• SCHOOL BOARDS
  • WBBSE/WBCHSE
  • CLASS 9
  • HISTORY
  • তৃতীয় অধ্যায় ঊনবিংশ শতকের ইউরোপ : রাজতান্ত্রিক ও জাতীয়তাবাদী ভাবধারার সংঘাত - গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর Chapter 3 Unbingsho Sotoker Europe : Rajtantrik O Jatiyotabadi Bhabdharar Songhat

তৃতীয় অধ্যায় ঊনবিংশ শতকের ইউরোপ : রাজতান্ত্রিক ও জাতীয়তাবাদী ভাবধারার সংঘাত - গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর Chapter 3 Unbingsho Sotoker Europe : Rajtantrik O Jatiyotabadi Bhabdharar Songhat

Language : Bengali

The Note contains Textual Question Answers from WBBSE Class 9 History Chapter 3 Unbingsho Sotoker Europe: Rajtantrik O Jatiyotabadi Bhabdharar Songhat (তৃতীয় অধ্যায় ঊনবিংশ শতকের ইউরোপ : রাজতান্ত্রিক ও জাতীয়তাবাদী ভাবধারার সংঘাত). Read the Question Answers carefully. This Question Answer set from the WBBSE board provides quality Multiple Choice Questions (MCQ), Short Answer Type Questions (SAQ), and Long Answer Type Questions from the above chapter. By reading these, students will get a clear idea about that chapter. It will enhance their knowledge and enable them to get good marks in the board exams. 

Class 9 History Chapter 3 Unbingsho Sotoker Europe : Rajtantrik O Jatiyotabadi Bhabdharar Songhat (ঊনবিংশ শতকের ইউরোপ : রাজতান্ত্রিক ও জাতীয়তাবাদী ভাবধারার সংঘাত)

Short Answer Type Question (SAQ) from Unbingsho Sotoker Europe : Rajtantrik O Jatiyotabadi Bhabdharar Songhat

Long Answer Type Question from Unbingsho Sotoker Europe : Rajtantrik O Jatiyotabadi Bhabdharar Songhat,

Class 9 History Chapter 3 Unbingsho Sotoker Europe : Rajtantrik O Jatiyotabadi Bhabdharar Songhat,

নবম শ্রেণি ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায় ঊনবিংশ শতকের ইউরোপ : রাজতান্ত্রিক ও জাতীয়তাবাদী ভাবধারার সংঘাত,

নবম শ্রেণি ঊনবিংশ শতকের ইউরোপ : রাজতান্ত্রিক ও জাতীয়তাবাদী ভাবধারার সংঘাত সম্পূর্ণ আলোচনা ও অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তর,

নবম শ্রেণি ইতিহাস ঊনবিংশ শতকের ইউরোপ : রাজতান্ত্রিক ও জাতীয়তাবাদী ভাবধারার সংঘাত থেকে সংক্ষিপ্ত, রচনাধর্মী ও ব্যাখ্যা ধর্মী প্রশ্নোত্তর 


LRNR provides this material totally free

তৃতীয় অধ্যায় 

ঊনবিংশ শতকের ইউরোপ: রাজতান্ত্রিক ও জাতীয়তাবাদী ভাবধারার সংঘাত 


1. রক্ত ও লৌহ নীতির প্রবক্তা কে ?

উঃ - বিসমার্ক 

2. জাতীয়তাবাদ কী ?

উঃ -জাতীয়তাবোধের সঙ্গে দেশপ্রেম মিলিত যে রাজনৈতিক আদর্শ গড়ে ওঠে তাকে জাতীয়তাবাদ বলে। 

3. ভিয়েনা সম্মেলন কবে অনুষ্ঠিত হয় ? এই সম্মেলনের সভাপতি কে ছিলেন ?

উঃ - 1815 খ্রি:, এই সম্মেলনের সভাপতি ছিলেন মেটারনিখ। 

4. বিগফোর কোন কোন রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত ?

উঃ - অষ্ট্রিয়া, প্রাশিয়া, রাশিয়া ও ইংল্যান্ড নিয়ে। 

5. কাদের নেতৃত্বে প্রথম ‘জাতিরাষ্ট্র’ গঠিত হয় ?

উঃ - কাস্তিলের রানি ইসাবেল্লা ও আরাগোনের রাজা ফার্দিনান্দ এর নেতৃত্বে। 

6. ভিয়েনা সম্মেলনের নীতি গুলি কী কী ?

উঃ - ন্যায্য অধিকার নীতি, শক্তি সাম্য নীতি, এবং ক্ষতিপূরণ নীতি। 

7. কোন সময়কালকে মেটারনিখের যুগ বলা হয় ?

উঃ - 1815 - 1848 খ্রিস্টাব্দের মধ্যবর্তী সময়কালকে 

8. ইউরোপীয় শক্তি সমবায় কবে গঠিত হয় ?

উঃ -1815 খ্রি:

9. ট্রপো বৈঠক কবে অনুষ্ঠিত হয় ?

উঃ -1820 খ্রি:

10. কে, কবে কার্লস বার্ড ডিক্রি জারি করেন ?

উঃ -মেটারনিখ 1819 খ্রি:

11. ফেব্রুয়ারী বিপ্লব কবে হয় ?

উঃ - 1848 খ্রি:

12. জুলাই বিপ্লব কবে হয় ?

উঃ -1830 খ্রি:

13. বুরবোঁ বংশের পতনের পর কোন বংশ ফ্রান্সের সিংহাসনে বসেন ?

উঃ - অর্লিয়েন্স বংশের লুই ফিলিপ 

14. কোন ভারতীয় মনীষী জুলাই বিপ্লবের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল ?

উঃ - রাজা রামমোহন রায় 

15. অষ্টাদশ লুইয়ের মৃত্যুর পর কে ফ্রান্সের সিংহাসনে বসেন ?

উঃ - তার ভাই ডিউক অব আর্টেয়েট দশম চার্লস উপাধি নিয়ে। 

16. পলিগ্যানক কে ছিলেন ?

উঃ - দশম চার্লসের মন্ত্রী 

17. চার্টিস্ট আন্দোলন কোথায় শুরু হয় ?

উঃ - ইংল্যান্ডে 

18. কার ভাষায় ইতালী ছিল একটি ভৌগোলিক সংজ্ঞা মাত্র ?

উঃ - মেটারনিখ -এর 

19. ইয়ং ইতালি দল কে গঠন করে ?

উঃ - জোসেফ ম্যাৎসিনি 

20. কার্বোনারী কথার অর্থ কী ?

উঃ - জ্বলন্ত অঙ্গার 

21. জোলভেরেইন কী ?

উঃ - জার্মানির একটি শুল্ক সংঘ 

22. জার্মানিকে ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষেত্রে বিসমার্ক কটি যুদ্ধে অবতীর্ন হয় ? ও কী কী ?

উঃ - তিনটি যুদ্ধে, যথা - ডেনমার্কের সঙ্গে যুদ্ধ, অষ্ট্রিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ এবং ফ্রান্সের সঙ্গে যুদ্ধ। 

23. গ্রিসের একটি গুপ্ত সমিতির নাম লেখো। 

উঃ -হেটাইরিয়া ফিলিকে 

24. কবে, কাদের মধ্যে এড্রিয়ানোপলের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয় ?

উঃ - ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও রাশিয়ার মিলিত বাহিনী তুরস্ক আক্রমণ করলে, তুরস্ক পরাজিত হয়। 1829 খ্রিস্টাব্দে তুরস্কের সঙ্গে এই যৌথ বাহিনীর এড্রিয়ানোপলের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়। 

25. কে, কবে ভূমিদাস প্রথার অবসান ঘটান ?

উঃ -1861 খ্রি: দ্বিতীয় আলেকজান্ডার। 

26. সেডানের যুদ্ধ কবে, কাদের মধ্যে হয় ?

উঃ -1870 খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্স ও প্রাশিয়ার মধ্যে। 

27. স্যাডোয়ার যুদ্ধ কবে কাদের মধ্যে হয় ?

উঃ -1866 খ্রিস্টাব্দে অষ্ট্রিয়া ও প্রাশিয়ার মধ্যে। 

28. কে, কবে ‘এমস টেলিগ্রাম’ জারি করেন ?

উঃ -1817 খ্রি: বিসমার্ক। 

29. গ্রিসের স্বাধীনতা সংগ্রাম কবে হয় ?

উঃ -1828 খ্রিস্টাব্দে। 

30. ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের সময় ফ্রান্সের রাজা কে ছিলেন ?

উঃ - লুই ফিলিপ।  (নাগরিক রাজা )

SAQ :

1. জোলভেরেইন কী ?

উঃ - জার্মান রাজ্যগুলির অভ্যন্তরীন শুল্ক বৈষম্য ও বাণিজ্যের বাধাগুলি দূর করার উদ্দেশ্যে জার্মান অর্থনীতিবিদ মেজেনের উদ্যোগে এবং প্রাশিয়ার নেতৃত্বে বিভিন্ন জার্মান রাজ্যকে নিয়ে, 1819 খ্রিস্টাব্দে একটি শুল্ক সংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়, যা জোলভেরেইন নামে পরিচিত। 

2. ইউরোপীয় শক্তি সমবায় কী ?

উঃ - ভিয়েনা সম্মেলনের পরবর্তীকালে ইউরোপের শান্তি বজায় রাখা, ভিয়েনা সম্মেলনের সিদ্ধান্তগুলিকে কার্যকর করা প্রভৃতির জন্যে বৃহৎ শক্তিগুলি একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে এটি ইউরোপীয় শক্তি সমবায় নামে পরিচিত। 

3. রিসজি মেন্টো কী ?

উঃ - ইতালী ঐক্যবদ্ধ হওয়ার  আগে ইতালীয়দের মনে জাতীয় চেতনার সঞ্চার ঘটে তারা ইতালীতে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলে যা রিসজি মেন্টো নামে পরিচিত। 

 

4. রক্ত ও লৌহ নীতি কী ?

উঃ - প্রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বিসমার্ক প্রাশিয়ার নেতৃত্বে জার্মানির বিভিন্ন রাজ্যগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষেত্রে যে কঠোর যুদ্ধ বা সামরিক অভিযানের নীতি গ্রহণ করেন তা “রক্ত ও লৌহ নীতি” - নামে পরিচিত। 

5. এমস টেলিগ্রাম কী ?

উঃ - স্পেনের সিংহাসনে ভবিষ্যতে যাতে প্রাশিয়ার রাজবংশের কেউ না বসে সেই বিষয়ে প্রতিশ্রুতি আদায়ের উদ্দেশ্যে ফরাসি দূত কাউন্ট বেনিদিতি এমস নামক স্থানে প্রাশিয়ার রাজা প্রথম উইলিয়ামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রাশিয়ার রাজা প্রথম উইলিয়াম তাকে প্রতিশ্রুতি না দিয়ে বরং সাক্ষাৎকারের বিষয়টি টেলিগ্রাম যোগে প্রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বিসমার্ককে জানান। বিসমার্ক টেলিগ্রামটির কিছু শব্দ সুকৌশলে বাদ দিয়ে তা এমনভাবে সংবাদপত্রে প্রকাশ করেন যে এতে ফরাসিরা মনে করে প্রাশিয়ার রাজা ফরাসি দূতকে অপমান করেছেন। এটি এমস টেলিগ্রাম নামে পরিচিত। 

6. হেটাইরিয়া ফিলিকে কী ?

উঃ - গ্রিসের একটি গুপ্ত সমিতি হেটাইরিয়া ফিলিকে স্কুফাশ নামে জনৈক গ্রিক বণিক 1814 খ্রি: এর প্রতিষ্ঠা করেন। ইউরোপ থেকে তুরস্ককে বিতাড়িত করে গ্রিসের স্বাধীনতা অর্জন এবং প্রাচীন বাইজানটাইন সাম্রাজ্যের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা ছিল এই সমিতির উদ্দেশ্য। 

7. কাকে, কেন মুক্তিদাতা জার বলা হয় ?

উঃ - রুশ জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডারকে মুক্তিদাতা জার বলা হয়। জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার 1861 খ্রি: এক আইনের মাধ্যমে রাশিয়ার ভূমিদাসদের মুক্তি ঘোষণা করে। তাই তাকে ‘মুক্তিদাতা জার’ বলা হয়। 

8. দুজন রুশ সাহিত্যিকের নাম লেখ। 

উঃ - গোগল, গোর্কি, টলস্টয় 

9. বলশেভিক ও মেনশেভিক কথার অর্থ কী ?

উঃ - যথাক্রমে সংখ্যাগরিষ্ঠ ও সংখ্যালঘিষ্ঠ 

 

10. বলশেভিক দলের প্রতিষ্ঠাতা কে ? তাঁর লেখা গ্রন্থের নাম কী ?

উঃ - ভ্লাদিমির ইলিচ উলিয়ানভ লেনিন 

তাঁর লেখা গ্রন্থের নাম দ্য স্টেট এন্ড রেভেলিউশান অর্থাৎ রাষ্ট্র এবং বিপ্লব। 

11. মেনশেভিক দলের প্রতিষ্ঠাতা কে ?

উঃ - কেরেনস্কি 

12. আন ট্যু দ্য লাস্ট কার লেখা ?

উঃ - থেরোর 

13. এপ্রিল থিসিস কী ?

উঃ - রাশিয়ার 1917 খ্রি: বিপ্লবের দ্বারা বুর্জোয়া শ্রেণি শাসনক্ষমতা দখল করে। এই সময় বলশেভিক নেতা লেনিন নির্বাসন থেকে রাশিয়ায় ফিরে বলশেভিক কর্মীদের সামনে 16 ই এপ্রিল তার নিজস্ব চিন্তাধারা তুলে ধরেন। যা এপ্রিল থিসিস নামে পরিচিত। 

14. NEP কী ?

উঃ - বলশেভিক বিপ্লবের পর কৃষি ও শিল্পক্ষেত্রে বিপর্যয় দেখা দিলে বাস্তববাদী প্রেসিডেন্ট বিশুদ্ধ সমাজতন্ত্রের পথ থেকে সরে এসে এক নতুন অর্থনৈতিক পদক্ষেপ ঘোষণা করেন (1921 খ্রী:) যা NEP নামে পরিচিত। 

এতে বলা হয় - 

i) কৃষকদের উৎবৃত্ত ফসল কেড়ে নেওয়া হবে না। 

ii) রাষ্ট্রের কর্তৃত্বাধীনে জমিতে কৃষকদের মালিকানা থাকবে। 

iii) ছোটো ও মাঝারি শিল্পগুলিতে ব্যাক্তিগত মালিকানা বজায় থাকবে। 

iv) বৈদেশিক বাণিজ্য সরকারের হাতে থাকলেও অভ্যন্তরীন বাণিজ্য ব্যাক্তিগত হাতে থাকবে। 

15. “নভেম্বর বিপ্লব”-বলতে কী বোঝ ?

উঃ - কেরেনস্কির নেতৃত্বাধীনে রাশিয়ার বুর্জোয়া প্রজাতান্ত্রিক সরকার জনপ্রিয়তা হারালে বলশেভিক নেতা লেনিনের নির্দেশে এবং ট্রটস্কির নেতৃত্বে লালফৌজ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী পেট্রোগ্রাভ দখল করে নেয়। আতঙ্কিত কেরেনস্কি আমেরিকায় পালিয়ে যান এবং বলশেভিকরা প্রজাতান্ত্রিক সরকারের উচ্ছেদ ঘটিয়ে রাষ্ট্রের শাসন ক্ষমতা দখল করে। এই ঘটনা নভেম্বর বিপ্লব নামে পরিচিত। এটি রাশিয়ার পুরোনো ক্যালেন্ডার অনুযায়ী 25শে অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয় বলে, এটি অক্টোবর বিপ্লব নামে পরিচিত। 

16. সেরাজেভো হত্যাকান্ড বলতে কী বোঝ ?

উঃ - অষ্ট্রিয়ার অন্তর্গত স্লাভ জাতি অধ্যুসিত বসনিয়া রাজ্যের রাজধানী ছিল সেরাজেভো। অষ্ট্রিয়ার যুবরাজ ফার্দিনান্দ ও তার পত্নী সোফিয়া হাওয়া বদলের উদেশ্যে সেখানে গেলে সেখানকার সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ব্ল্যাক হ্যান্ডের সদস্য ন্যাভরিলো প্রিন্সেফের হাতে নিহত হলে অষ্ট্রিয়া সার্ভিয়াকে চরম পত্র দিলে সার্ভিয়া তা মেনে নিতে অস্বীকার করে যার পরিণতিতেই প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সূত্রপাত হয়। 

17. চোদ্দদফা নীতি কী ?

উঃ - বিশ্বে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র রক্ষার উদ্দেশ্যে মার্কিন রাষ্ট্রপতি উড্রো উইলসন 1918 খ্রি: 8 ই জানুয়ারী মার্কিন কংগ্রেসে যে সুনির্দিষ্ট  14টি শর্ত ঘোষণা করেন তা চোদ্দ দফা নীতি নামে পরিচিত। 

18. পোলিশ করিডর কী ?

উঃ - পোল্যান্ড যাতে সমুদ্রের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারে সে উদ্দেশ্যে ভার্সাই সন্ধির দ্বারা পোল্যান্ডকে জার্মানির মধ্য দিয়ে একটি রাস্তা দেওয়া হয়। এটি পোলিশ করিডর নামে পরিচিত। 

19. হুভার স্থগতিকরন কী ?

উঃ - আমেরিকা তথা বিশ্বে অর্থনৈতিক সংকটের (1929-1933 খ্রি: ) পরিপ্রেক্ষিতে সংকট থেকে বিশ্বকে মুক্ত করার উদ্দেশ্যে মার্কিন রাষ্ট্রপতি হারবার্ট ক্লার্ক হুভার  (1929-1933 খ্রি: ) ঘোষণা করেন যে, 1831 খ্রিস্টাব্দের  1 লা জুলাই থেকে পরবর্তী  1 বছরের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পারস্পরিক ক্ষতিপূরণ প্রদাত্ত ও মার্কিন ঋণশোধ স্থগিত থাকবে। এই ঘোষণা “হুভার স্থগতিকরন” নামে পরিচিত। 

20. নাৎসিবাদ ও ফ্যাসিবাদের মধ্যে সাদৃশ্য কী ?

উঃ - i) গণতন্ত্র ও প্রজাতন্ত্রের ঘোর বিরোধী। 

ii) একনায়ক তন্ত্রের উগ্র সমর্থক। 

iii) বিরোধী দলের কণ্ঠরোধ করার বিষয়ে অতি সক্রিয়। 

iv) কমিউনিস্ট মতবাদের ঘোর শত্রু। 

21. কীভাবে স্পেনের গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটে ?

উঃ - 1937 খ্রিস্টাব্দে জাতিসংঘ স্পেন থেকে সমস্ত বিদেশী সৈন্য সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। কিন্তু জার্মানি বা ইটালী লিগের সদস্য না হওয়ায় এই প্রস্তাবকে অমান্য করে। অবশেষে জেনারেল ফ্রাঙ্কো মাদ্রিজে প্রবেশ করে জাতীয়তাবাদ সরকার গঠন করে। ফ্রাঙ্কো স্পেনের রাষ্ট্রপ্রধান হন। 1939 খ্রি: এপ্রিলে প্রায় তিন বছর ধরে চলা রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটে। 

22. রুশিকরণ নীতি কী ?

উঃ -রোমানভ বংশীয় জার শাসিত রাশিয়াতে শতকরা 20 ভাগ ছিল পোল, ফিন, তুর্কি, জোর্জিও, আরমিনিও, ইউক্রেনিয় নানা জাতি গোষ্ঠীর মানুষ।1905 খ্রি: বিপ্লবের পর জার সরকার ওই জাতিগুলির উপর রুশভাষা, সংস্কৃতি, ও ক্রিস্টি চাপিয়ে দেয়। যা “রুশিকরণ নীতি” নামে পরিচিত। 

23. হেরেনভক তত্ত্ব কী ?

উঃ - হিটলার মনে করতেন জার্মানি একমাত্র বিশ্বের আর্যরক্তের অধিকারি। তাই বিশ্বে জাতিগত দিক থেকে তারাই প্রভু বা হেরেনভক এইকারনে অন্যান্য জাতির উপর আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করার অধিকার রয়েছে। এই তত্ত্ব হেরেনভক তত্ত্ব নামে পরিচিত। 

24. NEP-এর পুরো নাম কী ?

উঃ - New Economic Policy.

রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর : 

1. ফ্রান্সে ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের কারণ। 

উঃ - 1848 খ্রি: ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের ফলে ফরাসি সম্রাট লুই ফিলিপ -এর পতন ঘটে এবং ফ্রান্সে দ্বিতীয় ফরাসি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। এই বিপ্লবের কারণ -

i) বুর্জোয়াদের আধিপত্য : লুই ফিলিপের শাসনকালে ফ্রান্সে বুর্জোয়া শ্রেণীর চূড়ান্ত আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়। ফলে দরিদ্র কৃষক ও শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। 

ii) জনসমর্থনের অভাব : লুই ফিলিপের প্রতি জনসমর্থনের খুবই অভাব ছিল। নেপোলিয়ান বোনাপার্টের অনুগামী, ক্যাথোলিক, প্রজাতন্ত্রী, ন্যায্য অধিকার নীতির সমর্থক প্রভৃতির কেউই তার সিংহাসন লাভ পছন্দ করেনি। 

iii) ত্রুটিপূর্ণ বিদেশনীতি : লুই ফিলিপ শান্তি রক্ষা করা নীতি গ্রহণ করেন। পোল্যান্ড, ইতালী, বেলজিয়াম, মিশর, তুরস্ক প্রভৃতি দেশে ফরাসি আধিপত্য প্রতিষ্ঠার ব্যাপক সুযোগ থাকলেও তিনি তা গ্রহণ করেন নি। ফলে দেশবাসী ক্ষুব্ধ হয়। 

iv) শ্রমিকদের ক্ষোভ : ফ্রান্সে শ্রমিকদের অধিক সময় খাটানো, কম মজুরি প্রদান, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস প্রভৃতির ফলে জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে কিন্তু সরকার তাদের দুর্দশা মোচনের কোনো চেষ্টা করেনি। 

v) আর্থিক দুরবস্থা : 1840 -এর দশকে ফ্রান্সে খরা, শস্যহানি, খাদ্যাভাব, শিল্প ও বাণিজ্যে মন্দা, বেকার সমস্যা প্রভৃতি তীব্র আকার ধারণ করে। সরকার এই অর্থনৈতিক সংকটের সমাধানে ব্যর্থ হয়। 

vi) ভোটাধিকারের দাবী : থিয়ার্স, লা মার্টিন প্রমুখ নেতা ভোটাধিকার সম্প্রসারণ আইনসভা নির্বাচনে দুর্নীতি বন্ধ করার দাবী জানিয়ে আন্দোলন শুরু করে.

2. মেটারনিখ পদ্ধতি অথবা মেটারনিখ ব্যবস্থা বলতে কী বোঝ ?

অষ্ট্রিয়ার প্রধানমন্ত্রী প্রিন্স ক্লেমেন্স মেটারনিখ ছিলেন সমকালীন ইউরোপীয় রাজনীতির উজ্জ্বলতম নক্ষত্র। 1815 থেকে 1848 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়কালে ইউরোপীয় রাজনীতিতে তিনি ছিলেন প্রধান নিয়ন্ত্রক। এজন্য ঐতিহাসিক ফিসার এই সময়কালকে “মেটারনিখের যুগ” বলে অভিহিত করেছেন। 

মেটারনিখ ব্যবস্থা - মেটারনিখ যতদিন অষ্ট্রিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ততদিন অষ্ট্রিয়ার এবং 1815 খ্রিস্টাব্দ থেকে ভিয়েনা সম্মেলনের সিদ্ধান্তের দ্বারা ইউরোপের অন্যান্য দেশে বিভিন্ন তীব্র রক্ষণশীল পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তাঁর রাজনৈতিক পদক্ষেপ গুলির প্রধান উদ্দেশ্য ছিল -

i) ইউরোপে বিপ্লবের পূর্ববর্তী রাজনৈতিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা। 

ii) ফরাসি বিপ্লবপ্রসূত উদারতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র প্রভৃতি প্রগতিশীল ভাবধারার অগ্রগতি রোধ করা। 

iii) অষ্ট্রিয়ার স্বার্থসিদ্ধি করা এবং ইউরোপে অষ্ট্রিয়ার প্রাধান্য বজায় রাখা। এই নীতি বাস্তবায়িত করার উদ্দেশ্যে মেটারনিখ অষ্ট্রিয়া তথা ইউরোপে যে দমনমূলক নীতি চালু করেন তা মেটারনিখ ব্যবস্থা নামে পরিচিত। 

3. জার্মানিতে নাৎসিবাদের উত্থানের কারন গুলি লেখ। 

i) ভাইমার প্রজাতন্ত্রের দুর্বলতা : জন্মকাল থেকেই ভাইমার প্রজাতন্ত্র জটিল সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল। ঐতিহাসিক রাইকার একে “আগ্নেয়গিরির  উপর নৃত্য” বলে বর্ণনা করেছেন। ভার্সাই সন্ধিকে মানতে ভাইমার প্রজাতান্ত্রিক সরকার বাধ্য হয়েছিল তাই ভাইমার সরকার জনপ্রিয়তা হারায়। 

ii) ক্ষতিপূরণের বোঝা : যুদ্ধবিদ্ধস্ত জার্মানির ওপর মিত্রপক্ষ যে বিপুল পরিমান ক্ষতির বোঝা চাপিয়ে দিয়েছিল তা দেওয়া জার্মানির পক্ষে সম্ভব ছিল না। ফ্রান্স ও বেলজিয়াম 1923 খ্রী : জার্মানির রূঢ় অঞ্চল দখল করে নেয়, ফলে জার্মানির জনগণ ক্ষুব্ধ হয়। 

iii) অর্থনৈতিক দুরবস্থা : যুদ্ধবিধ্বস্ত জার্মানি ক্ষতিপূরণের বোঝার চাপে একেবারে পঙ্গু হয়ে পড়ে। মুদ্রাস্ফীতি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, জার্মানিদের অর্থনৈতিক জীবনকে এক চরম সংকটের মুখে দাঁড় করায়। 

iv)  রাজনৈতিক অস্থিরতা : প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ফলে জার্মানিতে খাদ্যাভাব, বেকারত্ব, অর্থনৈতিক সংকট দেখা দেওয়ায় জার্মানির সমস্ত মানুষ চরম দুর্দশার সম্মুখীন হয়। এই সময় (1919-1933 খ্রি: ) জার্মানিতে 19 টি মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছিল। এই রাজনৈতিক অস্থিরতাও সাধারণ মানুষকে ক্ষুব্ধ করে তুলেছিল। 

v) হিটলারের অবদান : 1930 খ্রিস্টাব্দের পর প্রজাতান্ত্রিক দলগুলির মধ্যে দ্বন্দ্ব চলতেই থাকে। এই সংকটজনক অবস্থাতে হিটলারের উদ্ভব হয়। তিনি প্রচার করেন ভার্সাই সন্ধিকে পরিবর্তন করবেন, জার্মানি অর্থনীতিকে সুদৃঢ় করবেন, বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবেন। তার এই তীব্র প্রচারে জার্মানির জনগণ দলে দলে তার অনুগামীতে পরিণত হয়। প্রকৃতপক্ষে হিটলার ছিলেন “Master of mass emotion”.

1932 খ্রী: জার্মান সংসদ নির্বাচনে হিটলারের নাৎসি দল একক বৃহত্তম দলে পরিণত হয়।  

1933  খ্রি: তিনি জার্মানির প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হন। 1938 খ্রি: তিনি রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হন। এরপর তিনি নিজেকে “ফ্যুয়েরার বা প্রধান নেতা” বলে ঘোষণা করেন।এভাবে জার্মানিতে নাৎসিবাদের উত্থান ঘটে। 





Ratings
No reviews yet, be the first one to review the product.