- SCHOOL BOARDS
- WBBSE/WBCHSE
- CLASS 9
- HISTORY
- সপ্তম অধ্যায় জাতিসংঘ এবং সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ - গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর Chapter 7 Jatisangha Ebong Sommilito Jatipunjo
সপ্তম অধ্যায় জাতিসংঘ এবং সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ - গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর Chapter 7 Jatisangha Ebong Sommilito Jatipunjo
Language : Bengali
The Note contains Textual Question Answers from WBBSE Class 9 History Chapter 7 Jatisangha Ebong Sommilito Jatipunjo (সপ্তম অধ্যায় জাতিসংঘ এবং সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ). Read the Question Answers carefully. This Question Answer set from the WBBSE board provides quality Multiple Choice Questions (MCQ), Short Answer Type Questions (SAQ), and Long Answer Type Questions from the above chapter. By reading these, students will get a clear idea about that chapter. It will enhance their knowledge and enable them to get good marks in the board exams.
Class 9 History Chapter 7 Jatisangha Ebong Sommilito Jatipunjo, (সপ্তম অধ্যায় জাতিসংঘ এবং সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ),
Short Answer Type Question (SAQ) from Jatisangha Ebong Sommilito Jatipunjo,
Long Answer Type Question from Jatisangha Ebong Sommilito Jatipunjo,
Class 9 History Chapter 7 Jatisangha Ebong Sommilito Jatipunjo,
নবম শ্রেণি ইতিহাস সপ্তম অধ্যায় জাতিসংঘ এবং সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ,
নবম শ্রেণি জাতিসংঘ এবং সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ, সম্পূর্ণ আলোচনা ও অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তর,
নবম শ্রেণি ইতিহাস জাতিসংঘ এবং সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ, থেকে সংক্ষিপ্ত, রচনাধর্মী ও ব্যাখ্যা ধর্মী প্রশ্নোত্তর
LRNR provides this material totally free
সপ্তম অধ্যায়
জাতিসংঘ এবং সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ
1. সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ কবে প্রতিষ্ঠিত হয় ?
উঃ - 1945 খ্রি:
2. জাতিসংঘের উত্তরসূরি প্রতিষ্ঠান বলা হয় কাকে ?
উঃ - সম্মিলিত জাতিপুঞ্জকে
3. জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিব কে ছিলেন ?
উঃ - এরিক ট্রম্যান
4. জাতিপুঞ্জের প্রথম মহাসচিব কে ?
উঃ - ট্রিগভিলি
5. জাতিপুঞ্জের বর্তমান মহাসচিব কে ?
উঃ - আন্তেনিও গুতেস
6. জাতিপুঞ্জের প্রথম অশ্বেতাঙ্গ মহাসচিব কে ?
উঃ - কোফি আন্নান
7. মহাসচিবের কার্যকালের মেয়াদ কত ?
উঃ - 5 বছর
8. জাতিপুঞ্জের প্রধান উদ্দেশ্য কী ?
উঃ - আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা।
9. জাতিপুঞ্জের উদ্দেশ্য ও নীতির সংখ্যা কয়টি ?
উঃ - 4 টি উদ্দেশ্য ও 7 টি নীতি
10. জাতিপুঞ্জের কটি ধারা ?
উঃ - 111 টি
11. জাতিপুঞ্জের বর্তমান সদস্য কয়টি দেশ ?
উঃ - 193 টি
12. জাতিপুঞ্জের সদস্য নয় এমন রাষ্ট্রের নাম লেখ।
উঃ - কোসোভো, তাইওয়ান, আইভরি কোস্ট
13. জাতিপুঞ্জের কয়টি অঙ্গ ও কী কী ?
উঃ - ছয়টি অঙ্গ - i) সাধারণ সভা, ii) নিরাপত্তা পরিষদ, iii) সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিষদ, iv) আন্তর্জাতিক বিচারালয়, v) সচিবালয়, vi) অছি পরিষদ
14. জাতিপুঞ্জ দিবস কবে পালিত হয় ?
উঃ - 10 ই ডিসেম্বর
15. জাতিপুঞ্জের সাধারণ সভার সদস্য কত ?
উঃ - 193 জন
16. সাধারণ সভার সদস্যরাষ্ট্র কতজন প্রতিনিধি পাঠাতে পারেন ?
উঃ - 5 জন
17. সাধারণ সভার বার্ষিক অধিবেশন কবে বসে ?
উঃ - প্রতিবছর সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় মঙ্গলবার।
18. নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান কাজ কী ?
উঃ - আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করা
19. নিরাপত্তা পরিষদের মোট সদস্য রাষ্ট্র কয়টি ?
উঃ - স্থায়ী পাঁচ ও অস্থায়ী দশ, মোট পনেরো
20. নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রগুলির নাম লেখ।
উঃ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, চিন এবং রাশিয়া
21. ভেটো ক্ষমতা কী ?
উঃ - নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যদের বিল বাতিল করার ক্ষমতা হলো ভেটো ক্ষমতা।
22. সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিষদের মোট সদস্য কত ?
উঃ - 54 টি
23. সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিষদের দুটি বিশেষজ্ঞ সংস্থার নাম লেখ।
উঃ - আই. এল. ও, W.T.O, UNICEF ইত্যাদি
24. I.L.O -এর পুরো নাম লেখ।
উঃ - International Labour Organization
25. W.T.O -এর পুরো নাম কি ?
উঃ - World Trade Oraganization
26. UNESCO -এর পুরো নাম লেখ।
উঃ - United Nation Educational Scientific and Cultural Organization
27. সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিষদের সদস্যদের কার্যকালের মেয়াদ কত ?
উঃ - 3 বছর
28. বিশ্বে কটি অছি অঞ্চল আছে ?
উঃ - একটিও নেই
29. অছি পরিষদের সদস্যরাষ্ট্রের নাম লেখ।
উঃ - 5 টি, যথা - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, চিন ও রাশিয়া
30. আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের বিচারপতির সংখ্যা কয়টি ?
উঃ - 15 টি
31. আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের বিচারপতির কার্যকালের মেয়াদ কত ?
উঃ - 9 বছর
32. আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের এলাকাকে কয়ভাগে ভাগ করা হয় ও কী কী ?
উঃ - 3 টি, যথা - আধা আবস্থি এলাকা, পরামর্শদান এলাকা, এবং স্বেচ্ছাধীন এলাকা
33. আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত ?
উঃ - নেদারল্যান্ডের হেগ শহরে
34. আটলান্টিক চার্টার কী ?
উঃ - 1941 খ্রি: মার্কিন রাষ্ট্রপতি রুজভেল্ট ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চার্চিল আটলান্টিক মহাসাগরে ভাসমান প্রিন্স অফ ওয়েলস নামক যুদ্ধ জাহাজে মিলিত হয়ে যে সনদ স্বাক্ষর করে তা আটলান্টিক চার্টার নামে পরিচিত।
35. সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের উদ্দেশ্যগুলি কী কী ?
উঃ -জাতিপুঞ্জের সনদের প্রথমধারার 4 টি অনুচ্ছেদ, যথা - 1) জাতিপুঞ্জ আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য চেষ্টা করবে এবং কোনো আক্রমণের সম্ভাবনা ও শান্তিভঙ্গের আশঙ্কা প্রতিরোধের জন্য মিলিত ভাবে চেষ্টা চালাবে, 2) জাতিপুঞ্জ বিভিন্ন জাতির সমানাধিকার ও বিশ্বে শান্তি সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতিপুঞ্জ সমস্ত জাতির আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারকে মর্যাদা দেবে, 3) জাতিপুঞ্জ বিশ্বের অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মানবিক সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করে যাবে, 4) প্রথম উদ্দেশ্য সাধনের জন্য জাতিপুঞ্জ বিভিন্ন দেশের কাজের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে।
36. সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের নীতিগুলি লেখ।
উঃ - সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের মৌলিক 7 টি নীতি আছে। যথা - i) সাম্যনীতির ওপর সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা, ii)সনদে ঘোষিত দায়িত্ব পালন, iii) শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে বিবাদের মীমাংসা iv) সংযম বজায় রাখা v) সাহায্যের অঙ্গীকার vi) বিশ্বশান্তি রক্ষা vii) রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীন বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা।
37. জাতিসংঘের মুখ্য অঙ্গ কয়টি ও কী কী ?
উঃ - 5 টি, যথা - i) সাধারণ সভা ii) লিগ পরিষদ iii) সচিবালয় iv) স্থায়ী আন্তর্জাতিক বিচারালয় v) আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা।
38. জাতিসংঘের সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত ?
উঃ - জেনেভাতে
39. জাতিসংঘের খসড়া সংবিধান কী নামে পরিচিত ?
উঃ - লিগ কমেনান্ট
40. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের সদস্য হয়নি কেন ?
উঃ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে অস্ত্র প্রতিযোগিতায় নেতৃত্ব দিয়েছিল।
41. জাতিপুঞ্জের মহাসচিবের অধীনে কটি বিভাগ নিয়ে সচিবালয় গঠিত হয় ?
উঃ - প্রায় 8 টি
42. কতগুলি সদস্যদেশ নিয়ে জাতিসংঘের যাত্রা শুরু হয়েছিল ?
উঃ - প্রায় 40 টি দেশ
43. জাতিসংঘের সাধারণসভার কাজকর্ম পরিচালনা করেন কে ?
উঃ - মহাসচিব
44. সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সাধারণ সভার প্রধান কাজ কী ?
উঃ - সাধারণ সভা বিতর্কের মধ্যে দিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে বিশ্ব জনমত গঠনের কাজ করে।
1. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারন লেখ।
i) ঔপনিবেশিক প্রতিদ্বন্দ্বীতা : ভার্সাই সন্ধির ফলে জার্মানি তার উপনিবেশগুলি হারিয়ে ছিল। নতুন উপনিবেশ গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর ছিল। অপরদিকে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, আমেরিকা প্রভৃতি রাষ্ট্রগুলি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে উপনিবেশ বৃদ্ধি করেই চলেছিল। এমতাবস্থায় ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রগুলি নতুন উপনিবেশ প্রতিষ্ঠা করতে সচেষ্ট হলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা হয়।
ii) ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের তোষণনীতি : ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স জার্মানির প্রতি তোষণনীতি গ্রহণ করেছিল। তারা ভেবেছিল এভাবে হিটলারকে প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। কিন্তু তাদের এই কর্মপন্থা হিটলারের আগ্রাসী মনোভাবকে চূড়ান্ত মাত্রা দেয়।
iii) নিরস্ত্রীকরণ সম্মেলনের ব্যর্থতা : জেনেভার নিরস্ত্রীকরণ সম্মেলনে বৃহৎ শক্তিবর্গ জার্মানির অস্ত্রশক্তি হ্রাসে অত্যন্ত উদ্গ্রীব হলেও তারা নিজেদের অস্ত্রশক্তি হ্রাস করতে রাজি ছিল না। জার্মানি নিজের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির সুযোগ না পেয়ে সম্মেলন ত্যাগ করে নিজের ইচ্ছামত সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে থাকে।
iv) জাতিসংঘের ব্যর্থতা : প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষে শান্তি প্রতিষ্ঠার সংকল্প নিয়ে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। জাতিসংঘ বৃহৎ শক্তিবর্গের অন্যায় কাজের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে অপারগ থাকায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ঘনীভূত হয়ে উঠেছিল। ইতালী কর্তৃক আবিসিনিয়া দখল ও জাপান কর্তৃক মাঞ্চুরিয়া দখলের সময় জাতিসংঘ নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছিল।
ভূমিকা : প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বে যে আপাত শান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল, মাত্র ২০ বছরের মধ্যেই তা বিনষ্ট হয়ে যায়। শুরু হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ (1939 খ্রি: 3ই সেপ্টেম্বর) সামরিক কৌশলে মারণাস্ত্রের অভিনবত্বে ও ক্ষয়ক্ষতির বিচারে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ প্রথম বিশ্বযুদ্ধকে বহুদূর ছাড়িয়ে গিয়েছিল। ভয়াবহ এই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কোনো নির্দিষ্ট কারণে শুরু হয়নি। এর পিছনে নানাবিধ কারণ ছিল।
i) প্রত্যক্ষ কারন : 1939 খ্রি: 1 লা সেপ্টেম্বর জার্মান সর্বাধিনায়ক হিটলার ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের সকল সতর্কবাণী উপেক্ষা করে পোল্যান্ড আক্রমণ করে। এই পরিস্থিতিতে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স 3 সেপ্টেম্বর জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলে শুরু হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ।
ii) অতৃপ্ত জাতীয়তাবাদ : জার্মানির অতৃপ্ত জাতিয়তাবাদ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম কারন ছিল। এই অতৃপ্ত জাতীয়তাবাদকে চরিতার্থ করতে নাৎসি দলের ক্ষমতা দখলের মধ্য দিয়ে জার্মানিতে প্রাক বিশ্বযুদ্ধকালীন সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছিল।
Truly Indian Brand
Truly Indian Brand