- SCHOOL BOARDS
- WBBSE/WBCHSE
- CLASS 10
- PHYSICAL SCIENCE
- Chapter - 1 : পরিবেশের জন্য ভাবনা
- প্রথম অধ্যায় পরিবেশের জন্য ভাবনা ।। Chapter 1 Poribeser Jonno Bhabna
প্রথম অধ্যায় পরিবেশের জন্য ভাবনা ।। Chapter 1 Poribeser Jonno Bhabna
Language : Bengali
The Note contains Textual Question Answers from WBBSE Class 10 Physical Science Chapter 1 Poribeser Jonno Bhabna (প্রথম অধ্যায় পরিবেশের জন্য ভাবনা). Read the Question Answers carefully. This Question Answer set from the WBBSE board provides quality Multiple Choice Questions (MCQ), Short Answer Type Questions (SAQ), and Long Answer Type Questions from the above chapter. By reading these, students will get a clear idea about that chapter. It will enhance their knowledge and enable them to get good marks in the board exams.
দশম শ্রেণি ভৌতবিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় পরিবেশের জন্য ভাবনা,
পরিবেশের জন্য ভাবনা অধ্যায় এর সম্পূর্ণ আলোচনা ও অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তর,
পরিবেশের জন্য ভাবনা থেকে সংক্ষিপ্ত, রচনাধর্মী ও ব্যাখ্যা ধর্মী প্রশ্নোত্তর,
Class 10 Physical Science Chapter 1 Poribeser Jonno Bhabna,
Poribeser Jonno Bhabna Class 10 Physical Science,
Short Answer Type Question (SAQ) from Poribeser Jonno Bhabna,
Long Answer Type Question from Poribeser Jonno Bhabna,
CH-1_পরিবেশের জন্য ভাবনা
1. “জীবাশ্ম জ্বালানি’’ বলতে কী বোঝ?
জীবাশ্ম হল প্রাকৃতিক উপায়ে মাটি বা পাথরের অভ্যন্তরে সঞ্চিত অতি প্রাচীনকালের উদ্ভিদ বা প্রাণীর দেহাবশেষ, ভূগর্ভে প্রচন্ড তাপ, চাপ ও ব্যাকটেরিয়ার প্রভাবে জীবাশ্মগুলি থেকে সৃষ্টি হয়েছে কয়লা, খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস এর মতো জ্বালানি। এগুলিকে বলা হয় ‘জীবাশ্ম জ্বালানি’। জীবাশ্ম জ্বালানিগুলি হল প্রচলিত শক্তির উৎস এবং এরা অনবীকরণযোগ্য।
2. চিরাচরিত শক্তির উৎস বা অনবীকরণযোগ্য (non-renewable) শক্তির উৎস বলতে কী বোঝ? উদাহরণ দাও।
যেসব শক্তির উৎসগুলিকে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করার ফলে বর্তমানে নিঃশেষিত হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে এবং যেগুলি নিঃশেষিত হলে ফিরে পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই তাদের চিরাচরিত বা অনবীকরণযোগ্য শক্তির উৎস বলে।
উদাহরণ - জীবাশ্ম জ্বালানিগুলি যেমন- কয়লা, পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস হল চিরাচরিত বা অনবীকরণযোগ্য শক্তির উৎস।
3. পুননবীকরণযোগ্য (renewable) বা অচিরাচরিত শক্তির উৎস কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
যেসব শক্তির উৎসগুলির ব্যবহার সাম্প্রতিককালে শুরু হয়েছে এবং যে উৎসগুলিকে নিরবচ্ছিন্নভাবে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করে চললেও নিঃশেষিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই সেইসব শক্তির উৎসগুলিকে পুননবীকরণযোগ্য বা অচিরাচরিত শক্তির উৎস বলে।
উদাহরণ- সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি, জোয়ার-ভাটার শক্তি, ভূ-তাপশক্তি ইত্যাদি।
4. সৌরবিদ্যুৎ কোশে কীভাবে তড়িতের সৃষ্টি হয়?
সৌরকোশে সিলিকন-বোরন এবং সিলিকন-আর্সেনিক স্তর পাশাপাশি থাকে। সূর্যরশ্মিতে থাকা ফোটন কণা সৌরকোশে ব্যবহৃত অর্ধপরিবাহীর (Si) ওপর আপতিত হলে ওর মধ্যেকার ইলেকট্রনগুলি উত্তেজিত হয়ে ওঠে ও বিচ্যুত হয়ে তড়িৎপ্রবাহের সৃষ্টি করে।
5. বায়ুশক্তিকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়?
প্রকৃতপক্ষে প্রবাহিত বায়ুর গতিশক্তিই হল বায়ুশক্তি। বায়ুকলের সাহায্যে এই বায়ুশক্তিকে যান্ত্রিকশক্তিতে রূপান্তরিত করা হয়। বায়ুকলের বায়ুচক্রের কেন্দ্রীয় অক্ষদণ্ডের সঙ্গে বৈদ্যুতিক জেনেরেটরের টারবাইনকে যুক্ত করা হয়। ফলে টারবাইনে প্রবল ঘূর্ণনের সৃষ্টি হয়। যা বিদ্যুৎশক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
6. জোয়ার-ভাটার শক্তিকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে বিদ্যুৎশক্তি উৎপাদন করা হয় ?
ভরা কোটালের সময় সমুদ্রে যখন প্রবল জলস্ফীতি হয় তখন বাঁধের সাহায্যে ড্যামে জল আটকে রাখা হয়। পরে মরা কোটালের সময় জলস্তর নেমে গেলে জলাশয় থেকে আটকে রাখা জলকে নীচে নিক্ষেপ করা হয় এবং সৃষ্ট জলস্রোতে গতিশক্তির সাহায্যে টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।
7. ভূ-তাপশক্তিকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে বিদ্যুৎশক্তি উৎপাদন করা হয়?
লাভা উদগিরণের সময় ভূ-গর্ভ থেকে নির্গত ম্যাগমার বেশিরভাগ অংশই ভূ-পৃষ্ঠের 5-10 কিমি গভীরে বিভিন্ন শিলাস্তরের ফাঁকে আটকে যায়। এই উত্তপ্ত ম্যাগমার সংস্পর্শে এসে সংলগ্ন কঠিন শিলাস্তর প্রচন্ড উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ভূ-গর্ভস্থ জলস্তর যখন অতিতপ্ত শিলাস্তরের কাছাকাছি আসে, তখন প্রচন্ড তাপে তা বাষ্পে পরিণত হয়। এই উত্তপ্ত বাষ্প ভূগর্ভে যেখানে আটকা পড়ে, সেখানে নল ঢুকিয়ে ওই বাষ্পকে তুলে আনা হয় এবং এর সাহায্যে টারবাইনের চাকা ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।
8. মিথানোজেনিক ব্যাকটেরিয়া কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
যেসব ব্যাকটেরিয়া বায়ুর অনুপস্থিতিতে বায়োমাসের বিয়োজন ঘটিয়ে প্রকৃতিতে মিথেন গ্যাস মুক্ত করে তাদের মিথানোজেনিক ব্যাকটেরিয়া বলে।
উদাহরণ - মিথানোকক্কাস, মিথানোব্যাকটেরিয়াম ইত্যাদি।
9. বায়ুমন্ডলে মিথেনের পরিমাণ বৃদ্ধিতে মিথানোজেনিক ব্যাকটেরিয়ার ভূমিকা লেখো।
পৃথিবীর বিস্তীর্ন ধানক্ষেত, জলাভূমি ও বর্ষা-অরণ্যের মিথানোজেনিক ব্যাকটেরিয়া নানাবিধ উদ্ভিজ্জ বর্জ্য পদার্থের বিয়োজন ঘটিয়ে প্রকৃতিতে মিথেন গ্যাস মুক্ত করছে। এভাবে মিথানোজেনিক ব্যাকটেরিয়া বায়ুমন্ডলে মিথেনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে চলেছে।
10. বায়োমাস শক্তি বলতে কী বোঝায়? এর ব্যবহারে কী অসুবিধা দেখা যায়?
কৃষিজাত বর্জ্য, পচা গাছপালা, আখের ছিবড়ে, ধানের তুষ, শহরের কঠিন আবর্জনা, রান্নাঘরের অব্যবহৃত জৈব অবশেষ, প্রাণীর মলমূত্র, মৃত প্রাণীর দেহাবশেষ প্রভৃতি বিভিন্ন কার্বনঘটিত পদার্থ অর্থাৎ বায়োমাসের মধ্যে যে রাসায়নিক শক্তি সঞ্চিত থাকে, তাকে ‘বায়োমাস শক্তি’ বলে।
অনবীকরণযোগ্য জীবাশ্ম জ্বালানির সংরক্ষণের জন্য তাদের ব্যবহার কমিয়ে অন্য যেসব বিকল্প শক্তি উৎসের কথা ভাবা হচ্ছে তার মধ্যে বায়োমাস শক্তি অন্যতম। কিন্তু এই জ্বালানির মূল অসুবিধা হল এর দহনের ফলে ক্ষতিকারক গ্যাসীয় পদার্থ (Co, Co2) বায়ুতে মুক্ত হয়।
11. জৈব গ্যাস বা বায়োগ্যাস (Bio gas) কাকে বলে? বায়োগ্যাসের উপাদানগুলি লেখো।
মানুষ ও প্রাণীর মলমূত্র, শাকসবজির খোসা, কৃষিকার্যের ফলে উৎপন্ন বর্জ্য, রান্নাঘরে অব্যবহৃত জৈব অবশেষ, কচুরিপানা, ফলের খোসা প্রভৃতি বায়োমাসকে বৃহদাকার বদ্ধ প্রকোষ্ঠে রেখে মিথানোজেনিক ব্যাকটেরিয়ার সাহায্যে জৈব-রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটিয়ে যে দাহ্য গ্যাস উৎপাদন করা হয়, তাকে জৈব গ্যাস বা বায়োগ্যাস বলে।
জৈব গ্যাসের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল মিথেন (CH4)। এছাড়া কার্বন ডাই অক্সাইড (Co2) এবং অল্প পরিমাণে H2, N2, Co, O2,H2S ও জলীয় বাষ্প থাকে।
12. ‘বায়োফুয়েল’ বলতে কী বোঝ? উদাহরণ দাও।
বায়োমাস থেকে যে জ্বালানি উৎপন্ন হয়, তাকে বায়োফুয়েল বলা হয়।
উদাহরণ - আখ বা ভুট্টা থেকে সন্ধান প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন বায়োইথানল একটি বায়োফুয়েল থাকে গ্যাসোলিনের (পেট্রোলের) সাথে মিশিয়ে যানবাহন চালানোর কাজে ব্যবহার করা হয়।
13. ‘পেট্রোপ্ল্যান্ট’ কাদের বলা হয়?
এমন কিছু উদ্ভিদ আছে যাদের নিঃসৃত রস থেকে কিছু তরল হাইড্রোকার্বন পাওয়া যায় যা পেট্রোলিয়ামজাত জ্বালানির বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই উদ্ভিদগুলিকে ‘পেট্রোপ্ল্যান্ট’ বলে।
14. মিথেন হাইড্রেট কী?
মিথেন হাইড্রেট হল কেলাসাকার কঠিন পদার্থ যেখানে মিথেন অণুগুলি জলের অণু দ্বারা সৃষ্ট কেলাস গঠনের মধ্যে আবদ্ধ অবস্থায় থাকে। এর সংকেত 4CH4.23H2O। উপযুক্ত উষ্ণতা এবং চাপেই কেবল এর অস্তিত্ব বজায় থাকে।
15. কী ধরনের ভূ -প্রাকৃতিক পরিবেশে মিথেন হাইড্রেট পাওয়া যায়?
পৃথিবীর কয়েকটি অঞ্চলের ভূপ্রকৃতি ও পরিবেশ মিথেন হাইড্রেটের গঠন ও স্থায়িত্বের জন্য উপযুক্ত। এগুলি হল -
i. মেরু অঞ্চলের হিমায়িত মৃত্তিকা স্তরের নীচের পলি ও পাললিক শিলাস্তর।
ii. মহাদেশীয় প্রান্ত অঞ্চলে সঞ্চিত পলিস্তর।
iii. বৃহৎ হ্রদ ও সমুদ্রের নীচে জমা পলিস্তর।
iv. মেরু অঞ্চলে সঞ্চিত বরফের তলদেশে।
16. পরিচলন কাকে বলে? পরিচলন স্রোত কী?
পরিচলন - যে প্রক্রিয়ায় তরল বা গ্যাসের উত্তপ্ত কণাগুলি নিজেরাই উষ্ণতর থেকে শীতলতর অংশে স্থানান্তরিত হয়ে তাপ সঞ্চালন করে, তাকে পরিচলন বলে।
পরিচলন স্রোত - তরল বা গ্যাসীয় পদার্থ উত্তপ্ত হলে তার আয়তন প্রসারণের জন্য ঘনত্ব কমে, ফলে উত্তপ্ত তরল বা গ্যাসীয় পদার্থ হালকা হয়ে ওপরে ওঠে ও ওপরের শীতল ভারী অংশ নীচে নেমে আসে। ফলে যে চক্রাকার স্রোতের সৃষ্টি হয় তাকে পরিচলন স্রোত বলে।
17. বায়ুমন্ডলের ‘হোমোস্ফিয়ার’ ও হেটেরোস্ফিয়ার অঞ্চল বলতে কী বোঝ?
বায়ুমন্ডলের নীচের অংশে (ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় 80 কিমি উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত) গ্যাসীয় পদার্থগুলির যেমন- N2,O2,Ar, Co2 ইত্যাদি) অনুপাত সর্বত্র প্রায় সমান থাকে [ O3 এবং জলীয় বাষ্প বাদে ], তাই এই অংশটিকে হোমোস্ফিয়ার বা সমমন্ডল বলে।
হোমোস্ফিয়ারের ওপরের অংশে যেখানে বায়ুমন্ডলের উপাদানগুলির অনুপাত স্থির নয়, তাকে হেটেরোস্ফিয়ার বা বিষমমণ্ডল বলে। এটি ভূপৃষ্ঠের ওপর 80 কিমি উচ্চতা থেকে প্রায় 10,000 কিমি উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত।
18. বায়ুমন্ডলকে কয়টি ভাগে ভাগ করা হয় এবং কী কী?
উষ্ণতা ও উচ্চতার ভিত্তিতে বায়ুমন্ডলকে মূলত পাঁচটি ভাগে ভাগ করা হয়। এগুলি হল -
i. ট্রোপোস্ফিয়ার - সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় 17 কিমি উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত।
ii. স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার - ট্রোপোস্ফিয়ারের উপরিভাগ থেকে প্রায় 40 কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত। উচ্চতা 17 km- 50 km.
iii. মেসোস্ফিয়ার- স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের উপরিভাগ থেকে প্রায় 40 কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত।
উচ্চতা - 50 km- 85 km.
iv. থার্মোস্ফিয়ার- ভূপৃষ্ঠের সাপেক্ষে 85 km থেকে 500 km উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত।
v. এক্সোস্ফিয়ার - ভূপৃষ্ঠের সাপেক্ষে 500 km থেকে 1500 km উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত।
19. ট্রোপোস্ফিয়ারকে ‘ক্রমহ্রাসমান উষ্ণতা স্তর’ বলা হয় কেন?
ভূপৃষ্ঠ থেকে ট্রোপোস্ফিয়ারের যতই ঊর্ধ্বে যাওয়া যায় বায়ুমন্ডলের উষ্ণতা ক্রমশ কমতে থাকে। প্রতি 1 কিমি উচ্চতা বৃদ্ধিতে গড়ে 6.5০C বা প্রতি 1000ft উচ্চতা বৃদ্ধিতে 3.6০F হারে বায়ুর উষ্ণতা কমে। তাই এই স্তরকে ‘ক্রমহ্রাসমান উষ্ণতা স্তর’ বলে।
20. ট্রোপোস্ফিয়ারকে ‘ক্ষুব্ধমন্ডল’ বলে কেন?
ভূপৃষ্ঠ থেকে 17 km উচ্চতা পর্যন্ত ট্রোপোস্ফিয়ার বিস্তৃত। এই স্তরের মধ্যে ধূলিকণা, জলীয় বাষ্প, মেঘ প্রভৃতি থাকে। ফলে এই স্তরের মধ্যেই ঝড়, বৃষ্টি, বজ্রপাত প্রভৃতি প্রাকৃতিক ঘটনাগুলি ঘটে। তাই ট্রোপোস্ফিয়ারকে ‘ক্ষুব্ধমন্ডল’ বলে।
21. স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারকে ‘শান্তমন্ডল’ বলে কেন?
ট্রোপোস্ফিয়ারের ওপরে এই স্তরটি বিস্তৃত। এই বায়ুস্তর প্রায় মেঘশূন্য।সামান্য ধূলিকণা থাকলেও জলকণাশূন্য। ফলে এই স্তরে ঝড়, বৃষ্টি, বায়ুপ্রবাহের সম্ভাবনাও নেই। তাই এই স্তরের নাম শান্তমন্ডল।
22.আয়নোস্ফিয়ার কাকে বলে? এরূপ নামকরণের কারণ কি?
ভূপৃষ্ঠের সাপেক্ষে 85 km থেকে 450 km উচ্চতা পর্যন্ত অঞ্চলে নাইট্রোজেন, অক্সিজেন ইত্যাদি অণুর প্রাধান্য থাকে। এই অঞ্চলটিকে আয়নোস্ফিয়ার বলে।
সূর্য থেকে বিচ্ছুরিত উচ্চ শক্তিসম্পন্ন গামা রশ্মি, x-রশ্মি, মহাজাগতিক বিকিরণের প্রভাবে এই অঞ্চলের নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন গ্যাসের অণুগুলি ভেঙে গিয়ে অসংখ্য আয়ন বা তড়িদ্গ্রস্থ কণার সৃষ্টি করে। সেই সঙ্গে অসংখ্য মুক্ত ইলেকট্রনও উৎপন্ন হয় অর্থাৎ, এই অঞ্চলের বায়ু আয়নিত অবস্থায় থাকায় এই স্তরকে আয়নোস্ফিয়ার বলে।
23. মেরুজ্যোতি কীভাবে সৃষ্টি হয়? ‘সুমেরু প্রভা’ ও ‘কুমেরু প্রভা’ কাকে বলে?
থার্মোস্ফিয়ারের অন্তর্গত আয়নোস্ফিয়ারে থাকা অক্সিজেন ও নাইট্রোজেনের অণুগুলি সূর্য থেকে বিচ্ছুরিত উচ্চ শক্তি সম্পন্ন গামা রশ্মি এবং x রশ্মির প্রভাবে আয়নিত হয় (O+ ও N2O+) । সেই সঙ্গে অসংখ্য মুক্ত ইলেকট্রনও উৎপন্ন হয়। এই মুক্ত ইলেকট্রনগুলি অন্য আয়নগুলি দ্বারা গৃহীত হওয়ার সময় আলোকরশ্মির বিকিরণ হয়। একেই মেরুজ্যোতি বলে।
উত্তরমেরুতে সৃষ্ট মেরুজ্যোতিকে সুমেরুপ্রভা এবং দক্ষিণ মেরুতে সৃষ্ট মেরুজ্যোতিকে কুমেরু প্রভা বলে।
24. স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার অঞ্চলে উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে উষ্ণতা ক্রমশ বৃদ্ধি পায় কেন?
স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে উপস্থিত অক্সিজেন গ্যাসের অণু (O2) সূর্য থেকে আগত অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করে অক্সিজেন পরমাণুতে (O) বিয়োজিত হয়। এই পারমাণবিক অক্সিজেন আণবিক অক্সিজেনের সাথে যুক্ত হয়ে ওজোন অণু (O3) সৃষ্টি করে। এই রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে তাপের উদ্ভব হয়। তাই স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার অঞ্চলে উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে উষ্ণতা ক্রমশ বৃদ্ধি পায়।
25. সংজ্ঞাসহ ওজোনস্তরের ঘনত্বের একক কী উল্লেখ করো।
ওজোন স্তরের ঘনত্বের একক হল ‘ডবসন’। O০C উষ্ণতা ও 760 mm Hg চাপে সংকুচিত 0.01 mm পুরু ওজোনের ঘনত্বকে 1 ডবসন একক (1DU) বলে।
26. ‘গ্রিনহাউস প্রভাব’ কী?
যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার সাহায্যে বায়ুমন্ডলে উপস্থিত কয়েকটি গ্যাসীয় পদার্থ (যেমন- CO2, CH4, CFC, N2O, O3 ইত্যাদি) পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে বিকিরিত তাপের একাংশের মহাশূন্যে ফিরে যেতে না দিয়ে ভূপৃষ্ঠ ও তৎসংলগ্ন বায়ুমন্ডলকে উত্তপ্ত রাখে এবং ফলস্বরূপ পৃথিবীতে জীবকুলের বেঁচে থাকার পক্ষে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়, তাকে গ্রিনহাউস প্রভাব বলে।
27. গ্রিনহাউস গ্যাসগুলি বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা কিভাবে বৃদ্ধি করে?
সূর্য থেকে আগত ক্ষুদ্র তরঙ্গদৈর্ঘ্যবিশিষ্ট অবলোহিত রশ্মি পৃথিবীর চারপাশের গ্রিনহাউস গ্যাসগুলির আচ্ছাদন ভেদ করে পৃথিবীপৃষ্ঠে আসতে পারে। ভূপৃষ্ঠ অবলোহিত রশ্মির কিছুটা শক্তি শোষণ করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ও এর ফলে ভূপৃষ্ঠ দ্বারা বিকিরিত অবলোহিত রশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পায়। এই দীর্ঘতর তরঙ্গদৈর্ঘ্য অবলোহিত রশ্মি গ্রিনহাউস গ্যাসগুলির আবরণ ভেদ করে বেরিয়ে যেতে পারে না। উক্ত গ্যাসগুলি ভূপৃষ্ঠ দ্বারা বিকিরিত অবলোহিত রশ্মির কিছু অংশ শোষণ করে নিজেরা উত্তপ্ত হয় এবং বাকি অংশ পৃথিবীপৃষ্ঠে প্রতিফলিত করে ভূপৃষ্ঠ ও তার সংলগ্ন বায়ুমন্ডলকে একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে উত্তপ্ত রাখে।