Chapter 2 Senapati Shankar - Shyamal Gangapadhyay | দ্বিতীয় অধ্যায় সেনাপতি শংকর - শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের

Language : Bengali


The Note contains Textual Question Answers from WBBSE Class 6 Bengali Chapter 2 Senpati Shankar by Shyamal Gangapadhyay. Read the Question Answers carefully. This Question Answer set from the WBBSE board provides quality Multiple Choice Questions (MCQ), Short Answer Type Questions (SAQ), and Long Answer Type Questions from the above chapter. By reading these, students will get a clear idea about that chapter. It will enhance their knowledge and enable them to get good marks in the board exams. 

Class 6 Bengali Chapter 2 Senapati Shankar - Shyamal Gangapadhyay

Short Answer Type Question (SAQ) from Senapati Shankar by Shyamal Gangapadhyay

Long Answer Type Question from Senapati Shankar by Shyamal Gangapadhyay

ষষ্ঠ শ্রেণি বাংলা দ্বিতীয় অধ্যায় সেনাপতি শংকর - শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের, সেনাপতি শংকর ব্যাখ্যা,

সেনাপতি শংকর গদ্যের বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ, সম্পূর্ণ আলোচনা ও অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তর,

সেনাপতি শংকর - শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের থেকে সংক্ষিপ্ত, রচনাধর্মী ও ব্যাখ্যা ধর্মী প্রশ্নোত্তর 



CHAPTER-2 Senapoti Shankar ।।  দ্বিতীয় অধ্যায়সেনাপতি শংকর 

১. শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা দুটি বইয়ের নাম লেখো। 

উঃ - ‘বেঁচে থাকার স্বাদ’, ‘মনে কি পড়ে’ 

২. তিনি কোন বইয়ের জন্য সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন ?

উঃ - ১৯৯১ খ্রি: ‘শাহাজাদা দারাশুকো’ উপন্যাসের জন্য। 

২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও :

২.১. আকন্দবাড়ি স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা কোন কোন জায়গা থেকে পড়তে আসে ?

উঃ - ভেটুরিয়া, সাঁইবাড়ি, ঘোলপুকুর থেকে। 

২.২. স্কুলের জানালা থেকে কী কী দেখা যায় ?

উঃ - আকাশের মেঘ দেখা যায়, আর দেখা যায় পাখি উড়ছে। 

২.৩. শঙ্কর কীসের স্বপ্ন দেখে ?

উঃ - শঙ্কর স্বপ্ন দেখে ঘোলপুকুরের ডাব গাছের উপর থেকে ঝাঁপ দিচ্ছে বড় পুকুরে কিন্তু জলে না পরে আকাশে ভাসছে, এছাড়াও স্বপ্নে সে এমুপাখি দেখে যে ঘোলপুকুরে এসে বসেছে। 

২.৪. শঙ্করের স্বপ্নে বাতাসের রং কী ?

উঃ - শঙ্করের স্বপ্নে বাতাসের রং নীলচে। 

২.৫. এমু ছাড়া উড়তে পারে না শুধু দৌড়তে পারে এমন একটি পাখির নাম লেখ। 

উঃ - উট পাখি। 

৩. গল্প থেকে একই অর্থযুক্ত শব্দ খুজে নিয়ে লেখো :

বিদ্যালয় - স্কুল 

অনিল - বাতাস 

জ্যা -পৃথিবী 

একাগ্রচিত্ত - তন্ময় 

পাখা - ডানা 

রোপন করা -রোয়া 

৪. বিপরীতার্থক শব্দ লিখে তা দিয়ে বাক্য রচনা করো :

ভিজে - শুকনো - গাছের একটি শুকনো ডাল ঝড়ে ভেঙে পড়েছে। 

রাত - দিন - দিনে সূর্য আলো ও তাপ পাই 

বাইরে - ভিতরে - ঘরের ভিতরে আলো ও বাতাস ঢোকা প্রয়োজন। 

গাঢ় - হালকা - কার্তিকের শেষে হালকা শীতের আমেজ পাই। 

বিশ্বাস -অবিশ্বাস - মিথ্যাবাদীকে সবাই অবিশ্বাস করে। 

৫. সন্ধি বিচ্ছেদ করো :

১. বঙ্গোপসাগর : বঙ্গ +উপসাগর 

২. তন্ময় : তৎ+ময় 

৩. সাবধান : স +অবধান 

৪. ত্রিশেক : ত্রিশ +এক 

৫. পঞ্চানন : পঞ্চ+আনন 

৬. নীচের শব্দগুলির কোনটি বিশেষ্য এবং কোনটি বিশেষণ তা খুঁজে নিয়ে আলাদা দুটি স্তম্ভে সাজাও। এরপর বিশেষ্যগুলি বিশেষণের রূপ এবং বিশেষণ গুলির বিশেষ্যের রূপ লেখ :

  

বিশেষ্য 

বিশেষণ

1. প্রকৃতি 

প্রাকৃতিক 

2. ব্যাথা 

ব্যাথিত

3. মাটি 

মেটে 


4. বিশ্বাস

বিশ্বাসী 


5. জল

জলীয় 

6. মাঠ 

মেঠো 


7. শব্দ 

শব্দিত 


৭. সমোচ্চারিত বা প্রায় সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দগুলির অর্থ লিখে বাক্যে প্রয়োগ করো :

ভাষা - মনের ভাব - বাঙালীর মাতৃভাষা বাংলা। 

ভাসা - উড়া - পাখিরা দলে দলে ভেসে চলেছে। 

পড়ে - পড়াশুনা - সে রোজ সকালে পড়তে বসে। 

পরে - পরিধান - সে রোজ নতুন পোষাক পরে। 

শংকর - শিব - প্রতিদিন শংকর দেবতার আরাধনা করা উচিত। 

সংকর - মিশ্র ধাতু - সংকর ধাতু বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। 

মাথা - মস্তক - তার কথার কোন মাথা -মুন্ডু নেই। 

মাতা - জননী - আমার মাতাকে আমি খুবই ভালোবাসি। 

বাঁশ - লম্বা গাছ বিশেষ - গ্রামে বাঁশ গাছ দেখতে পাওয়া যায়। 

বাস - বস্ত্র - পূজার সময় সবাই নতুন বাস পড়ে। 

৮. গল্পে বেশ কিছু পাখি ও গাছের নাম আছে। এই পাখি ও গাছের নামের তালিকা তৈরি করে এগুলি সম্পর্কে তথ্য জানিয়ে নামের পাশে পাশে লেখ। প্রয়োজনে শিক্ষক -শিক্ষিকার সাহায্য নাও। এগুলি ছাড়াও তোমার জানা আরও কিছু পাখি ও গাছের নাম, তাদের বৈশিষ্ট্য লিখে নীচের ছকটি পূরণ করো। 

পাখির নাম 

আকার

রঙ

ঠোঁট

লেজ

পা

ঝুঁটি

দূর্গাটুনটুনি

ছোটো

বেগুনি

সরু, লম্বা,

বাঁকানো

ছোটো 

সরু,লম্বা

নেই

এমু পাখি

বিরাট

গাঢ় ছাই

বড়, লম্বা

ছোটো

বড়, সরু

নেই

কাক 

ছোট

কালো

ছোটো

ছোটো

সরু, ছোটো

নেই

গাছের নাম

আকার

কী জাতীয়

পাতা গুলো কেমন

ফুল

ফল

কোথায়  দেখেছো 


সবেদা 

মাঝারি

বৃক্ষ

মাঝারি

ছোটো

গোলাকার

বাড়িতে/বাগানে

নারকেল

লম্বা

বৃক্ষ

লম্বা

হালকা হলুদ

গোলাকার

সর্বত্র

আম 

মাঝারি, ছোট

বৃক্ষ

ছোট

ছোট

গোলাকার

সর্বত্র

৯. নীচে কতগুলি উপসর্গ দেওয়া হলো। গল্প থেকে উপযুক্ত শব্দ খুঁজে নিয়ে এই উপসর্গগুলি যুক্ত করে কয়েকটি নতুন শব্দ তৈরি করো। 

উপসর্গ 

শব্দ

নতুন শব্দ 

বি

দেশ

বিদেশ

প্র 

গাঢ় 

প্রগাঢ় 

নি 

শ্বাস

নিশ্বাস

সু 

চেতনা

সুচেতনা

আ 

জীবন

আজীবন

১০. নীচের বাক্যগুলি থেকে সংখ্যাবাচক শব্দ খুঁজে বের করো। 

১০.১. পাঁচ সাত মাইলের ভেতর বঙ্গোপসাগর। ( সংখ্যাবাচক শব্দ )

         

১০.২. জনা ত্রিশেক ছেলেমেয়ে বসে। ( সংখ্যাবাচক শব্দ )

১০.৩. সেদিকে তাকিয়ে একটি ছেলে আনমনা হয়ে পড়েছিল। ( সংখ্যাবাচক শব্দ )

    

১০.৪. এক একদিন রাতে স্বপ্নের ভেতর সেও অমন ভেসে পড়ে। (সংখ্যাবাচক শব্দ )

১১. নীচের বাক্যগুলি থেকে অনুসর্গ খুঁজে বার করো। প্রতিটি বাক্যের ভিতর যে সব শব্দ আছে তাদের সঙ্গে কী কী বিভক্তি যুক্ত হয়েছে দেখাও। 

১১.১. এখানে বাতাসের ভেতর সবসময় ভিজে জলের ঝাপটা থাকে। 

এখানে - ‘এ’ বিভক্তি 

বাতাসের - ‘এর’ বিভক্তি, 

ভিতর, সবসময়, ভিজে, ঝাপটা, থাকে - শুন্য বিভক্তি 

অনুসর্গ -নেই 

জলের -’এর’ বিভক্তি 

১১.২. মাটির মেঝে 

মাটির -’র’ বিভক্তি 

মেঝে - শুন্য বিভক্তি 

অনুসর্গ - নেই 

১১.৩. সেই জানালা দিয়ে মেঘ দেখা যায় আকাশের। 

সেই, জানালা, মেঘ, দেখা যায়- শুন্য বিভক্তি 

আকাশের- ‘এর’ বিভক্তি 

অনুসর্গ - দিয়ে 

১১.৪. স্বপ্নের ভেতর সে খাট থেকে পড়েও যায়। 

স্বপ্নের - এর বিভক্তি 

ভেতর, সে, খাট, যায় - শুন্য বিভক্তি 

অনুসর্গ - থেকে 

পড়েও - ‘ও’ বিভক্তি 

১১.৫. সে তার স্বপ্নের কথা আর কাউকে কখনও বলবে না। 

সে, তার, কথা - শুন্য বিভক্তি 

স্বপ্নের - এর বিভক্তি 

আর -অব্যয় 

অনুসর্গ - নেই 

১২. নীচের বাক্যগুলি থেকে উদ্দেশ্য ও বিধেয় অংশ খুঁজে নিয়ে লেখো :

১২.১. (আকন্দবাড়ি স্কুলের ক্লাস ফাইভে বিভীষণ দাশ )-উদ্দেশ্য 

 (এমু পাখির কথা বলছিলেন। )-বিধেয় 

১২.২. (স্কুলের সামনে ধানক্ষেতে রোয়া ধান )-উদ্দেশ্য  

(সবে মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। )-বিধেয় 

                 

১২.৩. (গাঢ় ছাই রঙের বিরাট এক)-বিধেয়   

(পাখি )-উদ্দেশ্য 

                         

১২.৪. তন্ময় হয়ে শুনছিল শংকর। 

উদ্দেশ্য - শংকর ,  বিধেয় - তন্ময় হয়ে শুনছিল 

১২.৫. এই খোলামেলা পৃথিবীই সবচেয়ে বড়ো বই। 

  উদ্দেশ্য - পৃথিবী    বিধেয় - সবচেয়ে বড়ো বই প্রসারক এই খোলামেলা 

১৩. ‘কথা’, ‘চোখ’ - এই শব্দগুলির প্রত্যেকটিকে দুটি আলাদা অর্থে ব্যবহার করে বাক্য লেখো। 

কথা (ভাষা )-কথা আমাদের ভাব প্রকাশের মাধ্যম। 

কথা -(নামবিশেষ ) কথা আমার প্রিয় বন্ধু। 

চোখ (অঙ্গবিশেষ )- আমরা চোখ দিয়ে দেখি। 

চোখ (নজরে রাখা )- শিশুদের চোখে চোখে রাখতে হয়। 

১৪. নীচের বাক্যগুলির মধ্যে কোনটি সরল, জটিল ও যৌগিক বাক্য তা খুঁজে নিয়ে লেখো :

১৪.১. জানালায় কোন শিক নেই। - সরল বাক্য 

১৪.২. জেগে থাকতে দেখা আর স্বপ্নে দেখা জিনিস আজকাল শংকরের গুলিয়ে যাচ্ছে। -যৌগিক বাক্য 

১৪.৩. পাখি দেখার জন্য যখন মাঠে বা বাগানে ঘুরবে -তখন খুব সাবধানে পা টিপে টিপে চলবে। -জটিল বাক্য 

১৪.৪. বিভীষণ মাসসাই যে তাকে এমন একটা কথা বলবেন তা ভাবতে পারেনি শংকর - জটিল বাক্য 

১৫. নীচের শব্দগুলি দিয়ে বাক্য তৈরি করে একটি অনুচ্ছেদ রূপ দাও। 

গুঁড়ো, প্রকৃতি, জানলা, ডানা, ছায়া, শব্দ, স্বপ্ন, খোলামেলা 

এভাবে শুরু করতে পারো :

বাইরে হাওয়ায় বৃষ্টির গুঁড়ো উড়ে বেড়াচ্ছে। জানলা দিয়ে একমনে তাকিয়ে দেখছে ঝিমলি। প্রকৃতি যেন রোজ নতুন নতুন সাজে এসে হাজির হয়। গাছে বসা সবুজ টিয়ার ডানায় মুক্তোর মতো বিন্দু বিন্দু জল। খোলামেলা ছাদে জল পড়ার শব্দ হচ্ছে। হঠাৎ ঘুম ভাঙতে অনিল বুঝতে পারল যে সে স্বপ্ন দেখছিল। 

১৬. নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর লেখ :

১৬.১. ‘পাগলা বাতাসে তার ঢেউয়ের গুঁড়ো সবসময়ে উড়ে আসছে ‘-এখানে বাতাসকে ‘পাগলা’ বলা হলো কেন ?

→ ‘সেনাপতি শংকর’ গল্পে বাতাসকে পাগলা বলা হয়েছে কারণ বাতাসের প্রবাহিত হাওয়ায় যে স্বাভাবিক বেগ থাকে তার থেকে অনেক বেশি বেগ এই বাতাসে রয়েছে, কারন বৃহৎ সমুদ্রের উপর দিয়ে বাতাস কোন রকম বাঁধা ছাড়াই প্রবল বেগে বয়ে যায়। 

১৬.২. ‘বিভীষণ দাশ এমু পাখির কথা বলেছিলেন।’-গল্পের ‘বিভীষণ দাশ’ এর পরিচয় দাও। এমু পাখি ছাড়া গল্পে আর কোন পাখির প্রসঙ্গ এসেছে ?

→ ‘সেনাপতি শংকর’ গল্পে বিভীষণ দাশ আকন্দবাড়ি স্কুলের প্রকৃতি বিজ্ঞানের শিক্ষক। 

গল্পে এমু পাখি ছাড়া শঙ্খচিল, হাঁড়িচাচা, ডৌখল, পানকৌড়ি, বাজ, তিতির, মাছরাঙা প্রভৃতি পাখির নাম আছে। 

১৬.৩. ‘শংকর বুঝল, কোথাও একটা বড়ো ভুল হয়ে যাচ্ছে’,-কে এই শংকর, তার স্বভাবের প্রকৃতি কেমন ? তার যে কোথাও একটা বড়ো ভুল হয়ে যাচ্ছে -এটা সে কীভাবে বুঝতে পারল ?

আকন্দবাড়ি স্কুলে ক্লাস ফাইভ এর ছাত্র শংকর। 

তার স্বভাব, সে চিন্তাশীল, কল্পনা পপ্রবণ। 

প্রকৃতি বিজ্ঞানের ক্লাসে এমু পাখির আলোচনা হলে শংকর বাইরের প্রকৃতির চিন্তায় উদ্ভুত হয়ে পড়ে, সেই সময় মাস্টার মশাই তাকে আলোচনা প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করলে সে উত্তরে জানায় ঘোল পুকুরের বড় দিঘির পাড়ে সবেদা গাছের ডালে সে এমু পাখি দেখেছে। তার উত্তর শুনে মাস্টার ঠাট্টা করলে সে বুঝতে পারে কোথাও তার একটা বড় ভুল হচ্ছে। 

১৬.৪. ‘এমু পাখির যে বর্ণনা শংকর দিয়েছিল তার সঙ্গে পাখিটির মিল বা অমিল কি লেখো :

মিল 

1.এমু পাখি বাজ পাখির চেয়েও বড়। 

2.চওড়া বুক 

অমিল 

1.এমুপাখি উড়তে পারে না। 

2. এমু পাখি আন্দিজ পর্বতে থাকে। 

3. এমু পাখি ঘোল পুকুরের সবেদা গাছের ডালে থাকে না 

4. এমু পাখি তিন বছরে দুটো করে ডিম পাড়ে। 

১৬.৫. ‘এটা কি পঞ্চানন অপেরা পেয়েছো’-’অপেরা’ বলতে কী বোঝ ?

এখানে অপেরার প্রসঙ্গ এল কেন ?

→ ‘অপেরা’ হল গ্রাম বাংলার গীতি বহুল যাত্রা পালা।এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য অতি নাটকীয়তা। 

এখানে অপেরার প্রসঙ্গ এল কারণ অপেরায় যেমন বানিয়ে বানিয়ে সংলাপ বলা হয়। ঠিক তেমনই শংকর ও এমু পাখির কথা গুলি বানিয়ে বানিয়ে বলছিল। যার মধ্যে অধিকাংশই ভুল ছিল। তাই বানানো কথা প্রসঙ্গে মাস্টার মশাই অপেরার কথা বলেছেন। 

১৬.৬. ‘বলো, বলতেই হবে’- কাকে একথা বলা হলো ? উদ্দিষ্টকে কোন কথা বলতে হবে বলে দাবি জানানো হয়েছে ?

→  ‘বলো, বলতেই হবে’- একথা বিভীষণ মাস্টার মশাই শংকর সেনাপতিকে বলেছেন। 

প্রকৃতি বিজ্ঞানের ক্লাসে মাস্টার মশাই অন্যমনস্ক শঙ্করকে দেখে জিজ্ঞাসা করেছিলেন ক্লাসে আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে, উত্তরে সে জানায় ঘোল পুকুরের বড় দিঘির পাড়ে সবেদা গাছের ডালে বাজপাখির চেয়ে বড় এমু পাখিকে সে বসতে দেখেছে।  এই প্রসঙ্গেই মাস্টার মশাই তাকে বলেছিলেন একথা সে কোথায় শুনেছে তা তাকে বলতেই হবে। 

১৬.৭. গল্প অনুসরণে আকন্দবাড়ি স্কুলে সে প্রকৃতিবিজ্ঞান ক্লাসে উদ্ভুত পরিস্থিতি নিজের ভাষায় লেখো। 

গল্পে আকন্দবাড়ি স্কুলের প্রকৃতি বিজ্ঞানের মাস্টার বিভীষণ দাশ বিজ্ঞানের ক্লাস নেবার সময় এমুপাখির কথা পড়ালে ছাত্র শংকর সেদিকে মন না দিয়ে বাইরে আকাশে শঙ্খচিল দেখতে ব্যস্ত ছিল, তাই দেখে মাস্টার তাকে কি পড়াচ্ছে জানতে চাইলে সে বলে গাঢ় ছাই রঙের, বাজপাখির চেয়ে বড়ো এমু পাখির কথা, তাকে দেখেছে কীনা জানতে চাইলে সে বলে ঘোলপুকুরে সবেদা গাছের ডালে বসতে থাকতে দেখেছে। এটা শুনে মাস্টার এবং ক্লাসের ছাত্ররা সবাই হাসতে শুরু করলে একটা অদ্ভুত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। 

১৬.৮. ‘স্বপ্নে সে অনেক কিছু জানতে পেরেছে’ -কার স্বপ্ন দেখার কথা বলা হয়েছে ? স্বপ্ন দেখে সে কী জেনেছে ?

শংকরের স্বপ্ন দেখার কথা বলা হয়েছে। 

স্বপ্নের তার বাতাসের রঙ নীলচে, বাড়ি ঘর দুয়োর খয়েরি রঙের। স্বপ্নে ধাক্কা খেলে ব্যাথা লাগে না। অনেকটা যেন ঘোল পুকুরে বড় দিঘিতে ডুব দিয়ে মাটি তোলার পর ভেসে ওঠার মত। 

১৬.৯. ‘পাখি দেখার জন্য যখন মাঠে বা বাগানে ঘুরবে’-তখন কী ভাবে চলতে হবে ?

পাখি দেখার জন্য যখন মাঠে বা বাগানে সাবধানে পা টিপে টিপে চলতে হবে, যেন শব্দ না হয়। জামা কাপড়ের রঙ শুকনো পাতার রঙের মতো অথবা জলপাই রঙের হলে ভালো। আবার বেগুনি রঙের হলেও ভালো, কারণ পাখিরা বেগুনি রঙ দেখতে পায় না। 

Ratings
No reviews yet, be the first one to review the product.
Click to send whatsapp message
Copywrite 2025 LRNR