• SCHOOL BOARDS
  • WBBSE/WBCHSE
  • CLASS 9
  • HISTORY
  • পঞ্চম অধ্যায় বিংশ শতকে ইউরোপ - গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর Chapter 5 Bingsho Sotoke Europe

পঞ্চম অধ্যায় বিংশ শতকে ইউরোপ - গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর Chapter 5 Bingsho Sotoke Europe

Language : Bengali

The Note contains Textual Question Answers from WBBSE Class 9 History Chapter 5 Bingsho Sotoke Europe (পঞ্চম অধ্যায় বিংশ শতকে ইউরোপ). Read the Question Answers carefully. This Question Answer set from the WBBSE board provides quality Multiple Choice Questions (MCQ), Short Answer Type Questions (SAQ), and Long Answer Type Questions from the above chapter. By reading these, students will get a clear idea about that chapter. It will enhance their knowledge and enable them to get good marks in the board exams. 

Class 9 History Chapter 5 Bingsho Sotoke Europe (বিংশ শতকে ইউরোপ )

Short Answer Type Question (SAQ) from Bingsho Sotoke Europe

Long Answer Type Question from Bingsho Sotoke Europe,

Class 9 History Chapter 5 Bingsho Sotoke Europe,

নবম শ্রেণি ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় বিংশ শতকে ইউরোপ,

নবম শ্রেণি বিংশ শতকে ইউরোপ সম্পূর্ণ আলোচনা ও অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তর,



নবম শ্রেণি ইতিহাস বিংশ শতকে ইউরোপ থেকে সংক্ষিপ্ত, রচনাধর্মী ও ব্যাখ্যা ধর্মী প্রশ্নোত্তর

LRNR provides this material totally free

পঞ্চম অধ্যায় 

বিংশ শতকে ইউরোপ 

1. কোন সময়কালকে স্বশস্ত্র শান্তির যুগ বলে ?

উঃ -1870 থেকে  1914 খ্রিস্টাব্দের মধ্যবর্তী সময়কালকে। 

2. প্রথম বিশ্বযুদ্ধ কবে হয় ?

উঃ - প্রথম বিশ্বযুদ্ধ 1914 - 1918

ত্রিশক্তি আঁতাত - ইংল্যান্ড, রাশিয়া, ফ্রান্স 

ত্রিশক্তি মৈত্রী - জার্মানি, অষ্ট্রিয়া, ইতালি 

3. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ প্রতিপক্ষ কারা কারা ?

উঃ -দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ (1939-1945)

মিত্র শক্তি - ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, রাশিয়া, আমেরিকা 

অক্ষ শক্তি - ইতালি, জার্মানি, জাপান 

4. ফ্যাসিবাদের উত্থান কোথায়, কার নেতৃত্বে হয় ?

উঃ - মুসোলিনির নেতৃত্বে ইতালিতে। 

5. কার নেতৃত্বে, কোথায় নাৎসিবাদের উত্থান হয় ?

উঃ - জার্মানিতে, হিটলারের নেতৃত্বে 

6. ফ্যাসিবাদ কথাটি কোথা থেকে এসেছে ?

উঃ - ইতালি শব্দ ‘ফ্যাসিও’ থেকে, যার অর্থ একগুচ্ছ কাষ্মদন্ড। 

7. “ম্যেইন ক্যাম্প’ কে, কবে লিখেছিলেন ?

উঃ -1925 সালে হিটলার। 

8. নাৎসিবাহিনীর প্রতীক চিহ্ন কী ছিল ?

উঃ - স্বস্তিকা 

9. রাশিয়ার রাজাদের কী বলা হয় ?

উঃ - জার 

10. রুশ বিপ্লব কবে হয় ?

উঃ -1917 খ্রি:

11. রুশ বিপ্লবের সময় রাশিয়াতে কোন বংশ রাজত্ব করত ?

উঃ - রোমানভ 

12. রাশিয়াতে রোমানভ বংশ কতদিন চলেছিল ?

উঃ -300 বছরেরও বেশি। 

13. ‘জার পিটার দ্য গ্রেট’ কে ছিলেন ?

উঃ - আধুনিক রাশিয়ার জনক। 

14. কার আমলে নারদনিক আন্দোলন শুরু হয় ?

উঃ - জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার 

15. ‘মিল’ কী ?

উঃ - রাশিয়ার একটি গ্রাম্য সমিতি 

16. জারতন্ত্র -বলতে কী বোঝ ?

উঃ - 1613 খ্রিস্টাব্দে রাশিয়ায় রোমানভ বংশের প্রতিষ্ঠা করেন মিথাইল রোমানভ। এই বংশের রাজারা জার এবং রাণীরা জারিনা উপাধি গ্রহণ করতেন। এই বংশের রাজাদের শাসন জারতন্ত্র নামে পরিচিত। 

17. “রক্তাক্ত রবিবার”- সম্পর্কে কী জান ?

উঃ -1905 খ্রিস্টাব্দের  9ই জানুয়ারী রবিবার রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে প্রায় 6000 শ্রমিক শান্তিপূর্ণ মিছিল করেন। শ্রমিকদের দাবী ছিল -

1. রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তিদান। 

2. সংবিধান সভা আহ্বান। 

3. শ্রমিকদের কাজের সময় 8 ঘন্টা নির্ধারণ। 

এই মিছিলে জারের পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালালে 1000 এর বেশি শ্রমিক নিহত এবং  2000 এর বেশি আহত হয়। এই ঘটনা “রক্তাক্ত রবিবার” নামে পরিচিত। 

শ্রমিকদের এই মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ফাদার গ্যাপন নামে এক ধর্ম যাজক। পরে জানা যায় যে তিনি পুলিশের চর ছিলেন। 

18. কালো সন্ত্রাসের রাজত্ব বলতে কী বোঝ ?

উঃ - 1905 খ্রিস্টাব্দে বিপ্লবের ব্যর্থতার পর রুশ জার দ্বিতীয় নিকোলাসের প্রধানমন্ত্রী পিটার্স স্টোলিপিন দেশে এক ভয়াবহ সন্ত্রাসের শাসন কায়েম করেন। তিনি জেল থেকে ব্ল্যাক হ্যানড্রেড নামক কুখ্যাত অপরাধীদের মুক্তি দিয়ে তাদের সহায়তায় জার বিরোধী শ্রমিক ও কৃষকদের উপর চূড়ান্ত সন্ত্রাস শুরু করেন। এটি কালো সন্ত্রাসের রাজত্ব বা স্টোলিপিন প্রতিক্রিয়া নামে পরিচিত। 

19. বলশেভিক দলের মুখপাত্র ছিল কে ?

উঃ - প্রাভদা 

20. সোভিয়েত পার্লামেন্টের নাম কী ?

উঃ - ডুমা 

21. রাশিয়ার নৈরাজ্যবাদী চিন্তাবিদ ছিলেন কে ?

উঃ - বুকানিন 

22. ইসক্রা পত্রিকাটি প্রকাশ করেন কে ?

উঃ - লেনিন 

23. নভেম্বর বিপ্লবের প্রধান নেতা ছিলেন কে ?

উঃ -লেনিন 

24. লাল ফৌজ প্রতিষ্ঠা করেন কে ?

উঃ - ট্রটস্কি 

25. মুসোলিনির উপাধি ছিল কী ?

উঃ - ইলডুচে 

26. রাশিয়ার প্রথম রাষ্ট্রপতি কে ?

উঃ - লেনিন 

27. বিশ্বের প্রথম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র কী ?

উঃ - রাশিয়া 

28. হিটলারের তৈরি নাৎসি দলের পুরো নাম কী ?

উঃ - ন্যাশনাল সোশালিস্ট জার্মান ওয়াকারস পার্টি। 

29. নতুন অর্থনৈতিক নীতি (NEP) ঘোষণা করেন কে ?

উঃ - লেনিন। 

30. মুসোলিনি ইতালিতে ক্ষমতালাভ করেন কত খ্রিস্টাব্দে ?

উঃ -1922 খ্রি:

31. 14 দফা শর্ত ঘোষণা করেন কে ?

উঃ - উড্রো উইলসন। 

32. ফ্যাসেস কথার অর্থ কী ?

উঃ - শক্তি 

33. দামের যুদ্ধ ঘোষণা করেন কে ?

উঃ - মুসোলিনি 

34. হাইমার প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় কোন দেশে ?

উঃ - জার্মানি 

35. হিটলার 1935 খ্রিস্টাব্দে কোন স্থান দখল করে ?

উঃ - সার -অঞ্চল 

36. হিটলারের প্রচার সচিব ছিলেন কে ?

উঃ - গোয়েবনেস 

37. স্পেনের গৃহযুদ্ধে বিদ্রোহী নেতা ছিলেন কে ?

উঃ - জেনারেল ফ্রাঙ্কো 

38. স্পেনে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কে ?

উঃ -জেনারেল ফ্রাঙ্কো 

39. আভান্তি পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন কে ?

উঃ -মুসোলিনি 

40. নাৎসি দলের গুপ্ত পুলিশ বাহিনীর নাম কী ?

উঃ - গেস্টাপো 

41. রাশিয়ায় কে রোমানভ বংশ প্রতিষ্ঠা করেন ?

উঃ - মিখাইল রোমানভ 

42. শ্রমিকের বন্ধু কাকে বলা হয় ?

উঃ - তৃতীয় নেপোলিয়ান। 

43. থার্ড সেক্সান কী ?

উঃ - রাশিয়ার কুখ্যাত পুলিশবাহিনী 

44. এপ্রিল থিসিস কে, কবে প্রকাশ করে ?

উঃ - 1917 খ্রি: লেনিন 

45. নারদনিক শব্দের অর্থ কী ?

উঃ - জনগনের আন্দোলন 

46. ব্রোস্ট লিটভস্কের সন্ধি কবে, কাদের মধ্যে হয় ?

উঃ - 1918 খ্রি: রাশিয়া ও জার্মানির মধ্যে। 

47. কোন গ্রন্থকে নাৎসি বাইবেল বলা হয় ?

উঃ - মেইন ক্যাম্প 

48. কত খ্রিস্টাব্দে বিশ্ব অর্থনৈতিক মহামন্দা দেখা গেছে ?

উঃ -1929

49. কবে, কাদের মধ্যে কমিসান বিরোধী চুক্তি হয় ?

উঃ - 1 836 খ্রি: জার্মানি ও জাপান 

50. ব্ল্যাক শার্টস কাদের বলা হয় ?

উঃ - মুসোলিনির ফ্যাসিস্ট দলের সব সদস্যরা কালো রঙের পোশাক পড়ত বলে তাদের ব্ল্যাক শার্টস বলা হত। 

51. কে, কেন নিউডিল  ঘোষণা করে ?

উঃ - আমেরিকাকে অর্থনৈতিক সংকট থেকে মুক্ত করার জন্য মার্কিন রাষ্ট্রপতি রুজভেল্ট নিউডিল ঘোষণা করে। 

52. হেরেনকক তত্ত্বের প্রবক্তা কে ?

উঃ - হিটলার 

53. কোন সন্ধিকে জবরদস্তিমূলক সন্ধি বলা হয় ?

উঃ - ভার্সাই 

54. ইসাস্কা শব্দের অর্থ কি ?

উঃ - স্ফুলিঙ্গ 

55. জার্মানি কোন জাতির অন্তর্গত ছিল ?

উঃ - আর্য 

56. ইতালির মুদ্রা কী ?

উঃ - লিভ্রা 

57. জাতিসংঘের জনক কে ?

উঃ - উড্রো উইলসন 

58. মুসোলিনির জাতিসংঘের সদস্যরা সদস্যপদ ত্যাগ করেন কবে ?

উঃ -1937 খ্রি:

58. জাতি সংঘ কবে প্রতিষ্ঠিত হয় ?

উঃ-1920 খ্রী:

59. কে, কবে প্রথম জার উপাধি গ্রহণ করেছিল ?

উঃ-1547 খ্রী: রাজা চতুর্থ আইভান 

60. কার সময়কালে রাশিয়ায় নৈরাজ্যবাদী আন্দোলন হয় ?

উঃ- জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার 

61. কত খ্রী: রাশিয়ায় সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক ওয়াকার্স পার্টি গঠিত হয় ?

উঃ-1898 খ্রী: 

রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর :

1. রক্ত ও লৌহনীতি বলতে কী বোঝ ? বিসমার্ক কীভাবে এই নীতির সাহায্যে জার্মানিকে ঐক্যবদ্ধ করেন ?

উঃ- 1848-49 খ্রি: জার্মানিতে জাতীয়তাবাদী ঐক্য আন্দোলনের ব্যর্থতা থেকে কয়েকটি বিষয় প্রমাণিত হয়। নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে জার্মানির ঐক্যসাধন সম্ভব নয়। প্রাশিয়ার নেতৃত্বেই জার্মানির ঐক্য সম্ভব। তাই প্রাশিয়ার রাজা প্রথম উইলিয়াম, বিসমার্ককে প্রধানমন্ত্রী পদে নিযুক্ত করেন। 

রক্ত ও লৌহ নীতি : প্রধানমন্ত্রী বিসমার্কের উদ্দেশ্য ও নীতি ছিল খুব জোরালো। তিনি ছিলেন রাজতন্ত্রে বিশ্বাসী সামরিক বাহিনীর ব্যয় বরাদ্দের প্রশ্নে রাজার সঙ্গে প্রাশিয়ার সংসদের বিরোধ দেখা যায়। রাশিয়ার সংসদের অর্থসংক্রান্ত কমিটিতে বলেছিলেন সংখ্যা গরিষ্ঠের মতামত নয় বরং একমাত্র সামরিক শক্তি রক্ত ও লৌহনীতি দ্বারাই সমস্ত সমস্যার সমাধান সম্ভব। বিসমার্কের এই নীতি রক্ত ও লৌহ নীতি নামে পরিচিত। 

বিসমার্কের নেতৃত্বে জার্মানির ঐক্যকরণ ছিল তিন অঙ্কের নাটকের মতো। রুদ্ধশ্বাসে পরপর তিনটি যুদ্ধের মাধ্যমে দ্রুততার সঙ্গে এই কাজ সম্পন্ন হয়। 

ডেনমার্কের সঙ্গে যুদ্ধ : বিসমার্কের নেতৃত্বে জার্মানির ঐক্যের প্রথম পদক্ষেপ ছিল ডেনমার্কের সঙ্গে প্রাশিয়ার যুদ্ধ। ডেনমার্কের দক্ষিণে স্লেজউইক ও হলস্টেইন নামে দুটি ডাচি রাজ্য জার্মানির রাজ্য সীমার মধ্যে অবস্থিত হলেও, তা ডেনমার্কের অধীনে ছিল। এই দুটি প্রদেশ দখলের জন্য বিসমার্ক অষ্ট্রিয়ার সঙ্গে মিলিত হয়ে ডেনমার্কের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে তাকে অনায়াসে পরাজিত করে। 1865 খ্রিস্টাব্দে গ্যাস্টিনের সন্ধির দ্বারা স্থির হয় স্লেজউইক পাবে প্রাশিয়া এবং হলস্টেইনের উপর কর্তৃত্ব থাকবে অষ্ট্রিয়ার। 

স্যাডোয়ার যুদ্ধ : 1866 খ্রিস্টাব্দে অষ্ট্রিয়া স্লেজউইক ও হলস্টেইনের প্রশ্নটি কনফেডারেশানের ডায়েডের নিকট উপস্থিত করলে, গ্যাস্টিনের সন্ধির বিরোধী এই অভিযোগে প্রাশিয়া হলস্টেইনে সৈন্য প্রেরণ করেন। এর প্রতিবাদে অষ্ট্রিয়ার নেতৃত্বে ডায়েড প্রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। 1866 খ্রিস্টাব্দে স্যাডোয়ার যুদ্ধে অষ্ট্রিয়া চূড়ান্তভাবে পরাজিত হয়। এর ফলে জার্মানির উপর অষ্ট্রিয়ার প্রভূত্ব চূর্ণ হয়। 

সেডানের যুদ্ধ : স্যাডোয়ার যুদ্ধের ফলে জার্মান ঐক্য আংশিকভাবে সম্পন্ন হয়েছিল। বিসমার্ক বুঝেছিলেন যে জার্মানিকে ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষেত্রে ফ্রান্সই প্রধান অন্তরায় তাই ফ্রান্সকে বিচ্ছিন্ন করে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে বিসমার্ক যুদ্ধের অজুহাত খুঁজতে থাকেন। শীঘ্রই স্পেনের সিংহাসন নিয়ে ফ্রান্স ও প্রাশিয়ার মধ্যে এক বিবাদ উপস্থিত হয়। এই বিবাদের সূত্র ধরেই এমস টেলিগ্রামকে কেন্দ্র করে বিসমার্ক এমন অবস্থার সৃষ্টি করে ফ্রান্স নিজেই প্রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। ইউরোপীয় শক্তিগুলি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ফ্রান্স সহজেই প্রাশিয়ার কাছে পরাজিত হয়। এরপর ফ্রান্স 1871 খ্রিস্টাব্দে অপমানজনক ফ্রাঙ্কফোর্ডের সন্ধি মেনে নিতে বাধ্য হয় এবং এই সন্ধি অনুযায়ী আলসাস ও লোরেন জার্মানিকে হস্তান্তর করতে বাধ্য হয়। 

2. ভিয়েনা সম্মেলনের মূল নীতি লেখ। 

অষ্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনাতে 1815 খ্রিস্টাব্দে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলন ভিয়েনা সম্মেলন নামে পরিচিত। ঐতিহাসিক কোটেলবি বলেছেন যে ভিয়েনা সম্মেলনের নেতৃবৃন্দ ইউরোপের পুনর্গঠনের উদ্দেশ্যে মূল তিনটি নীতি গ্রহণ করেন। সেগুলি হল -

ন্যায্য অধিকার নীতি : এই নীতি দ্বারা বংশানুক্রমিক রাজতন্ত্র গুলির দেশ শাসনের অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়েছিল এবং বলা হয়েছিল ফরাসি বিপ্লবের আগে ইউরোপের বিভিন্ন রাজ্যে যে সকল রাজবংশ রাজত্ব করেছিল সেই রাজবংশের হাতে তাদের রাজ্যগুলি ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এই নীতি প্রয়োগের দ্বারা ফ্রান্সে বুরবোঁ বংশ, হল্যান্ডে অরেঞ্জ বংশের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়। কিন্তু সবক্ষেত্রে এই নীতি মানা হয়নি। জার্মানি প্রায় 300 টি ছোটো ছোটো রাজ্যে বিভক্ত ছিল। নেপোলিয়ান সেগুলিকে যুক্ত করে 39 টি রাজ্যে পরিণত করেছিল তাই ভিয়েনা সম্মেলনে এই নীতি বহাল রইল। 

ii) ক্ষতিপূরণ নীতি : অষ্ট্রিয়া, রাশিয়া, ইংল্যান্ড, সুইডেন সহ বিভিন্ন দেশ নেপোলিয়ানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে প্রচুর ক্ষতি স্বীকার করেছিল। এই ক্ষতিপূরণের উদ্দেশ্যে তারা ভিয়েনা সম্মেলনে ক্ষতিপূরণ নীতির দ্বারা বিভিন্ন ভূখন্ড নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়। 

ক্ষতিপূরণ নীতির দ্বারা অষ্ট্রিয়া, প্রাশিয়া, রাশিয়া, ইংল্যান্ড ও সুইডেন বিভিন্ন ভূখন্ড লাভ করেন। অষ্ট্রিয়া উত্তর ইতালির লম্বার্ডি, পোল্যান্ডের কিছু অংশ লাভ করে। প্রাশিয়া পোজেন, থর্ন, ভানজিগ ও রাইন অঞ্চল লাভ করে, রাশিয়া লাভ করে পোল্যান্ডের বেশিরভাগ অংশ, ফিনল্যান্ড এবং তুরস্কের বেসারাবিয়া এবং ইংল্যান্ড লাভ করে ভূমধ্যসাগরের মাল্টা, ত্রিনিদাদ, মরিশাস ও সিংহল। 

iii) শক্তিসাম্য নীতি : ফ্রান্স ভবিষ্যতে যাতে শক্তি বৃদ্ধি করে ইউরোপের শান্তি ভঙ্গ করতে না পারে সেই উদ্দেশ্যে ভিয়েনা সম্মেলনে শক্তিসাম্য নীতি গ্রহণ করা হয়। এই নীতি দ্বারা ফ্রান্সকে বিপ্লবের পূর্ববর্তী রাজনৈতিক সীমানায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ফ্রান্সের সেনা -বাহিনী ভেঙ্গে দেওয়া হয়। ফ্রান্সে পাঁচ বছরের জন্য মিত্রপক্ষের সেনাদল মোতায়েন করা হয় ও ফ্রান্সের উপর সত্তর কোটি ফ্রাঙ্ক ক্ষতিপূরণের বোঝা চাপানো হয়। 



Ratings
No reviews yet, be the first one to review the product.