- SCHOOL BOARDS
- WBBSE/WBCHSE
- CLASS 11
- BANGLA
- Chuti- Rabindranath Tagore | ছুটি-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
Chuti- Rabindranath Tagore | ছুটি-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
Language : Bengali
The Note contains Textual Question Answers from WBBSE Class 11 Bengali Chuti- Rabindranath Tagore (ছুটি-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর). Read the Question Answers carefully. This Question Answer set from the WBBSE board provides quality Multiple Choice Questions (MCQ), Short Answer Type Questions (SAQ), and Long Answer Type Questions from the above chapter. By reading these, students will get a clear idea about that chapter. It will enhance their knowledge and enable them to get good marks in the board exams.
Class 11 Bengali Chuti- Rabindranath Tagore
Short Answer Type Question (SAQ) from Chuti- Rabindranath Tagore
Long Answer Type Question from Chuti- Rabindranath Tagore
একাদশ শ্রেণি বাংলা ছুটি-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ছুটি ব্যাখ্যা, ছুটি বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ, সম্পূর্ণ আলোচনা ও অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তর, একবিংশ অধ্যায় ছুটি-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে সংক্ষিপ্ত, রচনাধর্মী ও ব্যাখ্যা ধর্মী প্রশ্নোত্তর
ছুটি- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর Notes
1. “ইহাতে তাহার গৌরব আছে”- কার সম্পর্কে কথাটি বলা হয়েছে এবং ভাবনাটি কার? গৌরব কোথায় বা কী কারণে এবং গৌরব ছাড়া আর কিছু আছে কি না, গল্প অবলম্বনে লেখো।
উদ্দিষ্ট ব্যক্তি ও ভাবনা- কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ছুটি’ গল্পে মাখনলাল সম্পর্কে এ কথা বলা হয়েছে এবং ভাবনাটি স্বয়ং মাখনলালের।
নদীর ধারে প্রকান্ড একটা শাল কাঠের গুঁড়ি পড়েছিল।ফটিক এবং তার সহযোগীরা ঠিক করেছিল, সেটা তারা গড়িয়ে নিয়ে যাবে। কোমর বেঁধে সবাই যখন সেই কাজ করতে প্রবৃত্ত হল। সেই সময়ই ফটিকের ভাই মাখনলাল সেই গুঁড়ির উপর গিয়ে বসে পরল। একজন বালক মাখনকে একটু-আধটু ঠেলে গুঁড়ি থেকে সরাবার চেষ্টা করলেও বিফল হয়ে ফিরে গেল। ফটিক মাখনকে মারের ভয় দেখিয়ে গুঁড়ি থেকে ওঠবার চেষ্টা করে, কিন্তু মাখন তাতে বিন্দুমাত্র ভয় না পেয়ে ‘আসনটি বেশ স্থায়ীরূপে দখল করিয়া লইল’। শুধু এটাই নয়, সে গুঁড়ির ওপর বসে থাকবে আর দাদা ফটিক ও তার সঙ্গীসাথীরা সেটা গড়িয়ে নিয়ে যাবে, এটাই মাখনের পক্ষে গৌরবের বিষয়। কিন্তু গৌরব ছাড়াও যে এর সঙ্গে বিপদের সম্ভাবনা লুকিয়ে আছে, এই ব্যাপারটা মাখন, ফটিক ও তার সঙ্গীসাথীরা একবারও ভাবেনি। তারা ভাবতেও পারেনি। মাখনসুদ্ধ গুঁড়ি গড়ানোর চেষ্টা করলে মাখন মাটিতে পড়ে যাবে, এমনকি সে গুঁড়ি চাপাও পড়তে পারে।
2. “একবারে অন্ধভাবে মারিতে লাগিল।”-কে, কাকে মারতে লাগল? মারার কারণ কি?
উদ্দিষ্ট ব্যক্তিবর্গ - বাংলা সাহিত্যের ছোটোগল্পের রূপকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘ছুটি’ গল্পের আলোচ্য উদ্ধৃতাংশ অনুসারে ফটিকের ভাই মাখন ফটিককে মারতে লাগল।
মারার কারণ : একটি বিশালাকৃতি শালকাঠ নদীর ধারে পড়েছিল। ফটিকরা সিদ্ধান্ত নিল যে তারা এই কাঠের গুঁড়িটাকে গড়িয়ে নিয়ে যাবে। ঠিক সেই সময়কালে ফটিকের ভাই মাখন গাছের গুঁড়ির উপর গম্ভীরভাবে বসে পড়ে। ছেলের দল মাখনের ঔদাসীন্য ভাব দেখে বিমর্ষ হয়ে যায়। তারা ভয়ে ভয়ে একটু-আধটু ঠেলতে থাকে, তাতে মাখন কোনোরূপে বিচলিত হয় না। ফটিক তার ভাইকে শাসন করে মারের ভয় দেখিয়েও যখন গুঁড়ি থেকে নামাতে পারল না তখন তারা স্থির করল মাখনের গুঁড়িতে বসে থাকা অবস্থাতেই ঠেলবে। মাখন কোনোমতেই গুঁড়ি থেকে নামল না। সে ভাবল এতে তার গৌরব আছে। “কিন্তু অন্যান্য পার্থিব গৌরবের ন্যায় ইহার আনুষঙ্গিক যে বিপদের সম্ভাবনাও আছে, তাহা তাহার কিংবা আর-কাহারও মনে উদয় হয় নাই।” ছেলেরা মারো ঠ্যালা হেঁইয়া, সাবাস জোয়ান হেঁইয়ো” বলে ঠ্যালা আরম্ভ করতেই মাখন মাটিতে পড়ে গেল, মাখন জানে যে ফটিক দলের সর্দার, তার ইচ্ছাতেই সব হয়েছে। তাই মাখন ফটিককেই এলোপাথাড়ি ভাবে মারতে লাগল। তার নাকে-মুখে নখের আঁচড় কেটে দিয়ে বাড়ির দিকে চলে গেল।
3. এত বয়সে সাধারণত নারীজাতিকে কোনো শ্রেষ্ঠ স্বর্গলোকে দুর্লভ জীব বলিয়া মনে ধারণা হইতে আরম্ভ হয়, …উপেক্ষা অত্যন্ত দুঃসহ বোধ হয়,-বক্তা কে? তিনি কখন একথা বলেছেন? তাৎপর্য লেখো?
“ছুটি”- গল্পে উপরোক্ত মন্তব্যটি করেছেন লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
প্রাণবন্ত-চঞ্চল ফটিককে গ্রাম থেকে শহরে নিয়ে আসা হলে এবং মামি ও মামা ও ভাইদের অবহেলায় নিজেকে অবহেলিত, উপেক্ষিত মনে করে ফটিক। মামার বাড়িতে প্রতিটি মুহূর্ত এবং মামিমার নিষ্ঠুর আচরণ প্রসঙ্গে লেখক আলোচ্য মন্তব্যটি করেছেন।
ফটিক তেরো-চোদ্দ বছরের পিতৃহীন বালক। ইচ্ছা না থাকলেও মামার আন্তরিকতায় এবং মায়ের ইচ্ছায় কলকাতায় আসে ফটিক। কলকাতায় এসে ফটিক বুঝতে পারে তাঁর মামিমার মনোভাবকে। মায়ের স্নেহ, ভালোবাসা কোনো কিছুই মামিমার আচরণে ছিল না। ফলে সামান্য ভুলে তাকে সহ্য করতে হতো উপেক্ষা, অবহেলা, লাঞ্ছনা এমনকি শারীরিক নির্যাতন। কিশোর ফটিকের বয়ঃসন্ধিকালে নারী সম্পর্কে পূর্বে যে কৌতূহল ও সম্ভ্রমবোধ ছিল তা কলকাতায় এসে সম্পূর্ণ বদলে যায়। নারীর ভালোবাসা, স্নেহ, আন্তরিকতা সব কিছুরই অভাব বোধ করে মামিমার কথাবার্তা, আচরণ ও ব্যবহারে। অথচ একই সময়ে একই জায়গায় তাঁর মামিমা তার মামাতো ভাইদের যেভাবে মায়া মমতা ও স্নেহে বেঁধে রেখেছে তার সম্পূর্ণ অভাব ঘটেছে ফটিকের ক্ষেত্রে। এই মানসিকতা উপলব্ধি করে তাই লেখক বলেছেন এমন অবস্থায় মাতৃভবন ছাড়া আর কোনো অপরিচিত স্থান যেকোনো বালকের পক্ষে নরক হয়ে ওঠে। পৃথিবীতে মায়ের যে কোনো বিকল্প নেই একথা বোঝাতে লেখক উদ্ধৃত বক্তব্যটি রেখেছেন।
4. মা এখন আমার ছুটি হয়েছে মা এখন আমি বাড়ি যাচ্ছি কে কোন প্রসঙ্গে এ কথা বলেছেন -তাৎপর্য লেখো।
ছুটি গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র ফটিক এ কথা বলেছে। গ্রাম থেকে শহরে এসে প্রতিটি মুহূর্তে মা এর স্নেহ মমতা ভালোবাসার অভাব উপলব্ধি করেছে মামিমার মধ্যে। তাই বাধ্য হয়ে কলকাতার খাঁচায়বদ্ধ জীবন থেকে গ্রামে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় ফটিক। সারাদিন বৃষ্টিতে ভিজে প্রচন্ড জ্বরে প্রলাপ বকতে বকতে জ্বরের ঘোরেই উপরোক্ত মন্তব্যটি করেন ফটিক।
বৃষ্টিতে ভিজে গ্রামে ফিরে যেতে ব্যর্থ ফটিক পুলিশের গাড়ি করে মামার বাড়িতে ফেরে। শ্রাবণে বৃষ্টিতে ভেজায় তার সর্বাঙ্গে কাদা লাগে, চোখমুখ লাল হয়ে ওঠে এবং প্রচন্ড জ্বরে থরথর করে কাঁপতে থাকে। ফটিকের এই জ্বরের মাত্রা উপলব্ধি করে ডাক্তার ডেকে আনেন তার মামা। ফটিকের বাঁধানো আর সম্ভব নয়। শহরে এই যান্ত্রিক জীবন থেকে এবং মামির নিষ্ঠুর আচরণ থেকে বালক ফটিক বাধ্য হয়েছে ছুটি চাইতে। ফটিকের এই ছুটি হলো স্নেহহীন ভালোবাসাহীন জীবন থেকে চিরকালের জন্য মুক্তি তাই অসুস্থতার মধ্যে তার মুখ থেকে বেরিয়ে এসেছে সেই অন্তরের আবেদন। অবচেতন মনে ফটিক তার মায়ের ভালোবাসা পেতে তার মায়ের কাছেই ফিরে যেতে চেয়েছিলো তাই সে মায়ের কণ্ঠস্বর শুনে তার মায়ের কাছে এই আবদার করেছে। যা বাস্তবিক পক্ষে আনন্দের না হয়ে দুঃখের পরিণতিকে রূপ দিয়েছে।