অষ্টম শ্রেণী

দ্বিতীয় অধ্যায়

আঞ্চলিক শক্তির উত্থান

বহুবিকল্প প্রশ্নোত্তর

১. নাদির শাহ দিল্লি আক্রমণ করে:-

১৮৩৮-৩৯ খ্রিস্টাব্দে
১৮০৬-০৭ খ্রিস্টাব্দে
১৭৫৫-৫৬ খ্রিস্টাব্দে
১৭৩৮-৩৯ খ্রিস্টাব্দে√

২. মুর্শিদ কুলী খানকে বাংলার দেওয়ান হিসেবে নিযুক্ত করেন:-

আকবর
শাহজাহান
ঔরঙ্গজেব√
জাহাঙ্গীর

৩. ঔরঙ্গজেবের একজন মুনশি ছিলেন:-

ইনায়েৎ উল্লা√
ফারুকি
গিয়াশবেগ
এদের কেউ নন

৪. মুর্শিদকুলি খাঁর অভ্যুদয় প্রবন্ধের লেখক:-

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
যদুনাথ সরকার√
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত

৫. 'মহারাষ্ট্র পুরাণ' এর লেখক:-

তুকারাম
যদুনাথ সরকার
ভাস্কর পন্ডিত
গঙ্গারাম√

৬. বক্সারের যুদ্ধ হয়:-

১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে
১৭৬৪ খ্রিস্টাব্দে√
১৮৬৪ খ্রিস্টাব্দে
১৭৫৬ খ্রিস্টাব্দে

৭. কলকাতার নাম আলিনগর রাখেন:-

সিরাজ উদ দ্দৌলা√
আলীবর্দী খান
মুর্শিদকুলি খান
এদের কেউ নন

৮. পলাশীর যুদ্ধ সংঘটিত হয়:-

১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৩ জুন
১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৩ জুন√
১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৬ মে
১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৮ জুন

৯. সিরাজের কলকাতা আক্রমণের অজুহাতে কোম্পানি ক্ষতিপূরণ নেয়:-

১ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা√
২কোটি ১০ লক্ষ টাকা
২কোটি ১৭ লক্ষ টাকা
১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা

১০. মীর কাসিমকে বাংলার নবাব পদে বসানো হয়:-

১৭৫৬ খ্রিস্টাব্দে
১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে
১৭৬০ খ্রিস্টাব্দে√
১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে

১১. বক্সারের যুদ্ধের সময় বাংলার নবাব ছিলেন:-

মীরজাফর√
মীর কাসিম
সিরাজ উদ দৌলা
নজম-উদ-দৌলা

১২. বাংলায় '৭৬' এর মন্বন্তর সংঘটিত হয়:-

১৭৭০ খ্রিস্টাব্দে
১১৭০ খ্রিস্টাব্দে
১১৭৬ বঙ্গাব্দে
A ও C দুটি বিকল্পই ঠিক√

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর :সম্ভাব্য মান -১

১. মোগল সম্রাট ঔরঙ্গজেব কখন মারা যান?
👉 ১৭০৭ খ্রিস্টাব্দে।

২. পলাশীর যুদ্ধ কবে সংঘটিত হয়?
👉 ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৩ জুন।

৩. নাদির শাহ কবে দিল্লি আক্রমণ করেন?
👉 ১৭৩৮–৩৯ খ্রিস্টাব্দে।

৪. বাংলার দেওয়ান হিসেবে মুর্শিদ কুলি খানকে কে নিযুক্ত করেন?
👉 মোগল সম্রাট ঔরঙ্গজেব।

৫. ঔরঙ্গজেবের একজন মুনশির নাম কী?
👉 ইনায়েৎ উল্লা।

৬. ‘মুর্শিদকুলি খাঁর অভ্যুদয়’ প্রবন্ধের লেখক কে?
👉 যদুনাথ সরকার।

৭. মুর্শিদ কুলি খান কবে মারা যান?
👉 ১৭২৭ খ্রিস্টাব্দে।

৮. ‘মহারাষ্ট্র পুরাণ’ গ্রন্থের লেখক কে?
👉 ভাস্কর পন্ডিত।

৯. বক্সারের যুদ্ধ কবে হয়?
👉 ১৭৬৪ খ্রিস্টাব্দে।

১০. কলকাতার নাম আলিনগর কে রাখেন?
👉 সিরাজ উদ দ্দৌলা।

১১. সিরাজ কলকাতা আক্রমণ করলে কোম্পানি ক্ষতিপূরণ বাবদ কত টাকা নেয়?
👉 ২ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা।

১২. মীর কাসিম কবে বাংলার নবাব হন?
👉 ১৭৬০ খ্রিস্টাব্দে।

১৩. বক্সারের যুদ্ধের সময় বাংলার নবাব কে ছিলেন?
👉 মীর কাসিম।

১৪. ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার দেওয়ানী কবে পায়?
👉 ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে।

১৫. ‘৭৬-এর মন্বন্তর’ কবে ঘটে?
👉 ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দে (১১৭৬ বঙ্গাব্দে)।

১৬. ‘মন্বন্তর’ প্রবন্ধের লেখক কে?
👉 বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।

১৭. ‘অধীনতামূলক মিত্রতা’ নীতি কে প্রবর্তন করেন?
👉 লর্ড ওয়েলেসলি।

১৮. লাহোর চুক্তি কবে স্বাক্ষরিত হয়?
👉 ১৮৪৬ খ্রিস্টাব্দে।

১৯. লর্ড ডালহৌসির কার্যকাল কত?
👉 ১৮৪৮ থেকে ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত।

২০. বন্দিবাসের যুদ্ধ কবে ঘটে?
👉 ১৭৬০ খ্রিস্টাব্দে।

২১. স্বেচ্ছায় অধীনতামূলক মিত্রতা মেনে নেয় কোন রাজ্য?
👉 হায়দ্রাবাদ।

২২. ডালহৌসি স্বত্ববিলোপ নীতিতে কোন রাজ্যটি অধিকার করেননি?
👉 অযোধ্যা।

২৩. শিখ দরবারে রেসিডেন্ট কবে নিযুক্ত হয়?
👉 ১৮৪৬ খ্রিস্টাব্দে।

২৪. আহমদ শাহ আবদালী কবে দিল্লি আক্রমণ করেন?
👉 ১৭৫৬–৫৭ খ্রিস্টাব্দে।

২৫. মুর্শিদকুলিকে দেওয়ান হিসেবে পাকাপাকি করেন কে?
👉 ফারুক শিয়র।

২৬. 'জগতের শেঠ' উপাধি কে পান?
👉 ফতেহ চাঁদ।

২৭. সিরাজ উদ দৌলা কবে নবাব হন?
👉 ১৭৫৬ খ্রিস্টাব্দে।

২৮. ‘বর্গীর হাঙ্গামা’ প্রবন্ধের লেখক কে?
👉 অক্ষয় কুমার মৈত্রেয়।

২৯. মীর কাসিম বাংলার কোন শহরকে রাজধানী করেন?
👉 মুঙ্গের।

৩০. পলাশীর যুদ্ধের প্রধান চরিত্র কে ছিলেন?
👉 সিরাজ উদ দৌলা।

৩১. পলাশীর যুদ্ধে ইংরেজদের নেতৃত্বে কে ছিলেন?
👉 রবার্ট ক্লাইভ।

৩২. বক্সার যুদ্ধের সময় ইংরেজদের নেতৃত্বে কে ছিলেন?
👉 হেক্টর মুনরো।

৩৩. বক্সার যুদ্ধে কারা অংশগ্রহণ করে?
👉 মীর কাসিম, শাহ আলম (দ্বিতীয়), শুজাউদ্দৌলা এবং ইংরেজরা।

৩৪. পলাশীর যুদ্ধের ফলে কে বাংলার নবাব হন?
👉 মীরজাফর।

৩৫. মীরজাফরকে সরিয়ে কে নবাব হন?
👉 মীর কাসিম।

৩৬. মীর কাসিমের সঙ্গে ইংরেজদের বিরোধের প্রধান কারণ কী ছিল?
👉 শুল্কমুক্তির অপব্যবহার ও কোম্পানির দুর্নীতি।

৩৭. ‘আলিনগর’ নামটি কোথা থেকে এসেছে?
👉 সিরাজের সময় কলকাতার নতুন নাম ছিল আলিনগর।

৩৮. মুর্শিদকুলির আসল নাম কী ছিল?
👉 সূজাউদ্দিন মুহাম্মদ।

৩৯. ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দেওয়ানী লাভের পর প্রশাসনের কেন্দ্র কোথায় ছিল?
👉 মুর্শিদাবাদ।

৪০. ‘স্বত্ববিলোপ নীতি’ (Doctrine of Lapse) কে চালু করেন?
👉 লর্ড ডালহৌসি।

৪১. স্বত্ববিলোপ নীতির মাধ্যমে ব্রিটিশরা কোন রাজ্য দখল করেছিল?
👉 ঝাঁসি, সাতারা, নাগপুর, সম্বলপুর।

৪২. ‘বর্গী’ কারা ছিল?
👉 মারাঠা ঘোড়সওয়ার লুটেরা দল।

৪৩. বর্গীদের আক্রমণে বাংলা কেমন পরিস্থিতির মুখে পড়ে?
👉 চরম আতঙ্ক ও ধ্বংসের মধ্যে পড়ে যায়।

৪৪. ‘মুর্শিদাবাদ’ শহরের প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন?
👉 মুর্শিদ কুলি খান।

৪৫. ডালহৌসির সময় কোন গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ঘটে?
👉 রেলপথ, ডাক ও টেলিগ্রাফ চালু হয়।

বর্ণনামূলক প্রশ্নোত্তর : সম্ভাব্য মান -৩

১. আলিবর্দি খান বাংলায় কীভাবে শাসনকার্য পরিচালনা করতেন ?
১৭২৭ খ্রিস্টাব্দে মুর্শিদকুলি খাঁর মৃত্যুর পর ক্ষমতার দ্বন্দ্বে জগৎ শেঠ ও প্রভাবশালী জমিদারদের সহায়তায় সেনাপতি আলিবর্দি খান বাংলার শাসনক্ষমতা দখল করেন। তাঁর শাসনকালে বাংলার ওপর মুঘলদের নিয়ন্ত্রণ কার্যত শেষ হয়। যদিও তিনি মুঘল সম্রাটের নামমাত্র কর্তৃত্ব স্বীকার করতেন, দিল্লিতে কোনো রাজস্ব পাঠাতেন না। আলিবর্দি বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যায় স্বাধীনভাবে শাসনব্যবস্থা পরিচালনা করেন।

২. মুর্শিদকুলি খানের নেতৃত্বে কীভাবে আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে বাংলার উত্থান ঘটে ?
সুবা বাংলায় রাজস্ব আদায় ঠিকভাবে চালাতে মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব মুর্শিদকুলি খানকে দেওয়ান পদে নিযুক্ত করেন। পরে ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে সম্রাট ফাররুখশিয়ার তাঁকে বাংলার নাজিম পদও প্রদান করেন। দেওয়ান ও নাজিম—দুই দায়িত্ব একত্রে পাওয়ায় মুর্শিদকুলির হাতে প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হয়। তাঁর দক্ষ নেতৃত্বে কেন্দ্র থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে বাংলায় এক শক্তিশালী আঞ্চলিক শাসনব্যবস্থা গড়ে ওঠে।

৩. ব্রিটিশ কোম্পানি কীভাবে দেওয়ানির অধিকার লাভ করে ?
বক্সারের যুদ্ধে বিজয়ের পর ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ কোম্পানি দেওয়ানির অধিকার লাভ করে। ক্লাইভ এলাহাবাদে মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম ও নবাব সুজাউদ্দৌলার সঙ্গে একটি চুক্তি করেন। সেই চুক্তি অনুযায়ী, সুজাউদ্দৌলা অযোধ্যার শাসন ফিরে পান এবং শাহ আলম একটি ফরমান জারি করে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানি কোম্পানিকে প্রদান করেন। এর বিনিময়ে কোম্পানি সম্রাটকে বছরে ২৬ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। এইভাবে কেন্দ্রের আনুগত্য রেখেও কোম্পানি বাংলায় প্রকৃত শাসক হয়ে ওঠে।

৪. অধীনতামূলক মিত্ৰতা নীতি কী ? ব্রিটিশ সরকার কীভাবে এর প্রয়োগ ঘটাতেন ?
লর্ড ওয়েলেসলি ‘অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি’র প্রবর্তক ছিলেন। এটি ছিল ব্রিটিশদের এক আগ্রাসী কূটনৈতিক নীতি, যার মাধ্যমে আঞ্চলিক শক্তিগুলিকে ব্রিটিশ আধিপত্য স্বীকার করতে বাধ্য করা হতো। রাজ্যগুলিকে এই চুক্তি অনুযায়ী নিজেদের সেনাবাহিনী বিলুপ্ত করে কোম্পানির রক্ষাকবচ গ্রহণ করতে হতো এবং একজন ব্রিটিশ রেসিডেন্ট নিয়োগ করতে হত। হায়দরাবাদ স্বেচ্ছায় এই নীতি মেনে নিলেও টিপু সুলতান এর বিরোধিতা করে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। মারাঠা ও শিখরাও এই নীতির শিকার হয়। এইভাবে ব্রিটিশরা ভারতীয় রাজ্যগুলির উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে।

৫. জগৎ শেঠ সম্পর্কে কী জানা যায় ?
মুর্শিদাবাদের অর্থনীতিতে জগৎ শেঠদের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পরিবার মূলত রাজস্থান থেকে আসা বণিক, যাঁদের প্রতিষ্ঠাতা হিরাপদ শাহ ও তাঁর পুত্র মানিকচাঁদ ছিলেন। মানিকচাঁদের ভাগ্নে ফতেহচাঁদই ছিলেন প্রকৃত জগৎ শেঠ, যিনি মুর্শিদাবাদে ব্যাঙ্কিং ব্যবসা শুরু করেন। জগৎ শেঠরা নবাবি দরবারে প্রভাবশালী ছিলেন এবং তাঁদের বিপুল অর্থসম্পদ ছিল। সিরাজ বিরোধী শক্তি হিসেবে তাঁরা মিরজাফরকে সমর্থন করেন, যাঁকে পরে ব্রিটিশরা নবাব পদে বসায়।

৬. ব্রিটিশ কোম্পানির সঙ্গে সিরাজ উদ-দৌলার বিরোধের কারণগুলি উল্লেখ করো।
সিরাজ উদ-দৌলা ছিলেন এক স্বাধীনচেতা নবাব, যিনি ব্রিটিশ কোম্পানির বেআইনি কার্যকলাপ ও বর্ধিত প্রভাব প্রতিহত করতে চেয়েছিলেন। ব্রিটিশরা নবাবকে অবজ্ঞা করে নিজে থেকে দুর্গ মেরামত ও অস্ত্র মজুত শুরু করে, যা সিরাজের অনুমতি ব্যতিরেকে করা হয়। তারা নিজস্ব মুদ্রা চালু করে এবং বাংলায় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বাড়াতে থাকে। ১৭৫৭ সালের আলিনগরের সন্ধি নবাবের জন্য অপমানজনক ছিল, কারণ এতে কোম্পানি সমস্ত বাণিজ্য সুবিধা ও ক্ষতিপূরণ আদায়ের অধিকার ফিরে পায়। এসব কারণে সিরাজ ও কোম্পানির মধ্যে সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে ওঠে।

৭. বাংলায় বর্গিহানা সম্বন্ধে কী জানা যায় ?
আলিবর্দি খানের শাসনকালে (১৭৪২–১৭৫১ খ্রিস্টাব্দ) বাংলায় মারাঠা বর্গিদের একাধিক বার আক্রমণ ঘটে, যা ‘বর্গিহানা’ নামে পরিচিত। বর্গিরা পশ্চিমবাংলা ও উড়িষ্যার বিভিন্ন অঞ্চলে প্রবল লুঠতরাজ চালায় এবং মুর্শিদাবাদ পর্যন্ত আক্রমণ করে। এসব আক্রমণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ১৭৫১ সালে নবাব আলিবর্দি খান ও মারাঠারা এক সন্ধি করে, যেখানে সুবর্ণরেখা নদীকে সীমান্ত হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। বর্গি হানা রোধে কলকাতায় একটি প্রতিরক্ষামূলক খাল খোঁড়া হয়, যাকে বলা হয় ‘মারাঠা ডিচ’।

৮. কে, কবে হায়দ্রাবাদে আঞ্চলিক শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?
মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের সভাসদ মির কামার উদ্দিন খান সিদ্দিকি, যিনি চিনকিলিচ খাঁ নামে পরিচিত ছিলেন, ১৭২৪ খ্রিস্টাব্দে হায়দ্রাবাদে আঞ্চলিক শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে তিনি নিজাম-উল-মুলক উপাধি লাভ করেন এবং আসফ ঝা বংশের প্রতিষ্ঠাতা হন।

৯. ফাররুখশিয়রের ফরমান কী ছিল ?
মুঘল সম্রাট ফাররুখশিয়র ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরমান দেন। এই ফরমান অনুযায়ী, কোম্পানি মাত্র ৩ হাজার টাকার বিনিময়ে বাংলায় শুল্কমুক্ত বাণিজ্য করার অধিকার পায়। এছাড়াও, কলকাতার আশেপাশে ৩৮টি গ্রামের জমিদারি কেনার অনুমতি দেওয়া হয়। কোম্পানির মালামাল চুরি হলে নবাবকে ক্ষতিপূরণ দিতে হতো এবং অপরাধীদের শাস্তিও দিতে হতো। কোম্পানির জাহাজ অনুমতিপত্রসহ এলে তারা অবাধে বাণিজ্য করতে পারত এবং প্রয়োজনে নবাবের টাকশাল ব্যবহার করারও অধিকার পেয়েছিল।

দ্বিতীয় অধ্যায় আঞ্চলিক শক্তির উত্থান

Ratings