LRNR

পৃথিবীর পরিক্রমণ | Prithiber Porikromon | Chapter One


Language: en



Class 7

Chapter-1

পৃথিবীর পরিক্রমণ

1) যে কল্পিত রেখার চারিদিকে পৃথিবী আবর্তন করে তাকে বলে -

A)পৃথিবীর অক্ষ ✔

B)মেরু রেখা

C)নিরক্ষীয় তল

D)কোনোটিই নয়

2)পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব প্রায় -

A)13 কোটি 20 লক্ষ কিমি

B)20 কোটি কিমি

C)15 কোটি কিমি ✔

D)12 কোটি কিমি

3)অপসূর অবস্থান ঘটে -

A)3 জানুয়ারী

B)21 মার্চ

C)22 ডিসেম্বর

D)4 জুলাই ✔

4)পৃথিবী যে পথে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে তাকে বলে -

A)মেরু বৃত্ত

B)মেরু রেখা

C)কক্ষপথ ✔

D)কক্ষতল

5)অনুসূর অবস্থান ঘটে -

A)3 জানুয়ারী ✔

B)4 জুলাই

C)21 মার্চ

D)22 ডিসেম্বর



6)পৃথিবী সূর্যকে আবর্তন করে -

A)পশ্চিম দিক থেকে পূর্ব দিকে ✔

B)পূর্ব দিক থেকে পশ্চিম দিকে

C)উত্তর দিক থেকে দক্ষিণ দিকে

D)দক্ষিণ দিক থেকে উত্তর দিকে



7)মকরক্রান্তি রেখার মান -

A)231০2উত্তর

B)231০2দক্ষিণ ✔

C)661০2উত্তর

D)661০2দক্ষিণ

8)কোন দিনকে ’জলবিষুব‘ বলা হয় -

A)21 মার্চ

B)21 জুন

C)22 ডিসেম্বর

D)23 সেপ্টেম্বর ✔

9) 21 জুন থেকে 22 ডিসেম্বর পর্যন্ত 6 মাস ধরে সূর্যের দক্ষিণমুখী আপাত গতি হলো -

A)দক্ষিণায়ন ✔

B)উত্তরায়ণ

C)মহাবিষুব

D)জলবিষুব



10)দক্ষিণ গোলার্ধে বড়দিন পালিত হয় -

A)গ্রীষ্মকালে ✔

B)শীতকালে

C)শরৎকালে

D)বসন্তকালে

অতি সংক্ষি প্রশ্ন SAQ Marks 1

1) মুক্তিবেগের পরিমাণ সেকেন্ডে কত?

11.2 কিমি

2) “বিষুব” কথার অর্থ কী?

সমান দিন ও রাত্রি

3) পৃথিবীর অক্ষ তার কক্ষপথের সাপেক্ষে কত ডিগ্রি হেলে থাকে?

২৩.৫°

4) কর্কটক্রান্তি রেখার মান কত?

২৩.৫° উত্তর

5) কোন দিনকে মহাবিষুব বলা হয়?

২১ মার্চ ও ২৩ সেপ্টেম্বর

6) হ্যামারফেস্ট বন্দর কোন দেশে অবস্থিত?

নরওয়ে

7) সূর্য পৃথিবীর তুলনায় কত গুণ বড়?

১৩ লক্ষ গুণ বড়

8) চান্দ্রমাসের সময়কাল প্রায় কত দিন?

২৭ দিন

9) ২১ জুন কোন অক্ষরেখায় সূর্যের রশ্মি লম্বভাবে পড়ে?

কর্কটক্রান্তি রেখায়

10) কোন দিনকে মকর সংক্রান্তি বলা হয়?

২২ ডিসেম্বর

11) সুমেরু বৃত্তের মান কত?

৬৬.৫° উত্তর

12) পৃথিবীর আবর্তন বেগ কোথায় সর্বাধিক?

নিরক্ষরেখায়

13) একটি অধিবর্ষ সালের উদাহরণ দাও?

২০১২ সাল

14) পৃথিবীর পরিক্রমণ গতির বেগ সেকেন্ডে প্রায় কত?

৩০ কিমি

15) পৃথিবীর কক্ষপথ যে সমতলে অবস্থিত তাকে কি বলে?

কক্ষতল

16) সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব সবচেয়ে বেশি হয় কখন?

৪ জুলাই

17) সূর্যের দৈনিক পূর্ব থেকে পশ্চিম গতি কী নামে পরিচিত?

দৈনিক আপাত গতি

18) মেরু অঞ্চলে দেখা রঙিন আলোর নাম কী?

মেরু জ্যোতি

19) পৃথিবীর উপবৃত্তাকার কক্ষপথের ধারণা প্রথম দেন কে?

জোহান কেপলার

20) অধিবর্ষ বছরে ফেব্রুয়ারিতে কয় দিন হয়?

29 দিন

রচনাধার্মিক প্রশ্ন ও উত্তর :

১. ঋতুপরিবর্তন বলতে কী বোঝো? উত্তর গোলার্ধে কীভাবে বসন্ত ঋতুর সূচনা হয়?


পৃথিবীতে সূর্যরশ্মির পতনের কোণের পার্থক্য এবং দিন ও রাতের দৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের ফলে বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রার তারতম্য ঘটে। এই তাপমাত্রার তারতম্য অনুযায়ী বছরের বিভিন্ন সময়কে ভাগ করে যে সময়কাল নির্ধারণ করা হয়, তাকে ঋতু বলে। এবং এই ঋুগুলোর পর্যায়ক্রমিক আবর্তনকে ঋতুপরিবর্তন বলে। সাধারণত, পৃথিবীতে চারটি প্রধান ঋতুর কথা বলা হয়—বসন্ত, গ্রীষ্ম, শরৎ ও শীত।

উত্তর গোলার্ধে বসন্ত ঋতুর সূচনা:

প্রতি বছর ২১ মার্চ তারিখে পৃথিবী এমন একটি অবস্থানে পৌঁছায়, যখন সূর্যের রশ্মি নিরক্ষরেখার উপর লম্বভাবে পড়ে। এই সময় পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্যের কাছ থেকে সমান দূরত্বে অবস্থান করে, ফলে দিন ও রাত সমান হয় (প্রায় ১২ ঘণ্টা)। এই দিনটিকে বসন্তকালীন বিষুব বলা হয় এবং এই দিন থেকেই উত্তর গোলার্ধে বসন্ত ঋতুর সূচনা ঘটে। এই সময় আবহাওয়া থাকে মনোরম ও সহনীয়। অপরদিকে, দক্ষিণ গোলার্ধে তখন শরৎ ঋতু শুরু হয়।

২.সূর্য পরিক্রমণকালের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য দিক লেখো।


সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে পৃথিবী যে সময় নেয়, তাকে সূর্য পরিক্রমণকাল বলা হয়। এটি প্রায় ৩৬৫ দিন ৬ ঘণ্টা। এই পরিক্রমণকাল সম্পর্কিত কিছু উল্লেখযোগ্য দিক হলো:

  1. পৃথিবী নিজ অক্ষের উপর ঘুরতে ঘুরতে প্রতি বছর প্রায় ৩৬৫ দিনে একবার সূর্যকে পরিক্রমণ করে।

  2. পৃথিবীর কক্ষপথ উপবৃত্তাকার (elliptical), অর্থাৎ সূর্য সবসময় ঠিক কেন্দ্রস্থলে থাকে না।

  3. পৃথিবীর অক্ষরেখা সর্বদা একই দিকে হেলে থাকে এবং এটি কক্ষতলের সঙ্গে প্রায় ৬৬.৫° কোণে হেলে রয়েছে।

  4. নিরক্ষীয় তল কক্ষতলের সঙ্গে প্রায় ২৩.৫° কোণে হেলে রয়েছে, যা ঋতু পরিবর্তনের অন্যতম কারণ।

  5. সূর্য কক্ষপথের এক কোণে অবস্থান করায়, পৃথিবী ও সূর্যের দূরত্ব সারা বছরে একই থাকে না, ফলে পৃথিবীর পরিক্রমণ গতি পরিবর্তিত হয়।

  6. দূরত্বের পার্থক্যের জন্য শীতকালে সূর্য বড়ো এবং গ্রীষ্মকালে ছোটো দেখা যায়।

  7. পৃথিবী সূর্যকে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে পরিক্রমণ করে।

৩.পৃথিবীর দুই মেরুতে একটানা ৬ মাস দিন ও ৬ মাস রাত্রি দেখা যায় কেন?


পৃথিবীর দুই মেরু অঞ্চলে (সুমেরু ও কুমেরু) একটানা ৬ মাস দিন ও ৬ মাস রাত্রি হওয়ার মূল কারণ হলো—পৃথিবীর অক্ষরেখা তার কক্ষতলের সঙ্গে প্রায় ৬৬.৫° কোণে হেলে রয়েছে। এই হেলানো অবস্থার কারণে পৃথিবী সূর্যকে প্রদক্ষিণ করার সময় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন গোলার্ধ সূর্যের দিকে ঝুঁকে থাকে।

  1. ২১ মার্চ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পৃথিবীর এমন অবস্থান হয় যে উত্তর গোলার্ধ সূর্যের দিকে ঝুঁকে থাকে। এই সময় সুমেরু বৃত্ত থেকে সুমেরু বিন্দু পর্যন্ত অঞ্চল ২৪ ঘণ্টা সূর্যালোক পায়, ফলে সেখানে একটানা ৬ মাস দিন থাকে। বিপরীতভাবে, দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্য থেকে দূরে থাকে, ফলে কুমেরু অঞ্চলে সূর্য দেখা যায় না—এখানে ৬ মাস রাত্রি থাকে।

  2. ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত পরিস্থিতি উল্টো হয়। তখন দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্যের দিকে ঝুঁকে থাকে, ফলে কুমেরু অঞ্চলে ৬ মাস দিন এবং সুমেরু অঞ্চলে ৬ মাস রাত্রি দেখা যায়।

উত্তর গোলার্ধে শীতকাল ও মকর সংক্রান্তি:

  1. ২৩ সেপ্টেম্বরের পর থেকে সূর্যরশ্মি দক্ষিণ গোলার্ধে বেশি পড়ে।

  2. ২২ ডিসেম্বর তারিখে সূর্য মকরক্রান্তি রেখায় লম্বাভাবে পড়ে, ফলে দক্ষিণ গোলার্ধে দিন সবচেয়ে বড়ো হয় এবং গ্রীষ্মকাল শুরু হয়।

  3. এই দিনকে মকর সংক্রান্তি বলা হয়।

  4. বিপরীতভাবে, উত্তর গোলার্ধে দিন ছোটো ও রাত বড়ো হওয়ায় সেখানে শীতকাল বিরাজ করে।

৪. ঋতুবৈচিত্র্যের গুরুত্ব বুঝিয়ে লেখো।

উত্তর:

ঋতুবৈচিত্র্য মানবজীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ ঋতুর পরিবর্তনের উপর নির্ভর করে সময় গণনা, ক্যালেন্ডার তৈরি, কৃষিকাজ, পশুপালন, জীবিকা নির্বাহ, সামাজিক ও ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছে।

কৃষির ক্ষেত্রে, কোন ঋতুতে কী চাষ হবে তা নির্ভর করে তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত ও দিনের দৈর্ঘ্যের উপর, যা ঋতু পরিবর্তনের মাধ্যমে ঘটে।

প্রাণী ও উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও প্রজনন সঠিকভাবে হওয়ার জন্য ঋতু পরিবর্তন অপরিহার্য।

প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতেও ঋতুবৈচিত্র্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এছাড়াও, সারা বছর ধরে ঋতুগুলোর এই পর্যায়ক্রমিক আবর্তন মানুষের জীবনে বৈচিত্র্য, আনন্দ ও উৎসাহ এনে দেয়। এটি আমাদের জীবনধারা, সংস্কৃতি ও লোকজ ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করে তোলে।

৫. পৃথিবীর এক একটি গোলার্ধ সূর্যের দিকে বেশি ঝুঁকে থাকে কেন?

উত্তর:

পৃথিবী সূর্যকে উপবৃত্তাকার কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করে এবং নিজ অক্ষে ঘুরতে থাকে। কিন্তু পৃথিবীর অক্ষরেখা কক্ষপথের সাপেক্ষে সম্পূর্ণ লম্বভাবে অবস্থান করে না, বরং এটি কক্ষপথের তলের সঙ্গে প্রায় ৬৬.৫° কোণে হেলে থাকে (অথবা নিরক্ষীয় তলের সঙ্গে ২৩.৫° কোণে)।

এই হেলানো অবস্থার জন্য পৃথিবী যখন সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে, তখন কক্ষপথের বিভিন্ন অবস্থানে পৃথিবীর এক একটি গোলার্ধ সূর্যের দিকে বেশি ঝুঁকে থাকে।

ফলে বছরে এক সময়ে উত্তর গোলার্ধ, আর অন্য সময়ে দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্যের দিকে ঝুঁকে থাকে। এই কারণেই ঋতু পরিবর্তন হয় এবং বিভিন্ন সময় এক একটি গোলার্ধে দিন বড় বা ছোট হয়।



RATINGS

No reviews yet, be the first one to review the product


Other Chapters