সপ্তম অধ্যায় ছেলেবেলা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সংক্ষিপ্ত ও রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর Chapter 7 Chelebela - Rabindranath Tagore

The Note contains Textual Question Answers from WBBSE Class 5 Bengali Chapter 7 Chelebela by Rabindranath Tagore (সপ্তম অধ্যায় ছেলেবেলা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর). Read the Question Answers carefully. This Question Answer set from the WBBSE board provides quality Multiple Choice Questions (MCQ), Short Answer Type Questions (SAQ), and Long Answer Type Questions from the above chapter. By reading these, students will get a clear idea about that chapter. It will enhance their knowledge and enable them to get good marks in the board exams. 

পঞ্চম  শ্রেণি বাংলা সপ্তম অধ্যায় ছেলেবেলা -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ছেলেবেলা  ব্যাখ্যা,

ছেলেবেলা  গদ্যের বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ, সম্পূর্ণ আলোচনা ও অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তর,

ছেলেবেলা  -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে সংক্ষিপ্ত, রচনাধর্মী ও ব্যাখ্যা ধর্মী প্রশ্নোত্তর 

Class 5 Bengali Chapter 7 Chelebela - Rabindranath Tagore

Short Answer Type Question (SAQ) from Chelebela by Rabindranath Tagore

Long Answer Type Question from Chelebela by Rabindranath Tagore

১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে বাক্যটি আবার লেখো :

১.১. ‘চিলেকোঠা’ হল ( কাঠের ঘর / তেতলার ঘর / ছাদের উপরে সিঁড়ির ঘর / বসবার ঘর )

১.২. ভারতবর্ষের বিখ্যাত মরুভূমিটি হল ( গোবি / সাহারা / থর )

১.৩. লিভিংস্টন ছিলেন -(ইতালি / জার্মান / ইংল্যান্ড / স্কটল্যান্ড )দেশের মানুষ। 

১.৪. জুড়িগাড়ি হল ( ঘোড়ায় টানা / হাতিতে টানা / যন্ত্রচালিত / গরুতে টানা ) গাড়ি। 

২. ‘ক’ স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো :

ক খ 

1. কেতাব - ঘোড়াকে দেখাশোনা করার লোক (4)

2. মরুভূমি - মরুদ্যান ( 3)

3. ওয়েসিস - বই ( 1)

4. সইস - পাহারাদার (5)

5. চৌকিদার - শুষ্ক জলহীন স্থান (2)

৩. কোনটি বেমানান খুঁজে নিয়ে লেখো :

৩.১. পুকুরের পাঁতিহাস, ঘাটে লোকজনের আনাগোনা, অর্ধেক পুকুর জোড়া বট গাছের ছায়া, জুড়িগাড়ির সইস। 

৩.২. তেতালা ঘর, সাত সমুদ্দুর, সেকেন্ড ক্লাস, পিলপে গাড়ি। 

৩.৩. চুড়িওয়ালা, ফেরিওয়ালা, সইস, বালক সন্ন্যাসী 

৩.৪. পিলপে গাড়ি, জুড়িগাড়ি, রিকশ, গাড়িবারান্দা 

৩.৫. চিল, রোদ্দুর, দুপুর, লোকবসতি 

৪. তোমার পাঠ্যাংশে রয়েছে এমন পাঁচটি ইংরেজি শব্দ খুঁজে নিয়ে লেখো :

1. সেকেন্ড ক্লাস 

2. ওয়েসিস 

3. রেলিং 

4. লিভিংস্টন 

5. সোফা 

৫. ‘চুড়িওয়ালা’ (চুড়ি + ওয়ালা ), ‘ফেরিওয়ালা’ (ফেরি + ওয়ালা ) এরকম শব্দের শেষে ‘ওয়ালা’ যোগ করে পাঁচটি নতুন শব্দ তৈরি করো। 

1. দইওয়ালা 

2. কাবুলিওয়ালা 

3. রিকসাওয়ালা 

4. বাড়িওয়ালা 

5. সবজিওয়ালা 

৬. শুন্যস্থান পূরণ করো :

৬.১. রাঙা হয়ে আসত রোদ্দুর , চিল ডেকে যেত আকাশে। 

৬.২. আমার জীবনে বাইরের খোলা ছাদ ছিল প্রধান ছুটির দেশ। 

৬.৩. লুকিয়ে ঢোকার নাবার ঘর তাকে যেন বাংলাদেশের শিশু লিভিংস্টন এইমাত্র খুঁজে বের করল। 

৬.৪. এই ছাদে মরুভূমিতে তখন একটা ওয়েসিস দেখা দিয়েছিল। 

৬.৫. নীচের দেউড়ির ঘন্টায় বাজল চারটে। 

৭. বিশেষ্য ও বিশেষণ আলাদা করে লেখো :

বিশেষ্য বিশেষণ 

চুড়ি, মাদুর, গড়ন,            বেলোয়ারি, ঝাঁকড়া, বিবাগি দাসি, নীল গরম, ঘোলা 

পুকুর, লোকজন 

৮. ক্রিয়ার নীচে দাগ দাও :

৮.১. হঠাৎ তাদের হাঁক পৌঁছাত। 

৮.২. সেইখানে অত্যন্ত একলা হয়ে বসতুম। 

৮.৩. হাত গলিয়ে ঘরের ছিটকিনি দিতুম খুলে। 

৮.৪. ধারাজল পড়ত সকল গায়ে। 

৮.৫. পুকুর থেকে পাতিহাঁসগুলো উঠে গিয়েছে। 

৯. বাক্য রচনা করো :

1. প্রধান - ভারতবর্ষ একটি কৃষি প্রধান দেশ। 

2. দেশ - আমাদের দেশের নাম ভারতবর্ষ। 

3. বালিশ - ঘুমানোর সময় মাথায় বালিশ নিতে হয়। 

4. মরুভূমি - ভারতবর্ষের বিখ্যাত মরুভূমি হল থর। 

5. ধুলো - মাটির রাস্তায় প্রচুর ধুলো ওড়ে। 

১০. ‘গ্রহণ’ শব্দটিকে দুটি আলাদা অর্থে ব্যবহার করে পৃথক বাক্য রচনা করো। 

1. গ্রহণ - ভালো বেসে কেউ কিছু দিলে সেটি গ্রহণ করা উচিত। 

2. গ্রহণ - আমি চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণ দুই -ই দেখেছি। 

১১. বিপরীত শব্দ লেখো :

1. আড়াল - সামনে 

2. চুপ - সবাক 

3. আনন্দ - দুঃখ 

4. গলি - বড়ো রাস্তা 

5. ফিকে - গাঢ় 

১২. অর্থ লেখো :

1. মূর্তি - প্রতিমা 

2. পিলপে গাড়ি - হাতিতে টানা গাড়ি 

3. বিবাগি - সংসারত্যাগী 

4. নাগাল - ধরাছোয়া 

5. দেউড়ি - সদর দরজা 

১৩. প্রতিশব্দ লেখো :

1. পৃথিবী - বসুধা, ধরা 

2. পাহাড় - শৈল, গিরি 

3. আকাশ - নভঃ, গগন 

4. জল - নীর, বারি 

5. গাছ - বৃক্ষ, উদ্ভিদ 

১৪. দুটি বাক্যে ভেঙে লেখো :

১৪.১. আমার পিতা যখন বাড়ি থাকতেন তাঁর জায়গা ছিল তেতালার ঘরে। 

→ আমার পিতা মাঝে মাঝে বাড়ি থাকতেন। 

তখন তাঁর জায়গা ছিল তেতলার ঘর। 

১৪.২. আমি লুকিয়ে ছাদে উঠতুম প্রায়ই দুপুর বেলায়। 

→আমি লুকিয়ে ছাদে উঠতুম। 

প্রায়ই দুপুর বেলায় তা হত। 

১৪.৩. হঠাৎ তাদের হাঁক পৌঁছাত, যেখানে বালিশের উপর খোলা চুল এলিয়ে দিয়ে শুয়ে থাকত বাড়ির বউ। 

→বালিশের উপর খোলা চুল এলিয়ে দিয়ে শুয়ে থাকত বাড়ির বউ। 

হঠাৎ তাদের হাঁক পৌঁছাত। 

১৪.৪. বিছানার একখানা চাদর নিয়ে গা মুছে সহজ মানুষ হয়ে বসতুম। 

→বিছানায় একখানা চাদর নিয়ে গা মুছতাম। 

তারপর সহজ মানুষ হয়ে বসতুম। 

১৪.৫. গরম বাতাস হু হু করে ছুটে যাচ্ছে ধুলো উড়িয়ে। 

→গরম বাতাস হু হু করে ছুটে যাচ্ছে। 

তাতে ধুলো উড়ে যাচ্ছে। 

১৫.১. কলকাতায় রবীন্দ্রনাথের বাড়িটি কী নামে বিশ্বজুড়ে পরিচিত ?

→কলকাতায় রবীন্দ্রনাথের বাড়িটি ঠাকুর বাড়ি নামে বিশ্বজুড়ে পরিচিত।

১৫.২. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছোটোদের জন্য লিখেছেন এমন দুটি বইয়ের নাম লেখো। 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছোটোদের জন্য লিখেছেন এমন দুটি বইয়ের নাম- ‘ছেলেবেলা’, ‘সহজপাঠ’

১৫.৩. ঠাকুরবাড়ি থেকে প্রকাশিত কোন দুটি পত্রিকায় তিনি নিয়মিত লিখতেন ?

ঠাকুরবাড়ি থেকে প্রকাশিত ‘ভারতী’ ও ‘বালক’ পত্রিকায় তিনি নিয়মিত লিখতেন। 

১৬. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :

১৬.১. বালক রবীন্দ্রনাথের প্রধান ছুটির দেশ কী ছিল ?

বালক রবীন্দ্রনাথের প্রধান ছুটির দেশ ছিল তেতলার খোলা ছাদ। 

১৬.২. তাঁর বাড়ির নীচতলায় বারান্দায় বসে রেলিঙের ফাঁক দিয়ে কী কী দেখা যেত ?

 তাঁর বাড়ির নীচতলায় বারান্দায় বসে রেলিঙের ফাঁক দিয়ে রাস্তার লোক চলাচল দেখা যেত। 

১৬.৩. পাঠ্যাংশে ‘ওয়েসিস’ এর প্রসঙ্গ কীভাবে রয়েছে ?

রবিঠাকুর তাদের বাড়ির তেতলার ছাদকে কেতাবে পড়া মরুভূমির সাথে তুলনা করেছেন। কারণ গরম কালে বাতাস হুহু করে বয়ে যেত এবং ছাদের কলঘর ছিল একেই লেখক মরুভূমিতে থাকা ওয়েসিস এর সঙ্গে তুলনা করেছেন। 

১৬.৪. পাঠ্যাংশে রবীন্দ্রনাথের পিতার সম্পর্কে কী জানতেন ? 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিল ধার্মিক প্রকৃতির মানুষ।  ভোরবেলা সূর্যদয়ের আগে তিনি খোলা ছাদে হাত দুটি কোলের মধ্যে জড়ো করে মূর্তির মতো বসে থাকত, মাঝে মাঝে তিনি পাহাড়েও বেড়াতে যেতেন। 

 ১৬.৫. পিতার কলঘরের প্রতি ছোট্ট রবির আকর্ষণের কথা কী ভাবে জানা গেল ?

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছেলেবেলা গল্পে, জানতে পারি, ছোট্ট রবি বাবা না থাকাকালীন পাহারাদারদের চোখ এড়িয়ে ছাদে উঠে লুকিয়ে ছিটকিনি খুলে সোফার উপর বসে দেখত ছাদের উপর গরম বাতাস ধুলো উড়িয়ে চলছে এই সময় মরুভূমি তুল্য ছাদের মধ্যে মরূদ্যানতুল্য কলঘরের প্রতি আকর্ষণের ফলে মনের আনন্দে চান করে সোফায় চাদর দিয়ে গা মুছে বসত। 

১৬.৬. ছুটি শেষের দিকে এসে পৌঁছালে রবির মনের ভাব কেমন হতো ?

রবিবারের ছুটির দিন শেষের দিকটা খুব তাড়াতাড়ি শেষের দিকে এসে পৌঁছাত দেউড়ির ঘড়ির ঘন্টায় চারটে বাজলে মনে হত রবিবারের বিকেলের আকাশটার মুখটা বিশ্রী রকম করে রয়েছে তাকে যেন সোমবারের গ্রহণ হাঁ করে গিলতে এসেছে। 

১৬.৭. পাঠ্যাংশে কাকে, কেন বাংলাদেশের ‘শিশু লিভিংস্টন’ বলা হয়েছে ?

কারণ লিভিংস্টন স্কটল্যান্ডের আদিবাসী দক্ষিণ ও মধ্য আফ্রিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল এবং নীলনদের উৎসস্থল টাঙ্গানিকা হ্রদ এবং ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত।  তিনি প্রথম অভিযান করে জাম্বেসি ও কঙ্গো নদীর অভিযান তাকে ইতিহাসে স্মরণীয় করে রেখেছে। লিভিংস্টন এর মতো ছোট্ট রবির গরমের সময় হঠাৎই ছাদের ঘরের পাশে স্নান ঘরটি আবিষ্কার করে, শিশু রবির কাছে তা ছিল মরুদ্যানের মতো, এই কারণেই তাকে শিশু লিভিংস্টন বলে উল্লেখ করেছেন।