) অনা অনাদর, অনাচার 

সুদিন        4) সু সুখবর, সুসময় 

নির্ভয়       5) নির্ নিরানন্দ, নির্ণয় 


৭. নীচের বিশেষ্য শব্দগুলিকে বিশেষণে রূপান্তরিত করে লেখ:

আশ্রয় → আশ্রিত 

শরীর → শারীরিক 

শরৎ → শারদীয়া 

মুখ → মৌখিক 

ফুল → ফুলেল 


৮. “চোখ” শব্দটিকে দুটি আলাদা অর্থে ব্যবহার করে পৃথক বাক্য রচনা কর। 

চোখ → নয়ন (চোখের সাহায্যে আমরা সবকিছু দেখতে পাই। )

চোখ → নজর (শিক্ষক / শিক্ষিকারা আমাদের স্নেহের চোখে দেখেন।)


৯. নীচের বাক্যগুলির উদ্দেশ্য ও বিধেয় অংশ ভাগ করে দেখাও:

৯.১. আমরা সাঁতার জানি। 

উদ্দেশ্য →আমরা বিধেয় →সাঁতার জানি 


৯.২. বর্ষাতেও পিঁপড়ের মুখ শুকিয়ে গেল। 

উদ্দেশ্য → পিঁপড়ের মুখ বিধেয় →বর্ষাতেও শুকিয়ে গেল


৯.৩. শেষে আবার সেই গর্তেই ঢুকি গিয়ে 

উদ্দেশ্য →আমি (উহ্য) বিধেয় →শেষে আবার সেই গর্তেই ঢুকি গিয়ে


৯.৪. খল্ খল্ করে হেসে উঠল জল 

উদ্দেশ্য → জল বিধেয় - খল্ খল্ করে হেসে উঠল


৯.৫. পৃথিবী সবারই হোক,

উদ্দেশ্য →পৃথিবী বিধেয় →  সবারই হোক


১০. নির্দেশ অনুসারে উত্তর দাও: 

১০.১. আমরা সাঁতার জানি, আমরা হাঁটতে জানি (‘এবং’ দিয়ে বাক্য দুটিকে যুক্ত করো)

 →আমরা সাঁতার এবং  হাঁটতে জানি


১০.২. তোমরা পৃথিবীর উপরে হাসো, ফুলটুল ফুটাও ( দুটো বাক্যে ভেঙে লেখো)

→ তোমরা পৃথিবীর উপরে হাসো। তোমরা  ফুলটুল ফুটাও। 


১০.৩. বর্ষা খুব নেমেছে। নীচেও ডেকেছে বান। (‘যখন’ ‘তখন’ দিয়ে বাক্য দুটিকে যুক্ত করো)

→যখন খুব বর্ষা নেমেছে তখন নীচেও বান ডেকেছে। 


১০.৪. আমরা নড়তেও পারিনে। কোনোরকমে শুঁড় -টুড় বাড়াই (কিন্তু অব্যয় দিয়ে বাক্য দুটিকে যুক্ত করো)

→ আমরা নড়তে পারিনে কিন্তু  শুঁড় -টুড় বাড়াই। 


১০.৫. একঢোঁক জল খেল এবং পিঁপড়ে কিছু বলতে পারলে না। (‘এবং’ অব্যয়টি তুলে দিয়ে বাক্যদুটিকে একটি বাক্যে লেখ)

→একঢোঁক জল খেয়ে পিঁপড়ে কিছু বলতে পারলে না।


১১. নীচের প্রশ্নগুলির কয়েকটি বাক্যে উত্তর দাও : 

১১.১. পাঠ্যাংশে কোন কোন ঋতুর প্রসঙ্গ রয়েছে ? প্রতি ক্ষেত্রে একটি করে উদাহরণ পাঠ থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো। 

→ পাঠ্যাংশে গ্রীষ্ম, বর্ষা এবং শরৎ ঋতুর প্রসঙ্গ রয়েছে। 


বর্ষা - বর্ষা খুব নেমেছে। 

গ্রীষ্ম - রোদ্দুরে পুড়ে বন্ধুর দল ধুলো হয়ে আছে। 

শরৎ - শরতে চেয়ে দেখি তারাই কাশবন হয়ে হাসছে। 


১১.২. পাতা গাছের কী প্রয়োজনে লাগে ?

→ পাতা ছাড়া গাছ বাঁচে না, গাছের পাতায় ক্লোরোফিল থাকে যা সূর্যের আলোর সাহায্যে কার্বন ডাই অক্সাইড ও খনিজ জলের দ্বারা গাছ খাদ্য তৈরি করে, তাই পাতাকে গাছের রান্নাঘর বলা হয়। তাই পাতা গাছের প্রচুর প্রয়োজনে লাগে। 


১১.৩. পিঁপড়ের বাসস্থান সম্পর্কে অনধিক তিনটি বাক্য লেখো। 

→1) পিঁপড়ে সাধারণত দেয়ালের গায়ে ছিদ্র করে ও মাটির নীচে বাসা বাঁধে। 

2) শীতকালের জন্য সারাবছর ধরে খাদ্য সংগ্রহ করে তার বাসায় জমা রাখে। 

3) কিছু কিছু পিঁপড়ে গাছের কোটরে বা গাছের পাতা একসঙ্গে জোড়া করে বাসা বেঁধে ডিম পাড়ে ও বসবাস করে। 


১১.৪. বৃষ্টি পাতাকে কোন পরিচয়ে পরিচায়িত করেছে ?

→ বৃষ্টি পাতাকে নিজের বন্ধু বলে পরিচয় দিয়েছে। সে মেঘের আড়াল থেকে পিঁপড়ে আর পাতার সব কথাবার্তা শুনেছে। তারপর বৃষ্টি বলেছে পাতা নির্ভীক কারণ পাতা যদি প্রখর রোদে শুকিয়েও যায়, বৃষ্টির আগমনে সে আবার নতুন উদ্যমে সতেজ হয়ে ওঠে। 


১১.৫. সবার কথা শুনে পিঁপড়ে কী ভাবল ?

→ প্রবল বন্যায় পিঁপড়ে জলে আটকে পড়লে পাতা তাকে আশ্রয় দেয় এবং তাকে কামড়ে ধরে থাকতে বলে। পাশাপাশি বৃষ্টি তাকে ভরসাও দেয় যে খারাপ সময়ে টিকে থাকতে পারলে জীবনে আবার ভালো সময় ফিরে আসবে। এইসব শুনে পিঁপড়ে প্রথমে ধিক্কার জানালেও পরে আশায় বুক বাঁধল। 


১১.৬. প্রকৃতির বুকে শরতের আশীর্বাদ কীভাবে ঝরে পড়ে ?

→ গ্রীষ্মের দাবদাহের পর বর্ষাকাল আসে, বর্ষাতেও মাঝেমধ্যে প্রবল বন্যার সৃষ্টি হয়ে চরম বিপদ ডেকে আনে। এরপর আশীর্বাদের মতো শরত ঋতু আসে, এই সময় প্রবল উত্তাপ ও বন্যার আশঙ্কা কোনোটাই থাকে না। চারিদিকে কাশফুলের বনে ভরে ওঠে। মাথার ওপর নীল আকাশে ভেসে বেড়ায় সাদা সাদা মেঘ, এবং সমস্ত জীবজগৎ নতুন জীবনলাভ করে এবং আনন্দের সঙ্গে বেঁচে ওঠে। এইভাবেই প্রকৃতির বুকে শরতের আশীর্বাদ ঝরে পড়ে। 


১২. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো। 

১২.১. বৃষ্টির সময় তোমার চারপাশের প্রকৃতি কেমন রূপ নেয় সে সম্পর্কে কয়েকটি বাক্যে লেখ। 

→ বৃষ্টির সময় চারিদিক পরিষ্কার চকচকে থাকে, গাছেরা যেন গরমের পড়ে নতুন করে প্রাণ ফিরে পায়। গাছের পাতাগুলি জলে ধুয়ে চকচক করে, রাস্তাঘাট জলমগ্ন থাকে, কিছু কিছু জায়গায় জল জমে থাকে এছাড়াও রাস্তায় কাদা ভর্তি থাকে। নদী -পুকুর , খাল -বিল জলে পরিপূর্ণ থাকে। 


১২.২. পিঁপড়ে গাছের পাতায় আশ্রয় নিয়েছিল কেন ?

→ এক প্রবল বর্ষনের দিনে চারিদিক জলে ভাসছে। পিঁপড়ে খুবই ছোটো প্রাণী। এক ফোঁটা বৃষ্টির জল তার গায়ে পড়লে সে আঘাত পেতে পারে, এমনকি মারাও যেতে পারে, এমন পরিস্থিতিতে একলা অসহায় পিঁপড়েটি বন্যার জলে পথ হারিয়ে প্রাণ বাঁচাতে আশ্রয় নিয়েছিল একটি ঘাসের পাতার নীচে। 


১২.৩. পাতা কেন পিঁপড়েকে তার শরীর কামড়ে ধরতে বলেছিল ?

→”আশীর্বাদ” গল্পে বন্যার জলে ভেসে যাওয়া থেকে বাঁচতে পিঁপড়েটি একটি ঘাসের পাতায় আশ্রয় নেয়। কিন্তু তার শরীর হালকা হওয়ার জন্য জলের প্রবল স্রোতে সে স্থির থাকতে না পেরে তার ভেসে যাওয়ার উপক্রম হয়। তাই জলে ভেসে ভেসে যাওয়া থেকে আটকাতে পাতা পিঁপড়েকে তার শরীর কামড়ে ধরতে বলেছিল। 


১২.৪. পাতা কী বলে পিঁপড়েকে প্রবোধ দিতে চেয়েছিল ?

‘কাজে আসে না কোনোটাই’- এখানে তার কোন কাজে না আসার কথা বলা হয়েছে ?

→ ‘আশীর্বাদ’ গল্পে জলে ভেসে যাওয়ার সময় পিঁপড়ে একটি পাতাকে আশ্রয় করলে পাতাটি পিঁপড়েকে প্রবোধ বা সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য বলে পিঁপড়েদের অনেক সুবিধা আছে। কারণ তারা হাঁটতে জানে, সাঁতার কাটতে জানে, কিন্তু পাতার চিরকালই এক জায়গায় স্থির থাকে, কেবল শুঁড়-টুড় বাড়ানোর ক্ষমতাটুকুই তাদের আছে। 

কিন্তু পিঁপড়ে তখন বলে, তারা অতি ক্ষুদ্রপ্রাণী তাদের এইসব ক্ষমতা থাকলেও প্রকৃতির প্রবল তান্ডবে তারা বুঝে উঠতে পারে না। তাই তারা সাঁতার কাঁটতে, হাঁটতে জানলেও সময়ের সাথে এগুলি কোন কাজেই আসে না। 


১২.৫. ‘তাই আজ বেঁচে গেলাম’ - বক্তার ‘আজ’ বেঁচে যাওয়ার কারণ কী ?

→ ‘আশীর্বাদ’ গল্পে প্রবল বৃষ্টিতে বন্যার সৃষ্টি হলে চারিদিক জলে থৈ থৈ করে, তখন একটি পিঁপড়ে জলে ভাসতে ভাসতে একটি ঘাসের পাতায় আশ্রয় নেয় এবং পাতাটিকে শক্ত করে কামড়ে ধরে জলের স্রোতের হাত থেকে বাঁচে। পরে জল কমলে পিঁপড়ে পাতাকে কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্য বলে যে পাতা ছিল বলে সে আজ বেঁচে গেল। 


১২.৬. পিঁপড়ে আর পাতা কীভাবে নিজেদের কষ্টের কথা গল্পে বলেছে তা একটি অনুচ্ছেদে লেখো। 

→’আশীর্বাদ’ গল্পে দেখি পিঁপড়ে সাঁতার জানে, হাঁটতে পারে, দৌড়াতেও পারে। তবে বন্যায় তার বাসস্থান ডুবে গেলে কোনো বিদ্যায় তার কাজে আসে না। তাকে প্রাণের তাগিদে আশ্রয় নিতে হয় গাছের পাতার নীচে। চারিদিকে জল দেখে সে আঁতকে ওঠে এবং কীভাবে রক্ষা পাবে ভাবতে থাকে। তখন সে মনে মনে ভাবতে থাকে যে এই পৃথিবী যেন তার নয় এটা ভেবেই কষ্ট পেতে থাকে। 

অপরদিকে ঘাস সে নিজের জায়গা থেকে নড়তে পারে না। কোনোরকমে প্রশাখা বিস্তার করে ঠায় দাঁড়িয়ে রোদে পোড়ে, জলে ডুবে যায়। ঘাসের জীবনে কষ্ট থাকলেও সে হার মানে না। তাইতো বর্ষাকালে সে সতেজ থাকে। 

এইভাবেই আলোচ্য গল্পে পাতা ও পিঁপড়ে নিজেদের কষ্টের কথা বলেছে। 


১২.৭. শ্রেণি শিক্ষক /শিক্ষিকা করাবেন। 


১২.৮. ‘মাটি সবারই’- পাতার এই কথার মধ্যে দিয়ে কোন সত্য ফুটে উঠেছে ?

→ উপরোক্ত উক্তিটির বক্তা পাতা, পিঁপড়ে পাতাকে বলে তার বাসা মাটির নীচে হওয়ায়, মাটির উপরিভাগ গাছেদের, তখন গাছ বলে মাটির উপরিভাগ সকলের অর্থাৎ পৃথিবীর আলো, বাতাস, হাওয়া, রোদ, জল সবকিছুর উপর সবার সমান অধিকার। তাই কথাটির মধ্য দিয়ে এই কঠিন সত্যটাই ফুটে উঠেছে। 


১২.৯. মেঘের আড়াল থেকে বৃষ্টি কোন কথা শুনতে পেয়েছিল ? তা শুনে বৃষ্টি পিঁপড়েকে কী বলল ?

→ দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার রচিত ‘আশীর্বাদ’ গল্পে মেঘের আড়াল থেকে বৃষ্টি পাতা ও পিঁপড়ের জীবনের কষ্টের কথা, পিঁপড়ের হতাশার কথা শুনেছিল। 

তা শুনে বৃষ্টি পিঁপড়েকে বলে পাতার জীবনে কষ্ট আছে। কিন্তু সে কখনও ভয় পায় না। রোদে পুড়ে, জলে ডুবে গেলে ও শরতে ফুল হয়ে নিজের সৌন্দর্য মেলে ধরে। তাইতো বৃষ্টি এই সবুজ বন্ধুর হাত ধরে গান গেয়ে ওঠে। 


১২.১০. শরৎ ঋতুর প্রকৃতি কেমন সে বিষয়ে একটি অনুচ্ছেদ রচনা করো। 

→ সাধারণত ভাদ্র -আশ্বিন মাস শরৎকাল। এই সময় বর্ষার মেঘ সরে গিয়ে নীল আকাশ দেখা যায়, নীল আকাশের গা দিয়ে সাদা সাদা পেজা তুলোর মতো মেঘ উড়তে দেখা যায়। এই সময় আকাশ থাকে পরিষ্কার। রাস্তার ধারে কাশফুল ফুটতে দেখা যায় যা এই ঋতুর সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দেয় এবং সাথে আগমনীরও বার্তা দেয়। বাঙালীর বড়ো উৎসব দুর্গাপুজো এইসময় অনুষ্ঠিত হয়। 


১২.১১. পাতা, বৃষ্টি, জল, ঘাসের পাতাকে কীভাবে পিঁপড়ের মনে সাহস জুগিয়েছিল, তা আলোচনা কর। 

→ আলোচ্য ‘আশীর্বাদ’ গল্পে ঘাসের পাতা পিঁপড়েকে তার ক্ষমতার প্রশংসা করে তার মনে সাহস জোগায়। জোরে বৃষ্টি নামলে পাতা পিঁপড়েকে অভয় দিয়ে নিজের শিরা কামড়ে ধরতে বলে। গল্পের পরবর্তী অংশে দেখা যায় পিঁপড়ে প্রকৃতি নিয়ে হতাশ হলে পাতা তাকে বলে এই পৃথিবী সবার। 

বৃষ্টি পিঁপড়েকে বন্ধু পাতার উদাহরণ দিয়ে কঠিন পরিস্থিতিকে টিকে থাকার বার্তা দেয়। 

জল খলখল করে হেসে উঠে পিঁপড়েকে জানায় ঘাসকে ডুবিয়ে দিলেও সে শরতের কাশবন হয়ে হাসে। 

এইভাবেই পাতা, বৃষ্টি, জল নানা কথা বলে তার মনে সাহস জোগায়।  

Ratings
No reviews yet, be the first one to review the product.