চতুর্থ অধ্যায় পরমাণুর গঠন। Chapter 4.1 Poromanur Gothon

Language : Bengali

The Note contains Textual Question Answers from WBBSE Class 9 Physical Science Chapter 4.1 Poromanur Gothon (চতুর্থ অধ্যায় পরমাণুর গঠন). Read the Question Answers carefully. This Question Answer set from the WBBSE board provides quality Multiple Choice Questions (MCQ), Short Answer Type Questions (SAQ), and Long Answer Type Questions from the above chapter. By reading these, students will get a clear idea about that chapter. It will enhance their knowledge and enable them to get good marks in the board exams. 

নবম শ্রেণি ভৌতবিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায় পরমাণুর গঠন,

পরমাণুর গঠন অধ্যায় এর  সম্পূর্ণ আলোচনা ও অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তর,

পরমাণুর গঠন থেকে সংক্ষিপ্ত, রচনাধর্মী ও ব্যাখ্যা ধর্মী প্রশ্নোত্তর, 

Class 9 Physical Science Chapter 4.1 Poromanur Gothon,

Poromanur Gothon Class 9 Physical Science,

Short Answer Type Question (SAQ) from  Poromanur Gothon,

Long Answer Type Question from  Poromanur Gothon,


LRNR provides this material totally free

CH 4.1 পরমাণুর গঠন 

* পরমাণু প্রধানত তিনটি কণা দিয়ে তৈরি। তবে বর্তমানে 35 টিরও বেশি কণার সন্ধান পাওয়া গেছে। এগুলি হল -

1. স্থায়ী কণা - a) ইলেকট্রন  b) প্রোটন  c)নিউট্রন 

2. অস্থায়ী কণা -  a) পজিট্রন b) মেসন c) নিউট্রিনো d) আন্টি নিউট্রিনো e) আন্টি প্রোটিন 

3. সংমিশ্ৰ কণা - a) ডয়টেরন b) আলফা কণা ইত্যাদি 

ইলেকট্রন আবিষ্কার 

* উইলিয়াম ত্রুকস মোক্ষণ নলের পরীক্ষা করেন। 

* বিজ্ঞানী J.J. Thomson বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যাথোডরশ্মির প্রকৃতি নির্নয় করেন। 

i. ক্যাথোড রশ্মি ভরবেগযুক্ত অতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণার সমন্বয়ে গঠিত 

ii. ক্যাথোড রশ্মি ঋণাত্মক আধানযুক্ত কণার সমন্বয়ে গঠিত। 

* J.J. Thomson এর পরমাণু মডেল -

এই মডেল অনুযায়ী, পরমাণু হল 

10-10 m ব্যাসবিশিষ্ট একটি ধনাত্মক তড়িৎ -আহিত গোলক এবং এর মধ্যে ঋণাত্মক আধানযুক্ত ইলেকট্রনগুলি সর্বত্র সমানভাবে ছড়ানো থাকে। 

এটিকে পুডিং মডেল বা Watermelon মডেল বলে। 

* রাদারফোর্ডের আলফা কণা বিচ্ছুরণ পরীক্ষা -

পরীক্ষা - 

1. বায়ুশূন্য আবদ্ধ নলে অবস্থিত 0.0000004 m পুরু সোনার পাতের উপর  B83214 থেকে নির্গত তীব্র গতিবেগযুক্ত কণা চালনা করেন। 

2. একটি জিঙ্ক সালফাইডের পর্দা সোনার পাতের পেছনে রাখা। হয় 

3. এই পর্দার ওপর কোনো কণা আঘাত করলে এক একটি উজ্জ্বল বিন্দু বা স্ফুলিঙ্গ উৎপন্ন হয়। 

পর্যবেক্ষন -

1. অধিকাংশ  কণা অবিক্ষিপ্তভাবে নির্গত হয়ে পর্দায় আঘাত করে। 

2. অল্প সংখ্যক কণা সামান্য কোণে বিক্ষেপিত হয়ে সোনার পাত ভেদ করে বেরিয়ে যায়। 

3. অতি অল্প সংখ্যক (20000 এর মধ্যে 1টি  ) কণা 90 বা তার চেয়ে বেশি কোণে বিক্ষেপিত হয়। 

4. মাত্র কয়েকটি  কণা প্রায় 180 কোণে বিক্ষেপিত হয় বা সম্পূর্ণভাবে ফিরে আসে। 

* রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেল 

1. পরমাণুর দুটি অংশ - a) নিউক্লিয়াস বা কেন্দ্রক  b) নিউক্লিয়াস বহির্ভুত ইলেকট্রনীয় অঞ্চল। 

2. প্রত্যেক পরমাণুর কেন্দ্রে অবস্থিত ধনাত্মক তড়িৎ -আধানযুক্ত সবচেয়ে ভারি অংশকে নিউক্লিয়াস বলে। পরমাণুর প্রায় সমগ্র ভর এই অংশে কেন্দ্রিভুত থাকে। 

3. নিউক্লিয়াসের চারদিকে অবস্থিত অংশকে নিউক্লিয়াস বহির্ভুত ইলেকট্রনীয় অঞ্চল বলা হয়। এই অংশে ইলেকট্রনগুলি সমকেন্দ্রিক নির্দিষ্ট বৃত্তাকার পথে তীব্রবেগে নিউক্লিয়াসের চারদিকে আবর্তন করে। 

4. ঘূর্ণায়মান ইলেকট্রনগুলির কেন্দ্রাতিগ বল এবং নিউক্লিয়াস ও ইলেকট্রনগুলির ভেতর ক্রিয়াশীল স্থির আকর্ষণ বল পরস্পর সমান ও বিপরীতমুখী হয়। 

5. নিউক্লিয়াস এবং ইলেকট্রনীয় অঞ্চলের বিশাল অংশই ফাঁকা। সুতরাং, নিউক্লিয়াস পরমাণুর ভরের জন্য এবং নিউক্লিয়াস বহির্ভুত ইলেকট্রনীয় অঞ্চল পরমাণুর আয়তনের জন্য দায়ী। 

6. নিউক্লিয়াসের আয়তন সমগ্র পরমাণুর তুলনায় খুবই কম। 

* রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেলের ত্রুটি 

তড়িচচুম্বকীয় তত্ত্ব অনুযায়ী, ধনাত্মক আধানযুক্ত নিউক্লিয়াসের চারিদিকে তীব্র গতিবেগে চলমান ঋণাত্মক আধানযুক্ত ইলেকট্রন কনা থেকে নিরবিচ্ছিন্নভাবে তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গের আকারে শক্তি বিকিরিত হতে থাকবে। এভাবে ক্রমাগত শক্তিক্ষয়ের ফলে ইলেকট্রনের ঘূর্ণনবেগ ও কক্ষ -ব্যাসার্ধ ক্রমশ কমে যাবে। এর ফলে ইলেকট্রনগুলি নিউক্লিয়াসে আছড়ে পড়বে ফলে পরমাণুর অস্তিত্বই থাকবে না। 

কণা 

আবিস্কারক 

পরমাণুতে অবস্থান 

ইলেকট্রন 



প্রোটন 

জে. জে. থমসন 



ই. গোল্ডস্টাইন 

পরমাণুর নিউক্লিয়াসের বাইরে বিভিন্ন কক্ষপথে 


পরমাণুর নিউক্লিয়াসে

নিউট্রন 

জে. স্যাডউইক 

পরমাণুর নিউক্লিয়াসে

* রাদারফোর্ড -বোর মডেলের স্বীকার্য 

1. ইলেকট্রনগুলি নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে যে কোনো বৃত্তাকার কক্ষপথে পরিভ্রমণ করতে পারে না, কেবলমাত্র কতকগুলি নির্দিষ্ট ব্যাসার্ধের বৃত্তাকার ‘অনুমোদনযোগ্য কক্ষে’ পরিভ্রমণ করতে পারে। এই কক্ষপথগুলিকে সুস্থিত বা স্থায়ী বা কোয়ান্টাম কক্ষ বলা হয়। নিউক্লিয়াস থেকে দূরত্ব অনুযায়ী এই কক্ষপথগুলিকে যথাক্রমে K, L, M, N, O, P, Q এই সাতটি শক্তিস্তরে ভাগ করা হয়। 

2. যতক্ষন পর্যন্ত একটি ইলেকট্রন কোনো সুস্থিত বৃত্তাকার কক্ষপথে আবর্তন করে, ততক্ষণ এটি কোনো শক্তি বিকিরণ এবং শোষণ করে না। 

3. যখন কোনো ইলেকট্রন উচ্চতর শক্তির সুস্থিত কক্ষপথ থেকে নিম্নতর সুস্থিত কক্ষপথে ঝাঁপ দেয়, তখনই ইলেকট্রন শক্তি বিকিরণ করে, আর যখন নিম্নতর শক্তিস্তর থেকে উচ্চতর শক্তিস্তরে ঝাঁপ দেয় তখন শক্তি শোষণ করে। 

* পারমাণবিক সংখ্যা বা পরমাণু ক্রমাঙ্ক - 

কোনো মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াসে অবস্থিত ধনাত্মক আধানের মোট একক সংখ্যাকে ওই মৌলের পারমানবিক সংখ্যা বা পরমাণু ক্রমাঙ্ক বলে। 

* ভরসংখ্যা - 

কোনো মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াসে অবস্থিত প্রোটন ও নিউট্রনের মোট সংখ্যাকে ওই মৌলের ভরসংখ্যা বলা হয়। 

∴ ভরসংখ্যা = প্রোটন সংখ্যা + নিউট্রন সংখ্যা 

* আইসোটোপ বা সমস্থানিক -

একই মৌলের একই পরমাণু ক্রমাঙ্ক এবং ভিন্ন ভিন্ন ভরসংখ্যাযুক্ত বিভিন্ন পরমাণুগুলিকে আইসোটোপ বা সমস্থানিক বলে। 

উদাহরণ -  H11 , H12 , H13 পরস্পরের আইসোটোপ। 

C612, C613, C614, পরস্পরের আইসোটোপ। 

* আইসোবার বা সমভর - বিভিন্ন পরমাণু ক্রমাঙ্ক বিশিষ্ট কিন্তু একই ভরসংখ্যাবিশিষ্ট বিভিন্ন পরমাণুগুলিকে পরস্পরের আইসোবার বা সমভর বলা হয়। 

উদাহরণ - C614, N714  পরস্পরের আইসোবার

* আইসোটোন - বিভিন্ন পরমাণুক্রমাঙ্ক কিন্তু সমান নিউট্রন সংখ্যাবিশিষ্ট বিভিন্ন মৌলের পরমাণুগুলিকে পরস্পরের আইসোটোন বলে।  

উদাহরণ - Cl1737  এর নিউট্রন সংখ্যা 20

Ca2040  এর নিউট্রন সংখ্যা 20

Cl1737 এবং Ca2040  পরস্পরের আইসোটোন। 

* নিউক্লীয় বল -

যে বল পরমাণুর নিউক্লিয়াসে অবস্থিত নিউক্লীয় কণিকা বা নিউক্লীয়ন অর্থাৎ প্রোটন ও নিউট্রনের মধ্যে ক্রিয়া করে নিউক্লিয়াসের স্থায়িত্ব প্রদান করে, তাকে নিউক্লীয় বল বলা হয়। 

* নিউক্লিয় বলের বৈশিষ্ট্য -

1. নিউক্লীয় বল অত্যন্ত শক্তিশালী আকর্ষণ বল। 

2. এই বল অতি স্বল্প পাল্লার মধ্যে কাজ করে 

3. দুটি প্রোটন বা দুটি নিউট্রনের মধ্যে অথবা একটি প্রোটন ও একটি নিউট্রনের মধ্যে ক্রিয়াশীল নিউক্লিও বলের প্রকৃতি অভিন্ন। 

4. এই বল কুলম্বের সূত্র মেনে চলে না 

প্রথম  20 টি মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাস। 

পরমাণুক্রমাঙ্ক 



মৌলের চিহ্ন 

মৌলের নাম 

            কক্ষে ইলেকট্রন সংখ্যা 

K

L

M

N

1

H

হাইড্রোজেন 

1




2

He

হিলিয়াম 

2




3

Li

লিথিয়াম 

2

1



4

Be

বেরিলিয়াম 

2

2



5

B

বোরন 

2

3



6

C

কার্বন 

2

4



7

N

নাইট্রোজেন 

2

5



8

O

অক্সিজেন 

2

6



9

F

ফ্লুরিন 

2

7



10

Ne

নিয়ন 

2

8



11

Na

সোডিয়াম 

2

8

1


12

Mg

ম্যাগনেশিয়াম 

2

8

2


13

Al

আলুমিনিয়াম 

2

8

3


14

Si

সিলিকন 

2

8



15

P

ফসফরাস 

2

8



16

S

সালফার 

2

8



17

Cl

ক্লোরিন 

2

8



18

Ar

আর্গন 

2

8



19

K

পটাশিয়াম 

2

8

1


20

Ca

ক্যালশিয়াম 

2

8

2


Ratings
No reviews yet, be the first one to review the product.