• SCHOOL BOARDS
  • WBBSE/WBCHSE
  • CLASS 6
  • HISTORY
  • WBBSE Class 6th History Chapter 1 ইতিহাসের ধারণা PART 2 সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর || Short Questions and Answers || Class VI 1st Chapter Itihaser Dharona short questions || শূন্যস্থান পূরণ || ষষ্ঠ শ্রেণি ইতিহাস প্রথম অধ্যায় ইতিহাসের ধারণা

WBBSE Class 6th History Chapter 1 ইতিহাসের ধারণা PART 2 সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর || Short Questions and Answers || Class VI 1st Chapter Itihaser Dharona short questions || শূন্যস্থান পূরণ || ষষ্ঠ শ্রেণি ইতিহাস প্রথম অধ্যায় ইতিহাসের ধারণা

Language : Bengali

LRNR provides this material totally free

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর : সম্ভাব্য মান -২/৩ 


1.পাথরের শিলনোড়া, লোহার হামানদিস্তা, এবং মিকসার মেশিনের মধ্যে কোনটি আগে এসেছে এবং কোনটি পরে এসেছে ?উঃ -পাথরের শিলনোড়া, লোহার হামানদিস্তা ও মিকসার মেশিনের মধ্যে পাথরের শিলনোড়া সবার প্রথমে এসেছে কারন মানুষ পাথরের ব্যবহার সবার প্রথমে শিখেছে, তার পর লোহার হামানদিস্তা কারণ লোহার ব্যবহার মানুষ পাথরের ব্যবহারের পরে শিখেছে। আর সবার শেষে শিখেছে মিকসার মেশিনের ব্যবহার। কারন বিদ্যুতের ব্যবহার শিখেছে সবার শেষে। 


2. নদী মাতৃক সভ্যতা বলতে কী বোঝ ?

উঃ - ‘মাতৃক’ কথার অর্থ ‘মায়ের মতো’। পুরোনো দিনের অনেক সভ্যতাই নদীর উপর নির্ভর করে গড়ে উঠেছিল। সেই সব সভ্যতা গুলির কাছে নদী ছিল মায়ের মতো। তাই সেই সব সভ্যতা গুলিকে নদীমাতৃক সভ্যতা বলা হয়


3. গল্পের সাথে ইতিহাসের তফাৎ কোথায় ?


উঃ -গল্পের সাথে ইতিহাসের মূল তফাৎ হলো গল্পের বিষয় মনগড়া কিন্তু ইতিহাসে মনগড়া কথা বলা হয় না। যেমন -গল্পের বইতে পক্ষীরাজ ঘোড়ার কথা বলা হয় কিন্তু ইতিহাস বইয়ের কোথাও পক্ষীরাজ ঘোড়ার কথা বলা নেই। 

আর গল্পে বলা হয় অনেক অনেক দিন আগের কথা, কবেকার কথা সেটা ঠিক বলা থাকে না। কিন্তু ইতিহাস বইতে কোনো না কোনো সময়ের হিসেব থাকবেই। 


4. ইতিহাসের বিষয়বস্তু কী ?

উঃ -পুরোনো দিনের কথাই ইতিহাসের কথা। তাই ইতিহাসে বেশির ভাগ মানুষের কথাই থাকে। তার সঙ্গে থাকে পরিবেশের কথা। মানুষ কিভাবে পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিল সেই কথা। সেই সঙ্গে থাকে মানুষের নানা কাজকর্মের খোঁজখবর। যেমন -কী ভাবে আগুন জ্বালাতে শিখল, কিভাবে পোষাক পরতে শিখল  ইত্যাদি। 


5. ইতিহাসের সাথে ভূগোলের সম্পর্ক কী ?

উঃ -যেহেতু মানুষের কাজকর্মই ইতিহাসের বিষয়বস্তু আর মানুষের অনেক কাজই তার পরিবেশ ও ভূগোল দিয়ে ঠিক হয়। যেমন -নদীর ধারে যারা থাকে তাঁরা নৌকায় চড়ে যাতায়াত করে আর যারা মরুভূমিতে থাকে তারা উটে চড়ে যাতায়াত করে। এটা অনেকদিন ধরেই হয়ে আসছে। তাই নদীর ধারে যারা থাকে তাদের যানবাহনের ইতিহাসে নৌকার উল্লেখ থাকবে আর যারা মরুভূমিতে থাকে তাদের যানবাহনের ইতিহাসে উটের উল্লেখ থাকবে। এখন প্রশ্ন হয় একেক জায়গার যানবাহনের ইতিহাস একেক রকম হয় কেন ? কারন পরিবেশ ও ভূগোল আলাদা। তাই এক এক পরিবেশে, অঞ্চলে ইতিহাস এক এক রকম। অর্থাৎ ইতিহাস ও ভূগোল পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। 




6. ভারতীয় উপমহাদেশ বলতে কী বোঝ ?


উঃ -’উপমহাদেশ’ মানে প্রায় একটা মহাদেশের মতোই বড়ো অঞ্চল। পাহাড়, নদী, সমুদ্র, মরুভূমি, সব মিলিয়ে উপমহাদেশের পরিবেশ। মানুষের পোষাক, ঘরবাড়ি ও খাবারও নানা  রকম। এই হরেক রকম মিলে মিশে বিরাট এলাকা নিয়ে ছিল ভারতীয় উপমহাদেশ।  





7.ভারতীয় উপমহাদেশের ভূগোল কেমন ছিল ?


উঃ -ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর দিকে ছিল পাহাড়ি অঞ্চল। সিন্ধু ও গঙ্গা নদীর দু-ধারের বিরাট সমভূমি অঞ্চল। বিন্ধ্য পর্বতের দক্ষিণ দিকের তিনকোনা অঞ্চল। এই নিয়ে তৈরী হয়েছিল ভারতীয় উপমহাদেশের ভূগোল। 


8. আর্যাবর্ত বলতে কী বোঝ ?

উঃ -আর্যরা সাধারণ ভাবে বিন্ধ্য পর্বতের উত্তর দিকের অঞ্চলে বাস করত। তাই ঐ অঞ্চলকে বলা হতো আর্যাবর্ত। তবে এর সীমানা নানা সময় বদলেছে। একসময় আর্যাবর্ত বলতে সমগ্র উত্তর ভারতকেই বোঝানো হতো।


 9. দাক্ষিণাত্য বলতে কী বোঝ ?

উঃ -বিন্ধ্য পর্বতের দক্ষিণ দিকে আর্যদের বিশেষ প্রভাব ছিল না। এই দক্ষিণ ভাগকেই বলা হতো দাক্ষিণাত্য। ইহা বিন্ধ্য পর্বত থেকে কন্যাকুমারিকা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। 


10. দ্রাবিড় দেশ বলতে কী বোঝ ?


উঃ -বিন্ধ্য পর্বত থেকে কন্যাকুমারিকা ছিল দাক্ষিণাত্য অঞ্চল। দ্রাবিড় জাতির বাস ছিল এই দাক্ষিণাত্য। তাই কাবেরী নদীর দক্ষিণ অংশকে দ্রাবিড় দেশও বলা হতো। 


11. প্রাক -ঐতিহাসিক যুগ কাকে বলে ?

উঃ -এক সময় মানুষ লিখতে পারত না। সেই সময়ের ইতিহাস আমাদের অনুমান করে নিতে হয়। এই সময়কে অনেকে প্রাক-ঐতিহাসিক যুগ বলে।


12. প্রায় -ঐতিহাসিক যুগ কাকে বলে ?


উঃ -এক সময়ে মানুষ লিখতে শিখেছিল কিন্তু সেই সময়ের পাওয়া সব লেখা আজও পড়া যায়নি। অর্থাৎ পুরোনো সময়ের লেখা পাওয়া যায় কিন্তু পড়া যায় না। সেই পুরোনো সময়-টাকেই বলা হয় প্রায়-ঐতিহাসিক যুগ। 


13. ঐতিহাসিক যুগ কাকে বলে ?

উঃ -যে সময়ের লেখা পাওয়া যায় ও পড়া যায় তা হল ঐতিহাসিক যুগ। 





14. কণিষ্কাব্দ বলতে কী বোঝ ?

উঃ -কুষাণ সম্রাট কনিষ্ক ৭৮ খ্রিস্টাব্দে সিংহাসনে বসে এক নতুন অব্দ গণনা চালু করেন। সেই অব্দ গণনা কে কণিষ্কাব্দ বলে। অর্থাৎ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৭৮ বাদ দিলে কণিষ্কাব্দ জানা যাবে। 


15. গুপ্তাব্দ কাকে বলে ?

উঃ -গুপ্ত সম্রাট প্রথম চন্দ্রগুপ্ত একটা অব্দ গণনা চালু করেন, তাকে গুপ্তাব্দ বলা হয়। ৩১৯-৩২০ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ গুপ্তাব্দ গণনা শুরু হয়।


 16. হর্ষাব্দ কী ?

উঃ -হর্ষবর্ধন রাজা হওয়ার সময় (৬০৬ খ্রি:) থেকে হর্ষাব্দ গণনা চালু করেন। 



17. খ্রিস্টপূর্বাব্দের সহিত খ্রিস্টাব্দের পার্থক্য গুলি লেখ। 

উঃ -খ্রিস্টপূর্বাব্দের সাথে খ্রিস্টাব্দের পার্থক্য গুলি হলো -

খ্রিস্ট পূর্বাব্দ বড়ো থেকে ছোটোর দিকে গোনা হয়। যেমন -৫, ৪, ৩, ২, ১ -এ ভাবে গোনা হয়। আর খ্রিস্টাব্দ গোনা হয় ছোটো থেকে বড়োর দিকে। যেমন -১, ২, ৩, ৪, ৫ -এভাবে। তাই ২০১৪ খ্রিস্টাব্দের আগের বছর ২০১৩ খ্রিস্টাব্দ আর পরের বছর ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ। আর খ্রিস্ট পূর্বাব্দ হলে উল্টো হবে। ২০১৪ খ্রিস্ট পূর্বাব্দের আগের বছর ২০১৫ খ্রিস্ট পূর্বাব্দ আর পরের বছর ২০১৩ খ্রিস্ট পূর্বাব্দ।



18. খ্রিস্টীয় শতক গোনার নিয়মটি কী উঃ -খ্রিস্টীয় শতক গোনার সময় একধাপ এগিয়ে গুনতে হয়। যেমন -২০২২ খ্রিস্টাব্দ এটা কিন্তু বিংশ শতক নয় এটি খ্রিস্টিয় একবিংশ শতক। কারণ যিশুর জন্মের থেকে প্রথম ১০০ বছর হল খ্রিস্টিয় প্রথম শতক আর ১০১ থেকে ২০০ বছর হলো খ্রিস্টীয়  দ্বিতীয় শতক। 



19. মানুষ যখন কথা বলতে পারত না তখন কিভাবে মনের ভাব বোঝাত ?

উঃ -যখন মানুষ কথা বলতে পারত না তখন হাত-মাথা নেড়ে, অঙ্গ ভঙ্গি করত। সে গুলো থেকেই একে অন্যের মনের ভাব বুঝত। তার পর তারা ছবি আঁকতে শিখল। তখন ছবি এঁকে তারা মনের কথা অন্যদের বোঝাত। 


20. মানুষ কিভাবে লিখতে শিখল ?

উঃ -যখন মানুষ কথা বলতে পারত না তখন হাত, মাথা নেড়ে, অঙ্গ ভঙ্গি করে একে অন্যকে মনের ভাব বোঝাত। তার পর তারা ছবি আঁকতে শিখল। ছবি এঁকে তারা মনের কথা অন্যদের বোঝাত। এমন কি সবাই মিলে যা করত তার ছবি এঁকে রাখত। গুহার দেওয়ালে, মাটির পাত্রে, ধাতুর পাতে ইত্যাদিতে। পরে এক সময়ে ছবি এঁকে এঁকেই অক্ষর বোঝাত। যেমন -ক আর গ পাশাপাশি বসিয়ে হয়তো ঘুম পেয়েছে বোঝানো হতো। এভাবেই ধীরে ধীরে মানুষ লিখতে শিখল। 




21. জাদুঘর বলতে কী বোঝ ?

উঃ -জাদুঘর হলো একটি বিশাল বাড়ি যেখানে মাটির নিচ থেকে পাওয়া পুরোনো দিনের নানা প্রত্নবস্তু যত্ন করে রাখা থাকে। আর থাকে মাটির উপরে পাওয়া নানা জিনিসও। যেমন -হারিয়ে যাওয়া বিশাল জন্তুর হাড়, রাজা-রানিদের পোশাক, অস্ত্রশস্ত্র, নানারকম মূর্তি, ছবি, বইপত্র ইত্যাদি। ইংরেজিতে জাদুঘরকে Museum বলে। কলকাতা শহরে একটি বড়ো জাদুঘর


22. ইতিহাসের উপাদান কাকে বলে ?

উঃ -পুরোনো দিনের ঘরবাড়ি, বাসনপত্র, পোশাক, মুদ্রা, গয়না, অস্ত্র-শস্ত্র, মূর্তি ইত্যাদি নানা রকম জিনিস থেকে পুরোনো দিনের কথা জানতে পারা যায়। এই জিনিস গুলোই পুরোনো দিনের সাক্ষ্য। এ গুলিকেই ইতিহাসের উপাদান বলা হয়। বলা যেতে পারে ইতিহাস একটি শরীর আর এইসব গুলি শরীরের হাড়। এই টুকরো টুকরো হাড় গুলো জুড়ে তৈরী হয় ইতিহাসের কঙ্কাল। তবে এগুলি সব সময় পাওয়া যায় না। অনেক কিছুই ভেঙে গিয়ে, মাটির নীচে চাপা পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। 




23. লেখমালা বলতে কী বোঝ ?

উঃ -প্রাচীনকালে পাথর বা ধাতুর উপর লিপি খোদাই করে লেখা হতো। এগুলিকে লেখমালা বলা হয়। যেমন -মৌর্য সম্রাট অশোকের লেখ গুলি লেখমালার শ্রেষ্ঠ নমুনা। 


24. প্রশস্তি বলতে কী বোঝ ?

উঃ -প্রশস্তি কথার অর্থ গুনগান করা। অনেক শাসকের গুনগানও লেখ হিসেবে খোদাই করা হতো। সেগুলোকে বলে প্রশস্তি। এগুলি থেকে বিভিন্ন শাসকের বিষয়ে বিভিন্ন কথা জানা যায়। যেমন -গুপ্ত সম্রাট সমুদ্র গুপ্তের এলাহাবাদ প্রশস্তি। 



25. প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনায় মুদ্রার গুরুত্ব আলোচনা কর। 

উঃ - প্রাচীন ভারতের ইতিহাস জানার জন্য মুদ্রা কাজে লাগে। মুদ্রায় শাসকের নাম, মূর্তি প্রভৃতি খোদাই করা থাকে। অব্দও পাওয়া যায় মুদ্রায়। এর ফলে মুদ্রা থেকে নানা রকম তথ্য জানতে পারা যায়। শক -কুষাণদের ইতিহাস তো তাদের মুদ্রা থেকেই জানা যায়। 



26. প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনায় বিদেশি বিবরণ ব্যবহারের সমস্যাগুলি লেখ 


উঃ -প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনায় বিদেশি সাহিত্য গুলি ব্যবহারের কয়েকটি সমস্যা রয়েছে। যেমনi) বিদেশিরা ভারতীয় উপমহাদেশের সংস্কৃতি বুঝতেন না। ফলে অনেক কিছুর মানে বুঝতে তাদের ভুল হয়েছিল।ii) অনেক লেখার মধ্যে পক্ষপাতিত্ব ছিল। 

iii) সাহিত্য গুলিতে সমাজের নীচু তলার মানুষের কথা বিশেষ নেই। এছাড়াও iv) অধিকাংশ সাহিত্যের বর্ণনা মনগড়া। 



 

-

য়। 





হয়ে গেছে। 


আছে। 


খল। 



় শতক। 


?

দ। 






গ। 



। 







র্কযুক্ত। 






। 




Ratings
No reviews yet, be the first one to review the product.