- SCHOOL BOARDS
- WBBSE/WBCHSE
- CLASS 6
- BENGALI
- Chapter 18 Bongo Amar Jononi Amar - Dwijendrolal Ray | অষ্টাদশ অধ্যায় বঙ্গ আমার জননী আমার -দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
Chapter 18 Bongo Amar Jononi Amar - Dwijendrolal Ray | অষ্টাদশ অধ্যায় বঙ্গ আমার জননী আমার -দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
Language : English
The Note contains Textual Question Answers from WBBSE Class 6 Bengali Chapter 18 Bongo Amar Jononi Amar-Dwijendrolal Ray(অষ্টাদশ অধ্যায় বঙ্গ আমার জননী আমার -দ্বিজেন্দ্রলাল রায়). Read the Question Answers carefully. This Question Answer set from the WBBSE board provides quality Multiple Choice Questions (MCQ), Short Answer Type Questions (SAQ), and Long Answer Type Questions from the above chapter. By reading these, students will get a clear idea about that chapter. It will enhance their knowledge and enable them to get good marks in the board exams.
Class 6 Bengali Chapter 18 Bongo Amar Jononi Amar-Dwijendrolal Ray
Short Answer Type Question (SAQ) from Chapter 18 Bongo Amar Jononi Amar-Dwijendrolal Ray
Long Answer Type Question from Chapter 18 Bongo Amar Jononi Amar - Dwijendrolal Ray
ষষ্ঠ শ্রেণি বাংলা অষ্টাদশ অধ্যায় বঙ্গ আমার জননী আমার -দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
বঙ্গ আমার জননী আমার ব্যাখ্যা, বঙ্গ আমার জননী আমার পদ্যের বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ, সম্পূর্ণ আলোচনা ও অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তর, অষ্টাদশ অধ্যায় বঙ্গ আমার জননী আমার -দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
থেকে সংক্ষিপ্ত, রচনাধর্মী ও ব্যাখ্যা ধর্মী প্রশ্নোত্তর
LRNR provides this material totally free
CH-18 _ বঙ্গ আমার জননী আমার
১.১. দ্বিজেন্দ্রলাল রায় রচিত দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম লেখ ?
→ আর্য্যগাথা, ত্রিবেণী
১.২. কবি দ্বিজেন্দ্রলালের কবিতার মূল সুর কী ছিল ?
→ কবিতার মূল সুর ছিল ‘স্বদেশপ্রেম’
২. নিচের বিশেষ্যগুলিকে বিশেষণে ও বিশেষণ গুলিকে বিশেষ্যে রূপান্তরিত কর।
মলিন (বিশে )- মলিনতা (বি )
মধুর (বিশে )- মধুরতা (বি )
আসন (বি ) - আসিন
দৈন্য (বি ) - দীন
প্রণত (বিশে ) - প্রণাম
৩. নীচে কতগুলি উপসর্গযুক্ত শব্দ দেওয়া হলো, শব্দগুলি থেকে উপসর্গ আলাদা করে দেখাও :
উপনিবেশ - উপ , নি (উপ ) বেশ (মূল শব্দ )
অশোক - অ (উপ ) শোক (মূলশব্দ )
আলোক - আ (উপঃ ) লোক (মূলশব্দ )
প্রণত - প্র (উপঃ ) নত ( মূলশব্দ )
৪. নীচের বাক্যগুলির উদ্দেশ্য ও বিধেয় অংশ ভাগ করে দেখাও :
৪.১. কেন গো মা তোর মলিন বেশ ?
→ উদ্দেশ্য - মলিন বেশ, বিধেয় - কেন গো মা তোর
৪.২. অশোক যাহার কীর্তি ছাইল গান্ধার হতে জলধি শেষ
→উদ্দেশ্য - অশোক , বিধেয় - যাহার কীর্তি ছাইল গান্ধার হতে জলধি শেষ
৪.৩. একদা যাহার বিজয় সেনানী হেলায় লঙ্কা করিল জয়
→ উদ্দেশ্য - যাহার বিজয় সেনানী, বিধেয় - একদা হেলায় লঙ্কা করিল জয়
৪.৪. ন্যায়ের বিধান দিল রঘুমণি।
উদ্দেশ্য - রঘুমনি , বিধেয় - ন্যায়ের বিধান দিল
৪.৫ নবীন গরিমা ভাতিবে আবার ললাটে তোর
উদ্দেশ্য - নবীন গরিমা, বিধেয় - ভাতিবে আবার ললাটে তোর
৫. নীচের বিশেষ্য ও সর্বনাম শব্দগুলি নির্দেশমতো লেখো :
৫.১. আমি +সম্বন্ধপদ +বহুবচন = আমাদের
৫.২. আমি + কর্তৃকারক +বহুবচন = আমরা
৫.৩. তুই + সম্বন্ধপদ +একবচন = তোর
৫.৪. যিনি + সম্বন্ধপদ +একবচন = যাঁর
৬. একইরকম অর্থযুক্ত শব্দ কবিতা থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো :
গৌরব - গরিমা
সুর - তান
মুক্তি - মোক্ষ
নতুন - নবীন
জলধি - সাগর
৭. নিম্নলিখিত প্রত্যেক ব্যক্তি ও প্রতিটি স্থান সম্পর্কে দু চারটি বাক্যে লেখ :
বুদ্ধ - বুদ্ধদেব হিমালয়ের তরাই অঞ্চলের কপিলাবস্তু রাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি শুদ্ধোদন ও মায়াদেবীর সন্তান ছিলেন। তাঁর স্ত্রী গোপা ও পুত্র রাহুল। তিনি ছিলেন দয়ালু প্রকৃতির। তিনি সন্ন্যাস গ্রহণ করে দিব্যজ্ঞান লাভ করেন। এবং তাঁর নাম হয় বুদ্ধ। ৮০ বছরে তিনি কুশীনগরে দেহত্যাগ করেন।
রঘুমণি - রঘুমণি অর্থাৎ রঘুনাথ শিরোমণি ছিলেন নবদ্বীপের বিখ্যাত পন্ডিত। তিনি শ্রীচৈতন্যদেবের সহপাঠী ছিলেন।
নিমাই - নিমাই অর্থাৎ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু ছিলেন উত্তর পূর্ব ভারতের এক বিখ্যাত সন্ন্যাসী। নবদ্বীপে হিন্দু ব্রাহ্মণ পিতা জগন্নাথ মিশ্র ও মাতা শচীদেবীর গৃহে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বৈষ্ণব সমাজে তাঁকে রাধাকৃষ্ণের যুগল প্রেমাবতার বলে মনে করা হয়।
চন্ডীদাস - ইনি ছিলেন এক বিখ্যাত বৈষ্ণব কবি। তিনি চৈতন্য পূর্ব বাংলা সাহিত্যে ‘বৈষ্ণবপদাবলী’র রচয়িতা স্বয়ং শ্রীচৈতন্যদেব তাঁর কাব্যের অনুরাগী ছিলেন।
৮. নীচের প্রশ্নগুলির কয়েকটি বাক্যে উত্তর লেখো :
৮.১. কবি দেশকে কি কি নামে সম্বোধন করেছেন ?
কবি দেশকে বঙ্গ, জননী, ধাত্রী, জগৎ, দেবী, স্বর্গ নামে সম্বোধন করেছেন।
৮.২. ‘কেন গো মা তোর মলিন বেশ’ - ‘মা’ বলতে কবি কাকে বুঝিয়েছেন ? তাকে ‘মা’ বলা হয়েছে কেন ?
‘মা’ বলতে এখানে দেশকে বোঝানো হয়েছে।
আমরা জন্মানোর পর থেকে দেশের মাটিতেই বড়ো হই, দেশের মাটিতেই লালিত -পালিত হই, তাই দেশকে ‘মা’ বলা হয়েছে।
৮.৩. ‘মা’ এর বেশ মলিন ও কেশ রুক্ষ্ম কেন ?
কবি এখানে ‘মা’ বলতে দেশমাতাকে বুঝিয়েছেন। যেখানে ইংরেজরা উপনিবেশ জমিয়েছে এবং শোষণ -শাসনে দেশ ও দেশের মানুষকে জর্জরিত করে তুলেছে। তাই ‘মা’ এর বেশ মলিন ও কেশ রুক্ষ্ম।
৮.৪. অশোক কোথায় কোথায় তাঁর প্রভাব বিস্তার করেছিলেন ?
অশোক গান্ধার থেকে জলধি পর্যন্ত প্রভাব বিস্তার করেছিলেন।
৮.৫. ‘অর্ধ জগৎভক্তি -প্রণত চরণে যাঁর’ - ‘অর্ধ জগৎ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন ? কার চরণে তা প্রণত হয়েছে ?
চিন, জাপান, কোরিয়া, তিব্বত প্রভৃতি দেশে বৌদ্ধ ধর্ম প্রসার লাভ করেছিল। অর্ধ জগৎ বলতে কবি এইসব দেশসহ অর্ধেক বিশ্বকে বুঝিয়েছেন।
ভগবান বুদ্ধের চরণে তা প্রণত হয়েছে।
৮.৬. ‘যুদ্ধ করিল প্রতাপাদিত্য’ - প্রতাপাদিত্য কে ছিলেন ? তিনি কাদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন ?
অধুনা বাংলাদেশে বারো ভূঁইয়া নামে পরিচিত বারোজন ভূস্বামীদের মধ্যে বিখ্যাত ছিলেন প্রতাপাদিত্য।
তিনি নিজ রাজ্যের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য মুঘল সম্রাট আকবরের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন।
৮.৭. ‘ধন্য আমরা’ - ‘আমরা’ বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে ? আমরা কখন নিজেদের ধন্য বলে মনে করতে পারি ?
‘আমরা’ বলতে ভারতবাসীকে বোঝানো হয়েছে।
যে সকল বীর পূর্বপুরুষ দেশমাতাকে রক্ষা করার জন্য নিজেদের প্রাণ ও রক্ত দিয়েছে, যাঁরা দেশমাতাকে গর্বিত করেছেন, তাঁদের রক্ত যদি আমাদের শিরায় বহমান হয়, তবে আমরা নিজেদের ধন্য মনে করতে পারবো।
৮.৮. নবীন গরিমা কীভাবে ললাটে ফুটে উঠবে ?
যেদিন কালের নিয়মে আঁধার ঘোর কেটে যাবে, সেদিন নতুনদিনের সূচনা হবে। এইভাবেই নবীন গরিমা ললাটে ফুটে উঠবে।
৮.৯. আমরা কীভাবে বঙ্গজননীর দুঃখ, দৈন্য, লজ্জা দূর করতে পারি ?
পরাধীন ভারতকে বিদেশি শক্তির হাত থেকে নিজেদের কর্মের মাধ্যমে উদ্ধার করতে পারলে বঙ্গজননীর দুঃখ, দৈন্য, লজ্জা দূর হবে।
৯. নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর দাও :
৯.১. ‘যদিও মা তোর দিব্য আলোকে ঘিরে আছে আজ আঁধার ঘোর’ - কবির কেন মনে হয়েছে যে বঙ্গজননীকে আঁধার ঘিরে আছে ?
কবি দ্বিজেন্দ্রলাল রায় দেখেছেন পরাধীন ভারতে ইংরেজরা শোষণ -শাসন -অত্যাচার নিপীড়ন চালিয়েই চলেছে। যার ফলে দেশ মাতার মলিনবেশ, নয়ন অশ্রুপাত করে করে শুষ্ক, কেশ হয়েছে রুক্ষ্ম, তাই কবির মনে হয়েছে যে বঙ্গজননীকে আঁধার ঘিরে আছে।
৯.২. নিজে চেষ্টা কর।
৯.৩. চীন, জাপান, তিব্বতে বাঙালী সত্যি কি কোনোদিন উপনিবেশ তৈরি করেছিল ? শিক্ষক / শিক্ষিকার কাছ থেকে এবিষয়ে জেনে নিয়ে লেখ।
না, চীন, জাপান, তিব্বতে বাঙালী তথা ভারত কোনোদিন কোন উপনিবেশ গড়ে তোলেনি। এই সকল দেশ ভারতের বৌদ্ধধর্ম দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল তাই এই সকল দেশের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল।
৯.৪. পরাধীন ভারতের মানুষকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে এই কবিতায় দেশের প্রতি যে ভাবাবেগ প্রকাশিত হয়েছে তা নিজের ভাষায় বুঝিয়ে দাও।
কবি দ্বিজেন্দ্রলাল রায় কবিতায় উল্লেখ করেছেন যে কীভাবে বিদেশি শক্তির আক্রমণে -শোষণে -শাসনে দেশ বিপর্যস্ত। সেই সঙ্গে কবি ভগবান বুদ্ধ, সম্রাট অশোক, চন্ডীদাস, রঘুমণি, প্রতাপাদিত্যের মতো মহান নমস্য ব্যক্তিদের কথা উল্লেখ করেছেন এই সকল মহান ব্যক্তিদের রক্ত দেশের মানুষের শিরায় -শিরায় প্রবাহিত হচ্ছে। এই কথা মনে করিয়ে দিয়ে কবি দেশের মানুষকে পরাধীন ভারতের শৃঙ্খল মোচনের জন্য উদ্বুদ্ধ করতে চেয়েছেন। এখানে কবির এক সুন্দর -অসাধারণ ভাবাবেগের পরিচয় আমরা পেয়েছি।
Truly Indian Brand
Truly Indian Brand