- SCHOOL BOARDS
- WBBSE/WBCHSE
- CLASS 10
- HISTORY
- ১. ইতিহাসের ধারণা
- প্রথম অধ্যায় ইতিহাসের ধারণা । History Chapter 1 Itihaser Dharona-বড়ো প্রশ্ন উত্তর
প্রথম অধ্যায় ইতিহাসের ধারণা । History Chapter 1 Itihaser Dharona-বড়ো প্রশ্ন উত্তর
Language : Bengali
The Note contains Textual Question Answers from WBBSE Class 10 History Chapter 1 Itihaser Dharona (প্রথম অধ্যায় ইতিহাসের ধারণা). Read the Question Answers carefully. This Question Answer set from the WBBSE board provides quality Multiple Choice Questions (MCQ), Short Answer Type Questions (SAQ), and Long Answer Type Questions from the above chapter. By reading these, students will get a clear idea about that chapter. It will enhance their knowledge and enable them to get good marks in the board exams.
দশম শ্রেণি ইতিহাস প্রথম অধ্যায় ইতিহাসের ধারণা,
ইতিহাসের ধারণা অধ্যায় এর সম্পূর্ণ আলোচনা ও অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তর,
ইতিহাসের ধারণা থেকে সংক্ষিপ্ত, রচনাধর্মী ও ব্যাখ্যা ধর্মী প্রশ্নোত্তর,
Class 10 History Chapter 1 Itihaser Dharona,
Itihaser Dharona Class 10 History,
Short Answer Type Question (SAQ) from Itihaser Dharona,
Long Answer Type Question from Itihaser Dharona,
CHAPTER -1_ইতিহাসের ধারণা- বড়ো প্রশ্ন উত্তর
Descriptive Type Question-Answer :
1. ইতিহাসের তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহারের দুটি সুবিধা ও অসুবিধা লেখ। (২)/(৪)
ইতিহাসচর্চার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহের জন্য ইন্টারনেট একটি অন্যতম মাধ্যম। এই মাধ্যম -এ তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে সুবিধাগুলি হল -
i) সময় সাশ্রয় - গ্রন্থাগার থেকে গ্রন্থ সংগ্রহ করে তারপর সেই গ্রন্থ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা অনেক সময়সাপেক্ষ ব্যাপার কিন্তু ইন্টারনেটের মাধ্যমে খুব অল্পসময়েই সেই তথ্যটি আমরা পেতে পারি।
ii) কম খরচে তথ্য সংগ্রহ - ইন্টারনেটের সাহায্যে কম খরচে অনেক বেশি তথ্য পাওয়া যায় কিন্তু বই কিনে বা সংগ্রহ করে সেই তথ্য জোগাড় করা অনেক ব্যয় সাপেক্ষ ব্যাপার।
এর অসুবিধাগুলি হল -
i) নির্ভরযোগ্যতার অভাব - ইন্টারনেটে প্রাপ্ত তথ্য সব সময় নির্ভরযোগ্য হয় না। অনেক সময় নিজেদের মনগড়া বা বিকৃত তথ্য এখানে সংযোজন করা হয়।
ii) প্রযুক্তিগত অসুবিধা - ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট প্রযুক্তির প্রয়োজন হয়। এই প্রযুক্তি যদি কখনো ত্রুটি দেখা দেয় তাহলে ইন্টারনেট স্তব্ধ হয়ে যায়। তখন তথ্য সংগ্রহ করাও অসম্ভব হয়ে পড়ে।
1. আধুনিক ভারতে ইতিহাসচর্চার উপাদান হিসাবে সরকারি নথিপত্রের গুরুত্ব লেখ।
আধুনিক ভারতে ইতিহাসচর্চার ক্ষেত্রে সরকারি নথিপত্রের গুরুত্ব কম নয়। কোনো দেশের শাসক গোষ্ঠী যখন সেই দেশ শাসন করে তখন সেই দেশ সম্পর্কিত নানান নথিপত্র লিপিবদ্ধ করে। সেইতথ্য গুলিকে আমরা সরকারি নথিপত্র হিসাবে চিহ্নিত করি।
i) নথিপত্র সমূহ - সরকারি নথিপত্রগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল - ভারত সচিবের দলিলপত্র, সরকারি বিভিন্ন দফতরে কর্মরত সচীব ও আধিকারিকদের লেখা চিঠিপত্র, সরকারী মহাফেজখানায় সংরক্ষিত বিভিন্ন নথি, পুলিশ ও গোয়েন্দাদের প্রতিবেদন প্রভৃতি।
ii) প্রয়োগ ক্ষেত্র - সরকারি নথিপত্র থেকে ইতিহাস চর্চার বহুতথ্য জানতে পারা যায় - ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থা, সরকারী আমলে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন বিদ্রোহ, রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও সংস্কৃতির নীতি সম্পর্কিত বহু তথ্য জানা যায়। সমাজের স্থিতিশীলতা, অস্থিরতা, বৈপ্লবিক তৎপরতা, আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত বিভিন্ন ধারণা সরকারি নথিপত্র থেকে পাওয়া যায়। এই প্রসঙ্গে চার্লস উডের প্রতিবেদন, মেকলে মিনিট, হার্বার্ট রিজলির দিনলিপি কথা উল্লেখযোগ্য।
iii) ব্যবহারের সতর্কতা - সরকারি নথিপত্রগুলি যে সবসময় নিরপেক্ষ এবং সঠিক হবে তা কিন্তু নয় তাই নথিপত্র গুলিকে সমসাময়িক বিভিন্ন তথ্য থেকে যাচাই করে নেওয়াও দরকার। সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে প্রকাশিত সমসাময়িক ঘটনার সাথে সরকারি নথিপত্রের মিল অমিল যাচাই করে নেওয়া দরকার। সরকারি নথিপত্রগুলিকে বেসরকারি নথিপত্র ও ব্যক্তিগত সাহিত্যের মধ্যে প্রাপ্ত তথ্যের দ্বারা বিচার করে নেওয়া দরকার। সর্বোপরি নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গিতে সরকারি নথিপত্রের তথ্যগুলিকে যাচাই করা প্রয়োজন।
2. আধুনিক ভারতের ইতিহাস চর্চার উপাদান হিসাবে জীবনস্মৃতির গুরুত্ব লেখ।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘জীবনস্মৃতি’ হল একটি স্মৃতিকথা মূলক গ্রন্থ। আধুনিক ভারতের ইতিহাসচর্চার ক্ষেত্রে এই গ্রন্থটি গুরুত্বপূর্ণ। এই গ্রন্থের গুরুত্বগুলি হল -
i) ঠাকুরবাড়ির পরিবেশ - জীবনস্মৃতি গ্রন্থ থেকে ঠাকুরবাড়ির পরিবারের শিশুদের শিক্ষালাভ, ছেলেবেলা, সংগীতচর্চা প্রভৃতি তথ্য পাওয়া যায়। একই সাথে ঠাকুবাড়ির অন্দরমহলের অবস্থা, ভৃত্যদের কাজকর্ম, উৎসব অনুষ্ঠান সম্পর্কেও নানা তথ্য পাওয়া যায়।
ii) স্বদেশিকতা - জীবনস্মৃতি গ্রন্থটি থেকে যতীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও রাজনারায়ণ বসুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্বদেশিকতা সভা সম্পর্কে যেমন বহু মূল্যবান তথ্য পাওয়া যায়, তেমনই নবগোপাল মিত্রের হিন্দুমেলা ও বিভিন্ন স্বদেশী আন্দোলন সম্পর্কিত বহু তথ্য এই গ্রন্থে মেলে।
iii) রাজনৈতিক যোগ - এই গ্রন্থ থেকে জানা যায় সমকালীন রাজনৈতিক আন্দোলনগুলির সাথে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পরোক্ষভাবে যুক্ত হয়ে পরেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দেশত্মবোধক গান রচনা বৈকঠ আন্দোলনের সাথে যোগসূত্রের প্রমাণ দেয়।
iv) ধর্মীয় সংস্কৃতি - জীবনস্মৃতি গ্রন্থ থেকে জানা যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার পিতা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনুসরণে ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষিত হন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই ‘জীবনস্মৃতি’ গ্রন্থটি ছিল উনিশ শতকের শেষ ৩০ বছরের বাঙালি সমাজের ও সংস্কৃতির এক অনবদ্য ভাষ্য।
3. আধুনিক ভারতের ইতিহাসচর্চার উপাদান হিসাবে বিপিনচন্দ্র পালের ‘সত্তর বৎসর’ গুরুত্বপূর্ণ কেন ?
- ভারতের জাতীয়তাবাদী ও চরমপন্থী নেতা বিপিনচন্দ্র পালের আত্মজীবনী ‘সত্তর বৎসর’ -এ 1858-80 খ্রি: পরিস্থিতি বর্ণিত হয়েছে। আধুনিক ইতিহাসচর্চার উপাদান হিসাবে এই গ্রন্থের গুরুত্বগুলি হল -
i) এই গ্রন্থ থেকে তৎকালীন সময়ের ধর্মীয়, সংস্কৃতি যেমন -যাত্রাগান, পুরানপাঠ, বিবাহপ্রথা, দোল উৎসব প্রভৃতি সম্পর্কিত তথ্য যেমন পাওয়া যায় তেমনই সমকালীন কলকাতা শহরের সংস্কৃতি, বিধিনিষেধ, খাদ্যাভ্যাস, মদ্যপান নিবারনী সমিতির কথাও জানা যায়।
ii) এই গ্রন্থ থেকে তৎকালীন শিক্ষাবিস্তার সম্পর্কিত তথ্যও পাওয়া যায় যেমন - গ্রামে গ্রামে মাদ্রাসা মক্তব্য ছিল, সেখানে ফার্সী শেখানো হত, উচ্চশিক্ষার জন্য প্রেসিডেন্সি কলেজ ছিল জনপ্রিয়। তৎকালীন নারীরা ছিল কুসংস্কারাচ্ছন্ন। কিন্তু উত্তরবঙ্গে গৌড়িয় বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের মধ্যে নারীশিক্ষার প্রচলন ছিল।
iii) এই গ্রন্থ থেকে জানা যায় তৎকালীন সমাজ ছিল পুরুষতান্ত্রিক। হিন্দু মুসলিম পাশাপাশি সম্প্রীতি সহযোগে বসবাস করত। ইংরেজি শিক্ষিত বাঙালিরা ব্রাহ্মধর্মের আদর্শে স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণে ব্রতী হয়েছিল।
iv) এই গ্রন্থ থেকে জানা যায় তৎকালীন ব্রিটিশ বিরোধী সভাসমিতি গুলির মধ্যে সুরেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়ের ভারতসভা ও নবগোপাল মিত্রের হিন্দুমেলা ব্রিটিশ বিরোধী কাজকর্মে বিশেষ ভূমিকা নেয়।
বিপিনচন্দ্র পালই প্রথম ব্যক্তিত্ব যিনি তার আত্মজীবনী ‘সত্তর বৎসর’ -এ দেশ কথাকে তুলে ধরেছেন। কিন্তু তার এই দেশকথা ইতিহাস চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ হলেও এর বেশ কিছু সীমাবদ্ধতাও আছে।
4. ইতিহাসের উপাদান হিসাবে ‘জীবনের ঝরাপাতা’ গ্রন্থের গুরুত্ব কী ?
আধুনিক ভারতের ইতিহাসচর্চার উপাদান হিসাবে আত্মজীবনী মূলক ও স্মৃতিকথামূলক গ্রন্থ ‘জীবনের ঝরাপাতা’ গুরুত্বপূর্ণ। এই গ্রন্থটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বোন স্বর্ণকুমারী দেবীর কন্যা সরলাদেবী চৌধুরানির লেখা। এই গ্রন্থে 1872-1905 খ্রি: সময়কালের বর্ননা আছে। 1851 খ্রি: দেশ পত্রিকায় এই গ্রন্থটি ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হতে থাকে। এই গ্রন্থের গুরুত্বগুলি হল -
i) তৎকালীন সময়ের পোশাক, সংগীতচর্চা, নারী ইতিহাস ও রাজনীতি সম্পর্কিত বহু মূল্যবান তথ্য এই গ্রন্থ থেকে পাওয়া যায়।
ii) তৎকালীন সমাজে ও রাজনীতিতে নারী পুরুষের অধিকার, ব্যবধান সম্পর্কেও জানা যায় এই গ্রন্থ থেকে।
iii) সরলাদেবী এই গ্রন্থে নিজের জীবনের গল্প বলতে গিয়ে তৎকালীন সময়ের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে ঠাকুরবাড়ি ও পুরোনো কলকাতার কথা এনেছেন।
iv) এই গ্রন্থ থেকে জানা যায় তৎকালীন ব্রিটিশ বিরোধী বিপ্লবী আন্দোলনে তিনি অংশগ্রহণ করেছিলেন। বীরাষ্টমী ব্রত, প্রতাপাদিত্য উৎসব ও উদয়াদিত্ত্ব উৎসব চালু করে তরুণদের মধ্যে জাতীয়তাবাদের প্রসার ঘটিয়েছিলেন।
‘‘জীবনের ঝরাপাতা’ গ্রন্থটি ঊনবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে নারী ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে এক অমূল্যবান দলিল হিসাবে বিবেচিত হতে পারে।
5. আধুনিক ভারতের ইতিহাস চর্চায় বঙ্গদর্শন ও সোমপ্রকাশ পত্রিকা দুটির গুরুত্ব লেখ।
- ঊনবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে প্রকাশিত সাময়িক পত্রিকা গুলির মধ্যে দুটি গুরুত্বপূর্ণ পত্রিকা হল বঙ্গদর্শন ও সোমপ্রকাশ।
বঙ্গদর্শন : 1872 খ্রি: 12 ই এপ্রিল বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সম্পাদনায় বঙ্গদর্শন পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়। বঙ্কিমচন্দ্রের পরে এই পত্রিকার সম্পাদনার দায়িত্ব নেয় সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
গুরুত্ব - বঙ্গদর্শন একটি উচ্চমানের সাহিত্যমূলক পত্রিকা। এই পত্রিকায় বঙ্কিমচন্দ্রের আনন্দমঠ উপন্যাস, বন্দেমাতরম সঙ্গীত প্রথম প্রকাশিত হয়। বাঙালি জাতির গৌরব বৃদ্ধি এই পত্রিকায় প্রধান ছিল। সমসাময়িক দর্শন, ধর্ম, রাজনীতি বাঙালির সাথে পরিচয় করিয়েছিল এই পত্রিকাটি।
সোমপ্রকাশ - অধ্যাপক দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ 1858 খ্রি: সোমপ্রকাশ নামক সাপ্তাহিক পত্রিকাটি প্রকাশ করেন। এই পত্রিকাটির সাথে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরও যুক্ত হন।
গুরুত্ব - সোমপ্রকাশ পি-পত্রিকাটি প্রথম রাজনৈতিক আলোচনা শুরু করে। জাতীয়তাবাদী , রাজনীতি এই পত্রিকায় গুরুত্ব পেত। রাজনীতি ছাড়াও সমালোচনামূলক লেখালেখি এই পত্রিকায় প্রকাশ পায়। এখানে ব্রিটিশ শাসন, বিচারের পদ্ধতির যেমন সমালোচনা করা হত তেমনই রায়ত্বের স্বার্থ রক্ষার জন্য ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের সমালোচনা করা হয়। সংবাদপত্র দমন আইন জারি করে 1878 খ্রি এই পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ঊনবিংশ শতাব্দীর আটের দশকের এটি বন্ধ হয়ে গেলেও বাঙালির মধ্যে জাতীয়তাবোধ ও রাজনীতির প্রসার ঘটানোর এই পত্রিকাদুটির গুরুত্ব অপরিসীম।
6. আধুনিক ভারতের ইতিহাস চর্চায় বঙ্গদর্শন ও সোমপ্রকাশ পত্রিকা দুটির গুরুত্ব আলোচনা করো।
ইতিহাসের বেসরকারি উপাদান গুলির মধ্যে সংবাদপত্র ও সাময়িক পত্রের গুরুত্ব অস্বীকার করা যায় না। সমসাময়িক রাজনৈতিক, সামাজিক, ও অর্থনৈতিক ঘটনাগুলির বর্ননা ও বিশ্লেষণ সংবাদপত্র ও সাময়িক পত্রগুলির মধ্যে মেলে। ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রকাশিত পত্রিকাগুলির মধ্যে বঙ্গদর্শন, ভারতী, অমৃতবাজার, Indian Mirror, আনন্দমঠ, বন্দেমাতরম, সোমপ্রকাশ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
i) বঙ্গদর্শন - ১৮৭২ খ্রি:দের ১২ই এপ্রিল বঙ্গদর্শন পত্রিকাটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় প্রথম। এই পত্রিকায় বাঙালি জাতির মধ্যে স্বদেশ চেতনার সঞ্চার ঘটেছিল। এই পত্রিকাতেই বঙ্কিমচন্দ্রের ‘বন্দেমাতরম’ গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়। সমসাময়িক ধর্মদর্শন এবং রাজনীতির সঙ্গে বাঙালির পরিচয় ঘটে এই পত্রিকার মাধ্যমে। বঙ্কিমচন্দ্রের প্রকাশিত ‘সাম্য’ প্রবন্ধটি সমাজতান্ত্রিক ভাবধারার প্রসার ঘটায়। বঙ্গদর্শন পত্রিকায় কৃষকের স্বার্থ সংরক্ষণের কথা প্রচার করা হয়।
ii) সোমপ্রকাশ - ১৮৫৮ খ্রি:-দের ১৫ই নভেম্বর এই সাপ্তাহিক পত্রিকাটি দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ এর সম্পাদনায় প্রথম প্রকাশিত হয়। এই পত্রিকার মাধ্যমে সমকালীন বাঙালি সমাজের সংস্কার আন্দোলনের নম্যাচিত্র ধরা পড়ে। বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ, পণপ্রথা, প্রভৃতি বিষয়ের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ লেখা প্রকাশিত হয় এবং জনমত গঠন করা হয়। এই পত্রিকায় ব্রিটিশ সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে ভারতীয়দের প্রতিবাদ তুলে ধরা হয়। এই প্রসঙ্গে দেশীয়ভাষায় সংবাদপত্র আইন ও ইলবার্ট বিলের বিরোধীতার কথা উল্লেখ্যযোগ্য। রাজনীতি ছাড়াও সাহিত্য সমালোচনা মূলক লেখালেখি এখানে প্রকাশিত হতে থাকে।