- SCHOOL BOARDS
- WBBSE/WBCHSE
- CLASS 6
- BANGLA - সাহিত্যমেলা
- ৮. চিঠি
- Chapter 8 Chithi - Jasimuddin | অষ্টম অধ্যায় চিঠি - জসীমউদ্দীন
Chapter 8 Chithi - Jasimuddin | অষ্টম অধ্যায় চিঠি - জসীমউদ্দীন
Language : Bengali
CHAPTER-8 CHITHI ।। অষ্টম অধ্যায়-চিঠি-জসীমউদ্দীন
১.১. কবি জসীমউদ্দিনকে বাংলা কাব্য জগতে কোন অভিধায় অভিহিত করা হয়েছে ?
→ ‘পল্লী কবি’ -হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।
১.২. তাঁর লেখা দুটি কবিতার বইয়ের নাম লেখো।
→ ‘নক্সী কাঁথার মাঠ’,’মাটির কান্না’ ।
২. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
২.১. কবি কার কার থেকে চিঠি পেয়েছেন ?
কবি লাল মোরগের কাছ থেকে, চখাচখি, বাবুই পাখির বাসা থেকে, কোড়াকুড়ীর বর্ষাকালের ফসল ক্ষেতের থেকে চিঠি পেয়েছেন।
২.২. লাল মোরগের পাঠানো চিঠিটি কেমন ?
লাল মোরগের চিঠি হল - ভোর জাগানোর সুরে ভরা এবং মোরগের পাখার গায়ে ঊষার রঙিন হাসি আঁকা।
২.৩. চখাচখি কেমন চিঠি পাঠিয়েছে ?
বালুচরে ঝিকিমিকি যুক্ত বর্ষার ঢেউ চখাচখির চিঠিতে রয়েছে।
২.৪. গাঙশালিক তার চিঠিতে কী বলেছে ?
উজান স্রোতে জলের ধারা কল কল শব্দ গাঙ শালিকের চিঠিতে কবি পেয়েছেন।
২.৫. বাবুই পাখির বাসার থেকে আসা চিঠিটি কেমন ?
‘চিঠি’ কবিতায় জসীমউদ্দিন প্রকৃতির বিচিত্র বর্ণনা দিয়েছেন। বাবুই পাখির বাসা বর্ননায় বলেছেন ধানের বা খড় দিয়ে তাল পাতার উপর সে তার বাসা তৈরি করে।
২.৬. কোড়াকুড়ীর পাঠানো চিঠিটির বর্ণনা দাও।
কোড়াকুড়ী বর্ষাকালে ফসলের ক্ষেতে আসার সময় যা বলেছে তা হল বর্ষার জল ধারায় সবুজপাতা আনন্দে মেতে উঠেছে। বর্ষার মেঘের আবির্ভাবে বাতাস ও প্রবাহিত হয়ে আনন্দ প্রকাশ ঘটিয়েছে।
২.৭. কার চিঠি পাওয়ায় কবির মনে হয়েছে নিখিল বিশ্ব তাঁকে চিঠি পাঠিয়েছে ?
খোকা ভাই এর কাছ থেকে পাওয়া চিঠিকে কবি মনে করেছেন নিখিল বিশ্ব তাঁকে চিঠি পাঠিয়েছে।
২.৮. এই কবিতায় কোন ঋতুর প্রসঙ্গ রয়েছে ?
বর্ষাকালের প্রসঙ্গ রয়েছে।
২.৯. কবিতায় অন্য ঋতুর পটভূমি সত্ত্বেও খোকাভাই-এর চিঠির লেখনখানি শীতের ভোরের রোদের মতো’ মিঠে মনে হওয়ার তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও।
কবিতায় বর্ষাঋতুর পাশাপাশি শীতের কথাও বলেছেন। শীতের সকালে হালকা রোদের মতই খোকা ভাই এর চিঠিকে কবির মিষ্টি ও সুন্দর মনে হয়েছে। কারন বর্ষার সকালে ঠান্ডা আবহাওয়ার সাথে হালকা রোদের আভা শীতের কথাকে মনে করিয়ে দেয়।
২.১০. ‘খুশির নূপুর ঝুমুর-ঝামুর বাজছে আমার নিরালাতে’-পঙতিটির অর্থ বুঝিয়ে দাও।
বর্ষাকালে ঘন মেঘের আবহে মেঘের গর্জন ও আনন্দের বিচিত্র সমাবেশকে কবি নুপুরের আওয়াজের তুলনা করেছেন।
৩. কবিতা থেকে এমন তিনটি শব্দ খুঁজে বের করো যা কোনও ধ্বনির অনুকরণে তৈরি। একটি উদাহরণ দেওয়া হল, যেমন -কল কল
1. ঝিকিমিকি
2. কিচিরমিচির
3. গুরুগুরু
4. ঝুমুরঝামুর
৪. শব্দঝুড়ি থেকে ঠিক শব্দ নিয়ে শুন্যস্থানে বসাও :
1. রঙ্গিন > রঙিন
2. গঙ্গা > গাঙ
3. স্রোতে > সোঁতে
4. ক্রন্দন > কাঁদন
৫. ‘ঢেউ-এ ঢেউ-এ’ এখানে ‘ঢেউ-এ’ শব্দটি পরপর দুবার ব্যবহার হওয়ায় অর্থ দাঁড়িয়েছে, ‘অজস্র ঢেউ-এ’, অর্থাৎ একই শব্দ পরপর দুবার ব্যবহারে বহুবচনের ভাব তৈরি হয়েছে। এই কবিতাটি থেকে আরও তিনটি অংশ উদ্ধৃত করো যেখানে এমন ঘটেছে -
1. গুরুগুরু
2. কলকল
3. ঝাঁকে ঝাঁকে
৬. ‘গাঙের পাড়ের মোড়ল’- শব্দবন্ধটিতে পরপর দুবার ‘এর’ সম্বন্ধ বিভক্তিটি এসেছে। কবিতা থেকে এমন আরও শব্দবন্ধ খুঁজে বের করো যেখানে পরপর দুবার ‘র’ বা ‘এর’ বিভক্তি প্রয়োগ করে সম্বন্ধ পদ তৈরি হয়েছে।
i. মোরগের ভোর জাগানো সুর
ii. চখাচখির বালুচরের ঝিকিমিকি
iii. কোড়াকুড়ীর বর্ষাকালের ফসল ক্ষেতে
iv. শীতের ভোরের রোদের
৭. ‘কর্তা-কর্ম-ক্রিয়া’-পদক্রম অনুসারে নীচের বাক্যগুলিকে আবার লেখ :
৭.১. লিখে গেছে গাঙশালিকে গাঙের পাড়ের মোড়ল হতে।
গাঙশালিকে (কর্তা ) গাঙের পাড়ের (কর্ম ) মোড়ল হতে লিখে গেছে (ক্রিয়া )।
৭.২. ইহার সাথে পেলুম আজি খোকা ভাই-এর একটি চিঠি।
আমি (উহ্য ) ইহার সাথে (কর্তা ) আজি খোকা ভাইয়ের একটি চিঠি (কর্ম ) পেলাম (ক্রিয়া )
৭.৩. সবুজ পাতার আসর গুলি নাচছে জল -ধারায় মেতে।
সবুজ পাতার আসর গুলি (কর্তা ) জল -ধারায় (কর্ম ) নাচছে মেতে (ক্রিয়া )।
৭.৪. উদাস বাতাস আছড়ে বলে কে যেন বা চাইছে কাকে।
উদাস বাতাস (কর্তা ) কে যেন বা চাইছে কাকে (কর্ম ) আছড়ে বলে (ক্রিয়া )
৭.৫. শীতের ভোরের রোদের মতো লেখনখানি লাগছে মিঠি।
শীতের (কর্তা ) ভোরের রোদের মতো লাগছে মিঠি (কর্ম ) লেখনখানি (কর্তা )
৮. নীচের বাক্যগুলিকে ভেঙে দুটি বাক্যে পরিণত করো।
৮.১. চিঠি পেলুম লাল মোরগের ভোর -জাগানোর সুর ভরা।
1. লাল মোরগের চিঠি পেলুম
2. লাল মোরগের চিঠিখানি ভোর -জাগানোর সুর ভরা।
৮.২. সবুজ পাতার আসরগুলি নাচছে জল-ধারায় মেতে।
1. সবুজ পাতার আসরগুলি নাচছে
2. আসরগুলি নাচছে জল-ধারায় মেতে।
৮.৩. শীতের ভোরের রোদের মতো লেখনখানি লাগছে মিঠি।
1. শীতের ভোরের রোদ মিঠি
2. লেখনখানি লাগছে মিঠি।
৮.৪. আকাশ জুড়ে মেঘের কাঁদন গুরু গুরু দেয়ার ডাকে।
1. আকাশ জুড়ে মেঘের কাঁদন শোনা যাচ্ছে।
2. গুরু গুরু দেওয়ার ডাকে শোনা যাচ্ছে
৮.৫. লিখে গেছে গাঙশালিকে গাঙের পাড়ের মোড়ল হতে।
1. গাঙশালিকে লিখে গেছে
2. গাঙের পাড়ের মোড়ল হতে লিখে গেছে
৯. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
৯.১. কবি প্রকৃতির কোন কোন প্রতিনিধির কাছ থেকে কেমন সমস্ত চিঠি পেয়েছিলেন বিশদে লেখো।
কবি জসীমউদ্দিন মোরগের ভোর জাগানো সুরের চিঠি পেয়েছেন যাতে পাখার গায়ে ভোরের রঙিন আলো, বালুচরের ঝিকিমিকি এবং বর্ষার ফলে ঢেউ এর কথা লিখে গেছে তার জন্য চখাচখির চিঠি পেয়েছেন। গাঙশালিকে গাঙের পারের মোড়ল হওয়ার চিঠি লিখেছেন। বাবুই পাখির বাসা থেকে কবি নকসা আঁকা চিঠি পেয়েছেন, কোড়াকাড়ির চিঠি পেয়েছেন এছাড়াও খোকা ভাইয়ের কাছ থেকে শীতকালীন রোদের মিষ্টি আমেজের চিঠি পেয়েছেন।
৯.২. খোকা ভাই এর চিঠিটির প্রসঙ্গে কবি যে সমস্ত উপমা ও তুলনামূলক শব্দ ব্যবহার করেছেন তাদের ব্যবহারের সার্থকতা বুঝিয়ে দাও।
১. শীতের ভোরের রোদের মতো : শীতকালের ভোরের মিষ্টি রোদ যেমন মনকে সতেজ করে দেয় তেমনি খোকা ভাইয়ের চিঠি পড়ার পর কবিরও মন ভালো হয়ে যায়, তাই তিনি এই উপমা ব্যবহার করেছেন।
২. আকাশের সুনীল পাতা : সারা আকাশেই কবি বইয়ের পাতার সঙ্গে তুলনা করেছেন, কারণ নীল আকাশে পাখিরা যেন কিচির মিচির শব্দে বই পড়াচ্ছে। তাই তুলনাটি যথাযথ।