- SCHOOL BOARDS
- WBBSE/WBCHSE
- CLASS 9
- BENGALI
- প্রথম পাঠ : ধীবর বৃত্তান্ত
- WBBSE BOARD Class 9 Bengali ধীবর বৃত্তান্ত || কালিদাস || Notes || ব্যাখ্যাধর্মী প্রশ্নোত্তর || বর্ণনাধর্মী প্রশ্নোত্তর || সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর || প্রথম পাঠ || প্রথম অধ্যায় || নবম শ্রেণি ধীবর বৃত্তান্ত নাটক থেকে প্রশ্ন ও উত্তর || বাংলা সাহিত্যচয়ন || Dhibor Britanto by Kalidas Notes || LRNR Classes || Amit Sir
WBBSE BOARD Class 9 Bengali ধীবর বৃত্তান্ত || কালিদাস || Notes || ব্যাখ্যাধর্মী প্রশ্নোত্তর || বর্ণনাধর্মী প্রশ্নোত্তর || সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর || প্রথম পাঠ || প্রথম অধ্যায় || নবম শ্রেণি ধীবর বৃত্তান্ত নাটক থেকে প্রশ্ন ও উত্তর || বাংলা সাহিত্যচয়ন || Dhibor Britanto by Kalidas Notes || LRNR Classes || Amit Sir
Language : Bengali
WBBSE BOARD Class 9 Bengali ধীবর বৃত্তান্ত || কালিদাস || Notes || ব্যাখ্যাধর্মী প্রশ্নোত্তর || বর্ণনাধর্মী প্রশ্নোত্তর || সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর || প্রথম পাঠ || প্রথম অধ্যায় || নবম শ্রেণি ধীবর বৃত্তান্ত নাটক থেকে প্রশ্ন ও উত্তর || বাংলা সাহিত্যচয়ন || Dhibor Britanto by Kalidas Notes || LRNR Classes || Amit Sir
ধীবর বৃত্তান্ত
কালিদাস
1. ‘ধীবর বৃত্তান্ত’ -নাটকটির উৎস লেখ।
উঃ -নাট্যকার কালিদাসের ‘অভিজ্ঞান শকুন্তলম’ সংস্কৃত নাটক থেকে ধীবর বৃত্তান্ত অংশটি গৃহীত। এটি বাংলায় তরজমা করেছেন সত্যনারায়ণ চক্রবর্তী।
2. নাটকটি মূল নাটকের কোন অঙ্ক থেকে নেওয়া ?
উঃ -অভিজ্ঞান ‘শকুন্তলমের’ ষষ্ঠ অঙ্ক থেকে নেওয়া।
3. শকুন্তলার দুই সখীর নাম কী ?
উঃ -অনুসূয়া ও প্রিয়ংবদা।
4. শকুন্তলা কোন ঋষির কাছে প্রতিপালিত হয়েছেন ?
উঃ -মহর্ষি কণ্ব।
5. শকুন্তলাকে কে অভিশাপ দিয়েছিলেন ?
উঃ -ঋষি দুর্বাসা
6. দুর্বাসা কী অভিশাপ দিয়েছিলেন ?
উঃ -যার চিন্তায় শকুন্তলা মগ্ন হয়ে ঋষি দুর্বাসাকে যথাযথ আপ্যায়ন করেননি সেই ব্যক্তি শকুন্তলাকে ভুলে যাবে।
7. কার অনুরোধে কীভাবে শকুন্তলা অভিশাপ মুক্ত হয় ?
উঃ -শকুন্তলার সখী প্রিয়ংবদার অনুরোধে শকুন্তলা অভিশাপ মুক্ত হয়।ঋষির কথা মতো , দুষ্মন্ত -শকুন্তলার প্রেমের কোনো স্মৃতিচিহ্ন দেখাতে পারলে শকুন্তলা অভিশাপ মুক্ত হবে।
8. শকুন্তলার স্মৃতিচিহ্নস্বরূপ আংটিটি কোথায় হারিয়ে যায়? উঃ -শচীতীর্থে
9. রাজার নাম খোদাই করা আংটিটি কে, কীভাবে পায় ?
উঃ -রাজার নাম খোদাই করা আংটিটি প্রথমে ধীবর একটি মাছের পেট থেকে পেয়েছিল। পরবর্তীকালে দুই রক্ষী কর্তৃক রাজশ্যালক এটিকে পায় ও রাজার কাছে পৌঁছে দেয়।
10. “আপনারা শান্ত হন”-কে, কাদের একথা বলেছে ?
উঃ -চোর হিসেবে অভিযুক্ত জেলেটি (পুরুষ ) নগররক্ষায় নিযুক্ত দুইরক্ষীকে উদ্দেশ্য করে একথা বলেছেন।
11. “এরকম বলবেন না”-বক্তা কে ? কোন কথার পরিপ্রেক্ষিতে সে কী বলেছে ?
উঃ -বক্তা হল পুরুষ বা জেলেটি।
শ্যালক যখন তাকে অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করতে তার জীবিকাকে ছোটো করতে চেয়েছেন তখন ধীবর একথা বলেছেন। বক্তা জানিয়েছেন যে বৃত্তি নিয়ে মানুষ জন্মেছে সেই বৃত্তি নিন্দনীয় হলে তা পরিত্যাগ করা উচিত নয়। বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণ স্বভাবে দয়া পরায়ণ হলেও যজ্ঞীয় পশুবধের সময় নির্দয় হয়ে থাকেন।
12. “মহারাজ এ সম্বাদ শুনে খুশি হবেন”- মহারাজ কে ?কে, কেন একথা বলেছে ?
উঃ -মহারাজ হলেন রাজা দুষ্মন্ত।
নগররক্ষায় নিযুক্ত দুই রক্ষী উপরোক্ত কথাটি বলেছেন। কারন তারা মনে করেছে এই কাজে মহারাজ বুঝতে পারবেন রক্ষীরা তাদের যথাযথ দায়িত্ব পালন করছে। তাই তিনি তার প্রিয় আংটিটি ফিরে পাচ্ছেন।
13. “সব সত্যি বলে প্রমাণিত হয়েছে”-বক্তা কে ? কোন প্রসঙ্গে একথা বলেছেন ?
উঃ -বক্তা হলেন রাজার শ্যালক।
চোর সন্দেহে নগররক্ষায়িযুক্ত দুই রক্ষী ধীবরকে ধরে আনলে যহারাজার নিকট সেই আংটি ও সংবাদ পরিবেশিত হয়। রাজা সমস্ত কিছু বুঝে ধৃত ধীবরকে নির্দোষ বলে ঘোষণা করেন। শ্যালক এই সংবাদকে সত্য বলে উল্লেখ করেছেন।
14. “তুমি আমার একজন বিশিষ্ট প্রিয়বন্ধু হলে”-বক্তা কে ? কাকে, কখন একথা বলেছে ?
উঃ -বক্তা হলেন রাজার শ্যালক।
বক্তা পুরুষ জেলেকে উদ্দেশ্য করে একথা বলেছেন।
মহারাজের মূল্যবান ও স্মৃতিজড়িত আংটি ফিরিয়ে দেওয়ায় মহারাজ আনন্দিত হন এবং প্রতিদানস্বরূপ আংটির মূল্য সমপরিমাণ অর্থ ধীবরকে প্রদান করেন। এই অর্থ ধীবরের কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত হওয়ায় তার অর্ধেক তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়। (জানুক ও সূচক )এই কথায় এবং আচরণে সন্তুষ্ট হয়ে শ্যালক ধীবরকে বন্ধু বলে ঘোষণ করে।
15.. ‘ধীবর বৃত্তান্ত’ নাটকের প্রেক্ষাপটটি লেখ।
উঃ -মহর্ষি কন্বের তপোবনে আশ্রিতা হয়ে শকুন্তলাকে গন্ধব মতে বিবাহ করে রাজধানীতে ফিরে যান। দীর্ঘদিন দুষ্মন্ত-শকুন্তলা যোগাযোগ না থাকায় উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেন শকুন্তলা। এই অবস্থায় ঋষি দুর্বাসা কন্বের তপোবনে এলে যথাযথ আপ্যায়ন থেকে বঞ্চিত হন ঋষি দুর্বাসা। ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি অভিশাপ দেন শকুন্তলাকে যে , যার চিন্তায় সে মগ্ন সে তাকে ভুলে যাবে। শকুন্তলার এই দুঃসময়ে সখী প্রিয়ংবদার অনুরোধে ঋষি দুর্বাসা বলেন -যদি শকুন্তলা তাদের প্রেমের কোনো স্মৃতি দেখাতে পারে তাহলে শকুন্তলাকে রাজা চিনতে পারে। তাই কন্বের পরামর্শে শকুন্তলা সেই স্মৃতিচিহ্ন নিয়ে যাওয়ার পথে রাজধানীতে অঞ্জলি দেওয়ার সময় আংটি হারিয়ে ফেলে এবং রাজসভায় অপমানিত হয়ে আশ্রমে ফিরে আসেন।
16. ‘ধীবর বৃত্তান্ত’ নাটকের ধীবরের চরিত্রটি আলোচনা করো।
উঃ - ‘ধীবর বৃত্তান্ত’ নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র ধীবর। এই নাটকে ধীবরের চরিত্রের যে বৈশিষ্ট্যগুলি পাওয়া যায় সেগুলি আলোচনা করা হল -
1) সরলতা :-ধীবর চরিত্রে প্রধান বিশিষ্ট্য হল তার সরলতা। নগররক্ষীরা তাকে চোর সন্দেহে ধরলেন সে সরলভাবে বলে ওঠে যে সে চুরি করেনি। মাছ ধরতে গিয়ে মাছের পেট থেকে সে এই আংটি পেয়েছে। সত্য কথাকে সে সরলভাবে প্রকাশ করেছে
2) শ্রদ্ধাশীলতা :-ধীবর চরিত্রটি নাটকের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকলের সঙ্গে শ্রদ্ধাশীল ভাবেই আচরণ করেছে ও কথা বলেছে। যেমন -”অনুগ্রহ করে শুনুন, মারতে হয় মারুন ছেড়ে দিতে হয় ছেড়ে দিন।” ইত্যাদি ।
3) পেশার প্রতি শ্রদ্ধা :-ধীবরের পেশার প্রসঙ্গে যখন রাজশ্যালক, সূচক, জানুক প্রমুখেরা না জেনে অপমানজনক মন্তব্য করেছে। তখন ধীবর জানায় পেশা যতই নিন্দনীয় হোক না কেন তাকে পরিত্যাগ করা উচিত নয়। উদাহরণস্বরূপ সে বলেছে - ব্রাহ্মণ স্বভাবে দয়াপরায়ন হলেও যজ্ঞীয় পশুবধের সময় নির্দয় হয়ে থাকেন। এই মন্তব্যগুলি তার কর্মের প্রতি শ্রদ্ধাবোধকে প্রকাশ করে।
4)সমাজ সচেতন :-ধীবর বুঝতে পেরেছে সমাজের উচচ শ্রেণীর শাসকের প্রতি বিরুদ্ধ আচরণ করলে তার পরিনাম ভালো হবে না। তাই রাজশ্যালক ও সঙ্গীদের সাথে সচেতনভাবেই কথা বলেছে।
5)সংসারের প্রতি দায়বদ্ধতা :সংসারের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকায় সে রাজশ্যালককে জানিয়েছে এভাবে আটক রাখায় অর্থ সংস্থান এর অভাবে আজ তার সংসার চলবে না। এই দায়বদ্ধতা বুঝতে পেরেই মহারাজ তাকে আংটির মূল্যের সমপরিমাণ অর্থ দিয়েধীবর চরিত্রের মধ্যে উপরোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলি যথাযথ প্রকাশ পেয়ে চরিত্রটি আমাদের কাছে বাস্তব হয়ে উঠেছে। তার চারিত্রিক ইতিবাচকদিকগুলি শেষ পর্যন্ত তাকে রাজার পারিতোষিক লাভে এবং রাজশ্যালকের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গঠনে সহায়তা করেছে।