দ্রবণ কি?

দুই বা তার বেশি সংখ্যক পদার্থের (কঠিন, তরল বা গ্যাসীয়) সমসত্ত্ব মিশ্রনের যে কোনো অংশের উপাদান, গঠন, ও ধর্ম যদি একই হয় এবং উপাদানগুলির আপেক্ষিক পরিমাণকে একটা নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত পরিবর্তিত করা যায়, তবে ওই মিশ্রণকে দ্রবণ বলা হয়।

দ্রবণের দুটি অংশ -i. দ্রাব ii. দ্রাবক

দ্রাবক ও দ্রাব কি?

দ্রবণে যে উপাদানটি সাধারণত বেশি পরিমানে থাকে এবং যার ভৌত অবস্থা দ্রবনের ভৌত অবস্থার অনুরূপ হয়, সেটি হল দ্রাবক।

অন্যদিকে, দ্রবণে যে উপাদান সাধারণত কম পরিমানে উপস্থিত থাকে, সেটি হল দ্রাব।

যেমন- চিনির জল দ্রবণে জল হল দ্রাবক এবং চিনি হল দ্রাব।

দ্রবণ কয় প্রকার ও কি কি?

দ্রবণ তিন প্রকার -a. প্রকৃত দ্রবণ b. কোলয়ডীয় দ্রবণ c. প্রলম্বন

প্রকৃত দ্রবণ কি?

কোনো দ্রাবকে মিশ্রিত দ্রাব পদার্থ 10-৪cm কিংবা আরও ক্ষুদ্রতর ব্যাসবিশিষ্ট কণায় বিভাজিত হয়ে এবং দ্রাবকের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে মিশে গিয়ে যে স্বচ্ছ সমসত্ত্ব মিশ্রণ গঠন করে, তাকে প্রকৃত দ্রবণ বলে।

উদাহরণ- জলে চিনি, তুঁতে, খাদ্যলবণ ইত্যাদির দ্রবীভবনে যে সমসত্ত্ব ও স্বচ্ছ মিশ্রণ উৎপন্ন হয়, সেগুলি প্রকৃত দ্রবণ।

কোলয়ডীয় দ্রবণ কী?

যখন একটি পদার্থ অপর একটি পদার্থের মধ্যে 10-7 থেকে 10-5cm ব্যাসবিশিষ্ট কণারূপে বিস্তৃত থেকে একটি অস্বচ্ছ ও অসমসত্ত্ব কিন্তু স্থায়ী মিশ্রণ উৎপন্ন করে তখন সেই মিশ্রণকে কোলয়ডীয় দ্রবণ বলে।

যেমন- দুধ, চা, কফি, ভাতের ফেন, আঠা ইত্যাদি।

বিস্তৃত দশা ও বিস্তার মাধ্যমে কি?

কোলয়ডীয় দ্রবণ দুটি দশা দ্বারা গঠিত, যথা- বিস্তৃত দশা ও বিস্তার মাধ্যম।

কোলয়ডীয় দ্রবনে যে দশাটি 10-7 থেকে 10-5cm ব্যাসবিশিষ্ট কণারূপে অপর দশার মধ্যে সমভাবে বিস্তৃত থাকে তাকে বিস্তৃত দশা বলে ও যে দশার মধ্যে বিস্তৃত দশার কণাগুলি সমভাবে ছড়িয়ে থাকে তাকে বিস্তার মাধ্যম বলে।

যেমন- এক গ্রাম জলে কয়েক ফোঁটা তেল যোগ করলে একটি কোলয়েড গঠিত হয়। যাতে জল হল বিস্তার মাধ্যম ও তেল হল বিস্তৃত দশা।

প্রলম্বন কী?

একটি পদার্থ অপর একটি পদার্থের মধ্যে 10-4cm এর অধিক ব্যাসবিশিষ্ট কণারূপে বিভাজিত হয়ে বিস্তৃত থাকলে যে অস্থায়ী অসমসত্ত্ব মিশ্রণ উৎপন্ন হয়, তাকে প্রলম্বন বলে।

উদাহরণ- বালির দানাকে জলে মেশালে প্রাপ্ত মিশ্রণটিকে ঘোলা দেখায়, কিন্তু এটা স্থায়ী নয়, তাই একে প্রলম্বন বলা হয়।

প্রকৃত দ্রবণ, কোলয়ডীয় দ্রবন ও প্রলম্বনের মধ্যে তুলনা করো।

বিষয়	প্রকৃত দ্রবণ	কোলয়ডীয় দ্রবন	প্রলম্বন
দ্রবনের প্রকৃতি	সমসত্ত্ব ও স্বচ্ছ	অসমসত্ত্ব ও অস্বচ্ছ	অসমসত্ত্ব ও অস্বচ্ছ
কনার ব্যাস	10-8cm বা এর কম	10-7 cm-10-5 cm	10-4 cm থেকে বেশি
দৃশ্যমানতা	আলট্রামাইক্রোস্কোপের সাহায্যেও দেখা যায় না	আলট্রামাইক্রোস্কোপের সাহায্যে দেখা যায়	খালি চোখে বা সাধারণ মাইক্রোস্কোপে দেখা যায়
কণা থিতিয়ে পড়ার প্রবণতা	কনা থিতিয়ে পড়ে না	উত্তপ্ত করলে বা তড়িদবিশ্লেষ্য যোগ করলে থিতিয়ে পড়ে	অভিকর্ষ বলের প্রভাবে ধীরে ধীরে থিতিয়ে পরে
টিন্ডাল প্রভাব	টিন্ডাল প্রভাব দেখা যায় না	টিন্ডাল প্রভাব দেখা যায়	টিন্ডাল প্রভাব দেখা যায়

বিভিন্ন ধরণের কোলয়ডীয় দ্রবনের বিস্তার মাধ্যম, বিস্তৃত দশা ও উদাহরণ।

বিস্তৃত দশা	বিস্তার মাধ্যম	কোলয়েডের নাম	উদাহরণ
কঠিন	তরল	সল	রং, স্টার্চ দ্রবণ, সালফার সল, গোল্ড সল
কঠিন	গ্যাস	কঠিন এরোসল	ধোঁয়া, বায়ুতে ভাসমান ধূলিকণা
কঠিন	কঠিন	কঠিন সল	ধাতু-সংকর, বিভিন্ন কাচ
তরল	গ্যাস	তরল এরোসল	কুয়াশা, মেঘ
তরল	তরল	ইমালসন	দুধ, শ্যাম্পু, ফেসক্রিম, মাখন
তরল	কঠিন	জেল	জেলি, দই
গ্যাস	কঠিন	কঠিন ফোম	ঝামা পাথর, কেক
গ্যাস	তরল	ফোম	সাবান ফেনা, সোডা ওয়াটার

ইমালসন কী?

একটি তরলের মধ্যে অন্য একটি তরল ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিন্দুর আকারে বিস্তৃত থেকে যে কোলয়েড সিস্টেম গঠন করে, তাকে ইমালসন বলে।

ইমালসন দুই প্রকার- i. তেলে জল জাতীয় ইমালসন-মাখন, কোল্ড ক্রিম ইত্যাদি ii. জলে তেল জাতীয় ইমালসন-দুধ, ভ্যানিশিং ক্রিম

দ্রাব্যতা কি?

নির্দিষ্ট উষ্ণতায় 100g দ্রাবকে স্বাভাবিকভাবে সবচেয়ে বেশি যত গ্রাম দ্রাব দ্রবীভূত হতে পারে, সেই ভর প্রকাশক সংখ্যাই হল ওই উষ্ণতায় ওই দ্রাবকের মধ্যে ওই দ্রাবের দ্রাব্যতা।

নির্দিষ্ট উষ্ণতায় কোনো দ্রাব্যের দ্রাব্যতা = দ্রবণে সর্বাধিক দ্রবীভূত দ্রাবের ভর দ্রবণে দ্রাবকের ভর 100

তরলে কঠিন পদার্থের দ্রাব্যতার উপর উষ্ণতার প্রভাব লেখো।

i. সাধারণত উষ্ণতা বৃদ্ধিতে তরলে কঠিনের দ্রাব্যতা বৃদ্ধি পায় এবং উষ্ণতা হ্রাসে দ্রাব্যতা হ্রাস পায়। যেমন- KNO3, NaCl, NH4Cl, চিনি, তুঁতে, লেড নাইট্রেট ইত্যাদির জলে দ্রাব্যতা উষ্ণতা বৃদ্ধির সাথে বৃদ্ধি পায় এবং উষ্ণতা হ্রাসে দ্রাব্যতা হ্রাস পায়।

ii. কয়েকটি পদার্থের ক্ষেত্রে উষ্ণতা বৃদ্ধিতে দ্রাব্যতা হ্রাস পায়। যেমন- ক্যালশিয়াম সালফেট (CaSO4) ও কলিচুন [Ca(OH)2] ইত্যাদির জলে দ্রাব্যতা উষ্ণতা বৃদ্ধিতে হ্রাস পায়।

iii. উষ্ণতা বৃদ্ধিতে NaCl এর দ্রাব্যতা বৃদ্ধির হার খুবই কম প্রায় কোনো পরিবর্তন হয় না বললেই চলে।

iv. গ্লবার সল্টের (Na2SO4.10H2O) দ্রাব্যতা বিচ্ছিন্ন প্রকৃতির, এর দ্রাব্যতা উষ্ণতা বৃদ্ধির সঙ্গে 32.4০C উষ্ণতা পর্যন্ত বাড়ে, কিন্তু ওর বেশি উষ্ণতায় দ্রাব্যতা হ্রাস পায়।

তরলে কঠিনের দ্রাব্যতার উপর চাপের প্রভাব লেখ।

তরলে কঠিনের দ্রাব্যতা চাপের উপর প্রায় নির্ভর করে না।

তরলে গ্যাসের দ্রাব্যতার উপর উষ্ণতার প্রভাব লেখো।

উষ্ণতা বাড়ালে তরলে গ্যাসের দ্রাব্যতা কমে ও উষ্ণতা কমালে দ্রাব্যতা বাড়ে।

তরলে গ্যাসের দ্রাব্যতার উপর চাপের প্রভাব সংক্রান্ত হেনরির সূত্রটি লেখ?

স্থির উষ্ণতায় চাপ বাড়ালে তরল দ্রাবকে গ্যাসের দ্রাব্যতা বাড়ে এবং চাপ কমালে গ্যাসের দ্রাব্যতা কমে।

হেনরির সূত্র- স্থির উষ্ণতায় কোনো নির্দিষ্ট আয়তনের তরলে দ্রবীভূত গ্যাসের পরিমান গ্যাসটির ওপর প্রযুক্তি চাপের সমানুপাতিক হয়।

সম্পৃক্ত দ্রবণ কি?

কোনো নির্দিষ্ট উষ্ণতায় নির্দিষ্ট পরিমান দ্রাবকে সর্বোচ্চ পরিমান দ্রাব দ্রবীভূত হয়ে যে দ্রবণ উৎপন্ন করে, তাকে ওই উষ্ণতায় ওই দ্রাবের সম্পৃক্ত দ্রবণ বলে।

অসম্পৃক্ত দ্রবণ কি?

নির্দিষ্ট উষ্ণতায় কোনো দ্রবণে যদি আরও বেশি পরিমান দ্রাব দ্রবীভূত করা যায় তবে ওই উষ্ণতায় ওই দ্রবনকে অসম্পৃক্ত দ্রবণ বলে।

অতিপৃক্ত দ্রবণ কি?

নির্দিষ্ট উষ্ণতায় কোনো সম্পৃক্ত দ্রবণে যে পরিমান দ্রাব থাকা উঠিত, কোনো বিশেষ শর্তে যদি তার চেয়ে বেশি পরিমান দ্রাব দ্রবীভূত থাকে, তবে সেই দ্রবনকে অতিপৃক্ত দ্রবণ বলা হয়।

সম্পৃক্ত দ্রবনকে অসম্পৃক্ত করার পদ্ধতি লেখ।

i. সম্পৃক্ত দ্রবনের উষ্ণতা বাড়ালে উচ্চতর উষ্ণতায় দ্রবণটি অসম্পৃক্ত হয়ে যায়।

ii. স্থির উষ্ণতায় সম্পৃক্ত দ্রবণে অতিরিক্ত দ্রাবক যোগ করলেও দ্রবনটি অসম্পৃক্ত হয়ে যায়।

অসম্পৃক্ত দ্রবনকে সম্পৃক্ত করার পদ্ধতি লেখ।

i. নির্দিষ্ট উষ্ণতায় কোনো অসম্পৃক্ত দ্রবণে অতিরিক্ত দ্রাব যোগ করে দ্রবীভূত করতে থাকলে একসময় এই দ্রবণটি সম্পৃক্ত হয়ে যাবে।

ii. অতিরিক্ত দ্রাব যোগ না করে অসম্পৃক্ত দ্রবনকে সম্পৃক্ত দ্রবণে পরিণত করার দুটি পদ্ধতি আছে- a) অসম্পৃক্ত দ্রবনটির উষ্ণতা কমাতে থাকলে এক বিশেষ নিম্নতর উষ্ণতায় দ্রবণটি সম্পৃক্ত হয়ে যায়,
b) অসম্পৃক্ত দ্রবনটিকে উত্তপ্ত করে উপযুক্ত পরিমান দ্রাবক বাষ্পীভূত করার পর দ্রবনটিকে পুনরায় ঘরের উষ্ণতায় ফিরিয়ে আনলে দ্রবণটি সম্পৃক্ত হয়ে যায়।

সম্পৃক্ত ও অসম্পৃক্ত দ্রবনের পার্থক্য লেখো।

সম্পৃক্ত দ্রবণ	অসম্পৃক্ত দ্রবণ
1) নির্দিষ্ট উষ্ণতায় কোনো সম্পৃক্ত দ্রবণে অতিরিক্ত দ্রাব যোগ করলে তা দ্রবীভূত হয়ে থিতিয়ে পড়ে	1) নির্দিষ্ট উষ্ণতায় কোনো অসম্পৃক্ত দ্রবনে অতিরিক্ত দ্রাব যোগ করলে তা আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে দ্রবীভূত হয়।
2) নির্দিষ্ট উষ্ণতায় সম্পৃক্ত দ্রবনে অতিরিক্ত দ্রাব যোগ করলেও দ্রবনের ঘনত্বের পরিবর্তন হয় না।	2)নির্দিষ্ট উষ্ণতায় অসম্পৃক্ত দ্রবনে অতিরিক্ত দ্রাব যোগ করলে দ্রবনের ঘনত্ব বৃদ্ধি পায়।
3)নির্দিষ্ট উষ্ণতায় সম্পৃক্ত দ্রবনে অতিরিক্ত দ্রাব যোগ করলে দ্রবীভূত দ্রাব ও অদ্রবীভূত দ্রাব পরস্পর গতিশীল সাম্যাবস্থায় থাকে	3) এক্ষেত্রে এধরনের সাম্যাবস্থা গঠিত হয় না।

কেলাস কী?

নির্দিষ্ট জ্যামিতিক আকৃতিবিশিষ্ট এবং নির্দিষ্ট সংখ্যক সমতল পৃষ্ঠ দ্বারা সীমাবদ্ধ সমসত্ত্ব কঠিন পদার্থের দানাকে কেলাস বলে।

যেমন- তুঁতে, ফটকিরি, লবণ ইত্যাদি কেলাসরূপে অবস্থান করে।

কেলাসন কি?

উচ্চ উষ্ণতায় উৎপন্ন সম্পৃক্ত দ্রবনের উষ্ণতা ধীরে ধীরে কমাতে থাকলে ওই দ্রবণ থেকে কঠিন পৃথক হয়ে অধঃক্ষিপ্ত হতে থাকে। অনেকক্ষেত্রেই পদার্থ দ্রবণ থেকে পৃথক হওয়ার সময় নির্দিষ্ট জ্যামিতিক আকারে বা কেলাস হিসেবে আলাদা হয়। কেলাস প্রস্তুত করার এই প্রক্রিয়াকে কেলাসন বলা হয়।

বীজ কেলাস কি?

অনেকক্ষেত্রে সম্পৃক্ত দ্রবনকে ঠান্ডা করলেও কেলাসন প্রক্রিয়া সহজে শুরু হতে চায় না। সেক্ষেত্রে ওই সম্পৃক্ত দ্রবণে দ্রাবের একটা ক্ষুদ্র কেলাস যোগ করলে কেলাসন প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু হয়। বাইরে থেকে যোগ করা ওই কেলাসকে বীজ কেলাস বলে।

দ্রবনের শক্তিমাত্রা কি?

যেসব দ্রবণ মাত্র দুটো উপাদান নিয়েই তৈরি তাদের বাইনারি দ্রবণ বলে। এরূপ দ্রবণে দ্রাবের আপেক্ষিক পরিমান বা গাঢ়ত্বকে দ্রবনটির শক্তিমাত্রা বলে। একে বিভিন্ন একক দ্বারা প্রকাশ করা যায়- % W/V, mol L-1, gL-1 এককে।

আয়তনভিত্তিক শতাংশ (% W/V) কী?

প্রতি 100ml আয়তনের দ্রবণে যতগ্রাম দ্রাব দ্রবীভূত থাকে, সেই ভর প্রকাশক সংখ্যাই ওই দ্রবনটির আয়তনভিত্তিক শতাংশ প্রকাশ করে।

ভর-আয়তন ভিত্তিক শতকরা মাত্রা (% w/V) = দ্রাবের ভর(gএককে ) দ্রবণের আয়তন (mL এককে ) 100

মোলারিটি হিসেবে শক্তিমাত্রা (mol L-1) কি?

কোনো দ্রবনের প্রতি লিটার বা 1000ml আয়তনে যত মোল দ্রাব দ্রবীভূত থাকে, তাই ওই দ্রবণের মোল প্রতি লিটার শক্তিমাত্রা বা মোলারিটি।

দ্রবনের মোলারিটি = দ্রাবের মোল সংখ্যা দ্রবণের আয়তন (L এককে )

গ্রাম প্রতি লিটার হিসেবে শক্তিমাত্রা (gL-1) কি?

কোনো দ্রবনের প্রতি লিটার আয়তনে যত গ্রাম দ্রাব দ্রবীভূত থাকে সেই গ্রামে প্রকাশিত ভর দ্বারা ওই দ্রবনের গ্রাম প্রতি লিটার শক্তিমাত্রাকে প্রকাশ করা হয়।

গ্রাম প্রতি লিটার হিসেবে শক্তিমাত্রা = দ্রাবের ভর (g এককে ) দ্রবণের আয়তন (L এককে )

জল ছাড়া অন্যান্য কয়েকটি দ্রাবকের নাম ও ব্যবহার লেখো।

i. মিথাইল অ্যালকোহল বা উড স্পিরিট - রং ও বার্ণিশের দ্রাবক হিসেবে, এছাড়া রজন, গালা, ল্যাকার প্রভৃতি প্রস্তুতিতেও দ্রাবক হিসাবে মিথাইল অ্যালকোহল হয়।

ii. ইথাইল অ্যালকোহল- রং ও বার্ণিশের দ্রাবক হিসেবে ইথাইল অ্যালকোহল ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন সুগন্ধি, কৃত্রিম তন্তু এবং ওষুধ প্রস্তুতির ক্ষেত্রে ইথাইল অ্যালকোহল বহুলরূপে ব্যবহৃত হয়।

iii. অ্যাসিটোন - বার্নিশ ও পালিশের কাজে দ্রাবক হিসেবে অ্যাসিটোন ব্যবহার করা হয়। আবার বিভিন্ন রেজিন -জাতীয় পদার্থকে অ্যাসিটোনে দ্রবীভূত বা প্রলম্বিত করে বার্নিশ প্রস্তুত করা হয়।

iv. কেরোসিন- কাঠের আসবাবপত্র বা লোহা দ্বারা নির্মিত বস্তুর ওপর তেল-ভিত্তিক রং প্রয়োগ করার সময় থিনার হিসাবে কেরোসিন ব্যবহার করা হয়।

v. ক্লোরোফর্ম - বার্নিশের দ্রাবক হিসেবে ক্লোরোফর্ম ব্যবহার করা হয়। এছাড়া শল্যচিকিৎসায় চেতনানাশক-রূপেও ক্লোরোফর্ম ব্যবহার করা হয়।

Drobon Class 9 Physical Science | দ্রবণ

Ratings