• SCHOOL BOARDS
  • WBBSE/WBCHSE
  • CLASS 8
  • HISTORY
  • WBBSE Class 8th History Chapter 1 ইতিহাসের ধারণা PART 2 সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর || Short Questions and Answers || প্রশ্নমান ২ ও ৩ || Class VIII 1st Chapter Itihaser Dharona short questions || অষ্টম শ্রেণি ইতিহাস প্রথম অধ্যায় ইতিহাসের ধারণা

WBBSE Class 8th History Chapter 1 ইতিহাসের ধারণা PART 2 সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর || Short Questions and Answers || প্রশ্নমান ২ ও ৩ || Class VIII 1st Chapter Itihaser Dharona short questions || অষ্টম শ্রেণি ইতিহাস প্রথম অধ্যায় ইতিহাসের ধারণা

Language : Bengali

LRNR provides this material totally free

WBBSE Class 8th History Chapter 1 ইতিহাসের ধারণা PART 2 সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর || Short Questions and Answers || প্রশ্নমান ২ ও ৩ || Class VIII 1st Chapter Itihaser Dharona short questions || অষ্টম শ্রেণি ইতিহাস প্রথম অধ্যায় ইতিহাসের ধারণা



সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর : সম্ভাব্য মান -২


১.ব্রিটিশরা ভারতে উপনিবেশ তৈরীর যুক্তি হিসেবে কী বলতেন ?

উঃ -ব্রিটিশ শাসক ভারতে উপনিবেশ তৈরীর যুক্তি দিত, ভারতবাসীরা অসভ্য। তাদের দেশে শিক্ষার অভাব, বিজ্ঞানের অভাব। তাই ব্রিটিশদের কর্তব্য হলো অসভ্য ভারতীয়দের সভ্য করে তোলা। তার জন্য ভারতে ব্রিটিশ শাসন কায়েম করা দরকার। তাই ব্রিটিশরা ভারতে সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে।


২.ইতিহাস জানা দরকার কেন ? অথবা স্কুলে ইতিহাস পড়ানো হয় কেন ?


উঃ -ইতিহাস শুধু রাজা-সম্রাটের নামে, সাল-তারিখ বা যুদ্ধের বর্ণনা নয়। ইতিহাসের মধ্যে মিশে আছে নানান যুক্তি তর্কের খতিয়ান। ইতিহাসের সাক্ষ্য হাজির করে নিজের পক্ষে -বিপক্ষে যুক্তি তর্ক করা যায়। তার জন্য দরকার ইতিহাস জানা। এই কারনে স্কুলে ইতিহাস পড়ানো হয়।


৩. মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কারের লেখা ইতিহাস বইটির ত্রুটি কী ?


উঃ -মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার ১৮০৮ খ্রিস্টাব্দে ‘রাজাবলি’ নামে যে ইতিহাস বইটি লেখেন তাতে তিনি সময় গণনা শুরু করেন মহাভারতের রাজা যুধিষ্ঠিরের কাল থেকে এবং শেষ করেন কলি যুগের সময় দিয়ে। যা আজ আর কেউ ইতিহাস লিখতে গিয়ে ‘কলি যুগের ইতিহাস’ শব্দটি ব্যবহার করে না। যেটা মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার করেছেন। 

তাছাড়া এই বইতে সব ঘটনার পিছনেই তিনি নানা অদ্ভুত সব যুক্তি দিয়েছেন। যেন সব কিছুকেই চালায় কোনো এক অদৃশ্য শক্তি।


৪. জেমস মিলের ভারতের ইতিহাস লেখার উদ্দেশ্য কী ছিল ?

উঃ -জেমস মিলের ‘History Of British India’নামে ভারতের ইতিহাস বইটি লেখার উদ্দেশ্য ছিল ভারতের অতীত কথাকে এক জায়গায় জড়ো করা। যাতে সেটা পড়ে ভারতবর্ষ বিষয়ে সাধারণ ধারণা পেতে পারে ব্রিটিশ প্রশাসনে যুক্ত বিদেশিরা। কারণ যে দেশ ও দেশের মানুষকে তারা শাসন করছে সেই দেশের ইতিহাস জানাটাও তাদের দরকার।


৫.ইতিহাসে ‘যুগ’ বলতে কী বোঝায় ?


উঃ -’যুগ’ বলতে একটা বড়ো সময়কে বোঝায়। প্রতিটি যুগের মানুষ ও তার জীবন যাপনের নানা রকম বৈশিষ্ট্য থাকে। সেই বৈশিষ্ট্য গুলি রাতারাতি পালটে যায় না। তাই সবসময় যুগ বদলের ধারাকে সময়ের হিসাবে ফেলা যায় না। 



৬.আধুনিক ভারতের ইতিহাসের উপাদান গুলি কী কী ?

উঃ -আধুনিক ভারতের ইতিহাসের উপাদান ও নানারকম। কারন আধুনিক সময়টা বর্তমানের অনেক কাছে বলে , উপাদানগুলি এখনও পাওয়া যায়, পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায় নি। এই উপাদান গুলি হলো -গত চার পাঁচশো বছরের পুরোনো কাগজপত্র, বই, আঁকা ছবি, মানচিত্র, পোস্টার, বিজ্ঞাপন, সংবাদপত্র, আত্মজীবনী, ফটোগ্রাফ ইত্যাদি।


৭.ইতিহাসের উপাদান হিসেবে আত্মজীবনী কতখানি নির্ভর যোগ্য ?

উঃ -ইতিহাসের উপাদান হিসেবে আত্মজীবনী ব্যবহার করা যেতে পারে তবে তা সরাসরি না করাই ভালো কারন, যিনি আত্মজীবনী লিখছেন, তিনি তাঁর নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি ও বিচার ধারা থেকেই সবকিছু ব্যাখ্যা করেছেন। ঐতিহাসিক যদি সেই ব্যাখ্যা পুরোপুরি মেনে নেন বিচার না করেই তাহলে সেই বক্তব্য একপেশে হয়ে যায়। এমনকি ভুল সিদ্ধান্তেও পৌঁছে যেতে পারেন ঐতিহাসিক। 



৮.সাম্রাজ্যবাদ কী ?

উঃ -’সাম্রাজ্যবাদ’ একটি প্রক্রিয়া। সেই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে একটি শক্তিমান দেশ অথবা রাষ্ট্র আরেকটি তুলনায় দূর্বল দেশ অথবা রাষ্ট্রের উপর প্রভুত্ব কায়েম করে তাকে নিজের দখলে আনে। দূর্বল দেশটির জনগণ, সম্পদ সবকিছুকেই শক্তিমান দেশ অথবা রাষ্ট্রটি নিজের প্রয়োজন মতো পরিচালনা করে।


৯.সাম্রাজ্যবাদের সাথে উপনিবেশবাদের সম্পর্ক কী ?

উঃ -সাম্রাজ্যবাদের সঙ্গে উপনিবেশবাদের যোগাযোগ স্পষ্ট। ধরা যাক ভারতের অর্থনীতি এক সময়ে ব্রিটিশ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির স্বার্থ মোতাবেক চলত। বাংলায় নীল চাষ করা হতো ইংল্যান্ডের কাপড় কলে নীলের চাহিদা মাথায় রেখে। তাতে করে বাংলার ধান, পাট প্রভৃতি চাষ নষ্ট হতো। বাংলায় অনাহার, দুর্ভিক্ষ দেখা দিত। এই যে একটি অঞ্চলের জনগণ ও সম্পদকে অন্য একটি অঞ্চলের স্বার্থে ব্যবহার করা এটাই উপনিবেশবাদের ও মূল কথা। ব্রিটেনের উপনিবেশ হিসাবে ভারতের কৃষিজ ফসল ব্রিটেনের স্বার্থে উৎপাদন হবে।


১০.ইতিহাসের উপাদান হিসেবে হিউমের জীবনী কতখানি নির্ভরযোগ্য ?

উঃ -ইতিহাসের উপাদান হিসেবে আত্মজীবনীকে সরাসরি ব্যবহার করার ঝুঁকি আছে। কারন যিনি আত্মজীবনী লিখছেন, তিনি তার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি ও বিচারধারা থেকেই সব কিছু ব্যাখ্যা করেছেন। ঐতিহাসিক যদি তা পুরোপুরি সত্য বলে মেনে তাহলে তিনি ভুল সিদ্ধান্তেও পৌঁছে যেতে পারেন। যেমন -উইলিয়াম ওয়েডারবার্ন অ্য়ালান অক্টোভিয়ান হিউমের যে জীবনী লিখেছেন তাতে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার কৃতিত্ব হিউমকেই দিয়েছেন। অথচ পরে দেখা গেছে যতটা কৃতিত্ব হিউমকে দেওয়া হয়েছে আদৌ ততটা কৃতিত্বের দাবিদার, হিউম নন। ঐতিহাসিক যদি ওয়েডারবার্নের কথা পুরোপুরি মেনে নিতেন, তাহলে এই নতুন বিশ্লেষণ পাওয়া যেত না। তাই ইতিহাসের উপাদান হিসেবে হিউমের জীবনী ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন প্রয়োজন।


১১.মিলের লেখা ইতিহাসের ত্রুটি গুলি লেখ?

উঃ -মিলের লেখা ইতিহাসের ত্রুটি গুলি হল -

প্রথমত, মিল ভারতের ইতিহাসের যে যুগ বিভাজন করেছেন তা ধর্মের ভিত্তিতে করেছেন -হিন্দু যুগ, মুসলিম যুগ ও ব্রিটিশ যুগ। ফলে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের মতো জৈন শাসক ও ঢুকে পড়ল হিন্দু যুগে আর মুঘল শাসক আকবরের মতো উদার শাসক ও আটকা পড়ল ধর্মের পরিচয়েদ্বিতীয়ত, মিল যে তিনটি ধাপের ছকে বেঁধে দিলেন ভারতের ইতিহাসকে -হিন্দু যুগ, মুসলিম যুগ ও ব্রিটিশ যুগ ধীরে ধীরে তা বদলে গেল প্রাচীন, মধ্য ও আধুনিক যুগে। বছরের পর বছর চলল এই ধাঁচেই ইতিহাস চর্চা। ফলে পলাশীর যুদ্ধ বা গান্ধিজির আন্দোলন সবকিছুই আধুনিক ভারতের ইতিহাসের খোপে ফেলে দেওয়ার অভ্যাস হয়ে গেল।


১২. আধুনিক ভারতের ইতিহাস রচনার উপাদানের প্রতুলতার কারন আলোচনা কর। 

উঃ -আধুনিক ভারতের ইতিহাস লেখার জন্য উপাদান ও নানারকম। এর কারণ -

বর্তমানের তুলনায় আধুনিক সময়টা অনেক কাছে হওয়ায় বিভিন্ন উপাদান এখনও হাতের কাছে পাওয়া যায়। গত চার-পাঁচশো বছরের কাগজপত্র, বই, আঁকা ছবি এখনও ততটা নষ্ট হয়নি। নানা বৈজ্ঞানিক উপায়ে সেই সব উপাদান রক্ষনাবেক্ষনের ব্যবস্থা করা গেছে। ফলে সমগ্র পৃথিবী জুড়েই আধুনিক সময়ের ইতিহাস লেখার উপাদানের বৈচিত্র অনেক বেশি। যার ব্যাতিক্রম ভারত -ইতিহাসও  নয়।



Thank You For Visiting 'LRNR.in' . You can also get here MCQs sets, Notes and Video Classes on Different subjects.

 

 

Ratings
No reviews yet, be the first one to review the product.