Nun-Joy Goswami | নুন - জয় গোস্বামী

Language : Bengali

The Note contains Textual Question Answers from WBBSE Class 11 Bengali Nun-Joy Goswami (নুন-জয় গোস্বামী). Read the Question Answers carefully. This Question Answer set from the WBBSE board provides quality Multiple Choice Questions (MCQ), Short Answer Type Questions (SAQ), and Long Answer Type Questions from the above chapter. By reading these, students will get a clear idea about that chapter. It will enhance their knowledge and enable them to get good marks in the board exams. 

Class 11 Bengali Nun-Joy Goswami

Short Answer Type Question (SAQ) from Nun-Joy Goswami

Long Answer Type Question from Nun-Joy Goswami

একাদশ শ্রেণি বাংলা নুন-জয় গোস্বামী 


নুন ব্যাখ্যা, নুন বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ, সম্পূর্ণ আলোচনা ও অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তর, একবিংশ অধ্যায় নুন-জয় গোস্বামী থেকে সংক্ষিপ্ত, রচনাধর্মী ও ব্যাখ্যা ধর্মী প্রশ্নোত্তর

নুন -জয় গোস্বামী


1. নুন কবিতাটি কার লেখা? কোথা থেকে নেওয়া হয়েছে?

- কবিতাটি কবি জয় গোস্বামীর লেখা। 

- মূল কাব্য গ্রন্থের নাম ভুতুমভগবাম। 


2. আমরা তো অল্পে খুশি কী হবে দুঃখ করে? কবি কেন এ কথা বলেছেন?

কারণ দরিদ্র নিম্নবৃত্ত পরিবারের বেশি সুখ আসতে পারে না তাই একথা বলা হয়েছে। 


3. আমাদের দিন চলে যায় ভাত কাপড়ে কবি কী বলতে চেয়েছেন?

নিম্নবৃত্ত মানুষেরা কোনোরকমে জীবনযাপন করার কথা কবি বলেছেন। 

4. রাত্রি দুই ভাই মিলে টান দিয়ে গঞ্জিকাতে -এই কথার মধ্যে দিয়ে কবি কী বলতে চেয়েছেন?

যন্ত্রনাময় কঠোর বাস্তব জীবনকে ভুলে থাকার ব্যর্থ প্রচেষ্টার কথা বলা হয়েছে। 


5. সব দিন হয় না বাজার হলে হয় মাত্রা ছাড়া - মাত্রা ছাড়া বলতে কী বুঝিয়েছেন?

মাত্রা ছাড়া কথার মাধ্যমে গরিব মানুষের বেহিসাবি এবং অসংযমী জীবন-যাপনের কথা বলা হয়েছে। 


6. নুন কবিতায় গোলাপ চারা কীসের প্রতীক ?

মনের ভিতরে থাকা সৌন্দর্য্যের বিলাসের প্রতীক। 


7. বাপ বেটা দুজন মিলে সারা পাড়া মাথায় করি - কেন এমন ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে?

গভীর রাতে অসহ্য খীদের সময় ভাতে সামান্য নুন টুকু না থাকায় অনিয়ন্ত্রিত রাগকে বোঝাতে একথা বলেছেন। 


8. ‘নুন’ কবিতায় আমরা কারা?

সমাজের নিম্নবৃত্ত শ্রেণীর দিন আনা-খাওয়া মানুষ। 


9. সব দিন হয় না বাজার কেন?

দীন দীন দরিদ্র মানুষ প্রতিদিন পরিশ্রম করে প্রতিদিন পরিশ্রম করে প্রতিদিন জীবন যাপন করে। যে দিন কাজ থাকে না বা যেদিন কাজ করতে পারে না সেদিন তাদের বাজার করা হয় না। 


10. বাপ বেটা দুজন মিলে সাড়া পাড়া মাথায় করি - কথা দুটির অর্থ কি?

কথাটি দুটি অর্থে ব্যবহার হয়েছে - 

i) নিম্নবৃত্ত পরিবারের বাপ বেটার মধ্যে স্বাভাবিক ও সহনশীলতা না থাকায় পরিবারের দু-ভাইয়ের মতো আচরণ করা। 

ii) আমাদের দেহ ও মনের ইচ্ছাপূরণ না হওয়ায় ঘটনাটি তুলে ধরতে বাপ বেটা শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। 


11. আমাদের দিন চলে যায় সাধারণ ভাত কাপড়ে - সাধারণ ভাত কাপড় বলতে কী বোঝায়? কথাটির মাধ্যমে সমাজে টিকে থাকার প্রবল বৈষম্যের দিকটি তুলে ধরো?

সাধারণ ভাত কাপড়ের অর্থ কোনোমতে খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকা। পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ এইভাবেই বেঁচে থাকে। অর্থাৎ টিকে থাকে এই প্রকার জীবন যাপনের প্রতিমুহূর্তে স্বপ্ন, আশা-আকাঙ্খা নষ্ট হয়ে যায়। সাধের সঙ্গে সাধ্যের আকাশ পাতাল তফাৎ থাকায় সমাজের গরিব মানুষেরা এভাবেই টিকে থাকার লড়াই চালিয়ে যায়। আধুনিক সভ্যতার প্রভাবে সমাজের শ্রেণীবিভেদের কারণে নিম্নবৃত্ত মানুষ একমুঠো অন্ন ও এক টুকরো কাপড় নিয়েই বেঁচে থাকার বিষয়টি বোঝাতে আলোচ্য মন্তব্যটি করেছেন। 

আধুনিক সমাজ-ব্যবস্থায় এক শ্রেণীর মানুষ ধনী হয়ে উঠেছে আবার গরীব মানুষ আরও গরিব হয়ে যাচ্ছে। অথচ গরিবের কঠোর পরিশ্রমে ধনীর সম্পদের পাহাড় গড়ে ওঠে। পরিশ্রমী দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলি সামান্য অন্নবস্ত্রের জোগাড়ে ব্যর্থ হয়। ক্ষুধায় কাতর হয়ে শীর্ণ দেহে প্রায় উলঙ্গ অবস্থায় দিন পাত করে। একদিকে উচ্চবৃত্তের ঐশ্বর্য্যময় জীবন-যাপন অন্যদিকে শুকনো ভাতে নুন না পাওয়া নিম্নবৃত্তের মানুষের এই বৈষম্যকেই কবি উপরোক্ত বক্তব্য তুলে ধরেছেন। 


12. রাত্তিরে দুই-ভাই মিলে টান দিই গঞ্জিকাতে- কোন প্রেক্ষাপটে বক্তার এই উক্তি এই আচরণ তাদের জীবনের কোন সত্যকে প্রকাশ করে?

বর্তমান সময়ে নিষ্ঠুর বাস্তব চিত্রটি হল আর্থিক বৈষম্যভরা দরিদ্র মানুষেরা অসহায়তা। একদিকে চরম দারিদ্র অন্যদিকে নিয়মিত কাজ না থাকা এই দুই এর প্রভাবে অসহ্য জীবন যন্ত্রনা থেকে একটু স্বস্তি পেতে তারা নেশায় আচ্ছন্ন থাকতে বাধ্য হন। জীবনের সামগ্রিক ইচ্ছার সঙ্গে উপার্জনের বিস্তর ব্যবধান লক্ষ্য করে

এবং অসংযমী জীবন-যাপনকে লক্ষ্য করে কবি মন্তব্যটি করেছেন।

এই কবিতায় নিম্নবৃত্ত শ্রমজীবী মানুষের জীবনসত্য প্রকাশিত হয়েছে। সাধারণ ভাতকাপড় অভ্যস্থ এই মানুষদের যেমন দু-বেলা খাবার জোটে না তেমনি জীবনের শত সমস্যার মধ্যে সামান্য সাধপূরণে এরা নেশা করেন। আগামী কাল কাজ হবে কিনা। উপার্জন হবে কি না এসব ভাবনা তারা ভাবে না। এমনকি সামান্যতম সঞ্চয়ের কথা না ভেবে তারা উপার্জিত সমস্ত অর্থ খরচ করে ফেলে। এইভাবেই সাময়িক চিন্তায় ব্যস্ত থেকে ভবিষ্যৎ -এর কথা না ভাবাই নিজেদের অবস্থা আরও জটিল করে ফেলে। জীবনের অপরিণামদর্শিতা ও অমিতব্যয়িতা ভাবনাকে প্রকাশ করতে কবি গঞ্জিকাতে টান দেওয়ার কথাটি বলেছেন। 


13. আমরা তো এতেই খুশি -বলো আর অধিক কে চায় এতেই বলতে কী বুঝিয়েছেন ? পঙতিটির তাৎপর্য লেখো।

এতেই শব্দটি একবচন সূচক হলেও কবিতায় শব্দটি বহুবচনকে ইঙ্গিত করে। কবি নিম্নবৃত্ত শ্রমজীবী মানুষের দৈনন্দিন চাহিদার সঙ্গে তাদের জীবন-যাপনে ধরনগুলিকেও বোঝাতে উক্ত শব্দটি ব্যবহার করেছেন। বিশেষ করে অল্পে খুশি থাকা সাধারণ ভাত কাপড়ে দিন কাটানো, অসুখে ধার দেনায় জীবন-যাপন, মাত্রা

ছাড়া বাজার গঞ্জিকা সেবন প্রভৃতি বিষয়গুলিকে বোঝাতে কবি ‘এতেই’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন। 

মানুষ কিসে খুশি হয় একথা যেমন বলতে পারে না তেমনি সে আর বেশি চায় না একথা বলতে পারে না। কিন্তু নুন কবিতায় বক্তা স্পষ্ট ভাবে বলেছে তারা কোনোভাবে খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকতে চাইলে খুশি। তবে সৌন্দর্যবোধের সঙ্গে গোলাপচারা কেনার ভারসাম্য না থাকায় তারা দুশ্চিন্তা থাকতে চায় না। আর সেই দুশ্চিন্তা চায় না বলে তারা ঠান্ডা ভাতে শুধু মাত্র নুন প্রত্যাশা করেন। 

এই সামান্য প্রয়োজনটুকু না পূরণ হওয়ায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে যোষন করেন আমাদের শুকনো ভাতে লবণের ব্যবস্থা হোক। 


14. বাপব্যাটা দু-ভাই মিলে সারা পাড়া মাথায় করি - বাপব্যাটা দু-ভাই হয়ে ওঠে কীভাবে? সারা পাড়া বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

বাস্তবিকভাবে বাপব্যাটা দু-ভাই হয়ে ওঠা অসম্ভব কিন্তু বিষয়টিকে আচরণের দিক থেকে ভাবলে বোঝা যায় কখনও কখনও বিশেষ কিছু কারণে ‘বাপব্যাটা’ দু-ভাইয়ের মতোই হয়ে যায়। বিশেষ করে নিম্নবৃত্ত শ্রমজীবী পরিবারে পিতা পুত্রের মধ্যে স্নেহ, শ্রদ্ধা, সম্পর্ক কখনও কখনও থাকে না। বিশেষ করে তারা যদি নেশাসক্ত হয়। বাবা ছেলের পারস্পরিক সম্মানহীন কথাবার্তা ও স্বাধীনতাহীন আচরণের মাধ্যমে তারা দু-ভাইয়ের মতো আচরণ করে। 

পাড়া মাথায় করা বলতে পাড়ায় প্রতিবেশিদের অতিষ্ঠ করে তোলার কথা বলা হয়েছে। বাপব্যাটা দু-ভাইয়ে অশান্তির কারণে তুমুল চেঁচামেচিতে লিপ্ত হয় গভীর রাতে। তবে এসময় প্রতিবেশিরা গভীর নিদ্রায় মগ্ন থাকে বাপব্যাটার উন্মক্ত ঝগড়ায় তাদের পরম শান্তির ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে। ঘটে। তাদের এই আচরণেই সমাজের অন্য শ্রেণীর মানুষের অশান্তি ও বিরক্তির কারণ হয়ে ওঠে এই বাপব্যাটা। তবে তারা বিরক্ত হলেই বাপব্যাটার চিৎকারে নীরব দর্শকের ভূমিকায় পালন করায় প্রতিবেশিদের উদাসীন মনোভাবে কবি মন্তব্যটি করেছেন। 


15. আমাদের শুকনো ভাতে লবণের ব্যবস্থা হোক - কাদের উদ্দেশ্যে কে দাবি রেখেছে? এমন দাবি রাখার কারণ কী?

এই কবিতায় সমাজের শাসক শ্রেণী তথা উচ্চবৃত্ত শ্রেণীর উদ্দেশে সমাজের নিম্নবৃত্ত শ্রমিক শ্রেণীর মানুষ এই দাবি রেখেছে। নিম্নবৃত্তের শ্রমজীবীরা বেঁচে থাকার ন্যূনতম প্রয়োজন পূরণের প্রত্যাশায় অল্পে খুশি থাকা মানুষ উচ্চবৃত্ত শাসকের কাছে এই মন্তব্য করেছেন। 

না খেয়ে মরার জন্য পৃথিবীতে কেউ আসে না। যতই প্রতিবন্ধকতা আসুক না কেনো তাকে কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন মানুষ। এই ব্যাপারে চিন্তাশীল মানুষও একই আচরণ করে। তারা পরিশ্রমের দ্বারা রসদ জোগাড় করতে ব্যর্থ হওয়ায় চুরি চামারীও করে। কিন্তু আধুনিক গণতান্ত্রিক সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারি মানুষদের কঠোর হাতে দমন করা হয়। তার এইসবের বেশির ভাগই প্রয়োগ হয় হতদরিদ্র, নিম্নবৃত্ত মানুষদের ওপর। অথচ সভ্য সমাজের আইনের ফাঁকপূরণে গল্পে উচ্চবৃত্ত মানুষ খুনরাহাজানি ও সংগঠিত ও সবকল্পিত অন্যায় থেকে রেহায় সাধারণ মানুষের কাছে এমন বেপরোয়া কখনও দেখা যায় না। তারা কেবল আবেদন নিবেদন অনুরোধ উপরোধ প্রভৃতি দ্বারা প্রত্যাশা পূরণে আবেদন জানাতে পারে। আর সেই কারণে অসহায় দুর্বল মানুষের প্রতিনিধি স্বরূপ বক্তা কবি একথা বলেছেন। 


16. সব দিন হয় না বাজার হলে হয় মাত্রা ছাড়া- সব দিন বাজার না হওয়ার কারণ কি? মাত্রা ছাড়া বিষয়টি বুঝিয়ে দাও। 

কবি জয় গোস্বামী আলোচ্য মন্তব্যটি কথকের সব দিন বাজার না হওয়ার প্রথম ও প্রধান কারণ অমিতব্যয়িতা ও অপরিণামদর্শিতা। 

শ্রমজীবী এই মানুষ মূলত দিন আনা দিন খাওয়া গোত্রের। ভবিষ্যতের কোনো চিন্তা ভাবনা অর্থাৎ তাদের শারীরিক ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে কিংবা কোনো কোনো দিন উপার্জন না হতে পারে এসবের কথা তারা ভাবে না। শুধুমাত্র বর্তমানকে উপভোগ করতে তারা সমস্ত উপার্জন খরচ করে। আগামী দিনে সম্ভাব্য উপার্জন না থাকায় বা পারিশ্রমিক উপযুক্ত না হওয়ায় সবদিন তাদের বাজার হয় না। 


17. আমরা যে অল্পে খুশি কী হবে দুঃখ করে- আমরা কারা? অল্পে খুশি থাকার কারণ কি?

এই কবিতায় আমরা বলতে সমাজের নিম্নবৃত্ত মানুষদের বোঝানো হয়েছে। এই শ্রেণির মানুষ সামাজিক নানান বৈষম্যের স্বীকার হয়ে দুবেলা দুমুটো খেয়ে বেঁচে থাকার লড়াই করে চলে। কঠোর শারীরিক পরিশ্রম করে। এই প্রচেষ্টার পরেও ‘আমরা’ শ্রেণীর মানুষ ঠান্ডা ভাতে লবণের জোগাড় করতে ব্যর্থ হয়। সমাজে গরীব মানুষ হাজার সমস্যার স্বীকার হয়। কোনো দিনই তারা আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হতে পারে না। তাই বেঁচে থাকার জন্য সমাজের ধনী, অভিজাত মানুষদের অপেক্ষায় থাকতে হয়। এমন কি শিক্ষা ও সচেতনতা না থাকায় তারা নিজেদের অধিকারটুকুও বুঝে নিতে পারে না। নিজেদের দুর্ভাগ্যের জন্য কেবল ঈশ্বরকেই দায়ী করে জীবন কাটায়। ভাগ্য বদলের কথা তারা ভাবে না। তাছাড়া উচ্চবৃত্তের চিরকালীন শোষণ কৌশলের কাছে সম্পূর্ণ পরাস্ত বিধ্বস্ত হয়ে তারা আমরণ অল্পে খুশি থাকা গন্ডিতে সীমাবদ্ধ থাকে। 


16. নুন কবিতা বলতে কবি পাড়া মাথায় করা বলতে প্রতিবেশিদের অতিষ্ঠ হয়ে ওঠার কথা বলেছে। তাদের ঝগড়া বিবাদের ফলে প্রতিবেশিরা বিরক্ত হয়ে ওঠে। অশান্তির কারণে বাপ-ব্যাটা প্রচন্ড বিবাদে লিপ্ত হয় গভীর রাতে যেহেতু এইসময় প্রতিবেশিরা গভীর নিদ্রায় মগ্ন থাকে তাই পরম শান্তিতে ঘুমাতে না পেরে তাদের ঘুমের অসুবিধা অশান্তি ও বিরক্তির কারণ হয়ে ওঠে বাপ-ব্যাটা।  তবে প্রতিবেশিরা সম্পর্ক তারা চিন্তিত না হয়ে মন্তব্য করেন ‘করিত কার তাতে কী’। 

Ratings
No reviews yet, be the first one to review the product.
Click to send whatsapp message
Copywrite 2025 LRNR