• SCHOOL BOARDS
  • WBBSE/WBCHSE
  • CLASS 6
  • BENGALI
  • Chapter 19 Sohid Jatindranath Das - Ashis Kumar Mukhopadhayay | ঊনবিংশ অধ্যায় শহীদ যতীন্দ্রনাথ দাশ -আশিসকুমার মুখোপাধ্যায়

Chapter 19 Sohid Jatindranath Das - Ashis Kumar Mukhopadhayay | ঊনবিংশ অধ্যায় শহীদ যতীন্দ্রনাথ দাশ -আশিসকুমার মুখোপাধ্যায়

Language : Bengali

The Note contains Textual Question Answers from WBBSE Class 6 Bengali Chapter 19 Sohid Jatindranath Das-Ashis Kumar Mukhopadhayay (ঊনবিংশ অধ্যায় শহীদ যতীন্দ্রনাথ দাশ-আশিসকুমার মুখোপাধ্যায়). Read the Question Answers carefully. This Question Answer set from the WBBSE board provides quality Multiple Choice Questions (MCQ), Short Answer Type Questions (SAQ), and Long Answer Type Questions from the above chapter. By reading these, students will get a clear idea about that chapter. It will enhance their knowledge and enable them to get good marks in the board exams. 

Class 6 Bengali Chapter 19 Sohid Jatindranath Das - Ashis Kumar Mukhopadhayay 

Short Answer Type Question (SAQ) from Chapter 19 Sohid Jatindranath Das - Ashis Kumar Mukhopadhayay 

Long Answer Type Question from Chapter 19 Sohid Jatindranath Das - Ashis Kumar Mukhopadhayay

ষষ্ঠ শ্রেণি বাংলা  ঊনবিংশ অধ্যায় শহীদ যতীন্দ্রনাথ দাশ  -আশিসকুমার মুখোপাধ্যায়

শহীদ যতীন্দ্রনাথ দাশ ব্যাখ্যা, শহীদ যতীন্দ্রনাথ দাশ গদ্যের বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ, সম্পূর্ণ আলোচনা ও অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তর, ঊনবিংশ অধ্যায় শহীদ যতীন্দ্রনাথ দাশ  -আশিসকুমার মুখোপাধ্যায় 

 থেকে সংক্ষিপ্ত, রচনাধর্মী ও ব্যাখ্যা ধর্মী প্রশ্নোত্তর 


LRNR provides this material totally free

CH -19_ শহীদ যতীন্দ্রনাথ দাশ 


১.১. আশিসকুমার মুখোপাধ্যায় কোন খেলার ধারাভাষ্যকার ছিলেন?

আকাশবাণীতে ফুটবলের ইংরাজি ধারাভাষ্যকার ছিলেন। 


১.২. তাঁর লেখা একটি বইয়ের নাম লেখ?

উল্লেখযোগ্য বই হল - স্বাধীনতার রূপকার নেতাজি সুভাষ। 


২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও : 

২.১. যতীন দাশ কোথায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন ?

১৯০৪ সালে ২৭ অক্টোবর উত্তর কলকাতার শিকদার বাগান অঞ্চলে মামার বাড়িতে। 


২.২. যতীন দাশের পিতার নাম কী ছিল ?

যতীন দাশের পিতার নাম বঙ্কিম বিহারী দাশ। 


২.৩. যতীন দাশের পিতা কোথায় চাকরি করতেন ?

পিতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে চাকরি করতেন। 


২.৪. যতীন দাশের ছদ্মনাম কী ছিল ?

বিপ্লবী হিসেবে যতীন দাশের প্রথম ছদ্মনাম ছিল রবিন।  পরবর্তীকালে একটু সিনিয়র হলে ছদ্মনাম হয় কালীবাবু। 


২.৫. হিন্দ নওজোয়ান সভা কে প্রতিষ্ঠা করেন ?

বিপ্লবী ভগৎ সিং পাঞ্জাবে ‘হিন্দ নওজোয়ান সভা’ প্রতিষ্ঠা করেন। 


২.৬. মি. প্যাট্রি কে ছিলেন ?

১৯২৯ সালে ব্রিটিশ গোয়েন্দাবাহিনীর প্রধান ছিলেন মিঃ. প্যাট্রি। 


২.৭. লাহোর ষড়যন্ত্র মামলার আসামিদের কোন জেলে বদলি করা হয় ?

লাহোর ষড়যন্ত্র মামলার আসামিদের লাহোর সেন্ট্রাল জেলে বদলি করা হয়। 


২.৮. কারা যতীনের জামিনের প্রস্তাব ঘৃণাভরে অগ্রাহ্য করেন ?

যতীনের পিতা বঙ্কিমবিহারী দাশ ও ছোটো ভাই কিরণ দাশ তাঁর জামিনের প্রস্তাব ঘৃণাভরে অগ্রাহ্য করেন। 


৩. নীচের বিশেষ্যগুলিকে বিশেষণ ও বিশেষণ গুলিকে বিশেষ্যে রূপান্তরিত করো। 

অংশ - আংশিক 

উত্তীর্ন - উত্তরন 

ঐতিহাসিক -ইতিহাস 

আক্রান্ত - আক্রমণ 

জীবন - জীবিত 

ভোজন - ভুক্ত 

পিতা - পৈতৃক 

সন্দেহ - সন্দিগ্ধ 

জাতীয় - জাতি 

মেয়াদ - মেয়াদি 


৪. সন্ধি বিচ্ছেদ করো : 

পর্যন্ত - পরি + অন্ত 

কিন্তু - কিম +তু 

প্রত্যক্ষ - প্রতি + অক্ষ 

সিদ্ধান্ত - সিদ্ধ+অন্ত 

যতীন্দ্র - যতি +ইন্দ্র 

ব্যগ্র - বি +অগ্র 


৫. নীচে কতগুলি শব্দ দেওয়া হলো , শব্দগুলির সঙ্গে উপসর্গ যুক্ত করে নতুন শব্দ তৈরি করো : 

জীবন - আজীবন 

শেষ - বিশেষ 

বেশ - প্রবেশ 

পথ - বিপথ 

ঠিক - সঠিক 

দারুণ - নিদারুণ 

উপায় - নিরুপায় 

জ্ঞান - অজ্ঞান 

করণীয় - অনুকরণীয় 


৬. নীচে কতগুলি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সাল তারিখ দিয়ে দেওয়া হলো। ঘটনাগুলি গল্প থেকে খুঁজে লেখো : 

২৭ অক্টোবর ১৯০৪ - উত্তর কলকাতার শিকদার বাগান অঞ্চলে মামার বাড়িতে যতীন দাশের জন্ম হয়েছিল। 

৮ এপ্রিল ১৯২৯ - দিল্লিতে কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপক সভার অধিবেশনে সভ্যদের আসনের পাশেই বোমা ফাটান ভগৎ সিং ও বটুকেশ্বর দত্ত। 

২৫ জুন ১৯২৯ - এই তারিখে যতীন ও তাঁর ১৫ জন সহযোদ্ধাকে লাহোর ষড়যন্ত্র মামলার আসামি হিসেবে লাহোর সেন্ট্রাল জেলে বদলি করা হয়। 

১১ আগষ্ট ১৯২৯ - বড়োলাট লর্ড আরউইন এক বিশেষ জরুরি ঘোষণায় অনশনকারীদের দাবিদাওয়া সব মেনে নেয় এবং প্রত্যেক প্রদেশে জেল অনুসন্ধান কমিটি স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দেন। 

১৩ সেপ্টেম্বর  ১৯২৯ - শনিবার ঠিক দুপুর ১ টা ১৫ মিনিটে অমর বিপ্লবী যতীন দাশ চিরনিদ্রায় ঢলে পড়েন। 


৭. নীচের বাক্যগুলি থেকে সংখ্যাবাচক ও পূরণবাচক শব্দ বেছে লেখো : 

৭.১. তাঁরা সব মিলিয়ে দশ ভাইবোন ছিলেন। 

সংখ্যাবাচক শব্দ - দশ 


৭.২. যতীন ভবানীপুরের মিত্র ইনস্টিটিউশন থেকে প্রথম বিভাগে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ন হন। 

পূরণবাচক শব্দ - প্রথম 


৭.৩. বিচারে তাঁর ছয় মাসের জেল হয়। 

সংখ্যাবাচক শব্দ - ছয় 


৭.৪. তাঁর দ্বিতীয় ছদ্মনাম হয় ‘কালীবাবু’,

পূরণবাচক শব্দ - দ্বিতীয় 


৮. নীচের বাক্যগুলির উদ্দেশ্য ও বিধেয় অংশ ভাগ করে দেখাও : 

৮.১. কিশোর বিপ্লবী হিসেবেই যতীন্দ্রনাথ দাশের নাম সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছিল। 

উদেশ্য - যতীন্দ্রনাথ দাশের নাম

বিধেয় - কিশোর বিপ্লবী হিসেবেই সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছিল


৮.২. ছেলেবেলা থেকেই তিনি একটি স্বপ্ন লালন করে আসছেন মনে মনে। 

উদ্দেশ্য - তিনি 

বিধেয় -  ছেলেবেলা থেকেই একটি স্বপ্ন লালন করে আসছেন মনে মনে


৮.৩. শুরু হয় অগ্নিযুগের এক অবিস্মরণীয় রক্তে রাঙা অধ্যায়। 

উদ্দেশ্য - অগ্নিযুগের এক অবিস্মরণীয় রক্তে রাঙা অধ্যায়

বিধেয় - শুরু হয় 


৮.৪. শেষ পর্যন্ত এল শেষের সেই ভয়ংকর দিনটা। 

উদ্দেশ্য -শেষের সেই ভয়ংকর দিনটা

বিধেয় -শেষ পর্যন্ত এল


৯. নীচের বাক্যগুলির মধ্যে যে সব বিভক্তিযুক্ত শব্দ এবং অনুসর্গ আছে তা খুঁজে লেখো। 

৯.১. জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে মত পার্থক্যের জন্য ভগৎ সিং, ভগবতী চরণ এবং আরও কয়েকজন কংগ্রেসের প্রতি আনুগত্য প্রত্যাহার করেন। 

বিভক্তিযুক্ত শব্দ- মত পার্থক্যের (এর), কংগ্রেসের (এর)

অনুসর্গ- জন্য, প্রতি 


৯.২. ছেলেবেলা থেকে তিনি একটি স্বপ্ন লালন করে আসছেন মনে মনে 

বিভক্তিযুক্ত শব্দ- করে, মনে (এ ) বিভক্তি 

অনুসর্গ- থেকে 


৯.৩. সাতটি দিন নিরুপদ্রবে কেটে গেল। 

বিভক্তিযুক্ত শব্দ- নিরুপদ্রবে (এ )

অনুসর্গ- নেই 


৯.৪. শরীর সবদিক থেকেই ভেঙে পড়ছে। 

বিভক্তিযুক্ত শব্দ- শরীর (শুন্য )

অনুসর্গ- থেকেই 


১০. নীচের প্রশ্নগুলির কয়েকটি বাক্যে উত্তর দাও : 

১০.১. যতীন দাশের পিতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের স্থায়ী চাকরিতে ইস্তফা দিয়েছিলেন কেন ? এর ফল কী হয়েছিল ?

১৯০১ সালে দশহারার দিনে যতীনদাসের পিতা বঙ্কিমবাবু সপরিবারে গঙ্গাস্নান করে একটা ফিটন গাড়িতে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন, সেই সময় পথে কয়েকটি ব্রিটিশ টমি তাদের জোর করে ওই গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে নিজেরা গাড়িটি চেপে চলে যায়। বঙ্কিমবাবু পরিবার নিয়ে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরেছিলেন ওইদিনই উনি শপথ নেন সরকারি চাকরিতে ইস্তফা দেবেন। 

এর পরে স্টেশনারি দোকান খুলে সংসার চালাতে গিয়ে আজীবন দারিদ্র্য ও দুঃখের সঙ্গে লড়াই করে গেছেন। 


১০.২. ‘....তোমার মতো মহান বিপ্লবীর জন্যও একটা কাজ আমায় অবশ্যই করতে হবে’ -কে কাকে একথা বলেছিলেন ?

বিপ্লবী যতীন দাশ, আর এক স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং বিপ্লবী সহযোদ্ধা ভগৎ সিং -কে একথা বলেছিলেন।  ভগৎ সিং এর ইচ্ছা ছিল যতীন দাশ যেন তাঁর প্রতিষ্ঠিত ‘নওজোয়ান সভা’র ছেলেদের জন্য কিছু করেন। যতীন দাশ প্রশ্নে উদ্ধৃত কথাটি বলে ভগৎ সিং -এর দলের ছেলেদের আগ্রায় গিয়ে বোমা বানানোর ট্রেনিং দিয়ে আসেন। 


১০.৩. কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপক সভার অধিবেশনে কী ঘটেছিল ?

১৯২৯ সালের ৮ এপ্রিল বিপ্লবী ভগৎ সিং ও তার সহযোদ্ধা বটুকেশ্বর দত্ত দিল্লিতে কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপক সভার অধিবেশন চলাকালীন সভ্যদের আসনের পাশেই একটি শক্তিশালী বোমা ফাটান। এই দুঃসাহসিক কাজ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিল। ভগৎসিং ও বটুকেশ্বর দত্ত এই ঘটনার জন্য দোষী প্রমাণিত হলে তাঁদের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। 


১০.৪. ১৪ জুন ১৯২৯ যতীন দাশকে কেন গ্রেপ্তার করা হয় ?

১৯২৯ সালে ১৪ জুন যতীন দাশকে Lahore Conspiracy Case এর অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে কলকাতার প্রকাশ্য রাজপথ থেকে গ্রেফতার করা হয়। প্রকৃতপক্ষে কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপক সভার অধিবেশনে বোমা ফাটানোর তদন্তে করে গোয়েন্দা প্রধান মি. প্যাট্রি যে তিরিশ জন বিপ্লবীদের নাম তৈরি 


১০.৫. ১৯২৯ সালের ১৩ জুলাই অনশন শুরু হয় কেন ?

Lahore Conspiracy Case এর আসামিদের লাহোর সেন্ট্রাল জেলে বদলি করে দেওয়ার জন্য যতীন দাশ তাঁর সহযোদ্ধা ভগৎ সিং সহ অন্যান্যদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেলে তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন পুলিশি নির্যাতনের বিরুদ্ধে তারা অনশনে বসবে এবং পরিকল্পনামতো ১৩ জুলাই রবিবার তাঁরা সমবেত অনশন বা Group hunger strike শুরু করে। 


১০.৬. অনশন করার আগে যতীন তাঁর সহযোদ্ধাদের কী অঙ্গীকার করান ? তিনি অনশন ভঙ্গ করবেন না কেন ?

আশিসকুমার মুখোপাধ্যায় রচিত ‘শহীদ যতীন্দ্রনাথ দাশ’ পাঠে জানা যায়, লাহোর ষড়যন্ত্র মামলায় আসামি যতীন দাশ ও তাঁর ১৫ জন সহযোদ্ধাদের ওপর পুলিশ অমানুষিক নির্যাতন চালালে তাঁরা ১৩ ই জুলাই ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে সমবেত অনশন শুরু করেন। এই অনশন আরম্ভ করার দু -এক দিন আগে যতীন দাশ অঙ্গীকার করান তাদের দাবিগুলি যথাযথ মিমাংসা হয়ে গেলে তাঁরা অবশ্যই অনশন ভঙ্গ করবেন। 

যতীন দাশের মতে এই অনশন তাঁর মাতৃভূমির শৃঙ্খল মোচনের জন্য, তাই তিনি অনশন ভঙ্গ করবেন না। 


১০.৭. জেলে অনশনের সময় যতীন জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন কেন ?

উক্ত গদ্য পাঠে আমরা জানতে পারি যতীনের অনশন ভঙ্গ করার জন্য ডাক্তার একটা সরু নল যতীনের নাকের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে দুধ ঢালতে থাকেন। কোনো উপায় না দেখে যতীন ইচ্ছাকৃতভাবে জোরে জোরে কাশতে থাকে , ফলে নলটির মুখ খাদ্যনালী থেকে সরে গিয়ে শ্বাসনালীর মধ্যে ঢুকে যায় এবং কিছুটা দুধ ফুসফুসে ঢুকে যায় ফলে যতীন জ্ঞান হারায়। 


১০.৮. জেলে যতীন দাশের পাশে শ্লেট পেন্সিল রাখা হয়েছিল কেন ?

জোর করে খাওয়াতে গিয়ে যতীনের ফুসফুসে দুধ ঢুকে যাওয়ার ফলে তিনি অজ্ঞান হয়ে যায়, ৪৮ ঘন্টা পর জ্ঞান ফিরলে দেখা যায় তাঁর গলা দিয়ে কোনো আওয়াজ বেরোচ্ছে না, তিনি কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন। এ কারণে তাঁর পাশে শ্লেট -পেন্সিল রাখা হয়েছিল যাতে তিনি লিখে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারেন। 


১০.৯. কিরণ দাশকে লাহোর সেন্ট্রাল জেলে আনা হয়েছিল কেন ?

অনশনের ফলে জেলে যতীনের শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় বড়োলাট লর্ড আরউইন বিশেষ ক্ষমতা বলে যতীনকে দেখাশোনা করার জন্য তার ভাই কিরণ দাশকে লাহোর সেন্ট্রাল জেলে আনিয়েছিলেন। 


১০.১০. যতীন দাশের সহযোদ্ধারা পথ অবরোধ করে শুয়ে ছিলেন কেন ?

দীর্ঘদিন অনশন করার ফলে পক্ষাঘাত যতীনের সমস্ত শরীরকে ধীরে ধীরে গ্রাস করতে শুরু করে। যতীনের অবস্থা মরণাপন্ন হলে ব্রিটিশ প্রশাসন তাকে সর্বজন নিন্দিত গুপ্তচরের জামিনে মুক্ত করে। কিন্তু ৬ / ৯/ ১৯২৯ তারিখে ভোরবেলা যখন যতীনকে নিতে ডাক্তার ও জেল সুপার অ্যাম্বুলেন্স ও সশস্ত্র পুলিশবাহিনী নিয়ে জেলে প্রবেশ করেন। তখন যতীনের সহযোদ্ধারা সেলের চারপাশে ব্যারিকেড রচনা করে পথ অবরোধ করে শুয়ে পড়ে। পুলিশ যাতে অসুস্থ যতীনের দেহ স্পর্শ করতে না পারে তাই তারা এমন করেছিল। 


১১. নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর দাও : 

১১.১. যতীন দাশের মতো ভারতের অন্য কোনো স্বাধীনতা সংগ্রামীর জীবনকথা জানা থাকলে লেখ। 

অন্য স্বাধীনতা সংগ্রামী হলেন সুভাষচন্দ্র বসু। তাঁর জন্ম ২৩ জানুয়ারি ১৮৯৭ সালে ওড়িশার কটক শহরে। তিনি ইতিহাসের উজ্জ্বল ও মহান চরিত্র যিনি নেতাজি নামে সমধিক পরিচিত। তিনি ফরওয়ার্ড ব্লক নামক রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। ব্রিটিশ বিরোধী হওয়ায় তাঁকে এগারো বার কারারুদ্ধ করে, তাঁর বিখ্যাত উক্তি ‘তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেবো’ 


১১.২. যতীন দাশের মৃত্যুর খবর পেয়ে বাংলার এক বিশিষ্ট কবি তাঁকে নিয়ে কবিতা লিখেছিলেন। সেই কবির পরিচয় লিখে তাঁর অন্য কোনো কবিতা তোমার ভালো লাগে কিনা এবং কেন ভালো লাগে সে সম্পর্কে লেখো। 

যতীন দাশের মৃত্যুর খবর পেতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাকে নিয়ে কবিতা লেখেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ৭মে ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে। তিনি বিখ্যাত কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী, দার্শনিক। তিনি বিশ্বকবি, কবিগুরু প্রভৃতি অভিধায় ভূষিত হন। ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য তিনি প্রথম নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। 

রবীন্দ্রনাথের অনেক কবিতাই আছে, তার মধ্যে অন্যতম ‘দুই বিঘা জমি, ‘সোনারতরী’ প্রভৃতি। 

 

Ratings
No reviews yet, be the first one to review the product.