• SCHOOL BOARDS
  • WBBSE/WBCHSE
  • CLASS 9
  • HISTORY
  • ষষ্ঠ অধ্যায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও তারপর - গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর Chapter 6 Dwitiya Biswajuddha O Tarpor (Second World War)

ষষ্ঠ অধ্যায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও তারপর - গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর Chapter 6 Dwitiya Biswajuddha O Tarpor (Second World War)

Language : Bengali

The Note contains Textual Question Answers from WBBSE Class 9 History Chapter 6 Dwitiya Biswajuddha O Tarpor (ষষ্ঠ অধ্যায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও তারপর). Read the Question Answers carefully. This Question Answer set from the WBBSE board provides quality Multiple Choice Questions (MCQ), Short Answer Type Questions (SAQ), and Long Answer Type Questions from the above chapter. By reading these, students will get a clear idea about that chapter. It will enhance their knowledge and enable them to get good marks in the board exams. 

Class 9 History Chapter 6 Dwitiya Biswajuddha O Tarpor, (ষষ্ঠ অধ্যায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও তারপর),

Short Answer Type Question (SAQ) from Dwitiya Biswajuddha O Tarpor,

Long Answer Type Question from Dwitiya Biswajuddha O Tarpor,

Class 9 History Chapter 6 Dwitiya Biswajuddha O Tarpor,

নবম শ্রেণি ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও তারপর,

নবম শ্রেণি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও তারপর সম্পূর্ণ আলোচনা ও অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তর,

নবম শ্রেণি ইতিহাস দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও তারপর থেকে সংক্ষিপ্ত, রচনাধর্মী ও ব্যাখ্যা ধর্মী প্রশ্নোত্তর 


LRNR provides this material totally free

CLASS 9

HISTORY

ষষ্ঠ অধ্যায় 

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও তারপর - গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর 



1. তানাকা মেমোরিয়াল কী ?

উঃ - জাপানের প্রধানমন্ত্রী তানাকা ছিলেন একজন কট্টর সাম্রাজ্যবাদী। তিনি 1927 খ্রিস্টাব্দে জাপানের সম্রাটের কাছে দেওয়া এক প্রতিবেদনে বলেন যে পূর্ব এশিয়ার সমস্যার সমাধানের জন্য যুদ্ধনীতি গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন এই প্রতিবেদনই তানাকা মেমোরিয়াল নামে পরিচিত। 

2. মিউনিখ চুক্তি কবে, কাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় ?

উঃ - মিউনিখ চুক্তি 1938 খ্রি:  29 শে সেপ্টেম্বর ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী চেম্বারলেন, ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী দালাদিয়ের, ইতালির রাষ্ট্রপ্রধান মুসোলিনি এবং জার্মানির রাষ্ট্রপ্রধান হিটলারের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। 

3. আনলুস কী ?

উঃ - ইউরোপের যেখানে যেখানে জার্মান জাতির মানুষ বসবাস করে তাদের জার্মান জাতীয়তাবাদের স্বার্থে একত্রিত হওয়া প্রয়োজন অর্থাৎ সেই স্থান গুলিকে জার্মানির অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এই নীতি আনমলুস নীতি নামে পরিচিত। 

4. আন্টি কমিন্টার্ন চুক্তি কবে, কাদের মধ্যে কেন স্বাক্ষরিত হয় ?

উঃ - 1936 খ্রিস্টাব্দে জার্মানি ও জাপানের মধ্যে  আন্টি কমিন্টার্ন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। 1937 খ্রিস্টাব্দে ইতালি এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। এই চুক্তির উদ্দেশ্য ছিল রাশিয়ার কমিউনিজম তথা সাম্যবাদের বিরুদ্ধে শক্তি বৃদ্ধি করা। 

5. ভি-ডে বা মুক্তি দিবস কী ?

উঃ - 1944 খ্রিস্টাব্দের 6 ই জুন সম্মিলিত মিত্রবাহিনী ফ্রান্সের উত্তরে নর্ম্যান্ডি উপকূলে অবতরণ করে এবং জার্মানির বিরুদ্ধে এক তীব্র আক্রমন চালায়। এই দিনটিকে ভি-ডে বলে অভিহিত করা হয়। 

6. বিজয় দিবস কী ?

উঃ - দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানি 7 ই মে 1945 খ্রিস্টাব্দে মিত্র বাহিনীর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে এই কারনে  8 ই মে সমগ্র ইউরোপে বিজয় দিবস পালন করা হয়। 

7. জাতিসংঘের ব্যর্থতার দুটি কারণ লেখ। 

উঃ -i) বিভিন্ন শক্তিশালী রাষ্ট্রের পারস্পরিক স্বার্থের সংঘাতে জাতিসংঘ ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়েছিল।  ii) জাতিসংঘের সভায় কোনো বিরোধের মীমাংসার ক্ষেত্রে সকল সদস্যকে একমত হতে হত। 

8. যৌথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা কী ?

উঃ - জাতিসংঘের কোনো সদস্যরাষ্ট্র আক্রান্ত হলে অন্যসকল সদস্যরাষ্ট্র আক্রান্ত রাষ্ট্রকে যৌথ ভাবে রক্ষা করার দায়িত্ব নেবে। এবং বিশ্ব শান্তি স্থাপনের জন্য প্রচেষ্টা চালাবে। জাতিসংঘের এই উদ্দেশ্য যৌথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নামে পরিচিত। 

9. ক্যাশ এন্ড ক্যারি নীতি কী ?

উঃ - দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর প্রায় দুবছর পরে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলির প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে ওই দেশগুলিকে অর্থের বিনিময়ে সমরাস্ত্র ও সমরোপকরণ বিক্রি করার যে নীতি গ্রহণ করেছিল তা ক্যাশ এন্ড ক্যারি নীতি নামে পরিচিত। 

10. লেন্ডলীজ আইন কী ?

উঃ - 1941 খ্রি: মার্চ মাসে আমেরিকার রাষ্ট্রপতি রুজভেল্ট, মার্কিন সেনেটে মিত্রপক্ষ যুক্ত দেশগুলিকে সমস্ত প্রকার সমরাস্ত্র, রসদ, অর্থ প্রভৃতি সাহায্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, এক আইন পাস করে। যা লেন্ডলীজ আইন নামে পরিচিত। 

11. জাপান কেন পার্লহারবার আক্রমন করেছিল ?

উঃ - জাপানের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ক বরাবরই ছিল তীক্ততার। এই তীক্ততার চরম বহিঃপ্রকাশ ছিল পার্লহারবার আক্রমন। আমেরিকা জাপানকে চিন ও ইন্দোচিন থেকে সেনাবাহিনী সরাতে বলেছিল জাপান  তারই প্রত্যুত্তরে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের মার্কিন নৌঘাঁটি পার্লহারবার আক্রমন করে। 

12. প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষার জন্য যে সংস্থা গড়ে ওঠে তার নাম কী ?

উঃ - জাতিসংঘ (1920 খ্রি:)

13. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য যে সংস্থা গড়ে ওঠে তার নাম কী ?

উঃ - সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ ( 1945 খ্রি:)

14. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় গড়ে ওঠা দুটি পরষ্পর বিরোধী জোটের নাম লেখ ?

উঃ - মিত্রশক্তি - ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র 

        অক্ষশক্তি - জার্মানি, ইতালি, জাপান 

15. তোষণ নীতির প্রবক্তা কে ?

উঃ - ওল্ডউইন 

16. তোষণনীতি কারা  গ্রহণ করেছিল ?

উঃ - ইংল্যান্ড, ফ্রান্স 

17. ঠান্ডা লড়াই কাদের মধ্যে হয় ?

উঃ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন 

18. ঠান্ডা লড়াই শব্দের উদ্ভাবক কে ?

উঃ - বার্নার্ড বারুজ 

19. ঠান্ডা লড়াই শব্দটি কে প্রয়োগ করেন ?

উঃ - ওয়াল্টার লিপম্যান 

20. তৃতীয় বিশ্ব কী ?

উঃ - সদ্য ও স্বাধীনতা প্রাপ্ত অর্থনৈতিক দিক থেকে অনুন্নত দেশগুলিকে তৃতীয় বিশ্ব বলা হয়। 

21. জোট নিরপেক্ষ নীতি কী ?

উঃ - দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর গোটা বিশ্ব দুটি শক্তিজোটে বিভক্ত হয়ে যায়। রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন যথাক্রমে সমাজতান্ত্রিক জোট ও পুঁজিবাদী জোট। এই দুটি জোটের বাইরে বেশ কিছু দেশ স্বাধীনভাবে তাদের পররাষ্ট্রনীতি পরিচালনা করে, যা জোটনিরপেক্ষনীতি নামে পরিচিত। 

22. জোট নিরপেক্ষভুক্ত দেশগুলির নাম ও সেই দেশের নেতার নাম লেখ। 

উঃ - ভারত - জওহরলাল নেহেরু, চীন - চৌ এন লাই, মিশর - গামাল আব্দেল নাসের, যুগোশ্লোভিয়া - মার্শাল টিটো, ঘানা - নক্রুমা, ইন্দোনেশিয়া- ড : সুকর্ণ  

23. পঞ্চশীল চুক্তি কবে, কাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় ?

উঃ -1954 খ্রি: ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু ও চীনের প্রধানমন্ত্রী চৌএন লাই এর মধ্যে। 

24. হিটলার কবে পোল্যান্ড আক্রমণ করে ?

উঃ - 1939 খ্রি: 1 লা জুলাই 

25. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কবে শুরু ও শেষ হয় ?

উঃ - 1939- 1945 খ্রি:

26. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মার্কিন রাষ্ট্রপতি কে ছিলেন ?

উঃ - রুজভেল্ট 


27. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আমেরিকা জাপানের উপর কবে পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় ? বোমাদুটি কোন কোন শহরে ফেলা হয় ? এবং বোমাদুটির নাম লেখ ?

উঃ - 1945 খ্রি: বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। 

6 ই আগস্ট - হিরোশিমা শহরে 

9 ই আগস্ট - নাগাসাকি শহরে 

বোমাদুটির নাম হলো যথাক্রমে - লিটল বয় ও ফ্যাট ম্যান। 


28. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অস্ত্রশস্ত্রের প্রকৌশলগত পরিবর্তনের পরিচয় দাও। 

উঃ - ভয়াবহতা ও ধ্বংসের পরিমাপের বিচারে এখনও পর্যন্ত বিশ্ব ইতিহাসের ভয়ংকরতম যুদ্ধ হলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ( 1939- 1945 খ্রি:)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অস্ত্রশস্ত্রের প্রকৌশলগত পরিবর্তন : 

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে এবং যুদ্ধ চলাকালীন বিশ্বের শক্তিধর রাষ্ট্রগুলি যুদ্ধাস্ত্রের প্রকৌশলগত ব্যাপক উন্নয়ন ও পরিবর্তন ঘটাতে সম্ভব হয়। 

i) প্রচেষ্টা : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বিভিন্ন দেশ অত্যন্ত শক্তিশালী নতুন নতুন মারণাস্ত্র তৈরিতে তৎপর হয়ে ওঠে। কোনো দেশ বা কোম্পানির তৈরি করা অস্ত্রকে প্রতিযোগিতায় পিছনে ফেলে দেওয়ার উদ্দেশ্যে অন্যদেশ বা কোম্পানি আরও নতুন উন্নত ও শক্তিশালী অস্ত্রশস্ত্র ও সামরিক উপকরণ তৈরির অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যায়। 

ii) জার্মানির অস্ত্রশস্ত্র : জার্মানির ‘ব্লিৎসক্রিগ’ নামক ঝটিকা আক্রমণের রণকৌশল প্রয়োগ করে এবং বোমারু বিমান, ইউ বোট, চুম্বক মাইন প্রভৃতি ব্যবহার করে যুদ্ধের প্রথমদিকে অভাবনীয় সাফল্য লাভ করে। জার্মান ছত্রী সেনা বিমান থেকে লাফ দিয়ে হল্যান্ডের বিভিন্ন স্থান দখল করে নেয়। ফ্রান্সের নদী-নালা ও জঙ্গলে পূর্ণ দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের উপর দিয়ে ফ্রান্সের অভ্যন্তরে প্রবেশের উদ্দেশ্যে জার্মান ইঞ্জিনিয়ারগন এখানে দ্রুত অস্থায়ী পুল তৈরি করে ফেলে। এই পথে জার্মান ট্যাংক ও প্যানৎসার বা যান্ত্রিক বাহিনী ফ্রান্সে প্রবেশ করে। 

iii) মিত্রশক্তির অস্ত্রশস্ত্র : এই যুদ্ধে মিত্রশক্তি হ্যান্ড গান, অত্যাধুনিক রাইফেল, দুরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, মেশিনগান, ট্যাংক, জঙ্গি বিমান, ট্যাংক ও বিমান বিধ্বংসী অস্ত্র, গ্রেনেড লঞ্চার, মাইন, মর্টার প্রভৃতি অস্ত্র ব্যবহার করে। এইসময় দুরপাল্লার অত্যাধুনিক কামান, অত্যাধুনিক ট্যাংক, সাবমেরিন বা ডুবোজাহাজ, জেট ইঞ্জিন চালিত যুদ্ধ বিমান, চুম্বক মাইন প্রভৃতি সামরিক উপকরণ তৈরি হয়। জার্মানির বিমান ব্যবহার করা হয়। 

iv) ম্যানহ্যাটান প্রকল্প : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ভয়ংকর শক্তিশালী পারমাণবিক বোমা তৈরির উদ্দেশ্যে আমেরিকা বিপুল অর্থব্যয়ে ‘ম্যানহ্যাটান প্রকল্প’ হাতে নেয়। এর ফলশ্রুতিতে আমেরিকা পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে সক্ষম হয়। এই যুদ্ধেই সর্বপ্রথম পারমাণবিক বোমা ব্যবহৃত হয়। আমেরিকা 1945 খ্রি: 6 ই আগস্ট হিরোশিমা শহরে এবং 9 ই আগস্ট  নাগাসাকি শহরে পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। 


29. মার্শাল পরিকল্পনা কী ?

উঃ - আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রসচিব জর্জ মার্শাল 1947 খ্রিস্টাব্দের 5 ই জুন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বক্তৃতায় যুদ্ধ বিদ্ধস্ত ইউরোপের আর্থিক পুনরুজ্জীবনের উদ্দেশ্যে একটি পরিকল্পনা পেশ করে, যা মার্শাল পরিকল্পনা নামে পরিচিত। 

30. ট্রুম্যান নীতি কী ?

উঃ - 1947 খ্রি: 12ই মার্চ  মার্কিন রাষ্ট্রপতি হ্যারি ট্রুম্যান বিশ্বের যেকোনো দেশে রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মার্কিন কংগ্রেসে এক বক্তৃতায় সামরিক ও আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেন। এই ঘোষণাই ট্রুম্যান নীতি বা ট্রুম্যান ডকট্রিন নামে পরিচিত। 


31. ফুলটন বক্তৃতা কী ?

উঃ -1946 খ্রি:  5 ই মার্চ ইংল্যান্ডের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চার্চিল আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ফুলটন শহরের ওয়েস্ট মিনিস্টার কলেজে যে বক্তৃতা দিয়েছিলেন তা ফুলটন বক্তৃতা নামে পরিচিত। 

এই বক্তৃতার মূলকথা ছিল - সোভিয়েত রাশিয়া ক্রমে সমগ্র ইউরোপকে গ্রাস করে নেবে। তাই আমেরিকার উচিত পূর্ব ইউরোপে রাশিয়ার অগ্রগতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। 


32. “ঠান্ডা লড়াই”- কী ?

উঃ - ঠান্ডা লড়াই বলতে দুইপক্ষের মধ্যে কোনো প্রত্যক্ষ সংঘর্ষ বোঝায় না। ঠান্ডা লড়াই হলো কূটনৈতিক স্তরে প্রতিনিধিদের মাধ্যমে সংঘটিত পরোক্ষ লড়াই। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধত্তর কালে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে এই ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়েছিল। 


33. NATO কী ?

উঃ - ভ্যান্ডেনবার্গ প্রস্তাব অনুসারে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপের 12 টি দেশের সঙ্গে একটি যৌথ সামরিক চুক্তি গঠন করে। এই চুক্তিটি NATO নামে পরিচিত। NATO গঠিত হয় 1949 খ্রিস্টাব্দে । 


34. আন্তর্জাতিকতাবাদ কী ?

উঃ - আন্তর্জাতিকতাবাদ হলো এমন এক অনুভূতি যা ব্যক্তিকে বিশ্ব সৌভ্রাতৃত্ববোধে উদ্দীপ্ত করে। এই মতবাদে ব্যাক্তি শুধু নিজ রাষ্ট্র নয়, নিজেকে বিশ্বের নাগরিক বলে মনে করে। 


35. ভার্সাই সন্ধির কটি ধারা ছিল ?

উঃ - 440 টি 

36. ভার্সাই চুক্তি কবে স্বাক্ষরিত হয় ?

উঃ - 24 শে জুন 1919 

37. প্যারিস সম্মেলন কবে অনুষ্ঠিত হয় ?

উঃ - 1919 খ্রি: 

38. পোলিশ করিডর কী ?

উঃ - পোল্যান্ডের রাষ্ট্রসীমার মধ্যে দিয়ে ভ্যানজিগ অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য একটি সংযোগ ভূমি। 

39. অপারেশন বারবারোসা কী ?

উঃ - হিটলারের রাশিয়া আক্রমণের সাংকেতিক নাম হল অপারেশন বারবারোসা। 

40. স্ট্যালিনগ্রাদের যুদ্ধ কবে হয় ?

উঃ - 17 ই জুলাই 1942- 2 রা ফেব্রুয়ারি 1943 খ্রি: 

41. তৃতীয় বিশ্ব কথাটি প্রথম কে ব্যবহার করেন ?

উঃ - ফ্র্যানজ ফ্যানন 

42. রাডার পর্দা কে তৈরি করেন ?

উঃ - ব্রিটেনে ওয়াটসন ওয়াট এর প্রচেষ্টা 

43. সভ্যতা সংকট কার লেখা ?

উঃ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 

44. রবীন্দ্রনাথ তার কোন প্রবন্ধে উগ্র জাতীয়তাবাদের সমালোচনা করেছেন ?

উঃ - সভ্যতা সংকট 

45. লেনিনগ্রাদ, সোভিয়েত রাশিয়ার কোন জারের রাজধানী ছিল ?

উঃ - জার পিটার দ্য গ্রেট 


46. ব্রিটেন ও ফ্রান্স তোষণনীতি কেন গ্রহণ করেছিল ? এর পরিণতি কী ছিল ?

তোষণনীতি : বিংশ শতাব্দীর তৃতীয় দশকে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স ইউরোপীয় একনায়কতন্ত্রী শক্তি অর্থাৎ ইতালী ও জার্মানির আগ্রাসী মনোভাবের প্রতিরোধ না করে তাদের প্রতি যে আপোষনীতি ও নমনীয় মনোভাব গ্রহণ করেছিল তা তোষণনীতি নামে পরিচিত। ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ওল্ডউইন এই নীতির প্রথম প্রয়োগ করলেও পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী চেম্বারলেন এই নীতির ব্যাপক প্রয়োগ ঘটান। 

তোষণনীতির গ্রহণের কারণ : ইতালিতে ফ্যাসিবাদ ও জার্মানিতে নাৎসিবাদের উথ্থানের ফলে অন্যান্য ইউরোপীয় শক্তিগুলি বিশেষত ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স ভীত হয়ে পরে। সোভিয়েত রাশিয়ার সাম্যবাদের প্রসার রোধ করতে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স জার্মানির প্রতি তোষণনীতি গ্রহণ করে। হিটলারও ছিলেন উগ্র সাম্যবাদ বিরোধী। তাই ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স মনে করত হিটলারকে সাহায্য করলে রাশিয়াকে শায়েস্তা করা যাবে। তাছাড়া তোষণনীতি গ্রহণের পক্ষে অন্য উল্লেখযোগ্য কারনগুলি হল -

i) ভার্সাই সন্ধির কঠোরতা : ভার্সাই সন্ধিতে জার্মানির উপর যেমন চরম অবিচার করা হয়েছে তেমন ইটালিকেও বিমুখ করা হয়েছে। ইঙ্গ- ফরাসি শক্তি মনে করেছিল নাৎসিবাদ ও ফ্যাসিবাদ ভার্সাই সন্ধির কুফল। স্বাভাবিকভাবে জার্মানি ও ইতালিকে কিছু সুযোগ -সুবিধা দিলে তা গণতন্ত্রের পক্ষে মঙ্গলই হবে। 

ii) সাম্যবাদের প্রসাররোধ: ইঙ্গ- ফরাসি শক্তির কাছে নাৎসিবাদ ও সাম্যবাদ দুইই বিপদজনক হলেও সাম্যবাদকে তারা বেশি ভয়ংকর মনে করত। তাদের মতে হিটলারের থেকে স্ট্যালিন আরও খারাপ। তাদের আশা হিটলার রাশিয়াকে আক্রমণ করলে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স এর সঙ্গে সঙ্গে ইউরোপেও শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে। 

পরিণতি : 

i) হিটলারের শক্তিবৃদ্ধি : ইঙ্গ- ফরাসি শক্তি জার্মানিকে খুশি করে ইউরোপের শান্তি প্রতিষ্ঠার কথা ভেবেছিল। এই কারনে তারা জার্মানির প্রতি তোষণনীতি গ্রহণ করেছিল। কিন্তু ইঙ্গ- ফরাসি শক্তির এই তোষণনীতি জার্মান শাসক হিটলারের ক্ষমতা, আত্মবিশ্বাস ও রাজ্য জয়ের লিপ্সা আরও বৃদ্ধি করে। 

ii) উপসংহার : তোষণনীতি যে একটি ভ্রান্তনীতি ছিল তা এভাবে প্রমাণ হলো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য তাই ইঙ্গ- ফরাসি শক্তির জার্মান তোষণনীতির বদলে ইঙ্গ- ফরাসি শক্তি হিটলারের প্রতি কঠোর মনোভাব গ্রহণ করলে হয়তো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এড়ানো যেত। 



Ratings
No reviews yet, be the first one to review the product.